নওগাঁর ২টি স্বতন্ত্র, ৩টিতে নৌকার জয়

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁর পাঁচটি আসনের মধ্যে দুইটিতে জয় হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের। অন্য তিনটি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন। আজ রোববার রাত ১০টার দিকে নওগাঁ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা তাঁর কার্যালয়ে বেসরকারিভাবে নওগাঁর পাঁচটি আসনের ফল ঘোষণা করেন।

নির্বাচিতরা হলেন–নওগাঁ-১ সাধন চন্দ্র মজুমদার (নৌকা), নওগাঁ-৩ সৌরন্দ্রনাথ চক্রবর্তী (নৌকা), নওগাঁ-৪ ব্রহানী সুলতান মামুদ গামা (ট্রাক), নওগাঁ-৫ নিজাম উদ্দিন জলিল জন (নৌকা) ও নওগাঁ-৬ ওমর ফারুক সুমন (ট্রাক)।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর, পোরশা ও সাপাহার) আসনে খাদ্যমন্ত্রী সাধন মজুমদার জয়ী হয়েছেন। তাঁর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৮৬ হাজার ৯০০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র (ট্রাক) খালেকুজ্জামান তোতা পেয়েছেন ৭৬ হাজার ৭২৯ ভোট।

নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে সাবেক সিনিয়র সচিব সৌরেন্দ্রে নাথ চক্রবর্তী বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৬১। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ও বর্তমান সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার স্বতন্ত্র (ট্রাক) হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভোট পেয়েছেন ৬০ হাজার ৫১ ভোট।

নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্রহানী সুলতান মামুদ গামা ট্রাক প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৮৫ হাজার ১৮০। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাহিদ মোর্শেদ পেয়েছেন ৬২ হাজার ১৩২ ভোট। এছাড়া বর্তমান সংসদ সদস্য এবার নৌকার মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে ভোট পেয়েছেন ১১ হাজার ১৯০।

নওগাঁ-৫ (নওগাঁ সদর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন জলিল জয়ী হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৪ হাজার ৬৭১। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ছেকার আহমেদ শিষাণ ট্রাক প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভোট পেয়েছেন ৫২ হাজার ৮৮৪।

এছাড়া নওগাঁ-৬ (রানীনগর ও আত্রাই) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুক সুমন বিজয়ী হয়েছেন। ট্রাক প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি পেয়েছেন ৭৬ হাজার ৭১৭ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ৬৯ হাজার ৯৭১ ভোট।

আর নওগাঁ-২ (পত্নীতলা ও ধামইরহাট) আসনের একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ওই আসনের ভোট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।

ফলাফল ঘোষণা শেষে জেলা প্রশাসক গোলাম মাওলা বলেন, ‘সারাদিন শান্তিপূর্ণভাবে জেলায় নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতার কারণে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব হয়েছে।’