Ajker Patrika

জুলাই হত্যা মামলা: গুলি চালানো আসামিকে অব্যাহতির সুপারিশ

  • অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশে বিতর্ক
  • পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় জাফরকে অব্যাহতির সুপারিশ
সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম 
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জুলাই অভ্যুত্থানে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট এলাকায় দোকান কর্মচারী শহীদুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। অভিযোগপত্রে মামলার আসামির সংখ্যা প্রায় ৫ গুণ বেড়ে ২৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ভূমিমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, চট্টগ্রাম সিটি মেয়রসহ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের ২০০ নেতা-কর্মীকে। তবে মামলার গুরুত্বপূর্ণ এক আসামিকে অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

গত ৩০ জুলাই চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগে এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা চান্দগাঁও থানার এসআই ফয়সাল। পরে গত বৃহস্পতিবার প্রসিকিউশন শাখা থেকে অভিযোগপত্রটি চট্টগ্রামের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে দাখিল করা হয়।

পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামি হিসেবে থাকা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় ও নির্দেশনায় ছোড়া গুলিতে ঘটনার দিন শহীদুল নিহত হয়েছেন। তাঁর বুক, পেট ও পিঠে ১০টি গুলি লাগে। ২৫ আগস্ট বাদীর উপস্থিতিতে অভিযোগপত্রের ওপর শুনানির সময় নির্ধারণ করেছেন আদালত।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া ১৫টি ভিডিও ও ৪১টি স্থিরচিত্র বিশ্লেষণ করেও ঘটনায় জড়িত আসামিদের শনাক্ত করে পুলিশ। এসব ভিডিও ও ছবি যে সম্পাদিত নয়, তা ঢাকায় সিআইডির ল্যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হয় পুলিশ। প্রথম গুলি ছুড়েছিলেন যুবলীগ নেতা মহিউদ্দিন। তাঁর পিস্তলের গুলিতে মাটিতে লুটে পড়েন শহীদুল। তাঁর সঙ্গে মামলার এজাহারনামীয় আসামি ফিরোজ, তৌহিদুল ইসলাম ওরফে ফরিদ ও দেলোয়ার শটগান দিয়ে গুলি করতে থাকেন। এ ছাড়া ঘটনার সময় এজাহারনামীয় আসামি জালাল, জাফর, এইচ এম মিঠু, তাসিন, কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনু ও ঋভু মজুমদারদের হাতে থাকা পিস্তল, শটগান, বন্দুক ও পাইপগানের এলোপাতাড়ি গুলিতে আরও অনেকে গুলিবিদ্ধ হন।

শহীদুলের শরীরে ১০টি পিলেট বিদ্ধ

অভিযোগপত্রে শহীদুলের শরীরে ১০টি ছোট ছোট গুলি (পিলেট) লাগে বলে সিআইডির ব্যালিস্টিক ও ফরেনসিক ল্যাবের পরীক্ষার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে। পুলিশের অভিযোগপত্রের একটি অংশে পিস্তলের গুলিতে শহীদুলের মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ার কথা বলা হয়েছে। তবে আরেকটি অংশে নিহতের শরীরে শটগানের গুলি বিদ্ধ হওয়ার কথা বলা হয়েছে।

যুবলীগ কর্মীকে অব্যাহতির সুপারিশ

অভিযোগপত্রে আট আসামির মধ্যে ৬ নম্বর আসামি মো. জাফরের পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা তাঁকে মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জুলাই অভ্যুত্থানে অস্ত্রসহ গুলি করার যে কজনের ছবি গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছিল, সেখানে জাফরও রয়েছেন। যুবলীগ ক্যাডার বাবরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলে পরিচিত এই জাফর।

এজাহারনামীয় আসামি জাফরকে অব্যাহতির বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চান্দগাঁও থানার এসআই ফয়সাল বলেন, ‘তদন্তে পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় জাফরের নাম আসামি থেকে বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছি। পরে কোনো সময় যদি তাঁকে শনাক্ত করা যায়, তাহলে আমরা তাঁকে আসামি করে সম্পূরক চার্জশিট আদালতে দাখিল করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কোটি টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তা: কে এই ফ্লাইট এক্সপার্ট এমডি সালমান, বাবার হাত ধরে যাঁর উত্থান

আ.লীগের এমপি শাম্মীর বাসায় ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজি ও ভাগ-বাঁটোয়ারার বিবরণ দিলেন রিয়াদ

কিশোরগঞ্জে হর্টিকালচারের উপপরিচালকের বিরুদ্ধে ‘সমকামিতার’ অভিযোগ, মামলা বাবুর্চির

অতিরিক্ত ফি দাবি করায় বিমানবন্দর স্টাফের চোয়াল ভেঙে দিলেন যাত্রী

সখীপুরে সন্তানদের সামনেই ছুরিকাঘাতে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী পলাতক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত