Ajker Patrika

গোদাগাড়ীতে ৩০ পুকুরের ইজারার চালান ‘গায়েব’

  • মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পুকুর ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়া।
  • হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকা ২৯ পুকুরও রয়েছে তালিকায়।
  • জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ।
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ০১: ৩২
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে খাসপুকুর ইজারার ক্ষেত্রে জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির তিন বছরের জন্য ইজারা দেওয়া ৩০টি পুকুর মেয়াদ শেষের আগেই নতুন করে ইজারার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ ছাড়া উচ্চ আদালতের আদেশ অবমাননা করে আরও ২৯ পুকুর ইজারার প্রক্রিয়া চলছে।

মৎস্যজীবীদের পক্ষে শরিফুল ইসলাম বিশু নামের এক ব্যক্তি গত সোমবার জেলা প্রশাসকের কাছে এই লিখিত অভিযোগ দেন। এর অনুলিপি দেওয়া হয়েছে বিভাগীয় কমিশনারকে। অভিযোগে শরিফুল উল্লেখ করেন, ১৪৩১ থেকে ১৪৩৩ বঙ্গাব্দের জন্য ৯০টি খাসপুকুর ইজারা দেওয়া হয়েছে। এক বছর না যেতেই এর মধ্যে ৩০টি ফের ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জানা গেছে, ২ জানুয়ারি ২ হাজার ২৩৬ পুকুর ইজারা দেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক আবুল হায়াত। তালিকায় আগে ইজারা দেওয়া ৩০ ও হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকা ২৯টি পুকুর রয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, জালিয়াতি করে এগুলোর ইজারা দেখানো হয়েছিল।

ইউএনও বলেন, ১৪৩১ থেকে ১৪৩৩ বঙ্গাব্দের জন্য গত মে মাসে ৬১৫ পুকুর ইজারা দেওয়া হয়। পরে দেখা যায়, ৫৯ পুকুর ইজারা দেওয়া হয়েছে জালিয়াতি করে।

তাই এসব পুকুরের ইজারা বাতিল করে ইজারা তালিকায় আনা হয়েছে। এসব পুকুরের ইজারার মূল্য পরিশোধের যে ব্যাংক চালানের কপি জমা দেওয়া হয়, সেগুলো জাল। তৎকালীন উপজেলা সহকারী কমিশনার, এসি ল্যান্ড জাহিদ হাসানের স্বাক্ষরও ইজারা দলিলে স্ক্যান করে বসানো।

শরিফুল বলেন, ‘গত বছরের ৮ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত চালানের মাধ্যমে ইজারামূল্য গ্রহণ করে ইজারা কার্যক্রম সম্পন্ন করেছিল তৎকালীন উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি। আওয়ামী সরকার পতনের পর সদস্যসচিব বদলি হয়েছেন। এখন স্থানীয় একটি সিন্ডিকেট আমাদের ইজারা নেওয়া পুকুরগুলো কেড়ে নিতে চায়। তারা এসি ল্যান্ড অফিসের কিছু কর্মচারীকে হাত করে আগের ইজারা ফাইল থেকে আসল চালানের কপি গায়েব করেছে।’

নথিপত্রে দেখা গেছে, উপজেলা প্রশাসন ৫৫টি পুকুরের বিপরীতে জমা দেওয়া চালান সোনালী ব্যাংকের গোদাগাড়ী শাখায় পাঠিয়ে যাচাই করেছে। সোনালী ব্যাংক থেকে দেওয়া চিঠিতে সঠিক জমাকারী ও জালিয়াতি করা নাম/প্রতিষ্ঠানের তালিকা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, শরিফুলের প্রতিষ্ঠানগুলো জালিয়াতি করেছে। অথচ শরিফুলের কাছে থাকা চালানের কপি সরকারি স্বয়ংক্রিয় চালান যাচাই ওয়েবসাইটে সার্চ দিয়ে দেখা গেছে, সবগুলো সঠিক। গত বছরের ৮ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত ৩০ চালানের মাধ্যমে টাকা জমা দেওয়া হয়। শরিফুলের প্রশ্ন, ওই সময় তিনি চালানের মাধ্যমে ব্যাংকে টাকা জমা দিয়েও কেন এসি ল্যান্ড অফিসে চালানের ভুয়া কপি জমা দিতে যাবেন। সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিতে চাইলে তো তিনি ব্যাংকে টাকা জমা দিতেন না।

জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসচিব ও এসি ল্যান্ড শামসুল ইসলাম বলেন, ‘আগে আমার অফিসের যাঁরা পুকুর ইজারার কাজ করতেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমিও শুনেছি। তাই তাঁদের সরিয়ে নতুন ছেলেকে দিয়ে কাজ করাচ্ছি। এরপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’

হাইকোর্টের আদেশ অবমাননা

তালিকায় ২৯টি পুকুর এসেছে, যেগুলো ইজারা দেওয়ার ক্ষেত্রে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি বলছে, এসব পুকুর ইজারা নেওয়া হয়েছিল চালান জালিয়াতি করে; অথচ হাইকোর্টে রিট থাকায় এগুলোর চালান জমা দেওয়া হয়নি।

এবার ১৪৩২-১৪৩৪ বঙ্গাব্দের জন্য এই ২৯ পুকুরের তালিকা প্রকাশের পর রাঙামাটি মৎস্যচাষি সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি সেরাজুল ইসলাম উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবকে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন। সেরাজুলের পক্ষে আইনজীবী শামসুল হক ১৫ জানুয়ারি এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।

এসি ল্যান্ড শামসুল ইসলাম বলেন, ‘এই পুকুরগুলোর চালানও জাল ছিল। সে জন্য আমরা লিগ্যাল নোটিশের কোনো জবাব দিইনি। তারপরও আমরা জবাব রেডি করছি। সেটা পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নোয়াখালীতে জিয়া সাইবার ফোর্সের মতবিনিময়, এনসিপি নেতা পাটওয়ারীর কুশপুত্তলিকা দাহ

নোয়াখালী প্রতিনিধি
এনসিপি নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
এনসিপি নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপির পক্ষে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনলাইন অ্যাকটিভিস্টদের করণীয় এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে নোয়াখালী জেলা বিএনপির নেতাদের সঙ্গে জিয়া সাইবার ফোর্স (জেডসিএফ) নোয়াখালী জেলা শাখার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল রোববার রাতে নোয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল এবং তাঁর ছবিসংবলিত কুশপুত্তলিকা দাহ করে সভায় অংশগ্রহণকারীরা।

নোয়াখালী জিয়া সাইবার ফোর্সের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন বাদলের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো।

বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব হারুনুর অর রশিদ আজাদ, নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম পলাশসহ আরও অনেকে।

এনসিপি নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
এনসিপি নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

সভায় বক্তারা বলেন, অদৃশ্য শক্তি ক্রমশ দৃশ্যমান হয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচার করে ভোটারদের বিভ্রান্ত করছে। এ অপপ্রচার রুখে দিতে হলে বিএনপির জিয়া সাইবার ফোর্স ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্টদের সঠিক তথ্য ছবি ও প্রমাণ দিয়ে জনগণকে বোঝাতে হবে এবং দল থেকে যাকে ধানের শীষ দিয়ে মনোনয়ন দেওয়া হয় তাঁর পক্ষে সবাইকে কাজ করতে হবে।

সভা শেষে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠন সম্পর্কে বিভিন্ন সময়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ার কারণে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল এবং তাঁর ছবিসংবলিত কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুন্সিগঞ্জে তরুণকে গুলি করে হত্যা, বিএনপির দুই গ্রুপে উত্তেজনা

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১০: ৩৫
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মুন্সিগঞ্জের মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের বেহেরকান্দি গ্রামে প্রতিপক্ষের গুলিতে তুহিন দেওয়ান (২২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। রোববার রাত ১০টার দিকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত তুহিন দেওয়ান মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের দক্ষিণ বেহেরকান্দি এলাকার ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি সেলিম দেওয়ানের ছেলে।মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির বিবদমান দুই গ্রুপের পূর্ববিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে।

এ ঘটনার পর থেকে মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের বেহেরকান্দি ও মুন্সিকান্দি গ্রামের বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। এতে স্থানীয় গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহত তুহিন মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ওয়াহিদ মোল্লা ও বিএনপি নেতা আতিক মল্লিকের অনুসারী।

নিহতের চাচাতো ভাই আকাশ দেওয়ান জানান, রোববার রাতে তুহিন হাঁটার জন্য বাসা থেকে বের হয়। এ সময় মুন্সিকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির নেতা ওজির আলী ও আওলাদ গ্রুপের অনুসারী লিটন ব্যাপারীর নেতৃত্বে পেছন থেকে তুহিনকে লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও গুলি করে। এ সময় তুহিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয় রাজনৈতিক আধিপত্য নিয়ে তাদের মধ্যে পূর্বের বিরোধ ছিল বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক প্রান্ত সর্দার জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর পিঠে ও ঘাড়ে একাধিক গুলির চিহ্ন রয়েছে।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির জানান, কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত করলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজশাহীতে মৌসুমের প্রথম কুয়াশা: তাপমাত্রা কমে ২০-এর নিচে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
শিশিরভেজা ঘাসে খেলায় মত্ত শিশুরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
শিশিরভেজা ঘাসে খেলায় মত্ত শিশুরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহীতে নেমে এসেছে এ বছরের প্রথম কুয়াশা। সোমবার (৩ নভেম্বর) ভোর থেকেই রাজশাহী শহর ও আশপাশের উপজেলার গ্রামগুলোর চারপাশ মোড়ানো ছিল ঘন কুয়াশার চাদরে। এই কুয়াশাময় সকাল যেন জানিয়ে দিয়েছে, আসছে শীত, আসছে স্নিগ্ধতার মৌসুম।

