Ajker Patrika

জুলাই হত্যা মামলা: গুলি চালানো আসামিকে অব্যাহতির সুপারিশ

  • অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশে বিতর্ক
  • পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় জাফরকে অব্যাহতির সুপারিশ
সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম 
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জুলাই অভ্যুত্থানে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট এলাকায় দোকান কর্মচারী শহীদুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। অভিযোগপত্রে মামলার আসামির সংখ্যা প্রায় ৫ গুণ বেড়ে ২৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ভূমিমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, চট্টগ্রাম সিটি মেয়রসহ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের ২০০ নেতা-কর্মীকে। তবে মামলার গুরুত্বপূর্ণ এক আসামিকে অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

গত ৩০ জুলাই চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগে এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা চান্দগাঁও থানার এসআই ফয়সাল। পরে গত বৃহস্পতিবার প্রসিকিউশন শাখা থেকে অভিযোগপত্রটি চট্টগ্রামের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে দাখিল করা হয়।

পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামি হিসেবে থাকা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় ও নির্দেশনায় ছোড়া গুলিতে ঘটনার দিন শহীদুল নিহত হয়েছেন। তাঁর বুক, পেট ও পিঠে ১০টি গুলি লাগে। ২৫ আগস্ট বাদীর উপস্থিতিতে অভিযোগপত্রের ওপর শুনানির সময় নির্ধারণ করেছেন আদালত।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া ১৫টি ভিডিও ও ৪১টি স্থিরচিত্র বিশ্লেষণ করেও ঘটনায় জড়িত আসামিদের শনাক্ত করে পুলিশ। এসব ভিডিও ও ছবি যে সম্পাদিত নয়, তা ঢাকায় সিআইডির ল্যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হয় পুলিশ। প্রথম গুলি ছুড়েছিলেন যুবলীগ নেতা মহিউদ্দিন। তাঁর পিস্তলের গুলিতে মাটিতে লুটে পড়েন শহীদুল। তাঁর সঙ্গে মামলার এজাহারনামীয় আসামি ফিরোজ, তৌহিদুল ইসলাম ওরফে ফরিদ ও দেলোয়ার শটগান দিয়ে গুলি করতে থাকেন। এ ছাড়া ঘটনার সময় এজাহারনামীয় আসামি জালাল, জাফর, এইচ এম মিঠু, তাসিন, কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনু ও ঋভু মজুমদারদের হাতে থাকা পিস্তল, শটগান, বন্দুক ও পাইপগানের এলোপাতাড়ি গুলিতে আরও অনেকে গুলিবিদ্ধ হন।

শহীদুলের শরীরে ১০টি পিলেট বিদ্ধ

অভিযোগপত্রে শহীদুলের শরীরে ১০টি ছোট ছোট গুলি (পিলেট) লাগে বলে সিআইডির ব্যালিস্টিক ও ফরেনসিক ল্যাবের পরীক্ষার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে। পুলিশের অভিযোগপত্রের একটি অংশে পিস্তলের গুলিতে শহীদুলের মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ার কথা বলা হয়েছে। তবে আরেকটি অংশে নিহতের শরীরে শটগানের গুলি বিদ্ধ হওয়ার কথা বলা হয়েছে।

যুবলীগ কর্মীকে অব্যাহতির সুপারিশ

অভিযোগপত্রে আট আসামির মধ্যে ৬ নম্বর আসামি মো. জাফরের পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা তাঁকে মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জুলাই অভ্যুত্থানে অস্ত্রসহ গুলি করার যে কজনের ছবি গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছিল, সেখানে জাফরও রয়েছেন। যুবলীগ ক্যাডার বাবরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলে পরিচিত এই জাফর।

এজাহারনামীয় আসামি জাফরকে অব্যাহতির বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চান্দগাঁও থানার এসআই ফয়সাল বলেন, ‘তদন্তে পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় জাফরের নাম আসামি থেকে বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছি। পরে কোনো সময় যদি তাঁকে শনাক্ত করা যায়, তাহলে আমরা তাঁকে আসামি করে সম্পূরক চার্জশিট আদালতে দাখিল করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকায় গির্জার সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় এক সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রাজধানীতে সম্প্রতি ককটেল হামলার ঘটনায় ২৮ বছর বয়সী এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। প্রাথমিক তদন্তে তাঁকে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে কাকরাইলের সেন্ট মেরি’স ক্যাথেড্রাল ও সেন্ট জোসেফ স্কুল প্রাঙ্গণে ককটেল বিস্ফোরণসহ একাধিক ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

ডিএমপি এই জঘন্য ও কাপুরুষোচিত সহিংসতায় জড়িত প্রত্যেককে গ্রেপ্তারের জন্য র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) সঙ্গে সমন্বয় করে শহরজুড়ে অভিযান জোরদার করেছে। রাজধানীর সব গির্জা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

আন্তধর্মীয় ঐক্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকার তার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। ধর্মীয় সহাবস্থানে কোনোরূপ বিঘ্ন ঘটানোর প্রচেষ্টা হলে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

টাঙ্গাইলে নির্বাচন অফিসে বিএনপি নেতা-কর্মীদের হামলা, কর্মকর্তাসহ আহত ৩

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি 
নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভাঙচুর। ছবি: সংগৃহীত
নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভাঙচুর। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীরা হামলা ও ভাঙচুর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাচন অফিসের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর আমজাদ হোসেন ও স্ক্যানিং অপারেটর সুমন আহত হয়েছেন।

আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাচন অফিসে এ ঘটনা ঘটে। গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন ভূইঞা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

খবর পেয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ও গোপালপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তুহিন হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

প্রত্যক্ষদশীরা জানান, বেলা ১১টার দিকে গোপালপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী লিয়াকত ও পৌর বিএনপির সভাপতি খালিদ হাসান উথান নির্বাচন কার্যালয়ে যান। এ সময় নির্বাচন অফিসের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর আমজাদ হোসেনের সঙ্গে তাঁদের কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় তাঁদের সঙ্গে থাকা এক কর্মী আমজাদ হোসেনের গায়ে আঘাত করেন। তখন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম এসে বিষয়টি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। এর কিছুক্ষণ পরে তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরা এসে নির্বাচন অফিসে প্রবেশ করে ভাঙচুর করেন। এ সময় তিনজন আহত হন।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, আজ সকালে হঠাৎ করে বিএনপির ৩০ থেকে ৪০ জন নেতা-কর্মী উপজেলা নির্বাচন অফিসে এসে নির্বাচন অফিসারের ওপর হামলা করেন। তাঁরা স্টাফদের মারধর করেন। এ সময় নির্বাচন অফিস ভাঙচুর ও অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ছিঁড়ে ফেলেন তাঁরা। এ সময় নির্বাচন অফিসের বাইরেও শতাধিক নেতা-কর্মী ছিলেন।

গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসের সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু রায়হান বলেন, উপজেলা নির্বাচন অফিসারসহ তিনজন আহত হয়েছেন। সম্প্রতি অফিসের কিছু দালাল চক্র সুবিধা করতে পারছিল না। এ জন্য হামলা হতে পারে।

হামলার বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী লিয়াকত বলেন, ‘নির্বাচন অফিসার নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। আমাদের কাছে অনেক ভুক্তভোগী বহুবার অভিযোগ করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নির্বাচন অফিসে গিয়েছিলাম স্থানীয় বাসিন্দাদের না ভোগানোর জন্য। অনুরোধ করতে গিয়েছিলাম সেখানে। আমরা ভুক্তভোগীদের বিষয় নিয়ে নির্বাচন কর্মকর্তার অফিসে গেলে তিনি দুর্ব্যবহার করেন। আমাদের কেউ তাঁদের ওপর হামলা করেনি।’

উপজলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন অফিসের আমজাদ হোসেন আমাদের এখানে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। আমরা তাঁকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছি।’

ইউএনও তুহিন হোসেন বলেন, নির্বাচন অফিসের কাচের দরজা ভেঙেছে। একজন আহত হয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন অফিসের সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে রয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। সরকারি অফিস ভাঙচুর ও সরকারি কর্মকর্তার গায়ে আঘাত করার কারণে একটি মামলা করা হবে, মামলাটি প্রক্রিয়াধীন।’

এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা পরিদর্শন করে দেখলাম, সরকারি অফিসে ভাঙচুর করা হয়েছে। যদি নির্বাচন অফিসারের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকত, তাহলে লিখিত অভিযোগ দিতে পারত। এ বিষয়ে নির্বাচন অফিসার অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন ভূইঞা বলেন, ‘আহত একজনকে উদ্ধার করে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নির্বাচন অফিস কর্তৃপক্ষ অভিযোগ দেবে বলে আমাদের জানিয়েছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

উখিয়ায় বাজারে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৫ ইউনিট

 টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উখিয়া উপজেলা সদরের দক্ষিণ স্টেশনের একরাম মার্কেটে আগুন লাগে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উখিয়া উপজেলা সদরের দক্ষিণ স্টেশনের একরাম মার্কেটে আগুন লাগে। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা সদরে মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট। ইতিমধ্যে আগুনে দগ্ধ হয়ে মোহাম্মদ আলী নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এতে অনেকেই আহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আজ সোমবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলা সদরের দক্ষিণ স্টেশনের একরাম মার্কেটে আগুন লাগে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বিকেল পৌনে ৫টা) আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, উখিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা ডলার ত্রিপুরা।

স্থানীয়দের বরাতে ডলার ত্রিপুরা বলেন, বিকেলে উখিয়া সদর স্টেশনের একরাম মার্কেটে আকস্মিক আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এতে মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা পুড়ে যায়। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।

পরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়োজিত ২টি এবং কক্সবাজার স্টেশন থেকে ১টি ইউনিটও আগুন নিয়ন্ত্রণ কাজে যোগ দেয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ক্ষয়ক্ষতিসহ ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানানো সম্ভব হবে বলে জানান ডলার ত্রিপুরা।

এদিকে আগুনে দগ্ধ হয়ে মোহাম্মদ আলী নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে বলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. সাজেদুল ইমরান শাওন নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আহত হয়ে অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সুন্দরবনের দুবলার চরে বনদস্যুদের হাতে জেলে অপহৃত

খুলনা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সুন্দরবনের দুবলার চরের লইট্রাখালী এলাকা থেকে হাফিজুল (৩৫) নামের এক জেলেকে অপহরণ করেছে বনদস্যু সুমন বাহিনী। আজ সোমবার ভোরে তাঁকে অপহরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর দুবলার চরের জেলেপল্লিতে বনদস্যু আতঙ্ক বেড়েছে।

অপহৃত জেলে হাফিজুল বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বগা গ্রামের আফজাল হাওলাদারের ছেলে।

দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ আজ দুপুরে জানান, হাফিজুলসহ অন্য জেলেরা গতকাল রোববার রাতে দুবলার চরের কাছে লইট্রাখালী খালে মাছ ধরতে যান। গতকাল দিবাগত ভোররাত ৩টার দিকে বনদস্যু সুমন বাহিনী একটি ট্রলারে করে এসে জেলে হাফিজুলকে তাদের ট্রলারে উঠিয়ে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় বনদস্যুরা হাফিজুলের ট্রলারের মাঝি শাহিনকে বনদস্যুদের সঙ্গে দুই দিনের মধ্যে যোগাযোগ করার জন্য দুটি মোবাইল নম্বর দিয়ে যায়। সুন্দরবনে নতুন করে বনদস্যুদের অপতৎপরতায় দুবলার চরের জেলেদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে কামাল উদ্দিন জানান।

জেলেপল্লি দুবলা ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্ট রেঞ্জার মিল্টন রায় বলেন, বনদস্যুদের হাতে অপহৃত জেলে হাফিজুল দুবলা ফরেস্ট টহল ফাঁড়ি থেকে মাছ ধরার পাস নিয়ে সুন্দরবনের খালে গিয়ে দস্যুদের কবলে পড়েছেন। বিষয়টি কোস্ট গার্ডকে জানানো হয়েছে। অচিরেই বনদস্যু দমনে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে ফরেস্ট রেঞ্জার জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত