Ajker Patrika

রাকসু: ছাত্রত্ব ধরে রাখতে ফের মাস্টার্সের সুযোগ চান সাবেক সমন্বয়কসহ ৬ নেতা

রাবি সংবাদদাতা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। ছবি: সংগৃহীত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্রত্ব ধরে রাখতে দ্বিতীয়বার মাস্টার্সের সুযোগ চান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক সমন্বয়কসহ ছয় নেতা। এ নিয়ে গতকাল বুধবার ছাত্রদলের পাঁচ নেতা উপাচার্যের কাছে একটি লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন। তাঁরা সবাই আবেদনে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সভাপতিকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছেন।

আবেদনকারীরা হলেন শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী, সাধারণ সম্পাদক সর্দার জহুরুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, সিনিয়র সহসভাপতি শাকিলুর রহমান সোহাগ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তুষার শেখ। আর সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী হাসান মুন্না আবেদনের সিদ্ধান্ত নিলেও এখনো করেননি।

আবেদনকারীরা জানান, বিগত ফ্যাসিস্ট শাসনামলে রাজনৈতিক হয়রানি ও কারাবরণের কারণে তাঁরা সুষ্ঠুভাবে মাস্টার্স শেষ করতে পারেননি। এ জন্য তাঁরা দ্বিতীয়বার মাস্টার্সের সুযোগ চান।

এর মধ্যে দ্বিতীয়বার মাস্টার্সের জন্য ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগে ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন তুষার শেখ।

ফোকলোর ও সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে ভর্তির আবেদন করেছেন সুলতান আহমেদ রাহী, সর্দার জহুরুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম শফিক ও শাকিলুর রহমান সোহাগ।

সূত্রে জানা গেছে, ফোকলোর অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ইউট্যাব) বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক।

আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করে শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি আরও আগে দ্বিতীয়বার মাস্টার্সে ভর্তির কথা প্রশাসনকে জানিয়েছি। গতকাল (বুধবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সালেহ হাসান নকীবকেও আবেদনপত্র দিয়েছি।’

সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী হাসান মুন্না বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনামলে সংগ্রামে রাজপথে ছিলাম। উপাচার্য দায়িত্ব নেওয়ার পাঁচ মাসের ভেতরে রাকসু নির্বাচন দেওয়ার কথা ছিল।

‘তবে সেটা ১১ মাস পরে হচ্ছে। আমার গত ফেব্রুয়ারিতে ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে। নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আমরা ২০১৭-১৮ বর্ষের শিক্ষার্থীরা রাকসুতে অংশ নিতে চাই। আমি এ জন্য দ্বিতীয়বারের মতো মাস্টার্সে ভর্তি হওয়ার চিন্তা করছি।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, ‘আমাকে গতকাল কয়েকজন শিক্ষার্থী আবেদনপত্র দিয়েছে। আবেদন গ্রহণ করেছি। এটাকে কোনো রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখা হবে না। এটা পরিপূর্ণভাবে একটি একাডেমিক বিষয়। একাডেমিশিয়ানরাই পুরো বিষয়টি ডিল করবে। ছাত্ররা দরখাস্ত দিতেই পারে। আমরা আমাদের নিয়ম-কানুন দেখব, সেই অনুযায়ী বিবেচনায় নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত