ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
পাবনার ঈশ্বরদীর পদ্মায় বালুর খাজনা আদায় ও ঘাটের দখলদারত্ব নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের পদ্মা নদীর প্রায় আট কিলোমিটার দক্ষিণে ঈশ্বরদী, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর ও নাটোর জেলার লালপুর সীমানায় এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিরা হলেন ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের পূর্ব নওদাপাড়া গ্রামের মৃত জামান ড্রাইভারের ছেলে সেলিম হোসেন (৪৫), পাকশী ইউনিয়নের রূপপুর বিবিসি বাজার এলাকার মৃত আনোয়ার সরদারের ছেলে চপল সরদার (২৭), চররূপপুর গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে রেজাউল হক ওরফে লালু, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার ষোলদাগ হাসপাতাল রোডের মৃত শুকুর আলীর ছেলে শওকত ইসলাম, একই উপজেলার গোলাপনগর বাঙালপাড়ার হযরত আলীর ছেলে রিপন হোসেন ও ফকিরাবাদ গ্রামের শাহিন আলমের ছেলে মো. সানাউল্লাহ। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত সেলিম হোসেনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতসহ বাকি গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের থেমে থেমে গুলিবর্ষণে সাঁড়া ইউনিয়নের পদ্মার পাড় চরের বাসিন্দা ও নৌকার মাঝিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় নদীতে দুই ঘণ্টা নৌ চলাচল বন্ধ থাকে। গোলাগুলি ও সংঘর্ষের পর থেকে তিন উপজেলার সীমানায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর টহল ও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈশ্বরদীর সাঁড়া ইউনিয়নের সীমানাবর্তী চর এলাকায় বালু ব্যবসার দখলদারত্ব ও খাজনা আদায়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু দিন ধরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের মো. কাকন ওরফে কাকন ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে ঈশ্বরদী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুলতান আলী টনি বিশ্বাসের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। গতকাল বুধবার এ নিয়ে পদ্মার চরে উভয় পক্ষের মহড়ায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় পদ্মায় ঈশ্বরদীর সীমানায় কয়েকটি ট্রলারে কাকন ইঞ্জিনিয়ারের লোকজন এসে বালুমহাল দখল নিতে এলে টনি বিশ্বাসের লোকজন সেখানে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে কাকনের লোকজন প্রতিরোধের মুখে সেখান থেকে ট্রলার নিয়ে পালিয়ে যান। ওই ঘটনার জেরে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পদ্মার চরে দুই পক্ষ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে কাকনের লোকজন প্রতিশোধ নিতে যুবদল নেতা টনি বিশ্বাসের লোকজনের ওপর হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় উভয় পক্ষ বেশ কয়েকজন গুলিবর্ষণ করে। নদীর ভেতরেই ট্রলারে দুই পক্ষের মহড়া হয় এবং সংঘর্ষ বেধে যায়।
এ বিষয়ে আজ বিকেলে মোবাইল ফোনে টনি বিশ্বাস বলেন, ‘আমি বৈধভাবে ইজারা নিয়ে নদীর চর থেকে বালুর খাজনা আদায় করছি। ১ মে থেকে এ কার্যক্রম চলছে। এরই মধ্যে বালুমহাল দখল ও খাজনা আদায়ের নিয়ন্ত্রণ নিতে প্রতিপক্ষ কাকন বিভিন্নভাবে আমাকে খাজনা আদায়ে বাধা দিচ্ছেন ও চরে যেতে দিচ্ছেন না। এ নিয়ে আজ সকালের দিকে হঠাৎই তিন-চারটা ট্রলারে করে এসে কাকনের লোকজন আমার লোকজনের ওপর হামলা চালায় ও গুলিবর্ষণ করে। এতে ১০ জন লোক আহত হয়। গুলিবিদ্ধ হয়েছে সাতজন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত গুলিবিদ্ধ সেলিম হোসেনকে রামেক হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমি আইনের আশ্রয় নেব।’
এদিকে কাকনের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র দাবি করেছে, কাকন সম্প্রতি নাটোর জেলা থেকে ঈশ্বরদীর সাঁড়ার নিকটবর্তী লালপুর পদ্মার চর এলাকায় বালুমহাল ইজারা নিয়েছেন। সেই ইজারার দখল নিতে নদীতে এলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ঈশ্বরদী থানা-পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম জানান, মূলত বালুর ইজারা ও খাজনা আদায়ের দখলদারত্ব নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের জেরে নদীর ভেতরে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়। এলাকায় প্রয়োজনীয়সংখ্যক পুলিশ টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। এ ঘটনায় কোনো পক্ষই এখন পর্যন্ত অভিযোগ দেয়নি।
পাবনার ঈশ্বরদীর পদ্মায় বালুর খাজনা আদায় ও ঘাটের দখলদারত্ব নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের পদ্মা নদীর প্রায় আট কিলোমিটার দক্ষিণে ঈশ্বরদী, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর ও নাটোর জেলার লালপুর সীমানায় এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিরা হলেন ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের পূর্ব নওদাপাড়া গ্রামের মৃত জামান ড্রাইভারের ছেলে সেলিম হোসেন (৪৫), পাকশী ইউনিয়নের রূপপুর বিবিসি বাজার এলাকার মৃত আনোয়ার সরদারের ছেলে চপল সরদার (২৭), চররূপপুর গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে রেজাউল হক ওরফে লালু, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার ষোলদাগ হাসপাতাল রোডের মৃত শুকুর আলীর ছেলে শওকত ইসলাম, একই উপজেলার গোলাপনগর বাঙালপাড়ার হযরত আলীর ছেলে রিপন হোসেন ও ফকিরাবাদ গ্রামের শাহিন আলমের ছেলে মো. সানাউল্লাহ। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত সেলিম হোসেনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতসহ বাকি গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের থেমে থেমে গুলিবর্ষণে সাঁড়া ইউনিয়নের পদ্মার পাড় চরের বাসিন্দা ও নৌকার মাঝিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় নদীতে দুই ঘণ্টা নৌ চলাচল বন্ধ থাকে। গোলাগুলি ও সংঘর্ষের পর থেকে তিন উপজেলার সীমানায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর টহল ও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈশ্বরদীর সাঁড়া ইউনিয়নের সীমানাবর্তী চর এলাকায় বালু ব্যবসার দখলদারত্ব ও খাজনা আদায়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু দিন ধরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের মো. কাকন ওরফে কাকন ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে ঈশ্বরদী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুলতান আলী টনি বিশ্বাসের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। গতকাল বুধবার এ নিয়ে পদ্মার চরে উভয় পক্ষের মহড়ায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় পদ্মায় ঈশ্বরদীর সীমানায় কয়েকটি ট্রলারে কাকন ইঞ্জিনিয়ারের লোকজন এসে বালুমহাল দখল নিতে এলে টনি বিশ্বাসের লোকজন সেখানে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে কাকনের লোকজন প্রতিরোধের মুখে সেখান থেকে ট্রলার নিয়ে পালিয়ে যান। ওই ঘটনার জেরে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পদ্মার চরে দুই পক্ষ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে কাকনের লোকজন প্রতিশোধ নিতে যুবদল নেতা টনি বিশ্বাসের লোকজনের ওপর হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় উভয় পক্ষ বেশ কয়েকজন গুলিবর্ষণ করে। নদীর ভেতরেই ট্রলারে দুই পক্ষের মহড়া হয় এবং সংঘর্ষ বেধে যায়।
এ বিষয়ে আজ বিকেলে মোবাইল ফোনে টনি বিশ্বাস বলেন, ‘আমি বৈধভাবে ইজারা নিয়ে নদীর চর থেকে বালুর খাজনা আদায় করছি। ১ মে থেকে এ কার্যক্রম চলছে। এরই মধ্যে বালুমহাল দখল ও খাজনা আদায়ের নিয়ন্ত্রণ নিতে প্রতিপক্ষ কাকন বিভিন্নভাবে আমাকে খাজনা আদায়ে বাধা দিচ্ছেন ও চরে যেতে দিচ্ছেন না। এ নিয়ে আজ সকালের দিকে হঠাৎই তিন-চারটা ট্রলারে করে এসে কাকনের লোকজন আমার লোকজনের ওপর হামলা চালায় ও গুলিবর্ষণ করে। এতে ১০ জন লোক আহত হয়। গুলিবিদ্ধ হয়েছে সাতজন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত গুলিবিদ্ধ সেলিম হোসেনকে রামেক হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমি আইনের আশ্রয় নেব।’
এদিকে কাকনের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র দাবি করেছে, কাকন সম্প্রতি নাটোর জেলা থেকে ঈশ্বরদীর সাঁড়ার নিকটবর্তী লালপুর পদ্মার চর এলাকায় বালুমহাল ইজারা নিয়েছেন। সেই ইজারার দখল নিতে নদীতে এলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ঈশ্বরদী থানা-পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম জানান, মূলত বালুর ইজারা ও খাজনা আদায়ের দখলদারত্ব নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের জেরে নদীর ভেতরে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়। এলাকায় প্রয়োজনীয়সংখ্যক পুলিশ টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। এ ঘটনায় কোনো পক্ষই এখন পর্যন্ত অভিযোগ দেয়নি।
বাংলাদেশ বেতার কক্সবাজার কেন্দ্রের যাত্রা শুরু হয় ২০০১ সালের ২৪ মার্চ। দুই যুগ পর আজ বৃহস্পতিবার কেন্দ্রটি থেকে স্থানীয় সংবাদের ইংরেজি বুলেটিন প্রচার শুরু হয়েছে।
৬ মিনিট আগেউজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নাব্যতা-সংকট দূর হওয়ায় দীর্ঘ পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর চিলমারী-রৌমারী নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে এই রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়।
১ ঘণ্টা আগেকোনো তদবির বা ঘুষ ছাড়াই মাত্র ১২০ টাকা খরচ করে শারীরিক ও মেধাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে গাজীপুর জেলায় পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেয়েছেন ৪৭ জন বেকার নারী-পুরুষ। তাঁদের মধ্যে ৪১ জন পুরুষ ও ৬ জন নারী। অপেক্ষমাণ তালিকায় রয়েছেন আরও ৯ জন। উত্তীর্ণদের মধ্যে ইলেকট্রিক টেকনিশিয়ান ও চা দোকানিও রয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারে নূরনবী হক জিসান (২৬) নামে ডাকাতির প্রস্তুতি মামলার এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) বেলা আড়াইটার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
১ ঘণ্টা আগে