নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ওমর ফারুক চৌধুরী গোদাগাড়ী থানায় যে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন, তার প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরইউজে)। আজ শনিবার আরইউজের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রকি এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী জিডিতে চরম মিথ্যাচার করেছেন। বিবৃতিতে এর তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী গোদাগাড়ী থানায় জিডি করেন। জিডিতে তিনি বলেছেন, তাঁর প্রাণনাশের পরিকল্পনা নিয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ চত্বরে দুই-আড়াই হাজার আওয়ামী চেতনাবিরোধী সন্ত্রাসী-দাঙ্গাবাজ লোক জড়ো হয়েছিল। সেখানে কয়েকজন সাংবাদিক তাঁকে অপ্রাসঙ্গিক ও অবান্তর প্রশ্ন করেছেন। তিনি তাঁদের পেশাদার সাংবাদিকের মতো প্রশ্ন করার অনুরোধ করেছেন।
ওমর ফারুকের ওই জিডিতে তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সাংবাদিকদের জড়িয়েছেন বলে মনে করে আরইউজে। কারণ, সাংবাদিকেরা তাঁকে অপ্রাসঙ্গিক ও অবান্তর কোনো প্রশ্ন করেননি। তিনি ঘটনাস্থলে এসে নিজেই সাংবাদিকদের কথা বলার জন্য ডাকেন। যার ভিডিও রেকর্ড সাংবাদিকদের কাছে আছে। সদ্য নির্বাচিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেলের কর্মী-সমর্থকদের দেখে ওমর ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, এই লোকজন তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে এসেছেন। আর এ ঘটনার সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা আছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
ওমর ফারুক সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে বলেন, মিটিংয়ের দিন উপজেলা পরিষদ চত্বরে কোনো জনপ্রতিনিধির কর্মী-সমর্থকেরা আসতে পারেন না। একজন সাংবাদিক তখন ওমর ফারুকের সঙ্গে থাকা নেতা-কর্মীদের নিয়ে বলেন, ‘আপনার সঙ্গেও অনেক লোক আছে, তাঁরা কেন এসেছেন?’ এ প্রশ্ন শুনেই রেগে যান ওমর ফারুক। তিনি ওই সাংবাদিককে বলেন, ‘তোমার প্রবলেম হলো তুমি অলওয়েজ বায়াস্ট হয়ে পয়সা খেয়ে প্রশ্ন করো। দিস ইজ ভেরি ব্যাড।’ এমপির সঙ্গে সাংবাদিকদের এতটুকুই কথোপকথন। এর বাইরে কোনো কথা হয়নি। তিনি সাংবাদিকদের পেশাদারত্বের সঙ্গে প্রশ্ন করতে অনুরোধও জানাননি। বরং তিনি সাংবাদিকদের নিয়ে যে কটূক্তি করেছেন, এর প্রতিবাদের মুখে তিনি দ্রুত সেখান থেকে চলে যান।
আরইউজে মনে করে, এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী সেদিন নিজেই অবান্তর ও আপত্তিকর কথাবার্তা বলেছেন। শুধু সাংবাদিকদেরই নয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাঁকে হত্যার চেষ্টার সঙ্গে সম্পৃক্ত কি না তিনি সেই প্রশ্ন তুলে স্থানীয় প্রশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। এ ছাড়া তিনি নিজ দলের নেতা-কর্মীদেরই ‘আওয়ামী চেতনাবিরোধী দাঙ্গাবাজ ও সন্ত্রাসী’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এতেই তাঁর অসংলগ্ন কথাবার্তার প্রমাণ পাওয়া যায়। তাই তিনি যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সাংবাদিকদের কথা জিডিতে উল্লেখ করেছেন, তা স্পষ্ট।
সাংবাদিকদের নিয়ে আপত্তিকর কথা বলার জন্য রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন অবিলম্বে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীকে দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি জিডি থেকে সাংবাদিকদের অংশ প্রত্যাহার করে নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে। তা না হলে সাংবাদিকেরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন।
রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ওমর ফারুক চৌধুরী গোদাগাড়ী থানায় যে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন, তার প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরইউজে)। আজ শনিবার আরইউজের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রকি এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী জিডিতে চরম মিথ্যাচার করেছেন। বিবৃতিতে এর তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী গোদাগাড়ী থানায় জিডি করেন। জিডিতে তিনি বলেছেন, তাঁর প্রাণনাশের পরিকল্পনা নিয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ চত্বরে দুই-আড়াই হাজার আওয়ামী চেতনাবিরোধী সন্ত্রাসী-দাঙ্গাবাজ লোক জড়ো হয়েছিল। সেখানে কয়েকজন সাংবাদিক তাঁকে অপ্রাসঙ্গিক ও অবান্তর প্রশ্ন করেছেন। তিনি তাঁদের পেশাদার সাংবাদিকের মতো প্রশ্ন করার অনুরোধ করেছেন।
ওমর ফারুকের ওই জিডিতে তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সাংবাদিকদের জড়িয়েছেন বলে মনে করে আরইউজে। কারণ, সাংবাদিকেরা তাঁকে অপ্রাসঙ্গিক ও অবান্তর কোনো প্রশ্ন করেননি। তিনি ঘটনাস্থলে এসে নিজেই সাংবাদিকদের কথা বলার জন্য ডাকেন। যার ভিডিও রেকর্ড সাংবাদিকদের কাছে আছে। সদ্য নির্বাচিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেলের কর্মী-সমর্থকদের দেখে ওমর ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, এই লোকজন তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে এসেছেন। আর এ ঘটনার সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা আছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
ওমর ফারুক সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে বলেন, মিটিংয়ের দিন উপজেলা পরিষদ চত্বরে কোনো জনপ্রতিনিধির কর্মী-সমর্থকেরা আসতে পারেন না। একজন সাংবাদিক তখন ওমর ফারুকের সঙ্গে থাকা নেতা-কর্মীদের নিয়ে বলেন, ‘আপনার সঙ্গেও অনেক লোক আছে, তাঁরা কেন এসেছেন?’ এ প্রশ্ন শুনেই রেগে যান ওমর ফারুক। তিনি ওই সাংবাদিককে বলেন, ‘তোমার প্রবলেম হলো তুমি অলওয়েজ বায়াস্ট হয়ে পয়সা খেয়ে প্রশ্ন করো। দিস ইজ ভেরি ব্যাড।’ এমপির সঙ্গে সাংবাদিকদের এতটুকুই কথোপকথন। এর বাইরে কোনো কথা হয়নি। তিনি সাংবাদিকদের পেশাদারত্বের সঙ্গে প্রশ্ন করতে অনুরোধও জানাননি। বরং তিনি সাংবাদিকদের নিয়ে যে কটূক্তি করেছেন, এর প্রতিবাদের মুখে তিনি দ্রুত সেখান থেকে চলে যান।
আরইউজে মনে করে, এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী সেদিন নিজেই অবান্তর ও আপত্তিকর কথাবার্তা বলেছেন। শুধু সাংবাদিকদেরই নয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাঁকে হত্যার চেষ্টার সঙ্গে সম্পৃক্ত কি না তিনি সেই প্রশ্ন তুলে স্থানীয় প্রশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। এ ছাড়া তিনি নিজ দলের নেতা-কর্মীদেরই ‘আওয়ামী চেতনাবিরোধী দাঙ্গাবাজ ও সন্ত্রাসী’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এতেই তাঁর অসংলগ্ন কথাবার্তার প্রমাণ পাওয়া যায়। তাই তিনি যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সাংবাদিকদের কথা জিডিতে উল্লেখ করেছেন, তা স্পষ্ট।
সাংবাদিকদের নিয়ে আপত্তিকর কথা বলার জন্য রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন অবিলম্বে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীকে দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি জিডি থেকে সাংবাদিকদের অংশ প্রত্যাহার করে নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে। তা না হলে সাংবাদিকেরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন।
মালিকদের সব রকম অপকৌশল ও চাতুরতা সম্পর্কে শ্রমিকেরা সজাগ, সতর্ক ও সচেতন। মহান মে দিবসের বিপ্লবী চেতনাকে ধারণ করে দাবি ও অধিকার বাস্তবায়নের আন্দোলন বেগবান করতে হবে।
১৯ মিনিট আগেমাদারীপুরের শিবচরে নিজের ১৫ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী ছেলেকে আড়িয়াল খাঁ নদে ফেলে দিয়েছেন এক মা। আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের আড়িয়াল খাঁ নদের হাজি শরীয়তুল্লাহ সেতুতে এ ঘটনা ঘটে। প্রতিবন্ধী ছেলের বোঝা বইতে না পেরে ছেলেকে নদে ফেলে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই নারী।
২২ মিনিট আগেনোয়াখালীর সদর উপজেলায় মাদ্রাসা থেকে জোবায়ের ইবনে জিদান (১২) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুটির পরিবারের অভিযোগ, মাদ্রাসার শিক্ষকেরা নির্যাতনে জিদানকে হত্যা করে লাশ শৌচাগারে ঝুলিয়ে রেখেছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় নোয়াখালী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মহব্বতপুর কাঞ্চন মেম্বারের পোল
৪১ মিনিট আগেটাঙ্গাইলের মধুপুরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগে এক শিক্ষককে জুতাপেটা করেছেন নারী অভিভাবকেরা। আজ বুধবার দুপুরে মধুপুরের আকাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে এই ঘটনা ঘটে। তবে ওই শিক্ষক বলছেন, স্থানীয় এক যুবককে শাসন করায় সে ষড়যন্ত্র করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে