Ajker Patrika

‘অধিকাংশ কর্মী শুধু শরীর নিয়ে বিদেশে কাজে যান’

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ১৪ মে ২০২৫, ২০: ৪০
রাজশাহী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ‘নিরাপদ অভিবাসন ও দক্ষতা উন্নয়ন’ শীর্ষক সেমিনার। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ‘নিরাপদ অভিবাসন ও দক্ষতা উন্নয়ন’ শীর্ষক সেমিনার। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহীতে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। সর্বশেষ ২০২৪ সালে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২৬ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। বিশ্বের ১৭৩টি দেশে থাকা ১ কোটি ২০ লাখ প্রবাসী দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।

আজ বুধবার রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে ‘নিরাপদ অভিবাসন ও দক্ষতা উন্নয়ন’ শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য জানান বক্তারা। জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস এই সেমিনারের আয়োজন করে।

রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) যোবায়ের হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক আতিকুর রহমান, আলোচক ছিলেন টিটিসি রাজশাহীর অধ্যক্ষ নাজমুল হক।

মূল প্রবন্ধে বলা হয়, সাধারণভাবে গার্মেন্টসকে সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু গার্মেন্টস খাতের কাঁচামাল আমদানির খরচ রয়েছে। এ কারণে রেমিট্যান্স থেকে নিট বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন গার্মেন্টসের চেয়ে তিন গুণ বেশি।

প্রবন্ধে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রবাসে যে কর্মী পাঠানো হয়, তার ৪৭ শতাংশ অদক্ষ। এর মধ্যে আধা দক্ষ ১৬ শতাংশ এবং দক্ষ মাত্র ৩৫ শতাংশ। আমাদের অধিকাংশ কর্মী শুধু শরীর নিয়ে বিদেশে কাজ করতে যান। এ কারণে দক্ষতা অর্জনে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে। প্রশিক্ষণের জন্য সারা দেশে ১১০টি টিটিসি রয়েছে। অথচ দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আমাদের দেশের মানুষ দক্ষতা অর্জনে প্রশিক্ষণ গ্রহণে উৎসাহী হন না।

এতে আরও বলা হয়, অনেকে মা ও স্ত্রীর গয়না, বাড়ি, জমিসহ মূল্যবান সম্পদ বিক্রি করে বিদেশে কাজের সন্ধানে যান। এর মধ্যে অনেকে প্রতারিত হন। বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভিসার পাশাপাশি রিক্রুট এজেন্সির কাছে অ্যাগ্রিমেন্ট পেপার চাইতে হবে। এ পেপার পেলে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এজেন্সির কাছ থেকে ক্লিয়ারেন্স কার্ডও নিতে হবে।

ক্লিয়ারেন্স কার্ড নিয়ে বিদেশে গিয়ে দুর্ঘটনা বা অন্য কোনো কারণে দেশে ফিরলে সরকারের কাছ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসী দেড় লাখ টাকা পাবেন। মৃত্যু হলে প্রবাসীর পরিবার পাবে ৩ লাখ টাকা।

তাই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়েই বিদেশে কাজের জন্য যেতে হবে। তাহলে কোনো দিক থেকেই ক্ষতির শঙ্কা থাকবে না। এ ছাড়া হুন্ডির মাধ্যমে টাকা না পাঠিয়ে যথাযথ ব্যাকিং চ্যানেলে প্রবাসীদের দেশে টাকা পাঠানোর জন্যও সেমিনারে পরামর্শ দেওয়া হয়।

সেমিনারে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, নারী উদ্যোক্তা, মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন ও যুবসমাজের সদস্য, ইজিবাইক প্রতিনিধিসহ গণমাধ্যমের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত