নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীতে এবারও বেড়েছে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ। এই পেঁয়াজে ভালো লাভ হওয়ায় গত মৌসুমের তুলনায় এবার চাষ বেড়েছে আড়াই গুণ। মাঠে মাঠে চাষ হয়েছে ভারতীয় নাসিক-৫৩ জাতের পেঁয়াজ। এ পেঁয়াজ হয় মাটির ওপরেই। ইতিমধ্যে জমিতে পেঁয়াজ দেখা দিয়েছে। তা দেখে আশায় বুক বেঁধেছেন চাষিরা। বিঘাপ্রতি লাখ টাকা লাভের আশা তাঁদের।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, দেশে আগে শুধু শীতকালেই মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষ হতো। ২০২০-২১ মৌসুম থেকে শুরু হয়েছে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ। নাসিক-৫৩ জাতের ভারতীয় এ পেঁয়াজের বীজ আমদানি করে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)। ওই পেঁয়াজ প্রণোদনে হিসেবে বিনা মূল্যেই চাষিদের সরবরাহ করা হয়। এই বীজ থেকে চারা করে পেঁয়াজ চাষে ভালো লাভ করছেন চাষিরা। তাই বাড়ছে চাষাবাদ।
রাজশাহী বিভাগীয় কৃষি দপ্তরের হিসাবে, ২০২০-২১ মৌসুমে রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাত্র ২০০ বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে এই পেঁয়াজ চাষ হয়েছিল। এরপর ২০২১-২২–এর খরিপ-১ মৌসুমে চাষ হয় ৫০০ বিঘা। আর খরিপ-২ মৌসুমে চাষ হয় ৫ হাজার ২০০ বিঘা।
২০২৩-২৪–এর খরিপ-১ মৌসুমে ৫ হাজার ২০০ ও খরিপ-২ মৌসুমে ৬ হাজার ২০০ বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ হয়। এবার ২০২৪-২৫–এর খরিপ-১ মৌসুমে চাষাবাদ আড়াই গুণ বেড়ে ১৩ হাজার বিঘা জমি হয়েছে। হেক্টরপ্রতি ১৫ থেকে ২০টন পেঁয়াজের উৎপাদনের আশা করছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার খেতুর গ্রামে এহসানুল কবির টুকু এবার ছয় বিঘা জমিতে প্রথমবার ভারতীয় এই পেঁয়াজের চাষ করেছেন। বিনা মূল্যে বীজ সরবরাহ করেছিল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ। ওই বীজে চারা করার পর সেই চারা জমিতে লাগানো হয় গত ১৪ আগস্ট।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তাঁর জমিতে গিয়ে দেখা যায়, মাটির ওপরে এখনই পেঁয়াজ দেখা যাচ্ছে। জমিতে কথা হয় তত্ত্বাবধায়ক রাকিব আলীর সঙ্গে।
তিনি জানান, এই পেঁয়াজ চাষের জন্য কিছুটা উঁচু জমি প্রয়োজন। তবে সেচের ব্যবস্থাও থাকতে হয়। বেলে, দোআঁশ মাটি এই পেঁয়াজের জন্য বেশ উপযোগী। তাই পেঁয়াজ চাষের আগে প্রতি বিঘা জমিতে এক ট্রাক করে নদীর মাটি দিয়েছেন। এ ছাড়া বিঘাপ্রতি এক ট্রলি করে জৈব সারও দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত রোগবালাই তেমন দেখা যায়নি। নভেম্বরের শেষের দিকে তাঁরা জমি থেকে পেঁয়াজ তুলবেন। তখন একেকটি পেঁয়াজই হবে ১০০ গ্রাম।
তিনি আরও জানান, কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন প্রতি বিঘায় ১২০ মণ পেঁয়াজ উৎপাদন হবে। তবে বিঘাপ্রতি ৮০ মণ পেঁয়াজ হলেও অন্তত এক লাখ টাকা লাভ হবে হবে। বিঘাপ্রতি খরচ হবে প্রায় ৬০ হাজার টাকা। জমিতে যদি ৮০ মণও পেঁয়াজ হয় এবং বাজারে যদি দুুই হাজার টাকা মণ দরেও বিক্রি করা যায় তাহলে এক লাখ টাকা লাভ হবে।
গোদাগাড়ীর কাঁঠালবাড়িয়া ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আতিয়া রহমান বলেন, ‘অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত না হলে এই পেঁয়াজ চাষে কোনো সমস্যা হবে না। এবার আমার এলাকায় প্রথমবার চাষ হয়েছে। এখন পর্যন্ত বড় কোনো সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়নি। বিএডিসি বীজ এনে কৃষি বিভাগকে দিয়েছে। সেই বীজ চাষিদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।’
বিএডিসির রাজশাহীর উপপরিচালক কে এম গোলাম সরওয়ার বলেন, ‘নাসিক-৫৩ ভারতীয় পেঁয়াজের জাত। ভারতে এ পেঁয়াজের প্রচুর উৎপাদন হয়। আমাদের দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি মেটাতে এই পেঁয়াজ চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ভারতের সঙ্গে বীজবিনিময় চুক্তির আওতায় এই পেঁয়াজের বীজ আমদানি করা হচ্ছে। পরে কৃষি বিভাগের মাধ্যমে চাষিদের প্রণোদনা হিসেবে বিনা মূল্যেই বীজ সরবরাহ করা হয়। লাভ ভালো দেখে চাষ বাড়ছে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মাহমুদুল ফারুক বলেন, ‘আগে আমাদের দেশে শুধু শীতকালীন মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষ হতো। এখন গ্রীষ্মকালেও নাসিক-৫৩ চাষ হচ্ছে। এতে পেঁয়াজের উৎপাদন অনেক বেড়েছে। আর অসময়ের ওই পেঁয়াজ উৎপাদন করে চাষিরা বাজারে ভালো দামও পাচ্ছেন। তাই তাঁরাও আগ্রহী হয়েছেন। চাষ আরও এগিয়ে নিতে পারলে দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি থাকবে না।’
রাজশাহীতে এবারও বেড়েছে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ। এই পেঁয়াজে ভালো লাভ হওয়ায় গত মৌসুমের তুলনায় এবার চাষ বেড়েছে আড়াই গুণ। মাঠে মাঠে চাষ হয়েছে ভারতীয় নাসিক-৫৩ জাতের পেঁয়াজ। এ পেঁয়াজ হয় মাটির ওপরেই। ইতিমধ্যে জমিতে পেঁয়াজ দেখা দিয়েছে। তা দেখে আশায় বুক বেঁধেছেন চাষিরা। বিঘাপ্রতি লাখ টাকা লাভের আশা তাঁদের।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, দেশে আগে শুধু শীতকালেই মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষ হতো। ২০২০-২১ মৌসুম থেকে শুরু হয়েছে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ। নাসিক-৫৩ জাতের ভারতীয় এ পেঁয়াজের বীজ আমদানি করে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)। ওই পেঁয়াজ প্রণোদনে হিসেবে বিনা মূল্যেই চাষিদের সরবরাহ করা হয়। এই বীজ থেকে চারা করে পেঁয়াজ চাষে ভালো লাভ করছেন চাষিরা। তাই বাড়ছে চাষাবাদ।
রাজশাহী বিভাগীয় কৃষি দপ্তরের হিসাবে, ২০২০-২১ মৌসুমে রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাত্র ২০০ বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে এই পেঁয়াজ চাষ হয়েছিল। এরপর ২০২১-২২–এর খরিপ-১ মৌসুমে চাষ হয় ৫০০ বিঘা। আর খরিপ-২ মৌসুমে চাষ হয় ৫ হাজার ২০০ বিঘা।
২০২৩-২৪–এর খরিপ-১ মৌসুমে ৫ হাজার ২০০ ও খরিপ-২ মৌসুমে ৬ হাজার ২০০ বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ হয়। এবার ২০২৪-২৫–এর খরিপ-১ মৌসুমে চাষাবাদ আড়াই গুণ বেড়ে ১৩ হাজার বিঘা জমি হয়েছে। হেক্টরপ্রতি ১৫ থেকে ২০টন পেঁয়াজের উৎপাদনের আশা করছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার খেতুর গ্রামে এহসানুল কবির টুকু এবার ছয় বিঘা জমিতে প্রথমবার ভারতীয় এই পেঁয়াজের চাষ করেছেন। বিনা মূল্যে বীজ সরবরাহ করেছিল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ। ওই বীজে চারা করার পর সেই চারা জমিতে লাগানো হয় গত ১৪ আগস্ট।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তাঁর জমিতে গিয়ে দেখা যায়, মাটির ওপরে এখনই পেঁয়াজ দেখা যাচ্ছে। জমিতে কথা হয় তত্ত্বাবধায়ক রাকিব আলীর সঙ্গে।
তিনি জানান, এই পেঁয়াজ চাষের জন্য কিছুটা উঁচু জমি প্রয়োজন। তবে সেচের ব্যবস্থাও থাকতে হয়। বেলে, দোআঁশ মাটি এই পেঁয়াজের জন্য বেশ উপযোগী। তাই পেঁয়াজ চাষের আগে প্রতি বিঘা জমিতে এক ট্রাক করে নদীর মাটি দিয়েছেন। এ ছাড়া বিঘাপ্রতি এক ট্রলি করে জৈব সারও দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত রোগবালাই তেমন দেখা যায়নি। নভেম্বরের শেষের দিকে তাঁরা জমি থেকে পেঁয়াজ তুলবেন। তখন একেকটি পেঁয়াজই হবে ১০০ গ্রাম।
তিনি আরও জানান, কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন প্রতি বিঘায় ১২০ মণ পেঁয়াজ উৎপাদন হবে। তবে বিঘাপ্রতি ৮০ মণ পেঁয়াজ হলেও অন্তত এক লাখ টাকা লাভ হবে হবে। বিঘাপ্রতি খরচ হবে প্রায় ৬০ হাজার টাকা। জমিতে যদি ৮০ মণও পেঁয়াজ হয় এবং বাজারে যদি দুুই হাজার টাকা মণ দরেও বিক্রি করা যায় তাহলে এক লাখ টাকা লাভ হবে।
গোদাগাড়ীর কাঁঠালবাড়িয়া ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আতিয়া রহমান বলেন, ‘অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত না হলে এই পেঁয়াজ চাষে কোনো সমস্যা হবে না। এবার আমার এলাকায় প্রথমবার চাষ হয়েছে। এখন পর্যন্ত বড় কোনো সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়নি। বিএডিসি বীজ এনে কৃষি বিভাগকে দিয়েছে। সেই বীজ চাষিদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।’
বিএডিসির রাজশাহীর উপপরিচালক কে এম গোলাম সরওয়ার বলেন, ‘নাসিক-৫৩ ভারতীয় পেঁয়াজের জাত। ভারতে এ পেঁয়াজের প্রচুর উৎপাদন হয়। আমাদের দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি মেটাতে এই পেঁয়াজ চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ভারতের সঙ্গে বীজবিনিময় চুক্তির আওতায় এই পেঁয়াজের বীজ আমদানি করা হচ্ছে। পরে কৃষি বিভাগের মাধ্যমে চাষিদের প্রণোদনা হিসেবে বিনা মূল্যেই বীজ সরবরাহ করা হয়। লাভ ভালো দেখে চাষ বাড়ছে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মাহমুদুল ফারুক বলেন, ‘আগে আমাদের দেশে শুধু শীতকালীন মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষ হতো। এখন গ্রীষ্মকালেও নাসিক-৫৩ চাষ হচ্ছে। এতে পেঁয়াজের উৎপাদন অনেক বেড়েছে। আর অসময়ের ওই পেঁয়াজ উৎপাদন করে চাষিরা বাজারে ভালো দামও পাচ্ছেন। তাই তাঁরাও আগ্রহী হয়েছেন। চাষ আরও এগিয়ে নিতে পারলে দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি থাকবে না।’
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
২ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
২ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
২ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
২ ঘণ্টা আগে