Ajker Patrika

বাউফলে জেলেদের মধ্যে মানবিক সহায়তার চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান চলাকালে ক্ষতিগ্রস্ত জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত মানবিক সহায়তার চাল বিতরণে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে এই ঘটনা ঘটে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় (পিআইও) সূত্রে জানা যায়, মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের জন্য কাছিপাড়া ইউনিয়নের ১৭৭ জন নিবন্ধিত জেলেকে জনপ্রতি ২৫ কেজি করে মোট ৪ হাজার ৪২৫ কেজি চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এই চাল বিনা মূল্যে বিতরণের কথা।

তবে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান (হিরন), প্যানেল চেয়ারম্যান মো. সুমনসহ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জেলেদের কাছ থেকে টাকা আদায় ও পরিমাণে কম চাল বিতরণের অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত জেলেরা।

অভিযোগে বলা হয়েছে, পরিষদ কর্মকর্তারা পরিবহন খরচ বাবদ প্রত্যেক জেলের কাছ থেকে ৫০ টাকা আদায় করেছেন। এতে প্রায় ৮ হাজার ৮৫০ টাকা আদায় করা হয়।

এ ছাড়া নিয়মানুযায়ী ২৫ কেজি চাল দেওয়ার কথা থাকলেও প্রত্যেক জেলেকে ২০ কেজি চাল দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় জেলে সোহেল বলেন, ‘আমরা চাল আনতে গেলে সচিব (প্রশাসনিক কর্মকর্তা) আমাদের দাঁড় করিয়ে রাখেন। পরে ৫০ টাকা দিলে চাল দেন।’ আরেক জেলে সাইফুল বলেন, ‘আমি ৫০ টাকা দিয়েছি, কিন্তু ২০ কেজি চাল পেয়েছি। অন্য ইউনিয়নে সবাই ২৫ কেজি করে পেয়েছে।’

ক্ষতিগ্রস্ত জেলেদের দাবি, আত্মসাৎ করা অতিরিক্ত চাল ও টাকা দ্রুত তাঁদের ফেরত দেওয়া হোক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাছিপাড়া ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান হিরন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা ১৭৭ জনকে চাল দিয়েছি। কোনো অনিয়ম হয়নি।’ টাকা নেওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। প্যানেল চেয়ারম্যান মো. সুমনও একইভাবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

ঘটনা প্রসঙ্গে বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম বলেন, অসহায় জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত মানবিক সহায়তার চাল বিতরণে অনিয়ম প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত