নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী ও নাটোর প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও নাটোর থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এবার বাস বন্ধ করে দিয়েছেন খোদ মালিকেরাই। এতে দুর্গাপূজার ছুটিতে বাড়ি ফিরতে ভোগান্তিতে পড়েছেন তিন জেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিকল্প উপায়ে তাঁরা বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছেন।
বর্তমানে একতা পরিবহনের বাসগুলো চলাচল করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া ঢাকা-রাজশাহী রুটে লোকাল বাস চলছে। অন্য পরিবহনের বাসগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এসব বাসের মালিকদের সঙ্গে শ্রমিকদের টানাপোড়েন চলছে। কবে বাস চালু হবে, তা কেউ বলতে পারছেন না।
এর আগে চলতি মাসেই বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে দুই দফা দূরপাল্লার বাস বন্ধ করে দেন চালক, হেলপার ও সুপারভাইজাররা।
বাস মালিকপক্ষের দাবি, শ্রমিকদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। এরপরও তাঁরা অযৌক্তিক দাবি সামনে আনছেন, যা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। শ্রমিকদের সঙ্গে না পেরে তাঁরা নিজেরাই এবার বাস বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন বলে মালিকদের দাবি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে রাজশাহী-ঢাকা রুটে চালক প্রতিটি ট্রিপে ১ হাজার ২৫০ টাকা, সুপারভাইজার ৫০০ টাকা ও সহকারী ৪০০ টাকা পান। বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে ৭ সেপ্টেম্বর রাতে তিন জেলা থেকে দূরপাল্লার বাস চালানো বন্ধ করে দেন শ্রমিকেরা। দুই দিন পর মালিকপক্ষের আশ্বাসে তাঁরা ফের বাস চালানো শুরু করেন। কিন্তু আশ্বাস অনুযায়ী বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা না হলে ২২ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে ফের কর্মবিরতি শুরু করেন তাঁরা।
শ্রমিকদের দুই দফা আন্দোলনের পর গত মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় মালিক-শ্রমিক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়—আজ শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) থেকে চালককে ১ হাজার ৭৫০ টাকা, সুপারভাইজারকে ৭৫০ টাকা ও সহকারীকে ৭০০ টাকা দেওয়া হবে।
মালিকদের অভিযোগ, বেশি বেতন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও শ্রমিকেরা বিনা টিকিটের যাত্রী তুলছিলেন। আর শ্রমিকদের অভিযোগ, বাড়তি টাকা দেওয়ার কথা হলেও বাস্তবে তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন মালিকেরা। আজ বিকেল পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ থাকে। রাজশাহী নগরীর শিরোইল এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বাস বন্ধ থাকায় যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। চাপ বেড়েছে একতা পরিবহনের বাসে। এ ছাড়া কষ্ট করে অনেকে লোকাল বাসে ওঠার চেষ্টা করছেন। তবে বাড়তি চাপে লোকাল বাসেও ওঠা কঠিন হয়ে পড়েছে।
নগরীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন সুনামগঞ্জের বাসিন্দা রনজিত কুমার রায়। তিনি বাসের জন্য দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘লোকাল বাস শুধু ঢাকার দিকে যায়। আমি পূজার ছুটিতে যাব সুনামগঞ্জ। সেদিকে কোনো সরাসরি বাস নেই। আমাকে কষ্ট করে যেতে হবে।’
জানতে চাইলে রাজশাহী মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পাখি বলেন, ‘আমাদের শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর কথা হয়েছে। কিন্তু সে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আগেই মালিকপক্ষ হঠাৎ করে বাস বন্ধ করে দিয়েছে এই বলে যে, তারা বাড়তি বেতন দিতে পারবে না। এখন শ্রমিকেরা বসে আছে। গাড়ি চালালে তারা চালাবে। তা না হলে তো মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে।’
