দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
রাজশাহীর দুর্গাপুরে ব্যাপক হারে চাষ হয় পাট। ফলে বাজারগুলোতে পাটবীজের চাহিদা রয়েছে প্রচুর। কিন্তু বাজারে দেশি বীজ নেই বললেই চলে, ছেয়ে গেছে নিম্নমানের পাটবীজে। বিশেষ করে ভারতীয় পাটবীজ। অনেক চাষি না বুঝে নিম্নমানের বীজ কিনছেন। ফলে ফলন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকেরা। এদিকে বিএডিসি ডিলাররা বলছেন, চাহিদা না থাকায় দেশি পাটবীজ উঠাননি।
ইতিমধ্যে খরা ও অনাবৃষ্টির মধ্যেও কৃষকেরা সেচ দিয়ে ৪০০ হেক্টর জমিতে পাটবীজ বপন করেছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পেঁয়াজ, আলু ও গম কাটার পরপরই সেই জমি পাট চাষের উপযোগী মনে করেন কৃষকেরা। উপজেলায় এবার ১ হাজার ৮৩২ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি হেক্টর জমিতে বীজ লাগে কেজি ৬০০ গ্রাম। সে হিসাবে উপজেলায় পাটবীজের চাহিদা প্রচুর। চাষিদের পাট চাষে আগ্রহী করতে এক হাজার চাষিকে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।
বাজারে বিভিন্ন বীজের দোকান ঘুরে দেখা গেছে, ডিলার ও ব্যবসায়ীরা শুধু ভারতীয় পাটবীজ বিক্রি করছেন। দোকানগুলোতে ভারতীয় নিম্নমানের পাটবীজ পাওয়া যাচ্ছে। ভারত থেকে আনা ও দেশীয় পাটবীজের তারতম্য নেই। উভয় বীজই ১৬০ থেকে ১৮০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) ডিলার দুর্গাপুর উপজেলায় ১৮ জন। বরাদ্দ থাকলেও দেশি বীজের চাহিদা না থাকায় তাঁরা পাটবীজ উঠাননি বলে দাবি করেছেন।
ডিলার ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কৃষকেরা দেশি পাটবীজ কিনতে চান না। তাই ৮-১০ ধরনের ভারতীয় পাটবীজ বিক্রি হচ্ছে দোকানগুলোতে। ভালো মানের বীজ ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর নিম্নমানের বীজের দাম নেওয়া হচ্ছে আরও কম।
দুর্গাপুর সদর বাজারে ভারতীয় পাটবীজ কিনছিলেন উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, এবার এক বিঘা জমিতে পাটবীজ বপন করবেন। তিনি বরাবরই ভারতীয় বীজ বপন করেন। দেশি বীজে ফলন কম হয় বলে তাঁর দাবি। এ জন্য ভারতীয় পাটবীজ কিনছেন তিনি। কিন্তু এবার ভারতীয় নিম্নমানের পাটবীজে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। কৃষকেরা না জেনে সেসব নিম্নমানের বীজ কিনছেন।
উপজেলার কানপাড়া গ্রামের আশরাফ আলী বলেন, বাজারে গেলেই বীজের দোকানগুলোতে শুধু ভারতীয় পাটবীজ। দেশি বীজ পাওয়া যায় না। এ জন্য বাধ্য হয়ে ভারতীয় বীজ কিনতে হয়। ভারতীয় বীজের চাহিদা বেশি থাকায় দোকানগুলোতে ভারতীয় নিম্নমানের বীজও বিক্রি হচ্ছে।
দুর্গাপুর সদর বাজারের বিএডিসি ডিলার সমিউর রহমান সমির বলেন, ‘বরাদ্দ থাকলেও আমি দেশীয় পাটবীজ উঠাইনি। না ওঠানোর কারণ কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দেশীয় পাটবীজের প্রতি চাষিদের তেমন চাহিদা নেই। চাষিরা ভারত থেকে আমদানি করা পাটবীজ কিনতে বেশি আগ্রহী। তাই আমরা দেশীয়ও পাটবীজ উঠাইনি।’
জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রহিমা খাতুন বলেন, নিম্নমানের কিছু খোলা পাটবীজ বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এতে প্রতারিত হতে পারেন কৃষকেরা। খোলা ভেজাল পাটবীজ পরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজশাহীর দুর্গাপুরে ব্যাপক হারে চাষ হয় পাট। ফলে বাজারগুলোতে পাটবীজের চাহিদা রয়েছে প্রচুর। কিন্তু বাজারে দেশি বীজ নেই বললেই চলে, ছেয়ে গেছে নিম্নমানের পাটবীজে। বিশেষ করে ভারতীয় পাটবীজ। অনেক চাষি না বুঝে নিম্নমানের বীজ কিনছেন। ফলে ফলন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকেরা। এদিকে বিএডিসি ডিলাররা বলছেন, চাহিদা না থাকায় দেশি পাটবীজ উঠাননি।
ইতিমধ্যে খরা ও অনাবৃষ্টির মধ্যেও কৃষকেরা সেচ দিয়ে ৪০০ হেক্টর জমিতে পাটবীজ বপন করেছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পেঁয়াজ, আলু ও গম কাটার পরপরই সেই জমি পাট চাষের উপযোগী মনে করেন কৃষকেরা। উপজেলায় এবার ১ হাজার ৮৩২ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি হেক্টর জমিতে বীজ লাগে কেজি ৬০০ গ্রাম। সে হিসাবে উপজেলায় পাটবীজের চাহিদা প্রচুর। চাষিদের পাট চাষে আগ্রহী করতে এক হাজার চাষিকে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।
বাজারে বিভিন্ন বীজের দোকান ঘুরে দেখা গেছে, ডিলার ও ব্যবসায়ীরা শুধু ভারতীয় পাটবীজ বিক্রি করছেন। দোকানগুলোতে ভারতীয় নিম্নমানের পাটবীজ পাওয়া যাচ্ছে। ভারত থেকে আনা ও দেশীয় পাটবীজের তারতম্য নেই। উভয় বীজই ১৬০ থেকে ১৮০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) ডিলার দুর্গাপুর উপজেলায় ১৮ জন। বরাদ্দ থাকলেও দেশি বীজের চাহিদা না থাকায় তাঁরা পাটবীজ উঠাননি বলে দাবি করেছেন।
ডিলার ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কৃষকেরা দেশি পাটবীজ কিনতে চান না। তাই ৮-১০ ধরনের ভারতীয় পাটবীজ বিক্রি হচ্ছে দোকানগুলোতে। ভালো মানের বীজ ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর নিম্নমানের বীজের দাম নেওয়া হচ্ছে আরও কম।
দুর্গাপুর সদর বাজারে ভারতীয় পাটবীজ কিনছিলেন উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, এবার এক বিঘা জমিতে পাটবীজ বপন করবেন। তিনি বরাবরই ভারতীয় বীজ বপন করেন। দেশি বীজে ফলন কম হয় বলে তাঁর দাবি। এ জন্য ভারতীয় পাটবীজ কিনছেন তিনি। কিন্তু এবার ভারতীয় নিম্নমানের পাটবীজে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। কৃষকেরা না জেনে সেসব নিম্নমানের বীজ কিনছেন।
উপজেলার কানপাড়া গ্রামের আশরাফ আলী বলেন, বাজারে গেলেই বীজের দোকানগুলোতে শুধু ভারতীয় পাটবীজ। দেশি বীজ পাওয়া যায় না। এ জন্য বাধ্য হয়ে ভারতীয় বীজ কিনতে হয়। ভারতীয় বীজের চাহিদা বেশি থাকায় দোকানগুলোতে ভারতীয় নিম্নমানের বীজও বিক্রি হচ্ছে।
দুর্গাপুর সদর বাজারের বিএডিসি ডিলার সমিউর রহমান সমির বলেন, ‘বরাদ্দ থাকলেও আমি দেশীয় পাটবীজ উঠাইনি। না ওঠানোর কারণ কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দেশীয় পাটবীজের প্রতি চাষিদের তেমন চাহিদা নেই। চাষিরা ভারত থেকে আমদানি করা পাটবীজ কিনতে বেশি আগ্রহী। তাই আমরা দেশীয়ও পাটবীজ উঠাইনি।’
জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রহিমা খাতুন বলেন, নিম্নমানের কিছু খোলা পাটবীজ বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এতে প্রতারিত হতে পারেন কৃষকেরা। খোলা ভেজাল পাটবীজ পরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা যায়, জনদুর্ভোগ কমাতে গত ১৬ এপ্রিল উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেতুর দুই পাশে দুটি সাইনবোর্ড লাগানো হয়। এতে সেতুর ওপর সব ধরনের দোকানপাট ও যানবাহন রাখা নিষেধ বলে সতর্ক করা হয়। ২০১১ সালে নির্মিত এই নতুন সেতুতে যানজট এড়াতে একসময় ট্রাফিক পুলিশ রাখা হলেও কয়েক মাস পর তাদের তুলে নেওয়া হয়।
৩ মিনিট আগে২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে পর্যন্ত রফিকুল আলমকে বিএনপির কোনো কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। সেই সময় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মোহাম্মদ নদভীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা ও ব্যবসা ছিল। অভিযোগ আছে, গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের শাসনামলে তিনি ওইসব নেতাদের সঙ্গে মিলে নির্বিঘ্নে ব্যবসা চালিয়ে
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে পুরানো জাহাজের সরঞ্জাম বিক্রির দুটি দোকান ও একটি অক্সিজেন সিলিন্ডারের দোকানসহ মোট তিনটি দোকান পুড়ে গেছে। এ ছাড়া, মার্কেটের আরও কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার মাদামবিবিরহাট চেয়ারম্যান
১ ঘণ্টা আগেচিঠি ছাড়াও বিদেশ অথবা দেশে আপনজনের কাছে টাকা পাঠাতে একমাত্র নির্ভরযোগ্য মাধ্যম এটি। বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে ই-মেইল, অনলাইন আর মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সুবাদে এই পোস্ট অফিসের গুরুত্ব এখন আর নেই বললেই চলে। তবু এখনো এই পোস্ট অফিসে জীবনবীমা, সঞ্চয়পত্রের টাকা জামানত রাখা কিংবা জরুরি কাগজপত্র পাঠাতে নির্ভরযোগ্য
১ ঘণ্টা আগে