শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
খাল পার হওয়ার একমাত্র পথ ছিল বাঁশের সাঁকো। গ্রামের মানুষজন মিলে সাঁকোটি তৈরি করেছিলেন। চার গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র অবলম্বন সাঁকোটি ভেঙে ফেলায় বিপাকে পড়েছে এলাকাবাসী। ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য পদে এক প্রার্থী পরাজিত হওয়ায় তাঁর সমর্থকেরা রাতের আঁধারে সেতুটি ভেঙে ফেলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের বেলগাছি গ্রামে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ইউনিয়নের বেলগাছি গ্রামের জনগণ নিজেদের প্রচেষ্টায় একটি খালের ওপর বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছিলেন। এই সাঁকো দিয়েই অপর প্রান্তের চরকল্যাণী, চরবেলগাছী, চরবিনোদপুর ও বেলগাছি গ্রামের মানুষ চলাচল করেন। হঠাৎ করেই সাঁকোটি ভেঙে ফেলায় তারা চলাচল করতে পারছেন না।
জানা যায়, গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য (মেম্বার) পদে আবু সাঈদ খাঁন রঞ্জু (টিউবয়েল প্রতীক) ও নুরুন্নবী মন্ডল হিটলার (মোরগ প্রতীক) প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। নির্বাচনে আবু সাঈদ খাঁন রঞ্জু পরাজিত হন। এতে শুক্রবার গভীর রাতে তাঁর সমর্থকেরা ক্ষিপ্ত হয়ে সাঁকোটি ভেঙে ফেলেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বৃদ্ধ বলেন, সেদিন রাতে তাঁর চোখের সামনেই কিছু লোক দা, কোদাল ও শাবল দিয়ে সাঁকোটি ভেঙেছে। স্থানীয় রাসেল, মনির, সবের, আইয়ুবসহ কয়েকজন ব্যক্তি এই ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত বলে তিনি জানান।
অভিযোগ অস্বীকার করে নির্বাচনে পরাজিত রঞ্জু বলেন, এ ধরনের কাজ করার জন্য আমি কাউকে নির্দেশ দেইনি। এটা অবশ্যই জঘন্য কাজ। আমি অপরাধীদের বিচার দাবি করছি।
স্থানীয় ব্যবসায়ী শামীম রেজা বলেন, আমরা এলাকার মানুষ উদ্যোগ নিয়ে এই সাঁকোটি তৈরি করেছি। যারা এটা ভেঙেছে তাদের বিচার করতে হবে। এখন আমাদেরকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে শহরে যেতে হচ্ছে।
এলাকার একজন শিক্ষক বলেন, সাঁকোটি ভেঙে ফেলার ফলে এই চার গ্রামের মানুষ চলাচল করতে পারছে না। শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না। এই কাজটি যেই করে থাকুক, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা দরকার। এছাড়াও সরকার যদি একটা পাকা ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়, এলাকার মানুষ বন্দীদশা থেকে মুক্তি পাবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, সাঁকো ভেঙে ফেলার ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ না পেলেও আমরা অবগত হয়েছে। তদন্ত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
খালটির ওপর স্থায়ী সেতু নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে ময়নুল ইসলাম বলেন, গ্রাম-গঞ্জে যেখানেই বাঁশের সাঁকো রয়েছে সেগুলোকে পাকা সেতু নির্মাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই জায়গায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খাল পার হওয়ার একমাত্র পথ ছিল বাঁশের সাঁকো। গ্রামের মানুষজন মিলে সাঁকোটি তৈরি করেছিলেন। চার গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র অবলম্বন সাঁকোটি ভেঙে ফেলায় বিপাকে পড়েছে এলাকাবাসী। ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য পদে এক প্রার্থী পরাজিত হওয়ায় তাঁর সমর্থকেরা রাতের আঁধারে সেতুটি ভেঙে ফেলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের বেলগাছি গ্রামে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ইউনিয়নের বেলগাছি গ্রামের জনগণ নিজেদের প্রচেষ্টায় একটি খালের ওপর বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছিলেন। এই সাঁকো দিয়েই অপর প্রান্তের চরকল্যাণী, চরবেলগাছী, চরবিনোদপুর ও বেলগাছি গ্রামের মানুষ চলাচল করেন। হঠাৎ করেই সাঁকোটি ভেঙে ফেলায় তারা চলাচল করতে পারছেন না।
জানা যায়, গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য (মেম্বার) পদে আবু সাঈদ খাঁন রঞ্জু (টিউবয়েল প্রতীক) ও নুরুন্নবী মন্ডল হিটলার (মোরগ প্রতীক) প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। নির্বাচনে আবু সাঈদ খাঁন রঞ্জু পরাজিত হন। এতে শুক্রবার গভীর রাতে তাঁর সমর্থকেরা ক্ষিপ্ত হয়ে সাঁকোটি ভেঙে ফেলেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বৃদ্ধ বলেন, সেদিন রাতে তাঁর চোখের সামনেই কিছু লোক দা, কোদাল ও শাবল দিয়ে সাঁকোটি ভেঙেছে। স্থানীয় রাসেল, মনির, সবের, আইয়ুবসহ কয়েকজন ব্যক্তি এই ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত বলে তিনি জানান।
অভিযোগ অস্বীকার করে নির্বাচনে পরাজিত রঞ্জু বলেন, এ ধরনের কাজ করার জন্য আমি কাউকে নির্দেশ দেইনি। এটা অবশ্যই জঘন্য কাজ। আমি অপরাধীদের বিচার দাবি করছি।
স্থানীয় ব্যবসায়ী শামীম রেজা বলেন, আমরা এলাকার মানুষ উদ্যোগ নিয়ে এই সাঁকোটি তৈরি করেছি। যারা এটা ভেঙেছে তাদের বিচার করতে হবে। এখন আমাদেরকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে শহরে যেতে হচ্ছে।
এলাকার একজন শিক্ষক বলেন, সাঁকোটি ভেঙে ফেলার ফলে এই চার গ্রামের মানুষ চলাচল করতে পারছে না। শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না। এই কাজটি যেই করে থাকুক, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা দরকার। এছাড়াও সরকার যদি একটা পাকা ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়, এলাকার মানুষ বন্দীদশা থেকে মুক্তি পাবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, সাঁকো ভেঙে ফেলার ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ না পেলেও আমরা অবগত হয়েছে। তদন্ত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
খালটির ওপর স্থায়ী সেতু নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে ময়নুল ইসলাম বলেন, গ্রাম-গঞ্জে যেখানেই বাঁশের সাঁকো রয়েছে সেগুলোকে পাকা সেতু নির্মাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই জায়গায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৩ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
৩ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
৪ ঘণ্টা আগে