Ajker Patrika

রাবিতে বিভাগীয় সভাপতির সঙ্গে শিক্ষকের ‘অসৌজন্যমূলক’ আচরণ ও ভাঙচুরের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাবিতে বিভাগীয় সভাপতির সঙ্গে শিক্ষকের ‘অসৌজন্যমূলক’ আচরণ ও ভাঙচুরের অভিযোগ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিভাগের সভাপতির সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও কক্ষে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে একই বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গবেষণা প্রজেক্টের বরাদ্দ পাওয়ার আবেদনপত্রে সুপারিশ না করায় তিনি এমনটি করেছেন বলে অভিযোগ সভাপতি অধ্যাপক ইসমত আরা বেগম। 

আজ মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ ভবনে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বিভাগের সভাপতি। 

অভিযুক্ত শিক্ষক একই বিভাগেরই সহযোগী অধ্যাপক ড. হাকিমুল হক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরের দায়িত্বও পালন করছেন। 

বিভাগের সভাপতি অভিযোগপত্রে লেখেন—‘ড. মো. হাকিমুল হক বেশ কিছুদিন ধরে বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে কুরুচিপূর্ণ ব্যবহার ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৬ অক্টোবর আমার সাথেও কুরুচিপূর্ণ ব্যবহার করে এবং আমাকে গালি দেন। আজ (মঙ্গলবার) সকাল আনুমানিক সোয়া ৯টায় সে সভাপতির কক্ষে তাঁর একটি চিঠি স্বাক্ষর করার জন্য নিয়ে আসে। আমি তাঁকে পূর্বের ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করতে বলি। তা না হলে আমি চিঠিতে স্বাক্ষর করব না। সে দুঃখ প্রকাশ না করে আমাকে স্বাক্ষর দেওয়ার জন্য হুমকি দেয়, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং টেবিল চাপড়িয়ে টেবিলের গ্লাস ভেঙে চুরমার করে।’ 

জানতে চাইলে বিভাগের সভাপতি ইসমত আরা বেগম বলেন, ‘ড. হাকিমুল হক অস্ট্রেলিয়া থেকে পিএইচডি করার পর সেখানেই অভিবাসী হতে চাচ্ছিলেন। সেখানে যাওয়া আসা করতে তার নির্ধারিত ছুটি শেষ হয়ে যায়। তখন সে আমার অফিসে একটি ওয়ার্ড ফাইলে একটি ছুটির আবেদনপত্র পাঠায়। কিন্তু সেখানে তাঁর স্বাক্ষর না থাকায় আমি ছুটি মঞ্জুর করিনি। তখন সে আমাকে অশ্রাব্য ও কুরুচিপূর্ণ ভাষায় গালিগালাজ করে। আজ সে একটি গবেষণা প্রজেক্টে বরাদ্দ পাওয়ার জন্য রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন নিয়ে আসে এবং আমার সুপারিশ চায়। তখন আমি তাকে পূর্বের আচরণের জন্য স্যরি বলতে বলি এবং সাইন দিতে অস্বীকৃতি জানাই। তখন সে একপর্যায়ে রেগে গিয়ে আমার টেবিলের গ্লাস ভাঙচুর করে এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে।’ 

তবে ভাঙচুরের বিষয়টি অস্বীকার করে ড. হাকিমুল হক বলেন, ‘আমার একটি গবেষণা প্রজেক্ট সাবমিশনের শেষ সময় ছিল আগামীকাল (বুধবার)। আমি গতকাল (সোমবার) সারা রাত জেগে প্রজেক্টটি প্রস্তুত করি। কিন্তু সকালে বিভাগের সভাপতির কাছে সুপারিশ নিতে গেলে তিনি পূর্বের কোনো ঘটনার জের ধরে আমার প্রজেক্টটি সাইন করেননি। এতে স্বাভাবিকভাবেই আমি রেগে যাই। তবে সেখানে ভাঙচুরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শেখ মুজিবকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ছাত্রদল নেতার পোস্ট, শোকজ পেয়ে নিলেন অব্যাহতি

আলাস্কা বৈঠকে পুতিনের দেহরক্ষীর হাতে ‘মলমূত্রবাহী স্যুটকেস’ কেন

সিলেটের ডিসি হলেন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে শাস্তি পাওয়া সারওয়ার আলম

অপারেশন সিঁদুরে নিহত প্রায় দেড় শ সেনার তালিকা প্রকাশ করে মুছে ফেলল পাকিস্তানি টিভি

আমরা দখল করি লঞ্চঘাট-বাসস্ট্যান্ড, জামায়াত করে বিশ্ববিদ্যালয়: আলতাফ হোসেন চৌধুরী

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত