রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড
রিমন রহমান, রাজশাহী
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে অস্থায়ী চাকরিতে সেলিম শেখ ঢুকেছিলেন ১৯৯৭ সালে। এখনো তাঁর চাকরি স্থায়ী হয়নি। চোখের সামনে তিনি দেখেছেন, কয়েকজনের চাকরি স্থায়ী হয়ে গেছে আদালতের আদেশে। কিন্তু তিনিসহ ৬৭ জনের চাকরি স্থায়ী হয়নি। তাঁদের মধ্যে ৩৬ জনের চাকরি স্থায়ী করার জন্য আদালতের আদেশ থাকলেও তা আমলে নেয়নি বোর্ড। চাকরি স্থায়ী হওয়ার আগেই মারা গেছেন চারজন।
অস্থায়ী কর্মচারীরা বলছেন, বিভিন্ন বিলের একটি অংশ স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আইনসম্মতভাবেই বণ্টন করা হয়। অস্থায়ী কর্মচারীরা স্থায়ী হলে তাঁরাও এ সম্মানী পাবেন। ফলে যাঁরা এত দিন এই সম্মানী পেয়ে আসছেন, তাঁদের টাকার পরিমাণ কমবে। এ কারণে বোর্ডের একটি চক্র অস্থায়ীদের চাকরি স্থায়ী করতে দেয় না। তা ছাড়া স্থায়ী কর্মচারী নিয়োগ করে বাণিজ্যের পরিকল্পনা এবং কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃত্ব হারানোর শঙ্কায় অস্থায়ী কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণ করা হয় না বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শিক্ষা বোর্ডের সাবেক একজন চেয়ারম্যান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি খুব করে চেয়েছিলাম আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করতে। কিন্তু একটা চক্র আমাকে কাজটা করতে দেয়নি। অস্থায়ীদের চাকরি স্থায়ী করে আসতে পারলে আমার ভালো লাগত।’
অস্থায়ী কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখন বোর্ডে অস্থায়ী কর্মচারী ৬৭ জন। তাঁদের মধ্যে ৩৬ জন তাঁদের চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য ২০১৪ সালে হাইকোর্টে যান। হাইকোর্ট ৯০ দিনের মধ্যে তাঁদের চাকরি স্থায়ী করার নির্দেশ দেন। কিন্তু বোর্ডের ওই চক্র তখন শিক্ষা বোর্ডকে দিয়ে আপিল করায়। তবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ রায় দেন, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেই নিয়োগ দিতে হবে। তবে সে ক্ষেত্রেও অস্থায়ী কর্মচারীদের বয়স শিথিল করে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাঁদের নিয়োগ দিতে হবে। ২০১৭ সালের ৯ আগস্ট আপিল বিভাগের দেওয়া সবশেষ এ রায় এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা হয়নি।
বোর্ডের অস্থায়ী একজন কর্মচারী বলেন, আদালতের আদেশের পরও কয়েকজন চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁরা বিভিন্ন সময় বোর্ডসভায় তাঁদের বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন। বোর্ডসভাও তাঁদের নিয়োগের ব্যাপারে মতামত দিয়েছে। কিন্তু বোর্ডের কর্মকর্তাদের একটি চক্র পরে আর তাঁদের চাকরি স্থায়ী করতে দেয়নি। তাঁরা বছরের পর বছর বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছেন। ফলে এখন অস্থায়ী চাকরিজীবীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। চারজন মারাও গেছেন। তিনি বলেন, ‘বোর্ডের ওই চক্রটিই মূলত চেয়ারম্যানকে ঘিরে রেখে বোর্ড চালায়।’
আরেক অস্থায়ী কর্মচারী বলেন, ‘আমাদের চাকরি স্থায়ী হলে বিভিন্ন সম্মানী আমরাও পাব। তখন এখনকার স্থায়ী কর্মচারীদের সম্মানীর পরিমাণ কমে যাবে। ফলে চক্রটি চেয়ারম্যানকে তাঁদের চাকরি স্থায়ী করতে দেয় না।’
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সাবেক একজন চেয়ারম্যান বলেন, ‘এই কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী করতে কোনো আইনি বাধা নেই। এটা যেকোনো সময় করা যায়; কিন্তু করা যায় না শুধু ওই চারজনের একটি চক্রের কারণে। চেয়ারম্যান উদ্যোগ নিলেই তাঁরা নানা রকম বাধা সৃষ্টি করেন। তাঁরা পরিস্থিতি এমন করবেন যে, বোর্ডে চেয়ারম্যানেরই টেকা মুশকিল হয়ে পড়বে। ফলে আমার সময়ে আমিও পারিনি। কিন্তু আমি চেষ্টা করেছিলাম, তারপরও হয়নি।’
বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান প্রফেসর আ ন ম মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, ‘হাইকোর্টের প্রথম আদেশের পর বোর্ড যদি বাস্তবায়ন করে ফেলত, তাহলে কোনো সমস্যা ছিল না। ওটাই উচিত ছিল। কিন্তু কোনো এক অজ্ঞাত কারণে তা হয়নি। আমি আসার পর এটা দেখেছি। আপিল বিভাগের পরের আদেশে বলা হয়েছে, সার্কুলার করে নিয়োগ দিতে হবে। তবে তারা অগ্রাধিকার পাবে, বয়সও শিথিল করা হবে। করণীয় জানতে মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছি। আগামীকাল সচিবালয়ে সমন্বয় সভা আছে। সেখানে এটা অ্যাজেন্ডাও আছে। আলাপ করব। যদি মন্ত্রণালয় অনুমতি দেয়, তাহলে নিয়োগের কার্যক্রম শুরু করতে পারব।’ তিনি বলেন, ‘চক্রের কথা আমিও শুনেছি; কিন্তু কোনো প্রভাব বুঝতে পারিনি।’
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে অস্থায়ী চাকরিতে সেলিম শেখ ঢুকেছিলেন ১৯৯৭ সালে। এখনো তাঁর চাকরি স্থায়ী হয়নি। চোখের সামনে তিনি দেখেছেন, কয়েকজনের চাকরি স্থায়ী হয়ে গেছে আদালতের আদেশে। কিন্তু তিনিসহ ৬৭ জনের চাকরি স্থায়ী হয়নি। তাঁদের মধ্যে ৩৬ জনের চাকরি স্থায়ী করার জন্য আদালতের আদেশ থাকলেও তা আমলে নেয়নি বোর্ড। চাকরি স্থায়ী হওয়ার আগেই মারা গেছেন চারজন।
অস্থায়ী কর্মচারীরা বলছেন, বিভিন্ন বিলের একটি অংশ স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আইনসম্মতভাবেই বণ্টন করা হয়। অস্থায়ী কর্মচারীরা স্থায়ী হলে তাঁরাও এ সম্মানী পাবেন। ফলে যাঁরা এত দিন এই সম্মানী পেয়ে আসছেন, তাঁদের টাকার পরিমাণ কমবে। এ কারণে বোর্ডের একটি চক্র অস্থায়ীদের চাকরি স্থায়ী করতে দেয় না। তা ছাড়া স্থায়ী কর্মচারী নিয়োগ করে বাণিজ্যের পরিকল্পনা এবং কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃত্ব হারানোর শঙ্কায় অস্থায়ী কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণ করা হয় না বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শিক্ষা বোর্ডের সাবেক একজন চেয়ারম্যান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি খুব করে চেয়েছিলাম আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করতে। কিন্তু একটা চক্র আমাকে কাজটা করতে দেয়নি। অস্থায়ীদের চাকরি স্থায়ী করে আসতে পারলে আমার ভালো লাগত।’
অস্থায়ী কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখন বোর্ডে অস্থায়ী কর্মচারী ৬৭ জন। তাঁদের মধ্যে ৩৬ জন তাঁদের চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য ২০১৪ সালে হাইকোর্টে যান। হাইকোর্ট ৯০ দিনের মধ্যে তাঁদের চাকরি স্থায়ী করার নির্দেশ দেন। কিন্তু বোর্ডের ওই চক্র তখন শিক্ষা বোর্ডকে দিয়ে আপিল করায়। তবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ রায় দেন, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেই নিয়োগ দিতে হবে। তবে সে ক্ষেত্রেও অস্থায়ী কর্মচারীদের বয়স শিথিল করে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাঁদের নিয়োগ দিতে হবে। ২০১৭ সালের ৯ আগস্ট আপিল বিভাগের দেওয়া সবশেষ এ রায় এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা হয়নি।
বোর্ডের অস্থায়ী একজন কর্মচারী বলেন, আদালতের আদেশের পরও কয়েকজন চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁরা বিভিন্ন সময় বোর্ডসভায় তাঁদের বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন। বোর্ডসভাও তাঁদের নিয়োগের ব্যাপারে মতামত দিয়েছে। কিন্তু বোর্ডের কর্মকর্তাদের একটি চক্র পরে আর তাঁদের চাকরি স্থায়ী করতে দেয়নি। তাঁরা বছরের পর বছর বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছেন। ফলে এখন অস্থায়ী চাকরিজীবীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। চারজন মারাও গেছেন। তিনি বলেন, ‘বোর্ডের ওই চক্রটিই মূলত চেয়ারম্যানকে ঘিরে রেখে বোর্ড চালায়।’
আরেক অস্থায়ী কর্মচারী বলেন, ‘আমাদের চাকরি স্থায়ী হলে বিভিন্ন সম্মানী আমরাও পাব। তখন এখনকার স্থায়ী কর্মচারীদের সম্মানীর পরিমাণ কমে যাবে। ফলে চক্রটি চেয়ারম্যানকে তাঁদের চাকরি স্থায়ী করতে দেয় না।’
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সাবেক একজন চেয়ারম্যান বলেন, ‘এই কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী করতে কোনো আইনি বাধা নেই। এটা যেকোনো সময় করা যায়; কিন্তু করা যায় না শুধু ওই চারজনের একটি চক্রের কারণে। চেয়ারম্যান উদ্যোগ নিলেই তাঁরা নানা রকম বাধা সৃষ্টি করেন। তাঁরা পরিস্থিতি এমন করবেন যে, বোর্ডে চেয়ারম্যানেরই টেকা মুশকিল হয়ে পড়বে। ফলে আমার সময়ে আমিও পারিনি। কিন্তু আমি চেষ্টা করেছিলাম, তারপরও হয়নি।’
বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান প্রফেসর আ ন ম মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, ‘হাইকোর্টের প্রথম আদেশের পর বোর্ড যদি বাস্তবায়ন করে ফেলত, তাহলে কোনো সমস্যা ছিল না। ওটাই উচিত ছিল। কিন্তু কোনো এক অজ্ঞাত কারণে তা হয়নি। আমি আসার পর এটা দেখেছি। আপিল বিভাগের পরের আদেশে বলা হয়েছে, সার্কুলার করে নিয়োগ দিতে হবে। তবে তারা অগ্রাধিকার পাবে, বয়সও শিথিল করা হবে। করণীয় জানতে মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছি। আগামীকাল সচিবালয়ে সমন্বয় সভা আছে। সেখানে এটা অ্যাজেন্ডাও আছে। আলাপ করব। যদি মন্ত্রণালয় অনুমতি দেয়, তাহলে নিয়োগের কার্যক্রম শুরু করতে পারব।’ তিনি বলেন, ‘চক্রের কথা আমিও শুনেছি; কিন্তু কোনো প্রভাব বুঝতে পারিনি।’
উপজেলার বড়বিল-তুলাবিল-কালাপানি সড়কের পান্নাবিল এলাকায় একটি ব্রিজ সম্পূর্ণভাবে দেবে গেছে। এ ছাড়া একসত্যাপাড়া-বড়বিল, যোগ্যাছোলা-আছারতলী ও গচ্ছাবিল-চইক্যাবিল সড়কে চলমান কার্পেটিং প্রকল্পের ৪০-৫০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কংক্রিট-বালু দিয়ে প্রস্তুত সড়ক অংশ খরস্রোতে ভেসে গেছে।
২ মিনিট আগে২০১১ সাল থেকে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সোসাইটি ফর পিপলস অ্যাকশন ইন চেঞ্জ অ্যান্ড ইকুইটি—স্পেস’র সহায়তায় এসব ইকো টয়লেট স্থাপন করা হয়। প্রতিটি টয়লেটের দুটি চেম্বার থেকে বছরে দেড়শ কেজি জৈব সার উৎপন্ন হয়। পাশাপাশি প্রস্রাব সংরক্ষণ করে ব্যবহার করা হয় ইউরিয়া সারের বিকল্প হিসেবে। এতে বিঘাপ্রতি ২-৩ হাজার টাকা
৬ মিনিট আগেভূমিকম্পপ্রবণ ১৯৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৫তম অবস্থানে জানিয়ে পরিকল্পনাবিদ তৌফিকুল আলম বলেন, দেশে সিলেট অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্পপ্রবণ। ঢাকায় উচ্চ জনঘনত্ব, মাটি দুর্বল ও নীতিমালা না মেনেই ভবন নির্মাণের কারণে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ৫১ শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
১ ঘণ্টা আগেটাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মিজানুর রহমান সুজন খান (৪৮) নামে এক চালক নিহত হয়েছেন। শনিবার রাত তিনটার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে মির্জাপুর বাইপাসের বাওয়ার কুমারজানী মা সিএনজি পাম্প সংলগ্ন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত চালক সুজন খান বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার জিরাইল গ্রামের ইউনুছ খানের ছেলে।
২ ঘণ্টা আগে