চিরনিদ্রায় তৌকির
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
‘আমি সেই হতভাগ্য পিতা, যে নিজের সন্তানের লাশ কাঁধে নিয়েছি।’ এটুকু বলেই ডুকরে কেঁদে ওঠেন ব্যবসায়ী তহুরুল ইসলাম। তিনি ঢাকায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগরের বাবা। রাজশাহী জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ছেলের জানাজার আগে দেওয়া বক্তব্যে এটুকুই ঠিকঠাক বলতে পেরেছিলেন তহুরুল।
জানাজা শেষে রাজশাহী নগরীর সপুরা কবরস্থানে তৌকিরকে সমাহিত করা হয়। দাফনের আগে তাঁকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এ সময় পুলিশ, সেনা ও বিমানবাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তহুরুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে। তবে প্রায় ২৫ বছর ধরে তিনি রাজশাহী শহরে বসবাস করছেন। তাঁর একমাত্র ছেলে তৌকিরের বেড়ে ওঠা রাজশাহীতেই। ২০১৬ সালে এইচএসসি পাস করে বিমানবাহিনীতে যোগ দেন তিনি। বছরখানেক আগে বিয়ে করেন।
গতকাল বেলা ২টা ৫৫ মিনিটে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে তৌকিরের মরদেহ রাজশাহী সেনানিবাসে নেওয়া হয়। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে ৩টা ২০ মিনিটে সেনানিবাসের পাশেই নগরের উপশহরের ৩ নম্বর সেক্টরে ভাড়া বাসায় তৌকিরের মরদেহ নেওয়া হয়। বাড়ির সামনে কিছু সময় রাখার পর লাশবাহী ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্সে করে তৌকিরের মরদেহ নেওয়া হয় জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে। জানাজার আগে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকিরের জীবনী পড়ে শোনানো হয়।
দুপুরে রাজশাহীর উপশহর আবাসিক এলাকায় তৌকিরের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে কাঁদছেন একজন বৃদ্ধ। তিনি তৌকিরের নানা আজিজুর রহমান। ৭৫ বছর বয়সী এই ব্যক্তি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘তার (তৌকির) মা (সালেহা খাতুন) অসুস্থ। এ কারণে ছুটি পেলেই সে রাজশাহী চলে আসত। রাতে মায়ের গলা জড়িয়ে ঘুমাত।’
ছোট বোন তাসমিয়া ইসলাম সৃষ্টি শেষবারের মতো ভাইয়ের মুখ দেখার সময় বলতে থাকেন, ‘তুই সকালে একবার কল দিলি না কেন ভাই? একটু কথা কেন বললি না আমার সাথে?’
‘আমি সেই হতভাগ্য পিতা, যে নিজের সন্তানের লাশ কাঁধে নিয়েছি।’ এটুকু বলেই ডুকরে কেঁদে ওঠেন ব্যবসায়ী তহুরুল ইসলাম। তিনি ঢাকায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগরের বাবা। রাজশাহী জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ছেলের জানাজার আগে দেওয়া বক্তব্যে এটুকুই ঠিকঠাক বলতে পেরেছিলেন তহুরুল।
জানাজা শেষে রাজশাহী নগরীর সপুরা কবরস্থানে তৌকিরকে সমাহিত করা হয়। দাফনের আগে তাঁকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এ সময় পুলিশ, সেনা ও বিমানবাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তহুরুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে। তবে প্রায় ২৫ বছর ধরে তিনি রাজশাহী শহরে বসবাস করছেন। তাঁর একমাত্র ছেলে তৌকিরের বেড়ে ওঠা রাজশাহীতেই। ২০১৬ সালে এইচএসসি পাস করে বিমানবাহিনীতে যোগ দেন তিনি। বছরখানেক আগে বিয়ে করেন।
গতকাল বেলা ২টা ৫৫ মিনিটে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে তৌকিরের মরদেহ রাজশাহী সেনানিবাসে নেওয়া হয়। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে ৩টা ২০ মিনিটে সেনানিবাসের পাশেই নগরের উপশহরের ৩ নম্বর সেক্টরে ভাড়া বাসায় তৌকিরের মরদেহ নেওয়া হয়। বাড়ির সামনে কিছু সময় রাখার পর লাশবাহী ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্সে করে তৌকিরের মরদেহ নেওয়া হয় জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে। জানাজার আগে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকিরের জীবনী পড়ে শোনানো হয়।
দুপুরে রাজশাহীর উপশহর আবাসিক এলাকায় তৌকিরের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে কাঁদছেন একজন বৃদ্ধ। তিনি তৌকিরের নানা আজিজুর রহমান। ৭৫ বছর বয়সী এই ব্যক্তি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘তার (তৌকির) মা (সালেহা খাতুন) অসুস্থ। এ কারণে ছুটি পেলেই সে রাজশাহী চলে আসত। রাতে মায়ের গলা জড়িয়ে ঘুমাত।’
ছোট বোন তাসমিয়া ইসলাম সৃষ্টি শেষবারের মতো ভাইয়ের মুখ দেখার সময় বলতে থাকেন, ‘তুই সকালে একবার কল দিলি না কেন ভাই? একটু কথা কেন বললি না আমার সাথে?’
নাটোর চিনিকলে দুর্ধর্ষ ডাকাতি ঘটেছে। রাতভর কারখানার নিরাপত্তা প্রহরীদের হাত-পা বেঁধে অস্ত্রের মুখে বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম ও যন্ত্রাংশ লুট করেছে ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি ডাকাতদল। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত দেড়টা থেকে ভোর পর্যন্ত এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। চিনিকলের নিরাপত্তা প্রহরীদের বরাত দিয়ে নাটোর সদর থানার ভারপ্র
৮ মিনিট আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে স্ত্রীকে পুড়িয়ে মেরেছে এক স্বামী। স্ত্রীকে ঘরের ভেতর রেখে বাইরে তালাবদ্ধ করে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায় ঘাতক স্বামী। স্থানীয়রা বসতবাড়িতে আগুন দেখতে পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। ততক্ষণে পুড়ে অঙ্গার গার্মেন্টস কর্মী গৃহবধূর শরীর। গতকাল শনিবার দিবাগ
৩৮ মিনিট আগেপিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলায় মোসা. আইমিন (২৮) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বিন্না গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত আইমিন একই গ্রামের ফাইজুল হক ও আখতারুননাহারের মেয়ে। তিনি মো. রাজু মাঝির স্ত্রী।
১ ঘণ্টা আগেপ্রতিষ্ঠার পরের বছর থেকে (২০২২ সাল) একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করে কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়। তবে তা নিজস্ব ক্যাম্পাসে নয়, কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারি কলেজের ১০ তলা ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায়। কথা ছিল নির্দিষ্ট সময় পর নিজস্ব ক্যাম্পাসে চলে যাবে, কিন্তু তা হয়নি।
৭ ঘণ্টা আগে