পাবনা ও ঈশ্বরদী প্রতিনিধি
পাবনার ঈশ্বরদীতে স্থানীয় এক জামায়াত নেতার বাড়িতে গতকাল বুধবার মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু। এ সময় তাঁর সঙ্গে সংরক্ষিত মহিলা আসনের ১১ জন সংসদ সদস্য ছিলেন। পাবনার ঈশ্বরদী পৌরসভা জামায়াতের আমির গোলাম আজমের বাড়িতে এই মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়।
জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক বুধবার সকালে ঈশ্বরদীর রূপপুরে নির্মাণাধীন পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প পরিদর্শনে যান। তিনি প্রকল্প এলাকার ইউনিট ১ ও ২ পরিদর্শন করেন। ২০২৩ সালে ‘সিভিল ওয়ার্ক’ শেষ হতে পারে এবং ২০২৪ সালের নভেম্বর নাগাদ অন্যান্য কাজ শেষ হতে পারে বলে প্রকৌশলীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প পরিদর্শন শেষে বুধবার দুপুরে তাঁরা ঈশ্বরদী পৌর শহরের ইসলামপুর (ভূতেরগাড়ি) এলাকায় আরআরপি শিল্প গ্রুপের অন্যতম মালিক ও ঈশ্বরদী পৌর জামায়াতের আমির গোলাম আজমের বাসভবনে যান। সেখানে খাবার গ্রহণ ও বিশ্রাম শেষে ফেরার সময় আরআরপি ফিডমিলের আঙিনায় একটি গাছের চারাও রোপণ করেন।
জামায়াত নেতার স্বজনেরা জানান, ডেপুটি স্পিকার তাঁদের আত্মীয়। এরপর পাবনা জেলা শহরের সার্কিট হাউসে মহিলা আওয়ামী লীগের সমাবেশে যোগ দিতে রওনা হন তাঁরা।
গোলাম আজমের দলীয় পরিচয় নিশ্চিত করে পাবনা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ইকবাল হোসাইন বলেন, ‘আমরা সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে অংশগ্রহণ করি, সেখানে রাষ্ট্রের এমপি, মন্ত্রী পর্যায়ের লোকজন আসতেই পারেন। এতে দোষের কিছু নেই।’
ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আরআরপি গ্রুপের মালিক গোলাম আজম, মনসুর আলম, মনিরুল আলম ও আজমত আলম চার ভাই। ডেপুটি স্পিকার আমন্ত্রিত ছিলেন বলে আমিও গিয়েছিলাম। তবে এটি রাজনৈতিক কোনো অনুষ্ঠান নয়। তাই বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করা বিব্রতকর।’
ঈশ্বরদী পৌর যুবলীগের সভাপতি আলাউদ্দিন বিপ্লব বলেন, ‘সরকারদলীয় এমপিদের আর খাওয়ার জায়গা ছিল না। জামায়াত নেতার বাড়িতেই খেতে হলো। বিষয়টি লজ্জাজনক।’
এ প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি জানি না। কিছু বলারও নেই।’
পাবনা-৪ আসনের (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, ‘সংসদ সদস্যদের সফর ও খাবারের বিষয়টি জাতীয় সংসদের ব্যবস্থাপনায় হয়েছে। তাঁদের আমন্ত্রণেই আমি রূপপুর প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। আরআরপি গ্রুপের নিমন্ত্রণ পেলেও আমি সেখানে যাইনি। জরুরি কাজে ঢাকায় চলে এসেছি।’
গোলাম আজমের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। আরআরপি গ্রুপের পরিচালক ও গোলাম আজমের ভাতিজা রফিকুল আলম বলেন, ‘ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক আমার মামা। আমাদের আমন্ত্রণে তিনিসহ এমপি মহোদয়রা আমাদের বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে এসেছিলেন। তাঁরা দুপুরে খাওয়া শেষে বিশ্রাম নিয়ে চলে গেছেন।’
এ প্রসঙ্গে জানতে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হকের মুঠোফোনে ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন ধরেননি।
আরও খবর পড়ুন:
