রিমন রহমান, রাজশাহী

বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পর অস্থিরতা দেখা দিয়েছে রাজশাহীর তিনটি সংসদীয় আসনে। ছয়টি আসনের মধ্যে এই তিন আসনে মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের অনুসারীরা প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করছেন। প্রার্থী ঘোষণার পর বিএনপিতে এমন সংকট দেখা দিলেও ভিন্ন চিত্র তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতে ইসলামী। সব আসনে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নেমেছেন দলটির নেতারা।
এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ছয়টি, খেলাফত মজলিস পাঁচটি, বাসদ তিনটি, গণসংহতি আন্দোলন দুটি, গণঅধিকার পরিষদ একটি, এবি পার্টি তিনটি, বিজেপি একটিসহ কয়েকটি দলের প্রার্থীরা ভোটের মাঠে নেমেছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি) অন্তত তিনটি আসনে প্রার্থী দিতে চায়। সব মিলিয়ে নির্বাচনমুখী এসব দলের কার্যক্রমে এলাকায় ভোটের আবহ তৈরি হয়েছে।
রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দিন। তাঁর ভাই ব্যারিস্টার আমিনুল হক এই আসনের তিনবারের এমপি ও মন্ত্রী ছিলেন। আরেক ভাই এম এনামুল হকও একবার দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় দল বেছে নিয়েছে শরীফকে। স্বাধীনতার পর থেকে এই আসনে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ পাঁচবার করে, জামায়াতে ইসলামী একবার ও একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী একবার জয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের পাঁচবারের মধ্যে ২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত তিনটি নির্বাচন নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। বিএনপির ‘ঘাঁটি’ হিসেবে পরিচিত এই আসন পুনরুদ্ধারে প্রার্থী করা হয়েছে শরীফ উদ্দিনকে।
তবে তাঁর বিরোধিতা করে মাঠে নেমেছেন আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী সুলতানুল ইসলাম তারেকের অনুসারীরা। তাঁরা বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধের মতো কর্মসূচি পালন করছেন। তারেক অনুসারীদের আশা, শেষ পর্যন্ত এখানে প্রার্থী বদল করা হবে।
রাজশাহী-১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন। এ ছাড়া গণঅধিকার পরিষদের মীর মো. শাহজাহান, এবি পার্টির মুহাম্মাদ আব্দুর রহমান মুহসেনী, বাসদের আফজাল হোসেন ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আরিফুল ইসলাম এই আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী। এনসিপির মহানগরের সদস্যসচিব আতিকুর রহমানও এই আসনে প্রার্থী হতে পারেন।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকা নিয়ে গঠিত রাজশাহী-২ (সদর) আসন। ১৯৮৬ সালের নির্বাচনের আগে সীমানা পুনর্গঠিত হয় এই আসনে। আসনটিতে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু। মনোনয়ন ঘোষণার আগে নগর বিএনপির একটি অংশ তাঁর বিরোধিতা করে আসছিল। তাঁরা এখানে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে প্রার্থী চাচ্ছিলেন। মনোনয়ন ঘোষণার পর রিজভী এসে সবাইকে এক কাতারে এনেছেন। তাই এই আসনে বিএনপির কোনো দ্বন্দ্ব-বিভেদ নেই। আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরও নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মহানগর এনসিপির আহ্বায়ক মোবাশ্বের আলীও।
রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনেরও সীমানা পুনর্গঠন করা হয় ১৯৮৬ সালের নির্বাচনের আগে। এরপর বিএনপি তিনবার, আওয়ামী লীগ চারবার, জাতীয় পার্টি দুবার ও বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ একবার জয়ী হয়েছে। এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সহসম্পাদক শফিকুল হক মিলন। তাঁকে ‘বহিরাগত’ উল্লেখ করে প্রার্থী বদলের দাবিতে মাঠে আছেন দুই মনোনয়নপ্রত্যাশী রায়হানুল আলম রায়হান ও নাসির হোসেনের অনুসারীরা। এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ভোটের মাঠে আছেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে ফজলুর রহমান, এবি পার্টি থেকে আফজাল হোসেন, খেলাফত মজলিস থেকে গোলাম মোস্তফা, গণসংহতি আন্দোলন থেকে জুয়েল রানা ও গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে শফিকুর রহমান বাবর মনোনয়ন পেয়েছেন। তবে তাঁদের ভোটের মাঠে দেখা যায় না।
রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সীমানা পুনর্গঠনের পর বিএনপি তিনবার, আওয়ামী লীগ পাঁচবার ও জাতীয় পার্টি এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগ একবার করে জয় পেয়েছে। এই আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডি এম জিয়াউর রহমান জিয়া। তাঁকে নিয়ে নেতা-কর্মীদের চরম অসন্তোষ। এখানে বিক্ষোভ-সমাবেশের মতো কর্মসূচি পালিত না হলেও মনোনয়ন ঘোষণার পরও নেতা-কর্মীদের বড় অংশই জিয়ার কাছে যাচ্ছে না। অনেকটা কর্মী সংকটে পড়েছেন জিয়া। সম্প্রতি প্রার্থী বদলের দাবিতে উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ৩৭ জন নেতা লিখিতভাবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করেছেন।
এই আসনে জামায়াতের প্রার্থী ডা. আবদুল বারী সরদার। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে আবু মুসা, বাসদ থেকে ফিরোজ আলম, খেলাফত মজলিস থেকে ফেরদাউসুর রহমান ও গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে ভাসানী জনশক্তি পার্টির আবু ইউসুফ সেলিম মনোনয়ন পেয়েছেন। এনসিপি থেকে মীর ফারুক হোসেন, জাতীয় পার্টির ফারুক হোসেন ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন আবু হেনা মোস্তফা কামাল।
রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসন পুনর্গঠনের পর জাতীয় পার্টি একবার, বিএনপি চারবার এবং আওয়ামী লীগ ছয়বার জয় পেয়েছে। এর মধ্যে সর্বশেষ তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয় পান। এই আসনে এবার বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন নজরুল ইসলাম মণ্ডল। তাঁকেও বদলের জন্য দুই উপজেলায় বিক্ষোভ-সমাবেশ ও মহাসড়ক অবরোধ হচ্ছে। মনোনয়নপ্রত্যাশী আবু বকর সিদ্দিক, ইশফা খায়রুল হক ও নাঈম মোস্তফার সমর্থকেরা এসব কর্মসূচি পালন করে আসছেন। এই আসনে জামায়াতের প্রার্থী নুরুজ্জামান লিটন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রুহুল আমিন, খেলাফত মজলিসের মুফতি আব্দুল হামিদ ও এলডিপির জহুরা শারমিন মাঠে আছেন।
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে স্বাধীনতার পর জাতীয় পার্টি দুবার, বিএনপি চারবার ও আওয়ামী লীগ পাঁচবার জয় পায়। এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলের জেলা আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী নাজমুল হক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিনুল ইসলাম ও খেলাফত মজলিসের তোফায়েল আহমেদ ভোটের মাঠে আছেন। এ ছাড়া আসনটিতে প্রার্থী হতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন এনসিপির বিভাগীয় সংগঠক ইমরান ইমন।

বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পর অস্থিরতা দেখা দিয়েছে রাজশাহীর তিনটি সংসদীয় আসনে। ছয়টি আসনের মধ্যে এই তিন আসনে মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের অনুসারীরা প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করছেন। প্রার্থী ঘোষণার পর বিএনপিতে এমন সংকট দেখা দিলেও ভিন্ন চিত্র তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতে ইসলামী। সব আসনে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নেমেছেন দলটির নেতারা।
এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ছয়টি, খেলাফত মজলিস পাঁচটি, বাসদ তিনটি, গণসংহতি আন্দোলন দুটি, গণঅধিকার পরিষদ একটি, এবি পার্টি তিনটি, বিজেপি একটিসহ কয়েকটি দলের প্রার্থীরা ভোটের মাঠে নেমেছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি) অন্তত তিনটি আসনে প্রার্থী দিতে চায়। সব মিলিয়ে নির্বাচনমুখী এসব দলের কার্যক্রমে এলাকায় ভোটের আবহ তৈরি হয়েছে।
রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দিন। তাঁর ভাই ব্যারিস্টার আমিনুল হক এই আসনের তিনবারের এমপি ও মন্ত্রী ছিলেন। আরেক ভাই এম এনামুল হকও একবার দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় দল বেছে নিয়েছে শরীফকে। স্বাধীনতার পর থেকে এই আসনে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ পাঁচবার করে, জামায়াতে ইসলামী একবার ও একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী একবার জয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের পাঁচবারের মধ্যে ২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত তিনটি নির্বাচন নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। বিএনপির ‘ঘাঁটি’ হিসেবে পরিচিত এই আসন পুনরুদ্ধারে প্রার্থী করা হয়েছে শরীফ উদ্দিনকে।
তবে তাঁর বিরোধিতা করে মাঠে নেমেছেন আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী সুলতানুল ইসলাম তারেকের অনুসারীরা। তাঁরা বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধের মতো কর্মসূচি পালন করছেন। তারেক অনুসারীদের আশা, শেষ পর্যন্ত এখানে প্রার্থী বদল করা হবে।
রাজশাহী-১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন। এ ছাড়া গণঅধিকার পরিষদের মীর মো. শাহজাহান, এবি পার্টির মুহাম্মাদ আব্দুর রহমান মুহসেনী, বাসদের আফজাল হোসেন ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আরিফুল ইসলাম এই আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী। এনসিপির মহানগরের সদস্যসচিব আতিকুর রহমানও এই আসনে প্রার্থী হতে পারেন।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকা নিয়ে গঠিত রাজশাহী-২ (সদর) আসন। ১৯৮৬ সালের নির্বাচনের আগে সীমানা পুনর্গঠিত হয় এই আসনে। আসনটিতে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু। মনোনয়ন ঘোষণার আগে নগর বিএনপির একটি অংশ তাঁর বিরোধিতা করে আসছিল। তাঁরা এখানে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে প্রার্থী চাচ্ছিলেন। মনোনয়ন ঘোষণার পর রিজভী এসে সবাইকে এক কাতারে এনেছেন। তাই এই আসনে বিএনপির কোনো দ্বন্দ্ব-বিভেদ নেই। আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরও নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মহানগর এনসিপির আহ্বায়ক মোবাশ্বের আলীও।
রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনেরও সীমানা পুনর্গঠন করা হয় ১৯৮৬ সালের নির্বাচনের আগে। এরপর বিএনপি তিনবার, আওয়ামী লীগ চারবার, জাতীয় পার্টি দুবার ও বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ একবার জয়ী হয়েছে। এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সহসম্পাদক শফিকুল হক মিলন। তাঁকে ‘বহিরাগত’ উল্লেখ করে প্রার্থী বদলের দাবিতে মাঠে আছেন দুই মনোনয়নপ্রত্যাশী রায়হানুল আলম রায়হান ও নাসির হোসেনের অনুসারীরা। এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ভোটের মাঠে আছেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে ফজলুর রহমান, এবি পার্টি থেকে আফজাল হোসেন, খেলাফত মজলিস থেকে গোলাম মোস্তফা, গণসংহতি আন্দোলন থেকে জুয়েল রানা ও গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে শফিকুর রহমান বাবর মনোনয়ন পেয়েছেন। তবে তাঁদের ভোটের মাঠে দেখা যায় না।
রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সীমানা পুনর্গঠনের পর বিএনপি তিনবার, আওয়ামী লীগ পাঁচবার ও জাতীয় পার্টি এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগ একবার করে জয় পেয়েছে। এই আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডি এম জিয়াউর রহমান জিয়া। তাঁকে নিয়ে নেতা-কর্মীদের চরম অসন্তোষ। এখানে বিক্ষোভ-সমাবেশের মতো কর্মসূচি পালিত না হলেও মনোনয়ন ঘোষণার পরও নেতা-কর্মীদের বড় অংশই জিয়ার কাছে যাচ্ছে না। অনেকটা কর্মী সংকটে পড়েছেন জিয়া। সম্প্রতি প্রার্থী বদলের দাবিতে উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ৩৭ জন নেতা লিখিতভাবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করেছেন।
এই আসনে জামায়াতের প্রার্থী ডা. আবদুল বারী সরদার। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে আবু মুসা, বাসদ থেকে ফিরোজ আলম, খেলাফত মজলিস থেকে ফেরদাউসুর রহমান ও গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে ভাসানী জনশক্তি পার্টির আবু ইউসুফ সেলিম মনোনয়ন পেয়েছেন। এনসিপি থেকে মীর ফারুক হোসেন, জাতীয় পার্টির ফারুক হোসেন ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন আবু হেনা মোস্তফা কামাল।
রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসন পুনর্গঠনের পর জাতীয় পার্টি একবার, বিএনপি চারবার এবং আওয়ামী লীগ ছয়বার জয় পেয়েছে। এর মধ্যে সর্বশেষ তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয় পান। এই আসনে এবার বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন নজরুল ইসলাম মণ্ডল। তাঁকেও বদলের জন্য দুই উপজেলায় বিক্ষোভ-সমাবেশ ও মহাসড়ক অবরোধ হচ্ছে। মনোনয়নপ্রত্যাশী আবু বকর সিদ্দিক, ইশফা খায়রুল হক ও নাঈম মোস্তফার সমর্থকেরা এসব কর্মসূচি পালন করে আসছেন। এই আসনে জামায়াতের প্রার্থী নুরুজ্জামান লিটন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রুহুল আমিন, খেলাফত মজলিসের মুফতি আব্দুল হামিদ ও এলডিপির জহুরা শারমিন মাঠে আছেন।
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে স্বাধীনতার পর জাতীয় পার্টি দুবার, বিএনপি চারবার ও আওয়ামী লীগ পাঁচবার জয় পায়। এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলের জেলা আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী নাজমুল হক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিনুল ইসলাম ও খেলাফত মজলিসের তোফায়েল আহমেদ ভোটের মাঠে আছেন। এ ছাড়া আসনটিতে প্রার্থী হতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন এনসিপির বিভাগীয় সংগঠক ইমরান ইমন।
রিমন রহমান, রাজশাহী

বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পর অস্থিরতা দেখা দিয়েছে রাজশাহীর তিনটি সংসদীয় আসনে। ছয়টি আসনের মধ্যে এই তিন আসনে মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের অনুসারীরা প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করছেন। প্রার্থী ঘোষণার পর বিএনপিতে এমন সংকট দেখা দিলেও ভিন্ন চিত্র তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতে ইসলামী। সব আসনে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নেমেছেন দলটির নেতারা।
এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ছয়টি, খেলাফত মজলিস পাঁচটি, বাসদ তিনটি, গণসংহতি আন্দোলন দুটি, গণঅধিকার পরিষদ একটি, এবি পার্টি তিনটি, বিজেপি একটিসহ কয়েকটি দলের প্রার্থীরা ভোটের মাঠে নেমেছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি) অন্তত তিনটি আসনে প্রার্থী দিতে চায়। সব মিলিয়ে নির্বাচনমুখী এসব দলের কার্যক্রমে এলাকায় ভোটের আবহ তৈরি হয়েছে।
রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দিন। তাঁর ভাই ব্যারিস্টার আমিনুল হক এই আসনের তিনবারের এমপি ও মন্ত্রী ছিলেন। আরেক ভাই এম এনামুল হকও একবার দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় দল বেছে নিয়েছে শরীফকে। স্বাধীনতার পর থেকে এই আসনে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ পাঁচবার করে, জামায়াতে ইসলামী একবার ও একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী একবার জয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের পাঁচবারের মধ্যে ২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত তিনটি নির্বাচন নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। বিএনপির ‘ঘাঁটি’ হিসেবে পরিচিত এই আসন পুনরুদ্ধারে প্রার্থী করা হয়েছে শরীফ উদ্দিনকে।
তবে তাঁর বিরোধিতা করে মাঠে নেমেছেন আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী সুলতানুল ইসলাম তারেকের অনুসারীরা। তাঁরা বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধের মতো কর্মসূচি পালন করছেন। তারেক অনুসারীদের আশা, শেষ পর্যন্ত এখানে প্রার্থী বদল করা হবে।
রাজশাহী-১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন। এ ছাড়া গণঅধিকার পরিষদের মীর মো. শাহজাহান, এবি পার্টির মুহাম্মাদ আব্দুর রহমান মুহসেনী, বাসদের আফজাল হোসেন ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আরিফুল ইসলাম এই আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী। এনসিপির মহানগরের সদস্যসচিব আতিকুর রহমানও এই আসনে প্রার্থী হতে পারেন।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকা নিয়ে গঠিত রাজশাহী-২ (সদর) আসন। ১৯৮৬ সালের নির্বাচনের আগে সীমানা পুনর্গঠিত হয় এই আসনে। আসনটিতে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু। মনোনয়ন ঘোষণার আগে নগর বিএনপির একটি অংশ তাঁর বিরোধিতা করে আসছিল। তাঁরা এখানে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে প্রার্থী চাচ্ছিলেন। মনোনয়ন ঘোষণার পর রিজভী এসে সবাইকে এক কাতারে এনেছেন। তাই এই আসনে বিএনপির কোনো দ্বন্দ্ব-বিভেদ নেই। আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরও নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মহানগর এনসিপির আহ্বায়ক মোবাশ্বের আলীও।
রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনেরও সীমানা পুনর্গঠন করা হয় ১৯৮৬ সালের নির্বাচনের আগে। এরপর বিএনপি তিনবার, আওয়ামী লীগ চারবার, জাতীয় পার্টি দুবার ও বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ একবার জয়ী হয়েছে। এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সহসম্পাদক শফিকুল হক মিলন। তাঁকে ‘বহিরাগত’ উল্লেখ করে প্রার্থী বদলের দাবিতে মাঠে আছেন দুই মনোনয়নপ্রত্যাশী রায়হানুল আলম রায়হান ও নাসির হোসেনের অনুসারীরা। এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ভোটের মাঠে আছেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে ফজলুর রহমান, এবি পার্টি থেকে আফজাল হোসেন, খেলাফত মজলিস থেকে গোলাম মোস্তফা, গণসংহতি আন্দোলন থেকে জুয়েল রানা ও গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে শফিকুর রহমান বাবর মনোনয়ন পেয়েছেন। তবে তাঁদের ভোটের মাঠে দেখা যায় না।
রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সীমানা পুনর্গঠনের পর বিএনপি তিনবার, আওয়ামী লীগ পাঁচবার ও জাতীয় পার্টি এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগ একবার করে জয় পেয়েছে। এই আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডি এম জিয়াউর রহমান জিয়া। তাঁকে নিয়ে নেতা-কর্মীদের চরম অসন্তোষ। এখানে বিক্ষোভ-সমাবেশের মতো কর্মসূচি পালিত না হলেও মনোনয়ন ঘোষণার পরও নেতা-কর্মীদের বড় অংশই জিয়ার কাছে যাচ্ছে না। অনেকটা কর্মী সংকটে পড়েছেন জিয়া। সম্প্রতি প্রার্থী বদলের দাবিতে উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ৩৭ জন নেতা লিখিতভাবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করেছেন।
এই আসনে জামায়াতের প্রার্থী ডা. আবদুল বারী সরদার। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে আবু মুসা, বাসদ থেকে ফিরোজ আলম, খেলাফত মজলিস থেকে ফেরদাউসুর রহমান ও গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে ভাসানী জনশক্তি পার্টির আবু ইউসুফ সেলিম মনোনয়ন পেয়েছেন। এনসিপি থেকে মীর ফারুক হোসেন, জাতীয় পার্টির ফারুক হোসেন ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন আবু হেনা মোস্তফা কামাল।
রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসন পুনর্গঠনের পর জাতীয় পার্টি একবার, বিএনপি চারবার এবং আওয়ামী লীগ ছয়বার জয় পেয়েছে। এর মধ্যে সর্বশেষ তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয় পান। এই আসনে এবার বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন নজরুল ইসলাম মণ্ডল। তাঁকেও বদলের জন্য দুই উপজেলায় বিক্ষোভ-সমাবেশ ও মহাসড়ক অবরোধ হচ্ছে। মনোনয়নপ্রত্যাশী আবু বকর সিদ্দিক, ইশফা খায়রুল হক ও নাঈম মোস্তফার সমর্থকেরা এসব কর্মসূচি পালন করে আসছেন। এই আসনে জামায়াতের প্রার্থী নুরুজ্জামান লিটন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রুহুল আমিন, খেলাফত মজলিসের মুফতি আব্দুল হামিদ ও এলডিপির জহুরা শারমিন মাঠে আছেন।
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে স্বাধীনতার পর জাতীয় পার্টি দুবার, বিএনপি চারবার ও আওয়ামী লীগ পাঁচবার জয় পায়। এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলের জেলা আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী নাজমুল হক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিনুল ইসলাম ও খেলাফত মজলিসের তোফায়েল আহমেদ ভোটের মাঠে আছেন। এ ছাড়া আসনটিতে প্রার্থী হতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন এনসিপির বিভাগীয় সংগঠক ইমরান ইমন।

বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পর অস্থিরতা দেখা দিয়েছে রাজশাহীর তিনটি সংসদীয় আসনে। ছয়টি আসনের মধ্যে এই তিন আসনে মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের অনুসারীরা প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করছেন। প্রার্থী ঘোষণার পর বিএনপিতে এমন সংকট দেখা দিলেও ভিন্ন চিত্র তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতে ইসলামী। সব আসনে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নেমেছেন দলটির নেতারা।
এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ছয়টি, খেলাফত মজলিস পাঁচটি, বাসদ তিনটি, গণসংহতি আন্দোলন দুটি, গণঅধিকার পরিষদ একটি, এবি পার্টি তিনটি, বিজেপি একটিসহ কয়েকটি দলের প্রার্থীরা ভোটের মাঠে নেমেছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি) অন্তত তিনটি আসনে প্রার্থী দিতে চায়। সব মিলিয়ে নির্বাচনমুখী এসব দলের কার্যক্রমে এলাকায় ভোটের আবহ তৈরি হয়েছে।
রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দিন। তাঁর ভাই ব্যারিস্টার আমিনুল হক এই আসনের তিনবারের এমপি ও মন্ত্রী ছিলেন। আরেক ভাই এম এনামুল হকও একবার দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় দল বেছে নিয়েছে শরীফকে। স্বাধীনতার পর থেকে এই আসনে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ পাঁচবার করে, জামায়াতে ইসলামী একবার ও একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী একবার জয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের পাঁচবারের মধ্যে ২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত তিনটি নির্বাচন নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। বিএনপির ‘ঘাঁটি’ হিসেবে পরিচিত এই আসন পুনরুদ্ধারে প্রার্থী করা হয়েছে শরীফ উদ্দিনকে।
তবে তাঁর বিরোধিতা করে মাঠে নেমেছেন আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী সুলতানুল ইসলাম তারেকের অনুসারীরা। তাঁরা বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধের মতো কর্মসূচি পালন করছেন। তারেক অনুসারীদের আশা, শেষ পর্যন্ত এখানে প্রার্থী বদল করা হবে।
রাজশাহী-১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন। এ ছাড়া গণঅধিকার পরিষদের মীর মো. শাহজাহান, এবি পার্টির মুহাম্মাদ আব্দুর রহমান মুহসেনী, বাসদের আফজাল হোসেন ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আরিফুল ইসলাম এই আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী। এনসিপির মহানগরের সদস্যসচিব আতিকুর রহমানও এই আসনে প্রার্থী হতে পারেন।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকা নিয়ে গঠিত রাজশাহী-২ (সদর) আসন। ১৯৮৬ সালের নির্বাচনের আগে সীমানা পুনর্গঠিত হয় এই আসনে। আসনটিতে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু। মনোনয়ন ঘোষণার আগে নগর বিএনপির একটি অংশ তাঁর বিরোধিতা করে আসছিল। তাঁরা এখানে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে প্রার্থী চাচ্ছিলেন। মনোনয়ন ঘোষণার পর রিজভী এসে সবাইকে এক কাতারে এনেছেন। তাই এই আসনে বিএনপির কোনো দ্বন্দ্ব-বিভেদ নেই। আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরও নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মহানগর এনসিপির আহ্বায়ক মোবাশ্বের আলীও।
রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনেরও সীমানা পুনর্গঠন করা হয় ১৯৮৬ সালের নির্বাচনের আগে। এরপর বিএনপি তিনবার, আওয়ামী লীগ চারবার, জাতীয় পার্টি দুবার ও বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ একবার জয়ী হয়েছে। এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সহসম্পাদক শফিকুল হক মিলন। তাঁকে ‘বহিরাগত’ উল্লেখ করে প্রার্থী বদলের দাবিতে মাঠে আছেন দুই মনোনয়নপ্রত্যাশী রায়হানুল আলম রায়হান ও নাসির হোসেনের অনুসারীরা। এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ভোটের মাঠে আছেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে ফজলুর রহমান, এবি পার্টি থেকে আফজাল হোসেন, খেলাফত মজলিস থেকে গোলাম মোস্তফা, গণসংহতি আন্দোলন থেকে জুয়েল রানা ও গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে শফিকুর রহমান বাবর মনোনয়ন পেয়েছেন। তবে তাঁদের ভোটের মাঠে দেখা যায় না।
রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সীমানা পুনর্গঠনের পর বিএনপি তিনবার, আওয়ামী লীগ পাঁচবার ও জাতীয় পার্টি এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগ একবার করে জয় পেয়েছে। এই আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডি এম জিয়াউর রহমান জিয়া। তাঁকে নিয়ে নেতা-কর্মীদের চরম অসন্তোষ। এখানে বিক্ষোভ-সমাবেশের মতো কর্মসূচি পালিত না হলেও মনোনয়ন ঘোষণার পরও নেতা-কর্মীদের বড় অংশই জিয়ার কাছে যাচ্ছে না। অনেকটা কর্মী সংকটে পড়েছেন জিয়া। সম্প্রতি প্রার্থী বদলের দাবিতে উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ৩৭ জন নেতা লিখিতভাবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করেছেন।
এই আসনে জামায়াতের প্রার্থী ডা. আবদুল বারী সরদার। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে আবু মুসা, বাসদ থেকে ফিরোজ আলম, খেলাফত মজলিস থেকে ফেরদাউসুর রহমান ও গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে ভাসানী জনশক্তি পার্টির আবু ইউসুফ সেলিম মনোনয়ন পেয়েছেন। এনসিপি থেকে মীর ফারুক হোসেন, জাতীয় পার্টির ফারুক হোসেন ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন আবু হেনা মোস্তফা কামাল।
রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসন পুনর্গঠনের পর জাতীয় পার্টি একবার, বিএনপি চারবার এবং আওয়ামী লীগ ছয়বার জয় পেয়েছে। এর মধ্যে সর্বশেষ তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয় পান। এই আসনে এবার বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন নজরুল ইসলাম মণ্ডল। তাঁকেও বদলের জন্য দুই উপজেলায় বিক্ষোভ-সমাবেশ ও মহাসড়ক অবরোধ হচ্ছে। মনোনয়নপ্রত্যাশী আবু বকর সিদ্দিক, ইশফা খায়রুল হক ও নাঈম মোস্তফার সমর্থকেরা এসব কর্মসূচি পালন করে আসছেন। এই আসনে জামায়াতের প্রার্থী নুরুজ্জামান লিটন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রুহুল আমিন, খেলাফত মজলিসের মুফতি আব্দুল হামিদ ও এলডিপির জহুরা শারমিন মাঠে আছেন।
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে স্বাধীনতার পর জাতীয় পার্টি দুবার, বিএনপি চারবার ও আওয়ামী লীগ পাঁচবার জয় পায়। এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলের জেলা আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী নাজমুল হক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিনুল ইসলাম ও খেলাফত মজলিসের তোফায়েল আহমেদ ভোটের মাঠে আছেন। এ ছাড়া আসনটিতে প্রার্থী হতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন এনসিপির বিভাগীয় সংগঠক ইমরান ইমন।

অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস নিজেই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরে তদন্ত শুরু হতেই টানা তিন দিন প্রতিষ্ঠানে তিনি অনুপস্থিত। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিনে রহস্যজনকভাবে কমিটি বাতিল করে নতুন পরিপত্র জারি করেন, যা নিয়ে শিক্ষকেরা আরও সন্দিহান হয়ে পড়েন।
৫ মিনিট আগে
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩২ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার
৩৬ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
৩৮ মিনিট আগেঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

অর্থ কেলেঙ্কারি, প্রশাসনিক অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও বিভিন্ন খাতে দুর্নীতির অভিযোগ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাসের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত রবীন্দ্রনাথ দাস মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়ন সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির ২১ জন শিক্ষক ও কর্মচারী তাঁর অপসারণের দাবিতে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে।
একই দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বানিয়াজুরী-ঘিওর সড়কের কলেজ গেটে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে অধ্যক্ষের ক্ষমতার অপব্যবহারের ফলে শিক্ষকেরা অসহায় হয়ে পড়েছেন। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় হয়রানির শিকার হচ্ছেন এবং অভিভাবকেরা আস্থাহীন হয়ে পড়ছেন। বক্তারা অভিযোগ করেন, অধ্যক্ষের স্বেচ্ছাচারী আচরণ, আর্থিক অনিয়ম, উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি, ভর্তিপ্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত ফি আদায় এবং প্রশাসনিক কাজের স্বচ্ছতার অভাবে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ সম্পূর্ণ স্থবির হয়ে পড়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রশাসনিক কাজের জন্য সরকার অনুমোদিত ৪ লাখ ৬৭ হাজার টাকা কোনো কাজেই ব্যয় করা হয়নি। এ ছাড়া উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বরাদ্দ ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৭০০ টাকা অধ্যক্ষ নিজের নামে উত্তোলন করেছেন, যা উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের সরকারি পোশাকের জন্য ভাতার টাকা দীর্ঘ সময় আটকে রেখে পরে চাপের মুখে আংশিক টাকা বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া ইন্টারনেট বিল, কম্পিউটার খরচ, ভূমি উন্নয়ন কর, রাসায়নিক দ্রব্য, আসবাব, ক্রীড়াসামগ্রীসহ মোট ২১টি খাতে ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি করে সরকারি বরাদ্দের কয়েক লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। প্রতিষ্ঠানটির ১৫ জন শিক্ষক এসব অভিযোগের ব্যাপারে সত্যতা নিশ্চিত করেন। তাঁরা বলেন, লাইব্রেরির বই কেনার জন্য বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও বই না কেনা, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ভর্তি ফি নিয়ম অনুযায়ী ব্যয় না করে ব্যক্তিগত কাজে খরচ করা, সরকারি শিক্ষকদের এসিআর উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে জমা না দিয়ে নিজের কাছে আটকে রাখা, এসব অভিযোগও নথিভুক্ত করা হয়েছে।
এসব অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস নিজেই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরে তদন্ত শুরু হতেই টানা তিন দিন প্রতিষ্ঠানে তিনি অনুপস্থিত। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিনে রহস্যজনকভাবে কমিটি বাতিল করে নতুন পরিপত্র জারি করেন, যা নিয়ে শিক্ষকেরা আরও সন্দিহান হয়ে পড়েন।
শিক্ষক মো. মোনায়েম খান বলেন, ‘অধ্যক্ষের অনিয়ম-দুর্নীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, নীরব থাকার কোনো উপায় নেই। তিনি মানসিকভাবে শিক্ষকদের হয়রানি করছেন এবং অভিযোগ করার পর উল্টো আমাদের বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ দিয়েছেন, যা মানহানিকর ও লজ্জাজনক ব্যাপার।’
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস বলেন, ‘আমি অনেক অভিযোগ সম্পর্কে জানি না, কোথাও ভুল হয়ে থাকতে পারে। আর অধিকাংশ অভিযোগ সত্য নয়। শাস্তিযোগ্য কিছু প্রমাণিত হলে তা মেনে নেব।’
ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাশিতা তুল ইসলাম বলেন, ‘অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জেলা প্রশাসকের কাছে পৌঁছেছে, শিক্ষা বোর্ডেও অবহিত করা হয়েছে। তদন্ত চলছে এবং তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অর্থ কেলেঙ্কারি, প্রশাসনিক অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও বিভিন্ন খাতে দুর্নীতির অভিযোগ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাসের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত রবীন্দ্রনাথ দাস মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়ন সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির ২১ জন শিক্ষক ও কর্মচারী তাঁর অপসারণের দাবিতে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে।
একই দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বানিয়াজুরী-ঘিওর সড়কের কলেজ গেটে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে অধ্যক্ষের ক্ষমতার অপব্যবহারের ফলে শিক্ষকেরা অসহায় হয়ে পড়েছেন। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় হয়রানির শিকার হচ্ছেন এবং অভিভাবকেরা আস্থাহীন হয়ে পড়ছেন। বক্তারা অভিযোগ করেন, অধ্যক্ষের স্বেচ্ছাচারী আচরণ, আর্থিক অনিয়ম, উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি, ভর্তিপ্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত ফি আদায় এবং প্রশাসনিক কাজের স্বচ্ছতার অভাবে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ সম্পূর্ণ স্থবির হয়ে পড়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রশাসনিক কাজের জন্য সরকার অনুমোদিত ৪ লাখ ৬৭ হাজার টাকা কোনো কাজেই ব্যয় করা হয়নি। এ ছাড়া উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বরাদ্দ ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৭০০ টাকা অধ্যক্ষ নিজের নামে উত্তোলন করেছেন, যা উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের সরকারি পোশাকের জন্য ভাতার টাকা দীর্ঘ সময় আটকে রেখে পরে চাপের মুখে আংশিক টাকা বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া ইন্টারনেট বিল, কম্পিউটার খরচ, ভূমি উন্নয়ন কর, রাসায়নিক দ্রব্য, আসবাব, ক্রীড়াসামগ্রীসহ মোট ২১টি খাতে ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি করে সরকারি বরাদ্দের কয়েক লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। প্রতিষ্ঠানটির ১৫ জন শিক্ষক এসব অভিযোগের ব্যাপারে সত্যতা নিশ্চিত করেন। তাঁরা বলেন, লাইব্রেরির বই কেনার জন্য বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও বই না কেনা, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ভর্তি ফি নিয়ম অনুযায়ী ব্যয় না করে ব্যক্তিগত কাজে খরচ করা, সরকারি শিক্ষকদের এসিআর উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে জমা না দিয়ে নিজের কাছে আটকে রাখা, এসব অভিযোগও নথিভুক্ত করা হয়েছে।
এসব অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস নিজেই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরে তদন্ত শুরু হতেই টানা তিন দিন প্রতিষ্ঠানে তিনি অনুপস্থিত। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিনে রহস্যজনকভাবে কমিটি বাতিল করে নতুন পরিপত্র জারি করেন, যা নিয়ে শিক্ষকেরা আরও সন্দিহান হয়ে পড়েন।
শিক্ষক মো. মোনায়েম খান বলেন, ‘অধ্যক্ষের অনিয়ম-দুর্নীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, নীরব থাকার কোনো উপায় নেই। তিনি মানসিকভাবে শিক্ষকদের হয়রানি করছেন এবং অভিযোগ করার পর উল্টো আমাদের বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ দিয়েছেন, যা মানহানিকর ও লজ্জাজনক ব্যাপার।’
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস বলেন, ‘আমি অনেক অভিযোগ সম্পর্কে জানি না, কোথাও ভুল হয়ে থাকতে পারে। আর অধিকাংশ অভিযোগ সত্য নয়। শাস্তিযোগ্য কিছু প্রমাণিত হলে তা মেনে নেব।’
ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাশিতা তুল ইসলাম বলেন, ‘অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জেলা প্রশাসকের কাছে পৌঁছেছে, শিক্ষা বোর্ডেও অবহিত করা হয়েছে। তদন্ত চলছে এবং তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পর অস্থিরতা দেখা দিয়েছে রাজশাহীর তিনটি সংসদীয় আসনে। ছয়টি আসনের মধ্যে এই তিন আসনে মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের অনুসারীরা প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করছেন। প্রার্থী ঘোষণার পর বিএনপিতে এমন সংকট দেখা দিলেও ভিন্ন চিত্র তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতে ইসলামী।
৪ দিন আগে
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩২ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার
৩৬ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
৩৮ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ও ভৈরব সংবাদদাতা

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দগ্ধদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ১২ জনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান। বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দোকান মালিক, লুন্দিয়া টুকচানপুর গ্রামের বাসিন্দা জহির মিয়া পুরি ও রুটি ভাজি বিক্রি শেষে সকালে ১০টার দিকে প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান। তিনি ভুলে গ্যাস সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সুইচ বন্ধ করেননি। দীর্ঘ সময় ধরে দোকানের ভেতর গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। পরে এক পর্যায়ে গ্যাসের বিস্ফোরণে দোকানে আগুন ধরে যায়। এসময় দোকানের সামনে থাকা পথচারী এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দগ্ধ হন।
আহতরা হলেন—হারুন মিয়া (৪০), সোহাগ মিয়া (১০), ওয়াসিবুল (১০), সামিউল (৯), আল আমিন (৮), শুভ (৮), নিরব (১৫), রাহাত (১২), ফাহিম (১০), আমিন (১০), হেকিম মিয়া (৫৫), সেরাজুল (১০), ছিদ্দিক মিয়া (৫৮), মোর্শিদ মিয়া (৫০) ও নাছির মিয়া (৪০)।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে স্বজনেরা জানান, আহতদের মধ্যে হারুন মিয়ার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ দগ্ধ হওয়ায় তাঁর অবস্থা সংকটজনক।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ রাস্তার ওপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। চোখের সামনে কয়েকজন মানুষ আগুনে পুড়তে দেখি। পরে জানতে পারি গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই আগুন ছড়িয়েছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কিশোর কুমার ধর বলেন, ১৫ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী হাসপাতালে আসে। একজনের শরীরের ৮০ শতাংশ এবং অন্যদের ২০–৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ১২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দগ্ধদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ১২ জনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান। বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দোকান মালিক, লুন্দিয়া টুকচানপুর গ্রামের বাসিন্দা জহির মিয়া পুরি ও রুটি ভাজি বিক্রি শেষে সকালে ১০টার দিকে প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান। তিনি ভুলে গ্যাস সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সুইচ বন্ধ করেননি। দীর্ঘ সময় ধরে দোকানের ভেতর গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। পরে এক পর্যায়ে গ্যাসের বিস্ফোরণে দোকানে আগুন ধরে যায়। এসময় দোকানের সামনে থাকা পথচারী এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দগ্ধ হন।
আহতরা হলেন—হারুন মিয়া (৪০), সোহাগ মিয়া (১০), ওয়াসিবুল (১০), সামিউল (৯), আল আমিন (৮), শুভ (৮), নিরব (১৫), রাহাত (১২), ফাহিম (১০), আমিন (১০), হেকিম মিয়া (৫৫), সেরাজুল (১০), ছিদ্দিক মিয়া (৫৮), মোর্শিদ মিয়া (৫০) ও নাছির মিয়া (৪০)।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে স্বজনেরা জানান, আহতদের মধ্যে হারুন মিয়ার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ দগ্ধ হওয়ায় তাঁর অবস্থা সংকটজনক।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ রাস্তার ওপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। চোখের সামনে কয়েকজন মানুষ আগুনে পুড়তে দেখি। পরে জানতে পারি গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই আগুন ছড়িয়েছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কিশোর কুমার ধর বলেন, ১৫ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী হাসপাতালে আসে। একজনের শরীরের ৮০ শতাংশ এবং অন্যদের ২০–৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ১২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পর অস্থিরতা দেখা দিয়েছে রাজশাহীর তিনটি সংসদীয় আসনে। ছয়টি আসনের মধ্যে এই তিন আসনে মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের অনুসারীরা প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করছেন। প্রার্থী ঘোষণার পর বিএনপিতে এমন সংকট দেখা দিলেও ভিন্ন চিত্র তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতে ইসলামী।
৪ দিন আগে
অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস নিজেই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরে তদন্ত শুরু হতেই টানা তিন দিন প্রতিষ্ঠানে তিনি অনুপস্থিত। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিনে রহস্যজনকভাবে কমিটি বাতিল করে নতুন পরিপত্র জারি করেন, যা নিয়ে শিক্ষকেরা আরও সন্দিহান হয়ে পড়েন।
৫ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার
৩৬ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
৩৮ মিনিট আগেনাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বিচারক আশরাফুল আলম আসামির জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন। পরে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদ আহাম্মদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসামির জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ জানান, গত মঙ্গলবার রাতে দুলাল মিয়া আট বছরের ওই শিশুকে ঘর থেকে ডেকে নেন। এরপর তাকে বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে শ্বাস রোধ করে তাকে হত্যা করেন দুলাল।
মাকছুদ আহাম্মদ জানান, এদিকে ওই রাতেই শিশুকে না পেয়ে তার পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সে সময় সন্ধান চেয়ে মাইকে প্রচারও করা হয়। তখন দুলাল মিয়াও শিশুটির বাবার সঙ্গে খোঁজাখুঁজিতে যোগ দেন। পরদিন গত বুধবার সকালে বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় দুলাল মিয়া ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়ে পুলিশ সদস্যদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন।
জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ বলেন, ‘লাশ উদ্ধারের সময় দুলাল মিয়ার আচরণে আমাদের সন্দেহ হয়। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপার মো. আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আল সরকারের সঙ্গে কথা হয়। পরে বুধবার রাতে শিশুটির বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। মামলার পরই দ্রুত তদন্ত শুরু করে ঘটনাস্থলসংলগ্ন বিভিন্ন আলামত পর্যালোচনা শেষে ওই রাতেই দুলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শিশুটির লাশের ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বিচারক আশরাফুল আলম আসামির জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন। পরে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদ আহাম্মদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসামির জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ জানান, গত মঙ্গলবার রাতে দুলাল মিয়া আট বছরের ওই শিশুকে ঘর থেকে ডেকে নেন। এরপর তাকে বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে শ্বাস রোধ করে তাকে হত্যা করেন দুলাল।
মাকছুদ আহাম্মদ জানান, এদিকে ওই রাতেই শিশুকে না পেয়ে তার পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সে সময় সন্ধান চেয়ে মাইকে প্রচারও করা হয়। তখন দুলাল মিয়াও শিশুটির বাবার সঙ্গে খোঁজাখুঁজিতে যোগ দেন। পরদিন গত বুধবার সকালে বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় দুলাল মিয়া ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়ে পুলিশ সদস্যদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন।
জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ বলেন, ‘লাশ উদ্ধারের সময় দুলাল মিয়ার আচরণে আমাদের সন্দেহ হয়। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপার মো. আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আল সরকারের সঙ্গে কথা হয়। পরে বুধবার রাতে শিশুটির বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। মামলার পরই দ্রুত তদন্ত শুরু করে ঘটনাস্থলসংলগ্ন বিভিন্ন আলামত পর্যালোচনা শেষে ওই রাতেই দুলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শিশুটির লাশের ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পর অস্থিরতা দেখা দিয়েছে রাজশাহীর তিনটি সংসদীয় আসনে। ছয়টি আসনের মধ্যে এই তিন আসনে মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের অনুসারীরা প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করছেন। প্রার্থী ঘোষণার পর বিএনপিতে এমন সংকট দেখা দিলেও ভিন্ন চিত্র তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতে ইসলামী।
৪ দিন আগে
অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস নিজেই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরে তদন্ত শুরু হতেই টানা তিন দিন প্রতিষ্ঠানে তিনি অনুপস্থিত। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিনে রহস্যজনকভাবে কমিটি বাতিল করে নতুন পরিপত্র জারি করেন, যা নিয়ে শিক্ষকেরা আরও সন্দিহান হয়ে পড়েন।
৫ মিনিট আগে
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩২ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
৩৮ মিনিট আগেচাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি

পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ শুক্রবার সকালে চাটমোহর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন মামলার ১ নম্বর বিবাদী, ছাইকোলা ইউনিয়নের কুবড়াগাড়ি গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন।
জানা গেছে, গত ৪ জুলাই রাত আড়াইটার দিকে কুবড়াগাড়ি গ্রামের আব্দুর রহিম (৬৫) নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। ওই সময় দুর্বৃত্তরা তাঁকে ঘর থেকে বাইরে ডেকে শরীরে দাহ্য পদার্থ ঢেলে দেয়। এতে তিনি দগ্ধ হন। প্রথমে তাঁকে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। এ ঘটনায় আব্দুর রহিমের ভাই আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে প্রতিবেশী সাতজনকে বিবাদী করে অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনে মামলা করেন। মামলার ছয়জন জামিন পেলেও ১ নম্বর বিবাদী শফিকুল ইসলাম এখনো কারাগারে।
সংবাদ সম্মেলনে সুমাইয়া খাতুন দাবি করেন, ঘটনার দিন ওই সময়ে তাঁর স্বামী চাটমোহরে ছিলেন না। তাঁরা দুজনই সেদিন চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ছিলেন, যেখানে তাঁরা ফুটপাতে বিরিয়ানি বিক্রি করেন। তা সত্ত্বেও তাঁর স্বামীকে মামলার ১ নম্বর বিবাদী করা হয়েছে। এ ছাড়া শফিকুলের পিতা শহিদ সরদারসহ আরও দুই ভাইকে মামলায় জড়ানো হয়েছে।
সুমাইয়ার ভাষ্য, ‘আমার স্বামী গ্রামে থাকেন না। আমরা তিন সন্তান নিয়ে হাটহাজারীতেই থাকি। প্রতিপক্ষ আমাদের ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা করেছে। প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করা হয়নি। আমরা অন্যায়ের শিকার।’ তিনি অভিযোগ করেন, মামলার তদন্তে গাফিলতি থাকায় তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে হয়রানির শিকার। তিন সন্তানসহ মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মামলাটি পুনঃতদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করা এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান পরিবারের সদস্যরা। সেখানে শফিকুল ইসলামের পিতা শহিদ সরদার, তাঁর মা ও অন্যান্য স্বজন উপস্থিত ছিলেন।

পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ শুক্রবার সকালে চাটমোহর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন মামলার ১ নম্বর বিবাদী, ছাইকোলা ইউনিয়নের কুবড়াগাড়ি গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন।
জানা গেছে, গত ৪ জুলাই রাত আড়াইটার দিকে কুবড়াগাড়ি গ্রামের আব্দুর রহিম (৬৫) নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। ওই সময় দুর্বৃত্তরা তাঁকে ঘর থেকে বাইরে ডেকে শরীরে দাহ্য পদার্থ ঢেলে দেয়। এতে তিনি দগ্ধ হন। প্রথমে তাঁকে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। এ ঘটনায় আব্দুর রহিমের ভাই আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে প্রতিবেশী সাতজনকে বিবাদী করে অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনে মামলা করেন। মামলার ছয়জন জামিন পেলেও ১ নম্বর বিবাদী শফিকুল ইসলাম এখনো কারাগারে।
সংবাদ সম্মেলনে সুমাইয়া খাতুন দাবি করেন, ঘটনার দিন ওই সময়ে তাঁর স্বামী চাটমোহরে ছিলেন না। তাঁরা দুজনই সেদিন চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ছিলেন, যেখানে তাঁরা ফুটপাতে বিরিয়ানি বিক্রি করেন। তা সত্ত্বেও তাঁর স্বামীকে মামলার ১ নম্বর বিবাদী করা হয়েছে। এ ছাড়া শফিকুলের পিতা শহিদ সরদারসহ আরও দুই ভাইকে মামলায় জড়ানো হয়েছে।
সুমাইয়ার ভাষ্য, ‘আমার স্বামী গ্রামে থাকেন না। আমরা তিন সন্তান নিয়ে হাটহাজারীতেই থাকি। প্রতিপক্ষ আমাদের ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা করেছে। প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করা হয়নি। আমরা অন্যায়ের শিকার।’ তিনি অভিযোগ করেন, মামলার তদন্তে গাফিলতি থাকায় তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে হয়রানির শিকার। তিন সন্তানসহ মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মামলাটি পুনঃতদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করা এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান পরিবারের সদস্যরা। সেখানে শফিকুল ইসলামের পিতা শহিদ সরদার, তাঁর মা ও অন্যান্য স্বজন উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পর অস্থিরতা দেখা দিয়েছে রাজশাহীর তিনটি সংসদীয় আসনে। ছয়টি আসনের মধ্যে এই তিন আসনে মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের অনুসারীরা প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করছেন। প্রার্থী ঘোষণার পর বিএনপিতে এমন সংকট দেখা দিলেও ভিন্ন চিত্র তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতে ইসলামী।
৪ দিন আগে
অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস নিজেই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরে তদন্ত শুরু হতেই টানা তিন দিন প্রতিষ্ঠানে তিনি অনুপস্থিত। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিনে রহস্যজনকভাবে কমিটি বাতিল করে নতুন পরিপত্র জারি করেন, যা নিয়ে শিক্ষকেরা আরও সন্দিহান হয়ে পড়েন।
৫ মিনিট আগে
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩২ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার
৩৬ মিনিট আগে