মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা। নওগাঁর মান্দার বড়পই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তখন পর্যন্ত কেউ আসেননি। শ্রেণি কক্ষ খোলা না থাকায় রোকেয়া ভবনের বারান্দার গ্রিল ধরে একাই দাঁড়িয়ে ছিল দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মুনমুন (৭)। অপেক্ষা করছিল শিক্ষক ও সহপাঠীদের জন্য। কিছুক্ষণ পরে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন প্রধান শিক্ষক আমিনা পারভীন। এ সময় বিদ্যালয় মাঠে দাঁড়িয়ে থাকা এক নারীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তাঁরা দুজনেই শিক্ষক রুমের তালা খুলে ভেতরে যান। পরে শিক্ষকদের কক্ষে থাকা বিদ্যুতের মেইন সুইচ অন করেন প্রধান শিক্ষক। সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার দিয়ে ভবনের বারান্দার গ্রিল থেকে অন্তত ৬-৭ ফুট দূরে ছিটকে যায় শিক্ষার্থী মুনমুন।
শিশুটির চিৎকার শুনে প্রধান শিক্ষক ও প্রতিবেশী ওই নারী ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা দেখেন জ্ঞান হারিয়ে শিশুটি মাটিতে পড়ে আছে। সেখান থেকে উদ্ধার করে শিক্ষকদের কক্ষে নিয়ে শিশুটির জ্ঞান ফেরানো চেষ্টা করা হয়। জ্ঞান ফিরলে শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক আমিনা পারভীন বলেন, ‘বিদ্যালয়ের পুরোনো ভবন থেকে খোলা তার দিয়ে রোকেয়া ভবনে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া আছে। সেই তার কেটে ওই ভবনের দরজার গ্রিলে সেটি জড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। বিদ্যুতের মেইন সুইচ অন করার সঙ্গে সঙ্গে ওই ভবনের পুরো বারান্দা বিদ্যুতায়িত হয়ে যায়। এতে শিক্ষার্থী মুনমুন বিদ্যুতায়িত হয়।’
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জান্নাতুন ফেরদৌস বলেন, বিদ্যুতের মেইন সুইচ বন্ধ ও শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম থাকায় বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে। এটি পরিকল্পিত বলেও দাবি করে তিনি।
শিক্ষার্থী অভিভাবক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এতে স্থানীয় অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি করছি।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল বাশার শাসমুজ্জামান বলেন, বিষয়টি জানার পর সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে তিনি সভা করবেন। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা। নওগাঁর মান্দার বড়পই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তখন পর্যন্ত কেউ আসেননি। শ্রেণি কক্ষ খোলা না থাকায় রোকেয়া ভবনের বারান্দার গ্রিল ধরে একাই দাঁড়িয়ে ছিল দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মুনমুন (৭)। অপেক্ষা করছিল শিক্ষক ও সহপাঠীদের জন্য। কিছুক্ষণ পরে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন প্রধান শিক্ষক আমিনা পারভীন। এ সময় বিদ্যালয় মাঠে দাঁড়িয়ে থাকা এক নারীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তাঁরা দুজনেই শিক্ষক রুমের তালা খুলে ভেতরে যান। পরে শিক্ষকদের কক্ষে থাকা বিদ্যুতের মেইন সুইচ অন করেন প্রধান শিক্ষক। সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার দিয়ে ভবনের বারান্দার গ্রিল থেকে অন্তত ৬-৭ ফুট দূরে ছিটকে যায় শিক্ষার্থী মুনমুন।
শিশুটির চিৎকার শুনে প্রধান শিক্ষক ও প্রতিবেশী ওই নারী ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা দেখেন জ্ঞান হারিয়ে শিশুটি মাটিতে পড়ে আছে। সেখান থেকে উদ্ধার করে শিক্ষকদের কক্ষে নিয়ে শিশুটির জ্ঞান ফেরানো চেষ্টা করা হয়। জ্ঞান ফিরলে শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক আমিনা পারভীন বলেন, ‘বিদ্যালয়ের পুরোনো ভবন থেকে খোলা তার দিয়ে রোকেয়া ভবনে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া আছে। সেই তার কেটে ওই ভবনের দরজার গ্রিলে সেটি জড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। বিদ্যুতের মেইন সুইচ অন করার সঙ্গে সঙ্গে ওই ভবনের পুরো বারান্দা বিদ্যুতায়িত হয়ে যায়। এতে শিক্ষার্থী মুনমুন বিদ্যুতায়িত হয়।’
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জান্নাতুন ফেরদৌস বলেন, বিদ্যুতের মেইন সুইচ বন্ধ ও শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম থাকায় বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে। এটি পরিকল্পিত বলেও দাবি করে তিনি।
শিক্ষার্থী অভিভাবক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এতে স্থানীয় অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি করছি।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল বাশার শাসমুজ্জামান বলেন, বিষয়টি জানার পর সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে তিনি সভা করবেন। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে অগ্নিকাণ্ডে দুটি ঘর ভস্মীভূত হয়েছে। আজ বুধবার (৮ অক্টোবর) ভোর ৪টার দিকে উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়নের সিংহের মাঝিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিক ওই এলাকার মো. মাসুদ।
৪২ মিনিট আগেস্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা মৎস্য অফিস ও নৌ-পুলিশের ঢিলেঢালা অভিযান ও যোগসাজশের কারণেই এমন অবাধে মাছ শিকার সম্ভব হচ্ছে। যদিও মৎস্য অধিদপ্তর ও নৌ-পুলিশ নিয়মিত অভিযান চালানোর দাবি করছে।
১ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে বেওয়ারিশ কুকুর। শুধু সেপ্টেম্বরে সরকারি হিসাব অনুযায়ী, সদর হাসপাতালে কুকুর ও বিড়ালের আক্রমণের শিকার হয়ে আট শতাধিক মানুষ চিকিৎসা নিয়েছে। আক্রান্তদের বেশির ভাগই শিশু। আক্রান্ত ব্যক্তিদের টিকা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
৭ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর ডিমলায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে বিনা মূল্যের সেবা পেতেও টাকা গুনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খামারিরা বলছেন, হাসপাতালটিতে ঠিকমতো চিকিৎসা মেলে না। এদিকে ভেটেরিনারি সার্জন হাসপাতালে পশুর চিকিৎসা না দিয়ে বাড়ি গিয়ে দিতে চান। এর জন্য তাঁকে ২ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে
৭ ঘণ্টা আগে