নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীর তানোরে শতবর্ষী একটি খেলার মাঠ রক্ষায় আন্দোলনে নেমেছেন স্থানীয় ক্রীড়ামোদী মানুষ। ‘জালিয়াতির মাধ্যমে’ মাঠ দখল করে মাদ্রাসার ভবন নির্মাণকাজ শুরু হলে আজ সোমবার খননযন্ত্রের (ভেকু) সামনে শুয়ে প্রতিবাদ জানান তাঁরা। বাধার মুখে শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে বাধ্য হয় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
মাঠটির নাম গোকুল-মথুরা খেলার মাঠ। এটি রাজশাহীর তানোর উপজেলার মথুরা মৌজায় অবস্থিত। আরএস খতিয়ানে যার জেএল নম্বর ১৫৩, খতিয়ান নম্বর ৩৮, দাগ নম্বর ৯৩। জমির শ্রেণি হিসেবে স্পষ্টভাবে ‘খেলার মাঠ’ উল্লেখ রয়েছে। পরিমাণ ১ একর ৬ শতাংশ। মালিক হিসেবে লেখা আছে ‘গোকুল-মথুরা ফুটবল ক্লাবের সেক্রেটারি।’ তবে সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির নাম নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গোকুল-মথুরা দাখিল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ১৯৯৯ সালের ৪ ও ৮ আগস্ট দুটি ভুয়া দান দলিলের মাধ্যমে মোট ৪০ শতাংশ জমির মালিকানা দাবি করে। এর আগেই ১৯৮৩ সালের ৫ জুন গোকুল-মথুরা প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আরও ৬৬ শতাংশ জমি নিজেদের নামে দান দলিল করে নেয়। এভাবে খুব গোপনে পুরো মাঠের মালিকানা কাগজপত্রে নিজেদের করে নেয় দুটি প্রতিষ্ঠান।
তবে খেলার মাঠ নিয়ে ২০০০ সালে প্রণীত ‘মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের পৌর এলাকাসহ দেশের সব পৌর এলাকার খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন’-এর ৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী এই শ্রেণির জমি অন্য কোনোভাবে ব্যবহার বা হস্তান্তর করার সুযোগ নেই।
বর্তমানে গোকুল-মথুরা ফুটবল ক্লাবের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ। তাঁরা জানান, সম্প্রতি জমির খতিয়ান সংগ্রহ করতে গিয়ে জালিয়াতির এ তথ্য জানতে পারেন। দুই প্রতিষ্ঠানের নামে মাঠ খারিজ হওয়ায় বিষয়টি নজরে এনে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন মাঠের বর্তমান সেক্রেটারি হারুন-অর-রশিদ।
এর আগে ২ জুন রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ক্লাবের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারায় মামলা করেন। আদালত প্রতিপক্ষের জবাব না দেওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। ১৮ জুন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আদালতে জবাব দেয়। সেখানে মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট মো. আবদুল হামিদ স্বীকার করেন, মাঠের ১ একর ৬ শতাংশ জায়গা ভবনের আওতায় পড়ে যাবে।
মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১০ জুলাই। কিন্তু শুনানির আগেই নির্মাণকাজ শুরুর উদ্যোগ নেয় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। আজ (রোববার) সকালে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে এলেও স্থানীয়দের বাধায় তা আর সম্ভব হয়নি। খননযন্ত্র দিয়ে মাঠ খনন শুরু করতেই খেলোয়াড়েরা ভেকুর সামনে শুয়ে পড়েন। বাধ্য হয়ে ঠিকাদার ও যন্ত্রপাতি সরিয়ে নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে কথা বলতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. হোসেন খান জানান, তাঁরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নির্দেশে কাজ উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন। স্থানীয়দের বাধার কথা পরে জানতে পেরেছেন।
অন্যদিকে গতকাল রোববার মোবাইল ফোনে মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট মো. আবদুল হামিদ স্বীকার করেন, ভবন নির্মাণ হলে মাঠের খানিকটা অংশ কাটা পড়বে। তবে এর পর থেকে তিনি ফোন ধরেননি।
তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিয়াকত সালমানের সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে রাজশাহী জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা আছে। তদন্ত করে আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নেব।’
উল্লেখ্য, এর আগেও মাঠ রক্ষার দাবিতে এলাকাবাসী একাধিক কর্মসূচি পালন করেছেন। গত ১৪ এপ্রিল মাঠে মানববন্ধন হয়, পরদিন তানোর থেকে রাজশাহী জেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে লংমার্চ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়।
২৫ মে গোকুল-মথুরা ফুটবল ক্লাবের পক্ষে রাজশাহীতে সংবাদ সম্মেলন করে ‘স্বপ্নচারী যুব উন্নয়ন সংস্থা’ ও ‘ইয়ুথ অ্যাকশন ফর সোশ্যাল চেঞ্জ’ (ইয়্যাস) নামের দুটি যুব সংগঠন।
রাজশাহীর তানোরে শতবর্ষী একটি খেলার মাঠ রক্ষায় আন্দোলনে নেমেছেন স্থানীয় ক্রীড়ামোদী মানুষ। ‘জালিয়াতির মাধ্যমে’ মাঠ দখল করে মাদ্রাসার ভবন নির্মাণকাজ শুরু হলে আজ সোমবার খননযন্ত্রের (ভেকু) সামনে শুয়ে প্রতিবাদ জানান তাঁরা। বাধার মুখে শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে বাধ্য হয় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
মাঠটির নাম গোকুল-মথুরা খেলার মাঠ। এটি রাজশাহীর তানোর উপজেলার মথুরা মৌজায় অবস্থিত। আরএস খতিয়ানে যার জেএল নম্বর ১৫৩, খতিয়ান নম্বর ৩৮, দাগ নম্বর ৯৩। জমির শ্রেণি হিসেবে স্পষ্টভাবে ‘খেলার মাঠ’ উল্লেখ রয়েছে। পরিমাণ ১ একর ৬ শতাংশ। মালিক হিসেবে লেখা আছে ‘গোকুল-মথুরা ফুটবল ক্লাবের সেক্রেটারি।’ তবে সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির নাম নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গোকুল-মথুরা দাখিল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ১৯৯৯ সালের ৪ ও ৮ আগস্ট দুটি ভুয়া দান দলিলের মাধ্যমে মোট ৪০ শতাংশ জমির মালিকানা দাবি করে। এর আগেই ১৯৮৩ সালের ৫ জুন গোকুল-মথুরা প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আরও ৬৬ শতাংশ জমি নিজেদের নামে দান দলিল করে নেয়। এভাবে খুব গোপনে পুরো মাঠের মালিকানা কাগজপত্রে নিজেদের করে নেয় দুটি প্রতিষ্ঠান।
তবে খেলার মাঠ নিয়ে ২০০০ সালে প্রণীত ‘মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের পৌর এলাকাসহ দেশের সব পৌর এলাকার খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন’-এর ৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী এই শ্রেণির জমি অন্য কোনোভাবে ব্যবহার বা হস্তান্তর করার সুযোগ নেই।
বর্তমানে গোকুল-মথুরা ফুটবল ক্লাবের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ। তাঁরা জানান, সম্প্রতি জমির খতিয়ান সংগ্রহ করতে গিয়ে জালিয়াতির এ তথ্য জানতে পারেন। দুই প্রতিষ্ঠানের নামে মাঠ খারিজ হওয়ায় বিষয়টি নজরে এনে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন মাঠের বর্তমান সেক্রেটারি হারুন-অর-রশিদ।
এর আগে ২ জুন রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ক্লাবের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারায় মামলা করেন। আদালত প্রতিপক্ষের জবাব না দেওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। ১৮ জুন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আদালতে জবাব দেয়। সেখানে মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট মো. আবদুল হামিদ স্বীকার করেন, মাঠের ১ একর ৬ শতাংশ জায়গা ভবনের আওতায় পড়ে যাবে।
মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১০ জুলাই। কিন্তু শুনানির আগেই নির্মাণকাজ শুরুর উদ্যোগ নেয় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। আজ (রোববার) সকালে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে এলেও স্থানীয়দের বাধায় তা আর সম্ভব হয়নি। খননযন্ত্র দিয়ে মাঠ খনন শুরু করতেই খেলোয়াড়েরা ভেকুর সামনে শুয়ে পড়েন। বাধ্য হয়ে ঠিকাদার ও যন্ত্রপাতি সরিয়ে নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে কথা বলতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. হোসেন খান জানান, তাঁরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নির্দেশে কাজ উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন। স্থানীয়দের বাধার কথা পরে জানতে পেরেছেন।
অন্যদিকে গতকাল রোববার মোবাইল ফোনে মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট মো. আবদুল হামিদ স্বীকার করেন, ভবন নির্মাণ হলে মাঠের খানিকটা অংশ কাটা পড়বে। তবে এর পর থেকে তিনি ফোন ধরেননি।
তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিয়াকত সালমানের সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে রাজশাহী জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা আছে। তদন্ত করে আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নেব।’
উল্লেখ্য, এর আগেও মাঠ রক্ষার দাবিতে এলাকাবাসী একাধিক কর্মসূচি পালন করেছেন। গত ১৪ এপ্রিল মাঠে মানববন্ধন হয়, পরদিন তানোর থেকে রাজশাহী জেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে লংমার্চ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়।
২৫ মে গোকুল-মথুরা ফুটবল ক্লাবের পক্ষে রাজশাহীতে সংবাদ সম্মেলন করে ‘স্বপ্নচারী যুব উন্নয়ন সংস্থা’ ও ‘ইয়ুথ অ্যাকশন ফর সোশ্যাল চেঞ্জ’ (ইয়্যাস) নামের দুটি যুব সংগঠন।
বরিশালের আইএসিআইবি নার্সিং ইনস্টিটিউটে এবার ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কোর্সে ৫০ আসনের বিপরীতে একজন শিক্ষার্থীও ভর্তি হননি। অন্যদিকে পটুয়াখালীর ড. জাফর নার্সিং কলেজে সমানসংখ্যক আসনের বিপরীতে মাত্র ১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত ভালনারেবল উইমেন বেনিফিটের (ভিডব্লিউবি) সুবিধাভোগী আজনুর আক্তার। দুই দিন ধরে ইউপি কার্যালয়ে ঘুরছেন ৫ মাসের বরাদ্দকৃত চাল উত্তোলনের জন্য। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের...
১ ঘণ্টা আগেলালমনিরহাটে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে নরসুন্দর বাবা-ছেলেকে হেনস্তা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। সোমবার (২৩ জুন) রাত ১০ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করে জগন্নাথ হল ও অন্যান্য হল ও ছাত্র...
২ ঘণ্টা আগেসাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাকে মব সৃষ্টি করে হেনস্তা ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে হানিফ মিয়া নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর একটি দল সোমবার রাতে তাঁকে আটক করে উত্তরা পশ্চিম থানায় হস্তান্তর করে। হানিফ উত্তরা পশ্চিম থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব।
২ ঘণ্টা আগে