ইমতিয়াজ আহমেদ, শিবচর (মাদারীপুর)
ঢাকার বাড্ডায় কোটাবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারানো মাদারীপুরের শিবচরের তরুণ হৃদয় আহমেদ শিহাবের কবর আজ অনিরাপদ। প্রায় এক বছর হয়ে গেলেও তাঁর কবরটি এখনো সংরক্ষিত হয়নি। কবরস্থানটির বাঁশের বেড়াও ভেঙে গেছে। জায়গার অভাবে কবরের ওপর নতুন কবর দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে হৃদয়ের কবরটি হয়তো একদিন হারিয়ে যাবে—এমন আশঙ্কা থেকেই কবরটি সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন নিহত হৃদয়ের মা-বাবা।
গত বছরের ১৯ জুলাই ঢাকার বাড্ডায় আন্দোলনকারীদের দিকে ছোড়া পুলিশের গুলিতে নিহত হন হৃদয়। পরদিন নিজ গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয় তাঁকে।
শুক্রবার আজকের পত্রিকার সঙ্গে আলাপকালে হৃদয়ের মা নাছিমা বেগম কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আইজ এক বছর হইয়া গেল, আমার বাবায় নাই। মোবাইলে ভিডিও দেইখা মনে হয় এই তো আইবো, মা কইয়া ডাক দিবো...কিন্তু বাবায় তো আর আসে না।’
শিবচরের সন্ন্যাসীরচর ইউনিয়নের রাজারচর আজগর হাওলাদারকান্দি গ্রামের শাহ আলম ও নাছিমা দম্পতির একমাত্র ছেলে ছিলেন হৃদয়। তিনি স্থানীয় একটি ফার্নিচারের কারখানায় কাজ করতেন। পড়াশোনা শেষ করে সৌদি আরবে থাকা চাচার সহায়তায় বিদেশে যাওয়ার স্বপ্ন ছিল তাঁর।
নাছিমা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলের বিদেশ যাওয়ার খুব ইচ্ছা ছিল। করোনার সময় এইট পর্যন্ত পড়া অবস্থায় স্কুল ছাড়ে। ঢাকায় ফার্নিচারের দোকানে কাজ শিখতে যায়। ওর এক চাচা সৌদি থাকেন। কাজ শেখা শেষ হলে আর বয়স একটু বাড়লে সৌদি পাঠামু—এই স্বপ্ন ছিল সবার। টাকাও জমাইতে শুরু করি। হৃদয়ের স্বপ্ন ছিল ইতালি যাবে। বাড়ির আশপাশের অনেকেই ইতালি থাকে। কিন্তু বাবার আর বিদেশ যাওয়া হইলো না। চিরতরেই চইলা গেলো।’
তিনি বলেন, ‘কিস্তি তুইলা একটা ফ্রিজ কিনি তখন। হৃদয়রে জানাইতে ও খুবই খুশি হয়। কয়, মা কিস্তির টাকা আমি শোধ করমু। আমি কম খাইয়া টাকা জমাইয়া কিস্তি শোধ করমু। তুমি চিন্তা কইরো না। আর বিদেশ যাইতে পারলে ঘর দিমু। দাদার ঘরে আর থাকা লাগবে না!’
হৃদয়ের মা স্মৃতিচারণা করে বলেন, ‘বাড্ডায় আন্দোলন চলতেছিল, ছেলেরে কইছিলাম আসিস না। সে বলে, রোববার আব্বার সঙ্গে আসবো। ওই দিন বিকেলে ফোন আইলো, বাবায় গুলি খাইছে। পরে শুনি মইরা গেছে!’
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে জানা গেছে, গুলি হৃদয়ের বুকের এক পাশে ঢুকে অন্য পাশে দিয়ে বেরিয়ে যায়। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে কোথাও চিকিৎসা দেওয়া হয়নি।
হৃদয়ের বাবা দুর্ঘটনাজনিত কারণে কাজ করতে অক্ষম। মা নাছিমা বেগম সেলাই কাজ করে উপার্জন করেন। আর সরকারি অনুদান হিসেবে পাওয়া পাঁচ লাখ টাকা ব্যাংকে এফডিআর করে রেখেছেন। সেখান থেকে যতটুকু সুদ আসে, তা দিয়েই এখন দুজনের সংসার চলে।
হৃদয়ের মা বলেন, ‘আমার ছেলের কবরটা যদি ইট দিয়া বাঁধাই দিতো, নামটা লেইখা দিতো, তাহলে ওরে সবাই মনে রাখতো। একজনা “জুলাই শহীদ” হিসেবে।’
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভীন খানম বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢাকার বাড্ডায় কোটাবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারানো মাদারীপুরের শিবচরের তরুণ হৃদয় আহমেদ শিহাবের কবর আজ অনিরাপদ। প্রায় এক বছর হয়ে গেলেও তাঁর কবরটি এখনো সংরক্ষিত হয়নি। কবরস্থানটির বাঁশের বেড়াও ভেঙে গেছে। জায়গার অভাবে কবরের ওপর নতুন কবর দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে হৃদয়ের কবরটি হয়তো একদিন হারিয়ে যাবে—এমন আশঙ্কা থেকেই কবরটি সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন নিহত হৃদয়ের মা-বাবা।
গত বছরের ১৯ জুলাই ঢাকার বাড্ডায় আন্দোলনকারীদের দিকে ছোড়া পুলিশের গুলিতে নিহত হন হৃদয়। পরদিন নিজ গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয় তাঁকে।
শুক্রবার আজকের পত্রিকার সঙ্গে আলাপকালে হৃদয়ের মা নাছিমা বেগম কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আইজ এক বছর হইয়া গেল, আমার বাবায় নাই। মোবাইলে ভিডিও দেইখা মনে হয় এই তো আইবো, মা কইয়া ডাক দিবো...কিন্তু বাবায় তো আর আসে না।’
শিবচরের সন্ন্যাসীরচর ইউনিয়নের রাজারচর আজগর হাওলাদারকান্দি গ্রামের শাহ আলম ও নাছিমা দম্পতির একমাত্র ছেলে ছিলেন হৃদয়। তিনি স্থানীয় একটি ফার্নিচারের কারখানায় কাজ করতেন। পড়াশোনা শেষ করে সৌদি আরবে থাকা চাচার সহায়তায় বিদেশে যাওয়ার স্বপ্ন ছিল তাঁর।
নাছিমা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলের বিদেশ যাওয়ার খুব ইচ্ছা ছিল। করোনার সময় এইট পর্যন্ত পড়া অবস্থায় স্কুল ছাড়ে। ঢাকায় ফার্নিচারের দোকানে কাজ শিখতে যায়। ওর এক চাচা সৌদি থাকেন। কাজ শেখা শেষ হলে আর বয়স একটু বাড়লে সৌদি পাঠামু—এই স্বপ্ন ছিল সবার। টাকাও জমাইতে শুরু করি। হৃদয়ের স্বপ্ন ছিল ইতালি যাবে। বাড়ির আশপাশের অনেকেই ইতালি থাকে। কিন্তু বাবার আর বিদেশ যাওয়া হইলো না। চিরতরেই চইলা গেলো।’
তিনি বলেন, ‘কিস্তি তুইলা একটা ফ্রিজ কিনি তখন। হৃদয়রে জানাইতে ও খুবই খুশি হয়। কয়, মা কিস্তির টাকা আমি শোধ করমু। আমি কম খাইয়া টাকা জমাইয়া কিস্তি শোধ করমু। তুমি চিন্তা কইরো না। আর বিদেশ যাইতে পারলে ঘর দিমু। দাদার ঘরে আর থাকা লাগবে না!’
হৃদয়ের মা স্মৃতিচারণা করে বলেন, ‘বাড্ডায় আন্দোলন চলতেছিল, ছেলেরে কইছিলাম আসিস না। সে বলে, রোববার আব্বার সঙ্গে আসবো। ওই দিন বিকেলে ফোন আইলো, বাবায় গুলি খাইছে। পরে শুনি মইরা গেছে!’
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে জানা গেছে, গুলি হৃদয়ের বুকের এক পাশে ঢুকে অন্য পাশে দিয়ে বেরিয়ে যায়। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে কোথাও চিকিৎসা দেওয়া হয়নি।
হৃদয়ের বাবা দুর্ঘটনাজনিত কারণে কাজ করতে অক্ষম। মা নাছিমা বেগম সেলাই কাজ করে উপার্জন করেন। আর সরকারি অনুদান হিসেবে পাওয়া পাঁচ লাখ টাকা ব্যাংকে এফডিআর করে রেখেছেন। সেখান থেকে যতটুকু সুদ আসে, তা দিয়েই এখন দুজনের সংসার চলে।
হৃদয়ের মা বলেন, ‘আমার ছেলের কবরটা যদি ইট দিয়া বাঁধাই দিতো, নামটা লেইখা দিতো, তাহলে ওরে সবাই মনে রাখতো। একজনা “জুলাই শহীদ” হিসেবে।’
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভীন খানম বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢাকার আশুলিয়ায় উল্টো পথে চলা একটি অটোরিকশা লরির নিচে চাপা পড়ে নারী ও শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। নিহতরা হলেন আলতাফ (৫০), নূরজাহান (২৪) ও শিশু আব্দুল্লাহ (৪)। দুর্ঘটনাটি ঘটে রোববার (৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে।
১ ঘণ্টা আগেপৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যকুল সরদারপাড়ায় সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে, তলিয়ে গেছে চলাচলের একমাত্র পথ। ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাহাপাড়া খ্রিষ্টান মিশনের পাশের সড়কেও পানি উঠে এসেছে।
১ ঘণ্টা আগেপার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট কূটনীতিক সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, ‘আজকের এই কৃষি যন্ত্রপাতি হস্তান্তর শুধু যন্ত্র সরবরাহ নয়, এটি রাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি ও দায়বদ্ধতার প্রতিফলন। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে সমতল হোক কিংবা পাহাড়—কোথাও খাদ্যঘাটতির জায়গা থাকবে না।’
১ ঘণ্টা আগেগত বছর ঢাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের বারঘড়িয়া গ্রামের মিরাজ। তিনি ছিলেন মৃত আব্দুস ছালামের বড় ছেলে। মাত্র ৫ শতাংশ জমি কিনে বাড়ি করার ইচ্ছে ছিল তাঁদের। কিন্তু প্রতিবেশী দুলাল মণ্ডল দলিল থাকা সত্ত্বেও জমিটি দখলে নিতে দেননি।
২ ঘণ্টা আগে