শীতের এমন আগমনী ছোঁয়ায় বদলে গেছে প্রকৃতির রূপ। কুয়াশাঢাকা সকাল জানিয়ে দিচ্ছে, শীত আর বেশি দূরে নয়। এদিন ভোরের আলো ফুটলেও মহাসড়কে যানবাহনগুলোকে চলতে দেখা যায় হেডলাইট জ্বালিয়ে। কুয়াশা ভেদ করে গন্তব্যের পথে ছুটে যায় মানুষ।

এদিকে গ্রামের মাঠে শিশিরভেজা ঘাসে খেলায় মত্ত শিশুরা যেন প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে ওঠে। মাকড়সার জালে ঝুলে থাকা শিশিরবিন্দু আর ধূসর আকাশে সূর্যের মিটিমিটি আলো মিলেমিশে সৃষ্টি করে এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য।

মাকড়সার জালে ঝুলে থাকা শিশিরবিন্দু আর ধূসর আকাশে সূর্যের মিটিমিটি আলো। ছবি: আজকের পত্রিকা
মাকড়সার জালে ঝুলে থাকা শিশিরবিন্দু আর ধূসর আকাশে সূর্যের মিটিমিটি আলো। ছবি: আজকের পত্রিকা

শহরের রেলগেট এলাকায় কাজের সন্ধানে আসা শ্রমিক আবদুল জব্বার বলেন, ‘আজকের সকালেই এবার প্রথমবার শীত টের পেলাম। এখন থেকে হয়তো শীত বাড়বে।’

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন জানান, সোমবার ভোরে রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন রোববার ভোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ২৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এখন থেকে তাপমাত্রা কমবে বলেও জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

২ বছরেই ফাটল বিদ্যালয়ের ২ কোটি টাকার ভবনে, নিম্নমানের কাজের অভিযোগ

চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) সংবাদদাতা
চিরিরবন্দরের বানিয়াখাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন বিল্ডিংয়ের বারান্দা, মেঝে ও দেয়ালে ফাটল। ছবি: আজকের পত্রিকা
চিরিরবন্দরের বানিয়াখাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন বিল্ডিংয়ের বারান্দা, মেঝে ও দেয়ালে ফাটল। ছবি: আজকের পত্রিকা

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের বানিয়াখাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনে ক্লাস চালুর দুই বছর পার হতে না হতেই ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রায় দুই কোটি দুই লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ভবনের বারান্দা, সিঁড়ি, মেঝে ও দেয়ালে ফাটল ধরায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকেরা।

চিরিরবন্দর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্র জানায়, উপজেলার ভিয়াইল ইউনিয়নের বানিয়াখাড়ী সরকারি বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণে ২০২১-২২ অর্থবছরে দুই কোটি দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ হয়।

নিম্নমানের কাজের অভিযোগ এনে স্থানীয় অভিভাবক মোস্তাফিজুর রহমান এবং বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় দুই বছরের মধ্যেই বিল্ডিংয়ের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। নির্মাণকাজের সময় আমরা মৌখিকভাবে ইঞ্জিনিয়ারকে অভিযোগ করেছিলাম, কিন্তু তিনি আমাদের কথায় কোনো গুরুত্ব দেননি।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুফিয়া খাতুন বলেন, ‘নতুন ভবনে ক্লাস চালুর দুই বছর ঘুরতে না ঘুরতেই নিচতলার সিঁড়ির বারান্দায় বড় ফাটল ধরেছে। এ ছাড়া শ্রেণিকক্ষের মেঝে ও পিলারের সঙ্গে দেয়ালেও ফাটল দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানোর পর তিনি এসে ছবি তুলে নিয়ে গেছেন।’

চিরিরবন্দরের বানিয়াখাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন বিল্ডিংয়ের বারান্দা, মেঝে ও দেয়ালে ফাটল। ছবি: আজকের পত্রিকা
চিরিরবন্দরের বানিয়াখাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন বিল্ডিংয়ের বারান্দা, মেঝে ও দেয়ালে ফাটল। ছবি: আজকের পত্রিকা

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মিনারা খাতুন বলেন, ‘নতুন বিল্ডিংয়ের দুই বছর এখনো হয়নি, তাতেই মেঝেসহ অনেক জায়গায় ফাটল ধরেছে। আমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং তারা দ্রুত মেরামত করার জন্য আশ্বাস দিয়েছে।’

এ বিষয়ে ঠিকাদার আবেদ আলী মাস্টার বলেন, ‘বিল্ডিং হস্তান্তর করার প্রায় দুই বছর হয়েছে। মেঝেতে শুধু পলেস্তারায় “চিড়” ধরেছে, তেমন কোনো সমস্যা নেই। আমি আমার ম্যানেজারকে পাঠিয়ে দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করব।’

এলজিইডির চিরিরবন্দর উপজেলা প্রকৌশলী মাসুদার রহমান একই সুরে বলেন, ‘বিল্ডিংয়ের মেঝে ও সিঁড়ির কিছু অংশে কেবল পলেস্তারার ওপরে ফাটল বা চিড় ধরেছে। আমি ঠিকাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত মেরামতের জন্য বলব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত