নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি যদি এমপি নির্বাচিত হন, তাহলে প্রথমেই তিনি নির্বাচনী এলাকার শিক্ষকদের গলায় মালা পরাতে চান।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে তানোর উপজেলার কৃষ্ণপুর বাজারে গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এই ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন মাহিয়া মাহি।
মাহিয়া মাহি বলেন, ‘নির্বাচিত হলে আমার এলাকায় যত শিক্ষক আছেন, প্রথমেই সবার গলায় মালা পরাব। তাঁদের আমি সম্মান জানাব। কারণ এই এলাকার শিক্ষকেরা অনেক নির্যাতিত, অনেক অসম্মানিত। সারা দেশে এ দুই উপজেলাকে অনেক ছোট করে ফেলা হয়েছে শিক্ষকদের অপমান করে। তাই কাজটা আমি প্রথমেই করতে চাই।’
আরও একটি ইচ্ছার কথা জানিয়ে মাহি বলেন, ‘আমার এলাকায় রাস্তাঘাটের প্রচুর সমস্যা। বর্ষায় হাঁটুকাদা হয়ে যায় অনেক রাস্তা। রাস্তাগুলো ঠিক করব। বরেন্দ্র এলাকায় কৃষিকাজের পানির অনেক সমস্যা। সুপেয় পানির সমস্যা। সেটার সমাধান করব। সরকার যে ভাতা দেয়, তা এখানে শতভাগ হয়নি। ৪০ শতাংশ হয়েছে। যারা পেয়েছে তাদের আবার ৫-৭ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। এগুলো আমি নিরসন করব। সরকার যে অনুদান দেবে, সেই আমানতটা আমি জনগণের মাঝে বিলিয়ে দেব।’
জনগণের সঙ্গে দূরত্ব কমানোর কথা জানিয়ে মাহি বলেন, ‘জনগণ আর জনপ্রতিনিধি—এই দুজনের মধ্যে কোনো গ্যাপ (দূরত্ব) থাকা যাবে না। জনপ্রতিনিধিকে জনগণের মধ্যে নেমে আসতে হবে। তাহলে একটা সুন্দর আসন দাঁড়াবে। আমি যখন মানুষের কাছাকাছি আসি, নারীরা আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদে। ১৫ বছর কষ্ট পেয়েছে, তারা পরিত্রাণ চায়। তারা আমাকে আপন করে নেয়।’
তিনি বলেন, ‘আমি যেখানেই যাই, সবাই আমাকে বলে ভোটটা দেবে। এখন কতটুকু দেবে, আমি বিশ্বাস করি তানোর-গোদাগাড়ীর মানুষ সরল মনের মানুষ। তাদের আমি বিশ্বাস করি। প্রশাসন অনেক বেশি তৎপর। মানুষ ভোট দিতে পারবে। আমি জয়ী হব আশা করি।’
তবে রাজনীতি অনেক কঠিন জিনিস জানিয়ে মাহি বলেন, ‘সিনেমার থেকেও বাস্তবের রাজনীতি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এখানে একটা মেয়ে হিসেবে টিকে থাকাটা একটা চ্যালেঞ্জের বিষয়। এখন বুঝতে পারছি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কত যুদ্ধ করে এই জায়গায় টিকে আছেন। আমি তাঁকে অ্যাপ্রেসিয়েট (প্রশংসা) করি। রাজনীতি যতটুকু ভয়ংকর, বাস্তবে আরও বেশি ভয়ংকর, আরও বেশি জটিল। আমার স্বামী রাজনীতিবিদ, ওর জন্যই এখন পর্যন্ত টিকে আছি।’
রাজশাহী-১ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন টানা তিনবারের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। ২০২২ সালের জুলাইয়ে তিনি গোদাগাড়ীর একটি কলেজের অধ্যক্ষকে নিজের কার্যালয়ে বেধড়ক পেটান বলে অভিযোগ ওঠে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্তে এ অভিযোগের সত্যতা মেলে। পরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সংসদের স্পিকারের কাছে ওই তদন্ত প্রতিবেদন দেয়। শিক্ষক পেটানোর এ ঘটনা দেশব্যাপী আলোড়ন তোলে।
এবার এই আসনের এমপি হলে শিক্ষকদের সম্মান দিয়ে সব সময় ‘স্যার’ ডাকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন মাহি।
রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি যদি এমপি নির্বাচিত হন, তাহলে প্রথমেই তিনি নির্বাচনী এলাকার শিক্ষকদের গলায় মালা পরাতে চান।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে তানোর উপজেলার কৃষ্ণপুর বাজারে গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এই ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন মাহিয়া মাহি।
মাহিয়া মাহি বলেন, ‘নির্বাচিত হলে আমার এলাকায় যত শিক্ষক আছেন, প্রথমেই সবার গলায় মালা পরাব। তাঁদের আমি সম্মান জানাব। কারণ এই এলাকার শিক্ষকেরা অনেক নির্যাতিত, অনেক অসম্মানিত। সারা দেশে এ দুই উপজেলাকে অনেক ছোট করে ফেলা হয়েছে শিক্ষকদের অপমান করে। তাই কাজটা আমি প্রথমেই করতে চাই।’
আরও একটি ইচ্ছার কথা জানিয়ে মাহি বলেন, ‘আমার এলাকায় রাস্তাঘাটের প্রচুর সমস্যা। বর্ষায় হাঁটুকাদা হয়ে যায় অনেক রাস্তা। রাস্তাগুলো ঠিক করব। বরেন্দ্র এলাকায় কৃষিকাজের পানির অনেক সমস্যা। সুপেয় পানির সমস্যা। সেটার সমাধান করব। সরকার যে ভাতা দেয়, তা এখানে শতভাগ হয়নি। ৪০ শতাংশ হয়েছে। যারা পেয়েছে তাদের আবার ৫-৭ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। এগুলো আমি নিরসন করব। সরকার যে অনুদান দেবে, সেই আমানতটা আমি জনগণের মাঝে বিলিয়ে দেব।’
জনগণের সঙ্গে দূরত্ব কমানোর কথা জানিয়ে মাহি বলেন, ‘জনগণ আর জনপ্রতিনিধি—এই দুজনের মধ্যে কোনো গ্যাপ (দূরত্ব) থাকা যাবে না। জনপ্রতিনিধিকে জনগণের মধ্যে নেমে আসতে হবে। তাহলে একটা সুন্দর আসন দাঁড়াবে। আমি যখন মানুষের কাছাকাছি আসি, নারীরা আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদে। ১৫ বছর কষ্ট পেয়েছে, তারা পরিত্রাণ চায়। তারা আমাকে আপন করে নেয়।’
তিনি বলেন, ‘আমি যেখানেই যাই, সবাই আমাকে বলে ভোটটা দেবে। এখন কতটুকু দেবে, আমি বিশ্বাস করি তানোর-গোদাগাড়ীর মানুষ সরল মনের মানুষ। তাদের আমি বিশ্বাস করি। প্রশাসন অনেক বেশি তৎপর। মানুষ ভোট দিতে পারবে। আমি জয়ী হব আশা করি।’
তবে রাজনীতি অনেক কঠিন জিনিস জানিয়ে মাহি বলেন, ‘সিনেমার থেকেও বাস্তবের রাজনীতি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এখানে একটা মেয়ে হিসেবে টিকে থাকাটা একটা চ্যালেঞ্জের বিষয়। এখন বুঝতে পারছি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কত যুদ্ধ করে এই জায়গায় টিকে আছেন। আমি তাঁকে অ্যাপ্রেসিয়েট (প্রশংসা) করি। রাজনীতি যতটুকু ভয়ংকর, বাস্তবে আরও বেশি ভয়ংকর, আরও বেশি জটিল। আমার স্বামী রাজনীতিবিদ, ওর জন্যই এখন পর্যন্ত টিকে আছি।’
রাজশাহী-১ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন টানা তিনবারের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। ২০২২ সালের জুলাইয়ে তিনি গোদাগাড়ীর একটি কলেজের অধ্যক্ষকে নিজের কার্যালয়ে বেধড়ক পেটান বলে অভিযোগ ওঠে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্তে এ অভিযোগের সত্যতা মেলে। পরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সংসদের স্পিকারের কাছে ওই তদন্ত প্রতিবেদন দেয়। শিক্ষক পেটানোর এ ঘটনা দেশব্যাপী আলোড়ন তোলে।
এবার এই আসনের এমপি হলে শিক্ষকদের সম্মান দিয়ে সব সময় ‘স্যার’ ডাকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন মাহি।
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
৪ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
৪ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
৪ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
৪ ঘণ্টা আগে