মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁর মান্দায় গত এক সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে মাঠে পেকে থাকা বোরো ধান কাটতে পারছেন না কৃষকেরা। কোনো কোনো জমিতে ধান কাটলেও শুকাতে না পারায় তা আবার ভিজে যাচ্ছে। ফলে খেতেই নষ্ট হচ্ছে কৃষকের স্বপ্নের ফসল। আবহাওয়া খারাপ থাকায় ধান শুকানোর সুযোগ না পেয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।
কৃষকেরা বলছেন, আমন ধান কেটে নেওয়ার পর ওইসব জমিতে সরিষা ও আলুর আবাদ করা হয়েছিল। এ কারণে বোরো ধান রোপণ করতে কিছুটা দেরি হয়। জ্যৈষ্ঠের শুরু থেকে একটানা বৃষ্টিপাত চলছে। আবহাওয়া ভালো না থাকায় পাকা ধান কেটে তাঁরা ঘরে তুলতে পারছেন না। এতে চরম ক্ষতির মুখে পড়বেন তাঁরা।
স্থানীয় আবহাওয়া কার্যালয়ের তথ্যমতে, আজ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গত সাত দিনে গড়ে প্রতিদিন বৃষ্টিপাত হয়েছে প্রায় ২০ মিলিমিটার। এ সময়ে সাধারণত আকাশ মেঘলা থাকলেও টানা বৃষ্টির নজির সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা যায়নি। এ বছরের চিত্র পুরোটাই উল্টো।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় আলু আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে এবং সরিষা হয়েছে ৫ হাজার ২০০ হেক্টরে। এসব জমিতে আলু ও সরিষা কেটে বোরো ধান রোপণ করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। এই দেরির কারণে এখন ধান কাটার মৌসুম পড়েছে বৃষ্টির মধ্যে।
পশ্চিম নুরুল্লাবাদ গ্রামের কৃষক আবদুল জলিল বলেন, ‘আমন ধান কাটার পর তিন বিঘা জমিতে আলু চাষ করি। এরপর সেই জমিতে বোরো ধান লাগাই। পাকা ধান কেটে শুকানোর জন্য জমিতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সেই ধান আর ঘরে তুলতে পারছি না। খেতেই ধান পচে যাচ্ছে। খুব বিপদে আছি।’
একই গ্রামের আরেক কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সুযোগ বুঝে কিছু ধান কেটেছি, কিন্তু শুকাতে না পারায় ধান আবার ভিজে গেছে। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গত পাঁচ থেকে ছয় দিনের মধ্যে এক দিনও পুরো শুকনো দিন পাইনি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কৃষক বলেন, ‘বোরো ধান রোপণের সময় আমি সার ও কীটনাশক বাকিতে কিনেছি। এখন শুরু হয়েছে হালখাতার মৌসুম। বাকি পরিশোধের জন্য আমাকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মাঠ থেকে ধান কেটে ঘরে তুলতে পারিনি। এই অবস্থায় দোকান বাকি পরিশোধের কোনো উপায় দেখছি না।’
উপজেলার আরও কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেরিতে রোপণ করা বোরো ধান সাধারণত জ্যৈষ্ঠ মাসের শুরু থেকে কাটা-মাড়াই শুরু হয়। কিন্তু এ বছর ঘন ঘন বৃষ্টির কারণে সেই ধারা ব্যাহত হয়েছে। বৃষ্টি না থামলে ফলনের বেশ বড় একটা অংশ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
নুরুল্লাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আহ্বান হাবীব বলেন, গত কয়েক দিন ধরে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। রোদ না থাকায় কৃষকেরা খেতের পাকা ধান কাটতে পারছেন না। আবহাওয়া ভালো না হলে বিশ্বগ্রাম চরম ক্ষতির মুখে পড়বে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন বলেন, ‘এ বছর অতি বৃষ্টির কারণে কৃষকেরা দেরিতে রোপণ করা ধান কাটতে পারছেন না, আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। একই সঙ্গে কৃষকদের দ্রুত ধান কাটতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
নওগাঁর মান্দায় গত এক সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে মাঠে পেকে থাকা বোরো ধান কাটতে পারছেন না কৃষকেরা। কোনো কোনো জমিতে ধান কাটলেও শুকাতে না পারায় তা আবার ভিজে যাচ্ছে। ফলে খেতেই নষ্ট হচ্ছে কৃষকের স্বপ্নের ফসল। আবহাওয়া খারাপ থাকায় ধান শুকানোর সুযোগ না পেয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।
কৃষকেরা বলছেন, আমন ধান কেটে নেওয়ার পর ওইসব জমিতে সরিষা ও আলুর আবাদ করা হয়েছিল। এ কারণে বোরো ধান রোপণ করতে কিছুটা দেরি হয়। জ্যৈষ্ঠের শুরু থেকে একটানা বৃষ্টিপাত চলছে। আবহাওয়া ভালো না থাকায় পাকা ধান কেটে তাঁরা ঘরে তুলতে পারছেন না। এতে চরম ক্ষতির মুখে পড়বেন তাঁরা।
স্থানীয় আবহাওয়া কার্যালয়ের তথ্যমতে, আজ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গত সাত দিনে গড়ে প্রতিদিন বৃষ্টিপাত হয়েছে প্রায় ২০ মিলিমিটার। এ সময়ে সাধারণত আকাশ মেঘলা থাকলেও টানা বৃষ্টির নজির সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা যায়নি। এ বছরের চিত্র পুরোটাই উল্টো।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় আলু আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে এবং সরিষা হয়েছে ৫ হাজার ২০০ হেক্টরে। এসব জমিতে আলু ও সরিষা কেটে বোরো ধান রোপণ করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। এই দেরির কারণে এখন ধান কাটার মৌসুম পড়েছে বৃষ্টির মধ্যে।
পশ্চিম নুরুল্লাবাদ গ্রামের কৃষক আবদুল জলিল বলেন, ‘আমন ধান কাটার পর তিন বিঘা জমিতে আলু চাষ করি। এরপর সেই জমিতে বোরো ধান লাগাই। পাকা ধান কেটে শুকানোর জন্য জমিতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সেই ধান আর ঘরে তুলতে পারছি না। খেতেই ধান পচে যাচ্ছে। খুব বিপদে আছি।’
একই গ্রামের আরেক কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সুযোগ বুঝে কিছু ধান কেটেছি, কিন্তু শুকাতে না পারায় ধান আবার ভিজে গেছে। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গত পাঁচ থেকে ছয় দিনের মধ্যে এক দিনও পুরো শুকনো দিন পাইনি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কৃষক বলেন, ‘বোরো ধান রোপণের সময় আমি সার ও কীটনাশক বাকিতে কিনেছি। এখন শুরু হয়েছে হালখাতার মৌসুম। বাকি পরিশোধের জন্য আমাকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মাঠ থেকে ধান কেটে ঘরে তুলতে পারিনি। এই অবস্থায় দোকান বাকি পরিশোধের কোনো উপায় দেখছি না।’
উপজেলার আরও কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেরিতে রোপণ করা বোরো ধান সাধারণত জ্যৈষ্ঠ মাসের শুরু থেকে কাটা-মাড়াই শুরু হয়। কিন্তু এ বছর ঘন ঘন বৃষ্টির কারণে সেই ধারা ব্যাহত হয়েছে। বৃষ্টি না থামলে ফলনের বেশ বড় একটা অংশ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
নুরুল্লাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আহ্বান হাবীব বলেন, গত কয়েক দিন ধরে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। রোদ না থাকায় কৃষকেরা খেতের পাকা ধান কাটতে পারছেন না। আবহাওয়া ভালো না হলে বিশ্বগ্রাম চরম ক্ষতির মুখে পড়বে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন বলেন, ‘এ বছর অতি বৃষ্টির কারণে কৃষকেরা দেরিতে রোপণ করা ধান কাটতে পারছেন না, আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। একই সঙ্গে কৃষকদের দ্রুত ধান কাটতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
ছোট ফেনী ও বামনিয়া নদীর অব্যাহত ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উপকূলীয় মুছাপুর, চরএলাহী ও চরফকিরা ইউনিয়ন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের আগস্ট মাসে মুছাপুর রেগুলেটরটি প্রচণ্ড পানির চাপে ভেঙে যায়।
১৭ মিনিট আগেরাজধানীর আফতাবনগরে গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনে এক পরিবারের পাঁচজন দগ্ধের ঘটনায় মিথিলা আক্তার (৭) নামের আরেক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় মিথিলা। এর আগে এ ঘটনায় আহত মিথিলার বাবা তোফাজ্জল হোসেন, মা মানসুরা আক্তার
৪০ মিনিট আগেরাজধানীর উত্তরায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার (২৩ মে) ভোররাতে আবদুল্লাহপুর-আশুলিয়া মহাসড়কের ১৫৩ নম্বর পিলারসংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেসড়ক দিয়ে পায়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন দুই নারী। এমন সময় কয়েক যুবক এক নারীর শরীরে হাত দিয়ে স্পর্শ করেন। ওই নারী প্রতিবাদ করলে পালিয়ে যান তাঁরা। উত্ত্যক্ত করার ভিডিওটি ঘটনাস্থলের একটি দোকানে থাকা সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। পরে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকাজুড়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
১ ঘণ্টা আগে