পাবনার ঈশ্বরদীতে স্থানীয় এক জামায়াত নেতার বাড়িতে গতকাল বুধবার মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু। এ সময় তাঁর সঙ্গে সংরক্ষিত মহিলা আসনের ১১ জন সংসদ সদস্য ছিলেন। পাবনার ঈশ্বরদী পৌরসভা জামায়াতের আমির গোলাম আজমের বাড়িতে এই মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়।
জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক বুধবার সকালে ঈশ্বরদীর রূপপুরে নির্মাণাধীন পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প পরিদর্শনে যান। তিনি প্রকল্প এলাকার ইউনিট ১ ও ২ পরিদর্শন করেন। ২০২৩ সালে ‘সিভিল ওয়ার্ক’ শেষ হতে পারে এবং ২০২৪ সালের নভেম্বর নাগাদ অন্যান্য কাজ শেষ হতে পারে বলে প্রকৌশলীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প পরিদর্শন শেষে বুধবার দুপুরে তাঁরা ঈশ্বরদী পৌর শহরের ইসলামপুর (ভূতেরগাড়ি) এলাকায় আরআরপি শিল্প গ্রুপের অন্যতম মালিক ও ঈশ্বরদী পৌর জামায়াতের আমির গোলাম আজমের বাসভবনে যান। সেখানে খাবার গ্রহণ ও বিশ্রাম শেষে ফেরার সময় আরআরপি ফিডমিলের আঙিনায় একটি গাছের চারাও রোপণ করেন।
জামায়াত নেতার স্বজনেরা জানান, ডেপুটি স্পিকার তাঁদের আত্মীয়। এরপর পাবনা জেলা শহরের সার্কিট হাউসে মহিলা আওয়ামী লীগের সমাবেশে যোগ দিতে রওনা হন তাঁরা।
গোলাম আজমের দলীয় পরিচয় নিশ্চিত করে পাবনা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ইকবাল হোসাইন বলেন, ‘আমরা সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে অংশগ্রহণ করি, সেখানে রাষ্ট্রের এমপি, মন্ত্রী পর্যায়ের লোকজন আসতেই পারেন। এতে দোষের কিছু নেই।’
ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আরআরপি গ্রুপের মালিক গোলাম আজম, মনসুর আলম, মনিরুল আলম ও আজমত আলম চার ভাই। ডেপুটি স্পিকার আমন্ত্রিত ছিলেন বলে আমিও গিয়েছিলাম। তবে এটি রাজনৈতিক কোনো অনুষ্ঠান নয়। তাই বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করা বিব্রতকর।’
ঈশ্বরদী পৌর যুবলীগের সভাপতি আলাউদ্দিন বিপ্লব বলেন, ‘সরকারদলীয় এমপিদের আর খাওয়ার জায়গা ছিল না। জামায়াত নেতার বাড়িতেই খেতে হলো। বিষয়টি লজ্জাজনক।’
এ প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি জানি না। কিছু বলারও নেই।’
পাবনা-৪ আসনের (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, ‘সংসদ সদস্যদের সফর ও খাবারের বিষয়টি জাতীয় সংসদের ব্যবস্থাপনায় হয়েছে। তাঁদের আমন্ত্রণেই আমি রূপপুর প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। আরআরপি গ্রুপের নিমন্ত্রণ পেলেও আমি সেখানে যাইনি। জরুরি কাজে ঢাকায় চলে এসেছি।’
গোলাম আজমের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। আরআরপি গ্রুপের পরিচালক ও গোলাম আজমের ভাতিজা রফিকুল আলম বলেন, ‘ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক আমার মামা। আমাদের আমন্ত্রণে তিনিসহ এমপি মহোদয়রা আমাদের বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে এসেছিলেন। তাঁরা দুপুরে খাওয়া শেষে বিশ্রাম নিয়ে চলে গেছেন।’
এ প্রসঙ্গে জানতে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হকের মুঠোফোনে ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন ধরেননি।
আরও খবর পড়ুন:
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৩ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
৪ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
৪ ঘণ্টা আগে