তবে বাস বন্ধের অন্য কারণ বলে জানাচ্ছেন বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি বজলুর রহমান রতন। তিনি বলেন, শ্রমিকদের দাবিদাওয়ার ব্যাপারে গত মঙ্গলবার ঢাকায় বসা হয়েছিল। তাঁদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়েছে। সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। সভা সুন্দরভাবেই শেষ হয়।
এরপর বাস চলাচলও শুরু হয়। কিন্তু বাড়তি বেতন দেওয়ার কথা হওয়ার পর এখন শ্রমিকেরা যেখানে–সেখানে বিনা টিকিটে যাত্রী তুলতে চাইছেন। খোরাকি ভাতা দাবি করছেন। এসব তো মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, ‘শ্রমিকদের সঙ্গে যুদ্ধ করে এভাবে বাস চালাতে চাই না। কয়দিন বসে থাকবে থাকুক।’
নাটোর
নাটোরে আজ সকাল থেকে দেশ, ন্যাশনাল, গ্রামীণ, হানিফসহ কয়েকটি কোম্পানির বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। জানা গেছে, একতা ট্রান্সপোর্ট ও লোকাল বাস ছাড়া অন্য সব দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ রয়েছে।
এর আগে চলতি মাসেই বাস কোম্পানির চালক, সহকারী ও সুপারভাইজাররা দুই দফা বাস বন্ধ করেছিলেন। এবার তৃতীয় দফায় বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কক্সবাজারসহ দূরপাল্লার যাত্রীরা মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছেন।
শোয়েব আকতার নামের এক যাত্রী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতেও নাটোর শহর দিয়ে রাজশাহীতে বাস চলাচল করতে দেখা গেছে। অথচ সকালে বাস টার্মিনালে এসে দেখি অধিকাংশ কাউন্টার বন্ধ। আরও আগে ঘোষণা দিলে দুর্ভোগ কিছুটা কমত।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও নাটোর থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এবার বাস বন্ধ করে দিয়েছেন খোদ মালিকেরাই। এতে দুর্গাপূজার ছুটিতে বাড়ি ফিরতে ভোগান্তিতে পড়েছেন তিন জেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিকল্প উপায়ে তাঁরা বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছেন।
বর্তমানে একতা পরিবহনের বাসগুলো চলাচল করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া ঢাকা-রাজশাহী রুটে লোকাল বাস চলছে। অন্য পরিবহনের বাসগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এসব বাসের মালিকদের সঙ্গে শ্রমিকদের টানাপোড়েন চলছে। কবে বাস চালু হবে, তা কেউ বলতে পারছেন না।
এর আগে চলতি মাসেই বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে দুই দফা দূরপাল্লার বাস বন্ধ করে দেন চালক, হেলপার ও সুপারভাইজাররা।
বাস মালিকপক্ষের দাবি, শ্রমিকদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। এরপরও তাঁরা অযৌক্তিক দাবি সামনে আনছেন, যা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। শ্রমিকদের সঙ্গে না পেরে তাঁরা নিজেরাই এবার বাস বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন বলে মালিকদের দাবি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে রাজশাহী-ঢাকা রুটে চালক প্রতিটি ট্রিপে ১ হাজার ২৫০ টাকা, সুপারভাইজার ৫০০ টাকা ও সহকারী ৪০০ টাকা পান। বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে ৭ সেপ্টেম্বর রাতে তিন জেলা থেকে দূরপাল্লার বাস চালানো বন্ধ করে দেন শ্রমিকেরা। দুই দিন পর মালিকপক্ষের আশ্বাসে তাঁরা ফের বাস চালানো শুরু করেন। কিন্তু আশ্বাস অনুযায়ী বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা না হলে ২২ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে ফের কর্মবিরতি শুরু করেন তাঁরা।
শ্রমিকদের দুই দফা আন্দোলনের পর গত মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় মালিক-শ্রমিক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়—আজ শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) থেকে চালককে ১ হাজার ৭৫০ টাকা, সুপারভাইজারকে ৭৫০ টাকা ও সহকারীকে ৭০০ টাকা দেওয়া হবে।
মালিকদের অভিযোগ, বেশি বেতন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও শ্রমিকেরা বিনা টিকিটের যাত্রী তুলছিলেন। আর শ্রমিকদের অভিযোগ, বাড়তি টাকা দেওয়ার কথা হলেও বাস্তবে তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন মালিকেরা। আজ বিকেল পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ থাকে। রাজশাহী নগরীর শিরোইল এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বাস বন্ধ থাকায় যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। চাপ বেড়েছে একতা পরিবহনের বাসে। এ ছাড়া কষ্ট করে অনেকে লোকাল বাসে ওঠার চেষ্টা করছেন। তবে বাড়তি চাপে লোকাল বাসেও ওঠা কঠিন হয়ে পড়েছে।
নগরীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন সুনামগঞ্জের বাসিন্দা রনজিত কুমার রায়। তিনি বাসের জন্য দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘লোকাল বাস শুধু ঢাকার দিকে যায়। আমি পূজার ছুটিতে যাব সুনামগঞ্জ। সেদিকে কোনো সরাসরি বাস নেই। আমাকে কষ্ট করে যেতে হবে।’
জানতে চাইলে রাজশাহী মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পাখি বলেন, ‘আমাদের শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর কথা হয়েছে। কিন্তু সে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আগেই মালিকপক্ষ হঠাৎ করে বাস বন্ধ করে দিয়েছে এই বলে যে, তারা বাড়তি বেতন দিতে পারবে না। এখন শ্রমিকেরা বসে আছে। গাড়ি চালালে তারা চালাবে। তা না হলে তো মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে।’
তবে বাস বন্ধের অন্য কারণ বলে জানাচ্ছেন বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি বজলুর রহমান রতন। তিনি বলেন, শ্রমিকদের দাবিদাওয়ার ব্যাপারে গত মঙ্গলবার ঢাকায় বসা হয়েছিল। তাঁদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়েছে। সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। সভা সুন্দরভাবেই শেষ হয়।
এরপর বাস চলাচলও শুরু হয়। কিন্তু বাড়তি বেতন দেওয়ার কথা হওয়ার পর এখন শ্রমিকেরা যেখানে–সেখানে বিনা টিকিটে যাত্রী তুলতে চাইছেন। খোরাকি ভাতা দাবি করছেন। এসব তো মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, ‘শ্রমিকদের সঙ্গে যুদ্ধ করে এভাবে বাস চালাতে চাই না। কয়দিন বসে থাকবে থাকুক।’
নাটোর
নাটোরে আজ সকাল থেকে দেশ, ন্যাশনাল, গ্রামীণ, হানিফসহ কয়েকটি কোম্পানির বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। জানা গেছে, একতা ট্রান্সপোর্ট ও লোকাল বাস ছাড়া অন্য সব দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ রয়েছে।
এর আগে চলতি মাসেই বাস কোম্পানির চালক, সহকারী ও সুপারভাইজাররা দুই দফা বাস বন্ধ করেছিলেন। এবার তৃতীয় দফায় বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কক্সবাজারসহ দূরপাল্লার যাত্রীরা মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছেন।
শোয়েব আকতার নামের এক যাত্রী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতেও নাটোর শহর দিয়ে রাজশাহীতে বাস চলাচল করতে দেখা গেছে। অথচ সকালে বাস টার্মিনালে এসে দেখি অধিকাংশ কাউন্টার বন্ধ। আরও আগে ঘোষণা দিলে দুর্ভোগ কিছুটা কমত।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার উপজেলার পূর্ব ইউনিয়নের বগডহর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
২৯ মিনিট আগেশ্রীনগরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আজহার (৫২) নামের এক ব্যক্তিকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন এলাকাবাসী। আজ শুক্রবার উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের ধাইসার সাদ্দামপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
৩৪ মিনিট আগেনিখোঁজের দুই দিন পর শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে তায়বা (৬) নামের এক শিশুর লাশ সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার উপজেলার ছৈয়ালকান্দি গ্রামের মেসবাহউদ্দীন মোল্লার বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেএকটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর পেট ব্যথা শুরু হলে সে তার আরেক সহপাঠীকে নিয়ে সাভার আলীর ভেষজ ওষুধের দোকানে যায়। অসুস্থ ওই শিক্ষার্থীকে পেট পরীক্ষার নামে কবিরাজ তাকে গোপন কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে কৌশলে তাকে ধর্ষণ করা হয়। এ সময় ওই শিক্ষার্থীর সহপাঠীকে বাইরের চেম্বারে বসিয়ে রাখা হয়েছিল।
১ ঘণ্টা আগে