তানিম আহমেদ, পঞ্চগড় থেকে ফিরে

বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। পিছিয়ে পড়া এই জনপদেও পড়েছে সরকারের পরিকল্পিত উন্নয়নের ছোঁয়া। শিল্প, যোগাযোগ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে কৃষিনির্ভর জনপদে এসেছে অভূতপূর্ব পরিবর্তন। পরিবর্তনের সুফল হিসেবে মানুষের জীবনমান হয়েছে উন্নত। পিছিয়ে পড়া এই জনপদটিই এখন উন্নয়নের রোল মডেল। সম্প্রতি পঞ্চগড় ঘুরে এই চিত্র জানা গেছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, পঞ্চগড় জেলায় ১২ লাখ মানুষের বাস। মাত্র দেড় দশকের ব্যবধানে শিক্ষার হার ৪৮ শতাংশ থেকে ৭৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ধান, আখ ও পাট উৎপাদনের পাশাপাশি বালু ও পাথর উত্তোলন করে জীবিকা নির্বাহ করত এখানকার বেশির ভাগ মানুষ। শিল্পকারখানা বলতে ছিল পঞ্চগড় চিনিকল। বর্তমান সরকারের আমলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, ব্যবসা-বাণিজ্য, কর্মসংস্থানে এসেছে আমূল পরিবর্তন।
বাংলাবান্ধার সুফল উত্তরবঙ্গে
১৯৯৭ সালে চালু হওয়া বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের মাধ্যমে নেপালের সঙ্গেই আমদানি-রপ্তানি হতো। কিন্তু ২০১১ সালে আমদানি-রপ্তানি নিয়ে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে চুক্তি করা হয়। একই সঙ্গে ২০১৭ সালে ভুটানের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য হয় এই বন্দর ব্যবহার করে। এতে কর্মসংস্থান হয়েছে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ। ২০১৬ সালে এই বন্দরের মাধ্যমে ইমিগ্রেশন চালু হওয়া কয়েকটি জেলার মানুষ চিকিৎসার জন্য সহজে ভারত যেতে পারছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মহসিন আলী বলেন, আমাদের অনেক দুঃখ ছিল, সেই সময়। আমাদের কাছেই ভারত, অথচ এখান দিয়ে আমরা যেতে পারব না। এখন আমরা যেতে পারছি।’
দিনাজপুরের বাসিন্দা এরশাদ হোসেন বলেন, ‘আমি চিকিৎসার জন্য ভারত গিয়েছিলাম। সরকার বন্দরকে আধুনিক করায় আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। এতে আমাদের সময় সাশ্রয় হচ্ছে।’
বাংলাবান্ধা বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, বন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে নেপালে ব্যাটারি, সিসা, পাট, ফলের রস, ওয়েস্ট কটন, কাপড়, কাঠ ও প্লাস্টিকের আসবাবপত্র রপ্তানি করা হয়। এ ছাড়া ভারত থেকে পাথর ও নেপাল থেকে ডাল আমদানি করা হয়। বর্তমানে এই বন্দরের কলেবর ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে আধুনিক বন্দরে রূপান্তরের জন্য মাস্টারপ্ল্যান গ্রহণ করা হয়েছে, যার বাস্তবায়ন চলমান রয়েছে।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরটি বাংলাদেশের একমাত্র চতুর দেশীয় স্থলবন্দর। এই বন্দরের সঙ্গে ভারত, ভুটান, নেপাল সংযুক্ত হয়েছে। আমদানি-রপ্তানির কাজ থেকে শুরু করে ভারত, ভুটান, নেপালে যাচ্ছে মানুষ। বন্দরকেন্দ্রিক প্রায় ৩০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত ১৪ বছরে এই বন্দরে অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমানে প্রায় প্রতি দিন ৩৫০ থেকে ৪০০ ট্রাক পণ্য আমদানি হয়ে থাকে।
চা চাষে কৃষকের ভাগ্য বদল
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ৯২৫ একর জমিতে চা চাষ হতো। আর এখন চাষ হয় ১৭ হাজার ৭৯ একরে। এ জেলায় ৯টি বড় ও ৮ হাজার ৩৫৫টি ক্ষুদ্র চা-বাগান রয়েছে। বর্তমানে ১৫ হাজারের বেশি শ্রমিক এই শিল্পে যুক্ত আছেন। লাভ বেশি হওয়ায় এখন অনেকেই চা চাষে ঝুঁকেছেন।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, পঞ্চগড়ের সমতলের চা-শিল্পের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই এ জেলায় দেশের তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্র চালুর ঘোষণা দিয়েছেন, যা খুব শিগগিরই উদ্বোধন করা হবে।
সহজ যোগাযোগে বদলে গেছে গ্রামীণ চিত্র
ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম। তিনি জানান, জেলার বেশির ভাগ গ্রামীণ সড়ক কাঁচা থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হতো সাধারণ মানুষকে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে মানুষের কষ্ট হতো দ্বিগুণ। কয়েক কিলোমিটার পায়ে হেঁটে স্কুলে যেতে হতো বলে জানান রবিউল। এতে গ্রামীণ কৃষক উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতেও ভোগান্তিতে পড়তে হতো। কিন্তু গত এক দশকে বেশির ভাগ গ্রামীণ সড়ক পাকা করায় কৃষকের ভাগ্য বদল হয়েছে বলেও জানান তিনি।
রবিউল বলেন, একসময় বোদা থেকে পঞ্চগড় শহরে কৃষিপণ্য আনতে এক দিন সময় লাগত। এতে কৃষকের সময় ও অর্থের অপচয় হতো। কিন্তু এখন সরাসরি ঢাকায় পণ্য পাঠানো যায়, যা ১০-১৫ ঘণ্টায় পৌঁছায়। এতে কৃষক উপকৃত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসকের তথ্যমতে, ২০০৮ সাল পর্যন্ত এলজিইডির আওতায় পঞ্চগড়ের ৩০৫ সড়ক নির্মিত হয়। অন্যদিকে ২০০৯ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ৭৯০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ৬৯০টি সড়ক পাকা করা হয়। একই সঙ্গে উন্নত করা হয় ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়কও।
রেলযোগাযোগে পঞ্চগড় দেশের পিছিয়ে পড়া একটি জনপদ ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে সেই চিত্র আমূল পরিবর্তন হয়। বর্তমানে পঞ্চগড় থেকে ছয় জোড়া ট্রেন চলাচল করে। এর মধ্যে পাঁচটিই আন্তনগর। ২০১৯ সালে পঞ্চগড় জেলায় মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামের নামে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত দৃষ্টিনন্দন একটি রেলওয়ে স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে পঞ্চগড় থেকে তেঁতুলিয়া হয়ে আন্তরাষ্ট্রীয় রেলযোগাযোগের জন্য আধুনিক রেলওয়ে ট্র্যাক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।
ক্যাশলেস নাগরিক সুবিধা
চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি তেঁতুলিয়া উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়ন পরিষদে ক্যাশ লেস সেবার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়, যা বর্তমানে জেলার পাঁচটি উপজেলার ৪৩টি ইউনিয়নে চালু হয়। এতে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নগদ অর্থ ছাড়া মুঠোফোনের মাধ্যমে নগদ ও বিকাশসহ অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে ট্রেড লাইসেন্স, চারিত্রিক সনদ, নাগরিকত্ব সনদ, ভূমিহীন সনদ, উত্তরাধিকার সনদ, অবিবাহিত সনদসহ ১৯টি নাগরিক সেবা নেওয়া যায়।
তিরনইহাট ইউনিয়ন পরিষদে গত শনিবার কথা হয় জাহানারা বেগমের সঙ্গে। তিনি গত দুই বছর ধরেই মাতৃ ভাতা পাচ্ছেন। প্রথম ছয় মাস সরাসরি টাকা তাঁর নামে বরাদ্দ হতো। কাগজপত্র সই করে সেই টাকা সংগ্রহ করতেন তিনি। কিন্তু গত দেড় বছর ধরে মাতৃ ভাতার টাকা জাহানারা বেগমের মোবাইল ফোনেই চলে আসে। তিনি তিন-চার মাস পরপর ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে টাকা উত্তোলন করেন।
গত ১৯ বছর ধরেই প্রতিবন্ধী জহুরুল ইসলাম। আগে ব্যাংক গিয়ে সিরিয়াল ধরে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করে টাকা সংগ্রহ করতে হতো তাঁর। কিন্তু গত তিন বছর ধরেই জহুরুলের মোবাইল ফোনে চলে আসে ভাতার টাকা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করি। তাঁর জন্য সব সময় দোয়া করি। আল্লাহ পাক যেন তাঁকে ভালো রাখেন, সুস্থ রাখেন।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম গত শনিবার গণমাধ্যমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের ক্যাশলেস ইউপি সেবা সিস্টেম একটি অন্যতম উপাদান। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সময়, খরচ কমিয়ে মানুষ এখন ঘরে বসেই এই সেবা পাচ্ছে। দেশে কোনো জেলা হিসেবে পঞ্চগড়েই এটা প্রথম।

বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। পিছিয়ে পড়া এই জনপদেও পড়েছে সরকারের পরিকল্পিত উন্নয়নের ছোঁয়া। শিল্প, যোগাযোগ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে কৃষিনির্ভর জনপদে এসেছে অভূতপূর্ব পরিবর্তন। পরিবর্তনের সুফল হিসেবে মানুষের জীবনমান হয়েছে উন্নত। পিছিয়ে পড়া এই জনপদটিই এখন উন্নয়নের রোল মডেল। সম্প্রতি পঞ্চগড় ঘুরে এই চিত্র জানা গেছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, পঞ্চগড় জেলায় ১২ লাখ মানুষের বাস। মাত্র দেড় দশকের ব্যবধানে শিক্ষার হার ৪৮ শতাংশ থেকে ৭৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ধান, আখ ও পাট উৎপাদনের পাশাপাশি বালু ও পাথর উত্তোলন করে জীবিকা নির্বাহ করত এখানকার বেশির ভাগ মানুষ। শিল্পকারখানা বলতে ছিল পঞ্চগড় চিনিকল। বর্তমান সরকারের আমলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, ব্যবসা-বাণিজ্য, কর্মসংস্থানে এসেছে আমূল পরিবর্তন।
বাংলাবান্ধার সুফল উত্তরবঙ্গে
১৯৯৭ সালে চালু হওয়া বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের মাধ্যমে নেপালের সঙ্গেই আমদানি-রপ্তানি হতো। কিন্তু ২০১১ সালে আমদানি-রপ্তানি নিয়ে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে চুক্তি করা হয়। একই সঙ্গে ২০১৭ সালে ভুটানের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য হয় এই বন্দর ব্যবহার করে। এতে কর্মসংস্থান হয়েছে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ। ২০১৬ সালে এই বন্দরের মাধ্যমে ইমিগ্রেশন চালু হওয়া কয়েকটি জেলার মানুষ চিকিৎসার জন্য সহজে ভারত যেতে পারছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মহসিন আলী বলেন, আমাদের অনেক দুঃখ ছিল, সেই সময়। আমাদের কাছেই ভারত, অথচ এখান দিয়ে আমরা যেতে পারব না। এখন আমরা যেতে পারছি।’
দিনাজপুরের বাসিন্দা এরশাদ হোসেন বলেন, ‘আমি চিকিৎসার জন্য ভারত গিয়েছিলাম। সরকার বন্দরকে আধুনিক করায় আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। এতে আমাদের সময় সাশ্রয় হচ্ছে।’
বাংলাবান্ধা বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, বন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে নেপালে ব্যাটারি, সিসা, পাট, ফলের রস, ওয়েস্ট কটন, কাপড়, কাঠ ও প্লাস্টিকের আসবাবপত্র রপ্তানি করা হয়। এ ছাড়া ভারত থেকে পাথর ও নেপাল থেকে ডাল আমদানি করা হয়। বর্তমানে এই বন্দরের কলেবর ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে আধুনিক বন্দরে রূপান্তরের জন্য মাস্টারপ্ল্যান গ্রহণ করা হয়েছে, যার বাস্তবায়ন চলমান রয়েছে।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরটি বাংলাদেশের একমাত্র চতুর দেশীয় স্থলবন্দর। এই বন্দরের সঙ্গে ভারত, ভুটান, নেপাল সংযুক্ত হয়েছে। আমদানি-রপ্তানির কাজ থেকে শুরু করে ভারত, ভুটান, নেপালে যাচ্ছে মানুষ। বন্দরকেন্দ্রিক প্রায় ৩০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত ১৪ বছরে এই বন্দরে অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমানে প্রায় প্রতি দিন ৩৫০ থেকে ৪০০ ট্রাক পণ্য আমদানি হয়ে থাকে।
