বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
বন্ধুর সার্টিফিকেটের (সনদ) কপি দিয়ে ১০ বছর ধরে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে আসছেন মো. রাজিব আলম (৩৩)। চাকরির বায়োডাটায় নিজের নাম, বাবার নাম, ঠিকানা, সার্টিফিকেট সবই ব্যবহার করেছেন বন্ধুর। এটি দিয়েই তিনি শিল্প গ্রুপ পলমলের কেন্দ্রীয় গুদামের এজিএম (কাগজ-কলমে টিপু সুলতান) পদে কর্মরত ছিলেন।
গত ১৪ মে কর্তৃপক্ষ রাজিব আলম ও তাঁর সহকর্মীর বিরুদ্ধে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ৮৩ লাখ ৫৪ হাজার টাকার মালামাল আত্মসাতের অভিযোগে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় তাঁকে গ্রেপ্তারের পর আশুলিয়া থানা-পুলিশ প্রকৃত টিপু সুলতানের বাড়িতে নোটিশ পাঠালে ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়।
অভিযুক্ত মো. রাজিব আলমের বাবার নাম আলতাব হোসেন। তাঁর বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আরিফপুর গ্রামে। তিনি ২০১১ সালে উপজেলার চণ্ডীপুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও তেঁতুলিয়া-পীরগাছা ভকেশনাল ইনস্টিটিউট অ্যান্ড কারিগরি বিএম কলেজ ২০১৪ সালে এইচএসসি পাস করেন।
একই গ্রামে বাড়ি টিপু সুলতানের। তাঁর বাবার নাম খয়বার আলী। তিনি উপজেলার নওটিকা উচ্চবিদ্যালয় ২০০৯ সালে এসএসসি, শরীফাবাদ মহাবিদ্যালয় থেকে ২০১১ সালে এইচএসসি ও রাজশাহী কলেজ থেকে ২০১৬ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করেছেন। টিপু সুলতান সাত-আট বছর থেকে বিভিন্ন কোম্পানি চাকরি করছেন। বর্তমানে একটি গার্মেন্টস কারখানায় কর্মরত আছেন।
মামলা এজাহার সূত্রে জানা যায়, সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স পলমল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের কেন্দ্রীয় গুদামের এজিএম (স্টোর) পদে মশিউর রহমান (আইডি নম্বর ৮৩৯৫) ও রাজিব আলম (কাগজ-কলমে টিপু সুলতান, আইডি নম্বর ৮৩৯৫) কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি ধরা পড়েছে, মশিউর রহমান ও রাজিবসহ কয়েকজনের যোগসাজশে কোম্পানির ৮৩ লাখ ৫৪ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।
পরে কোম্পানির এজিএম ফজলুর রহমান চৌধুরী বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় আত্মসাৎ ও প্রতারণার একটি মামলা করেন। পুলিশ ঠিকানা ধরে টিপু সুলতানের বাড়িতে নোটিশ নিয়ে এলে ঘটনা প্রকাশ পায়।
এ বিষয়ে জানতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওমর ফারুকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, আশুলিয়া থানা থেকে তিনি বদলি হয়েছেন। মামলার তদন্তভার অন্য একজন কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করবেন। এ ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে হবে।
এ বিষয়ে টিপু সুলতান বলেন, ‘রাজিব আমার সার্টিফিকেট নিয়ে চাকরি করছে, সেটা আমার জানা ছিল না। মামলার পরে আমার বাড়িতে পুলিশ আসার পর জানতে পারি। বাঘা থানায় এ ব্যাপারে জিডি করতে গেলে পুলিশ নেয়নি। পরে চারঘাট সেনা ক্যাম্পে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে লোকজন বলছেন, বিষয়টি তাঁরা মীমাংসা করে দেবেন। তবে আইনি জটিলতা হয় কি না সে বিষয়ে শঙ্কায় আছি।’ টিপু সুলতানের বড় ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘তাদের উভয়ের যে সমস্যা, সেটা ফয়সালা করে দেব।’
অভিযুক্ত রাজিব আলমের বাবা আলতাব হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি তারা মীমাংসা করে নেবেন। কারও কোনো সমস্যা হবে না।’
স্থানীয় বাজুবাঘা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আলাল উদ্দিন বলেন, ‘রাজিব আলমের বাবার নাম আলতাব হোসেন ও মায়ের নাম সাহিদা বেগম। রাজিবের বিষয়ে সব জানি, তার প্রতিষ্ঠানে প্রতারণার মামলায় ১ নম্বর আসামির জামিন হয়েছে। ২ নম্বর আসামি রাজিবেও জামিন হয়ে যাবে। তিনি বিষয়টি নিয়ে বেশি না মাখাতে নিষেধ করেন।’
মামলার বাদী কোম্পানির এজিএম ফজলুর রহমান চৌধুরী বলেন, বিষয়টি তিনি অবগত হয়েছেন। টিপু সুলতানের ভাই তাঁকে মোবাইল ফোন সব জানিয়েছেন। তিনি রাজিব আলমের জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি আদালতে জমা দিয়েছেন। নির্দোষ টিপু সুলতানের যাতে কিছু না হয়, ব্যাপারটি তিনি দেখবেন।
তিনি আরও বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বদলি হয়ে গেছেন। নতুন তদন্ত কর্মকর্তাকে তিনি বিষয়টি বুঝিয়ে দেবেন। তাঁর মতামতের বাইরে কিছু হবে না।
বন্ধুর সার্টিফিকেটের (সনদ) কপি দিয়ে ১০ বছর ধরে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে আসছেন মো. রাজিব আলম (৩৩)। চাকরির বায়োডাটায় নিজের নাম, বাবার নাম, ঠিকানা, সার্টিফিকেট সবই ব্যবহার করেছেন বন্ধুর। এটি দিয়েই তিনি শিল্প গ্রুপ পলমলের কেন্দ্রীয় গুদামের এজিএম (কাগজ-কলমে টিপু সুলতান) পদে কর্মরত ছিলেন।
গত ১৪ মে কর্তৃপক্ষ রাজিব আলম ও তাঁর সহকর্মীর বিরুদ্ধে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ৮৩ লাখ ৫৪ হাজার টাকার মালামাল আত্মসাতের অভিযোগে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় তাঁকে গ্রেপ্তারের পর আশুলিয়া থানা-পুলিশ প্রকৃত টিপু সুলতানের বাড়িতে নোটিশ পাঠালে ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়।
অভিযুক্ত মো. রাজিব আলমের বাবার নাম আলতাব হোসেন। তাঁর বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আরিফপুর গ্রামে। তিনি ২০১১ সালে উপজেলার চণ্ডীপুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও তেঁতুলিয়া-পীরগাছা ভকেশনাল ইনস্টিটিউট অ্যান্ড কারিগরি বিএম কলেজ ২০১৪ সালে এইচএসসি পাস করেন।
একই গ্রামে বাড়ি টিপু সুলতানের। তাঁর বাবার নাম খয়বার আলী। তিনি উপজেলার নওটিকা উচ্চবিদ্যালয় ২০০৯ সালে এসএসসি, শরীফাবাদ মহাবিদ্যালয় থেকে ২০১১ সালে এইচএসসি ও রাজশাহী কলেজ থেকে ২০১৬ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করেছেন। টিপু সুলতান সাত-আট বছর থেকে বিভিন্ন কোম্পানি চাকরি করছেন। বর্তমানে একটি গার্মেন্টস কারখানায় কর্মরত আছেন।
মামলা এজাহার সূত্রে জানা যায়, সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স পলমল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের কেন্দ্রীয় গুদামের এজিএম (স্টোর) পদে মশিউর রহমান (আইডি নম্বর ৮৩৯৫) ও রাজিব আলম (কাগজ-কলমে টিপু সুলতান, আইডি নম্বর ৮৩৯৫) কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি ধরা পড়েছে, মশিউর রহমান ও রাজিবসহ কয়েকজনের যোগসাজশে কোম্পানির ৮৩ লাখ ৫৪ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।
পরে কোম্পানির এজিএম ফজলুর রহমান চৌধুরী বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় আত্মসাৎ ও প্রতারণার একটি মামলা করেন। পুলিশ ঠিকানা ধরে টিপু সুলতানের বাড়িতে নোটিশ নিয়ে এলে ঘটনা প্রকাশ পায়।
এ বিষয়ে জানতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওমর ফারুকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, আশুলিয়া থানা থেকে তিনি বদলি হয়েছেন। মামলার তদন্তভার অন্য একজন কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করবেন। এ ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে হবে।
এ বিষয়ে টিপু সুলতান বলেন, ‘রাজিব আমার সার্টিফিকেট নিয়ে চাকরি করছে, সেটা আমার জানা ছিল না। মামলার পরে আমার বাড়িতে পুলিশ আসার পর জানতে পারি। বাঘা থানায় এ ব্যাপারে জিডি করতে গেলে পুলিশ নেয়নি। পরে চারঘাট সেনা ক্যাম্পে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে লোকজন বলছেন, বিষয়টি তাঁরা মীমাংসা করে দেবেন। তবে আইনি জটিলতা হয় কি না সে বিষয়ে শঙ্কায় আছি।’ টিপু সুলতানের বড় ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘তাদের উভয়ের যে সমস্যা, সেটা ফয়সালা করে দেব।’
অভিযুক্ত রাজিব আলমের বাবা আলতাব হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি তারা মীমাংসা করে নেবেন। কারও কোনো সমস্যা হবে না।’
স্থানীয় বাজুবাঘা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আলাল উদ্দিন বলেন, ‘রাজিব আলমের বাবার নাম আলতাব হোসেন ও মায়ের নাম সাহিদা বেগম। রাজিবের বিষয়ে সব জানি, তার প্রতিষ্ঠানে প্রতারণার মামলায় ১ নম্বর আসামির জামিন হয়েছে। ২ নম্বর আসামি রাজিবেও জামিন হয়ে যাবে। তিনি বিষয়টি নিয়ে বেশি না মাখাতে নিষেধ করেন।’
মামলার বাদী কোম্পানির এজিএম ফজলুর রহমান চৌধুরী বলেন, বিষয়টি তিনি অবগত হয়েছেন। টিপু সুলতানের ভাই তাঁকে মোবাইল ফোন সব জানিয়েছেন। তিনি রাজিব আলমের জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি আদালতে জমা দিয়েছেন। নির্দোষ টিপু সুলতানের যাতে কিছু না হয়, ব্যাপারটি তিনি দেখবেন।
তিনি আরও বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বদলি হয়ে গেছেন। নতুন তদন্ত কর্মকর্তাকে তিনি বিষয়টি বুঝিয়ে দেবেন। তাঁর মতামতের বাইরে কিছু হবে না।
গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে নোয়াখালীর আটটি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। অব্যাহত বৃষ্টি ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ডুবে যায় জেলার বিভিন্ন সড়ক, মহল্লা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জেলার ১৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেই জলাবদ্ধতা এখনো রয়ে গেছে। এক মাসের বেশি এই জলাবদ্ধতায়
১৭ মিনিট আগেসরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে যে ঠিকাদার সর্বনিম্ন দরে মালপত্র সরবরাহ করবেন, তাকেই কাজ দেওয়ার কথা। তবে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে রাজশাহী আঞ্চলিক দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামারে। এখানে সর্বনিম্ন নয়, যাঁরা সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন—তাঁদেরই কাজ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের প্রায় ৯২ লাখ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে।
২২ মিনিট আগেবিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) নিয়োগ-বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সম্প্রতি কারাগারে যেতে হয়েছে সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তারকে। তবে এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি গত পাঁচ মাসেও কাজ
২৭ মিনিট আগেউড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ে দেশের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রশিদ শাহ সাইমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ার মুরাদপুর গ্রামে। এই গ্রাম, উপজেলা, এমনকি পাশের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের কাছ থেকেও তাঁরা টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন ব্যবসার নামে।
১ ঘণ্টা আগে