চা চাষে কৃষকের ভাগ্য বদল
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ৯২৫ একর জমিতে চা চাষ হতো। আর এখন চাষ হয় ১৭ হাজার ৭৯ একরে। এ জেলায় ৯টি বড় ও ৮ হাজার ৩৫৫টি ক্ষুদ্র চা-বাগান রয়েছে। বর্তমানে ১৫ হাজারের বেশি শ্রমিক এই শিল্পে যুক্ত আছেন। লাভ বেশি হওয়ায় এখন অনেকেই চা চাষে ঝুঁকেছেন।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, পঞ্চগড়ের সমতলের চা-শিল্পের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই এ জেলায় দেশের তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্র চালুর ঘোষণা দিয়েছেন, যা খুব শিগগিরই উদ্বোধন করা হবে।
সহজ যোগাযোগে বদলে গেছে গ্রামীণ চিত্র
ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম। তিনি জানান, জেলার বেশির ভাগ গ্রামীণ সড়ক কাঁচা থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হতো সাধারণ মানুষকে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে মানুষের কষ্ট হতো দ্বিগুণ। কয়েক কিলোমিটার পায়ে হেঁটে স্কুলে যেতে হতো বলে জানান রবিউল। এতে গ্রামীণ কৃষক উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতেও ভোগান্তিতে পড়তে হতো। কিন্তু গত এক দশকে বেশির ভাগ গ্রামীণ সড়ক পাকা করায় কৃষকের ভাগ্য বদল হয়েছে বলেও জানান তিনি।
রবিউল বলেন, একসময় বোদা থেকে পঞ্চগড় শহরে কৃষিপণ্য আনতে এক দিন সময় লাগত। এতে কৃষকের সময় ও অর্থের অপচয় হতো। কিন্তু এখন সরাসরি ঢাকায় পণ্য পাঠানো যায়, যা ১০-১৫ ঘণ্টায় পৌঁছায়। এতে কৃষক উপকৃত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসকের তথ্যমতে, ২০০৮ সাল পর্যন্ত এলজিইডির আওতায় পঞ্চগড়ের ৩০৫ সড়ক নির্মিত হয়। অন্যদিকে ২০০৯ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ৭৯০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ৬৯০টি সড়ক পাকা করা হয়। একই সঙ্গে উন্নত করা হয় ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়কও।
রেলযোগাযোগে পঞ্চগড় দেশের পিছিয়ে পড়া একটি জনপদ ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে সেই চিত্র আমূল পরিবর্তন হয়। বর্তমানে পঞ্চগড় থেকে ছয় জোড়া ট্রেন চলাচল করে। এর মধ্যে পাঁচটিই আন্তনগর। ২০১৯ সালে পঞ্চগড় জেলায় মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামের নামে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত দৃষ্টিনন্দন একটি রেলওয়ে স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে পঞ্চগড় থেকে তেঁতুলিয়া হয়ে আন্তরাষ্ট্রীয় রেলযোগাযোগের জন্য আধুনিক রেলওয়ে ট্র্যাক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।
ক্যাশলেস নাগরিক সুবিধা
চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি তেঁতুলিয়া উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়ন পরিষদে ক্যাশ লেস সেবার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়, যা বর্তমানে জেলার পাঁচটি উপজেলার ৪৩টি ইউনিয়নে চালু হয়। এতে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নগদ অর্থ ছাড়া মুঠোফোনের মাধ্যমে নগদ ও বিকাশসহ অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে ট্রেড লাইসেন্স, চারিত্রিক সনদ, নাগরিকত্ব সনদ, ভূমিহীন সনদ, উত্তরাধিকার সনদ, অবিবাহিত সনদসহ ১৯টি নাগরিক সেবা নেওয়া যায়।
তিরনইহাট ইউনিয়ন পরিষদে গত শনিবার কথা হয় জাহানারা বেগমের সঙ্গে। তিনি গত দুই বছর ধরেই মাতৃ ভাতা পাচ্ছেন। প্রথম ছয় মাস সরাসরি টাকা তাঁর নামে বরাদ্দ হতো। কাগজপত্র সই করে সেই টাকা সংগ্রহ করতেন তিনি। কিন্তু গত দেড় বছর ধরে মাতৃ ভাতার টাকা জাহানারা বেগমের মোবাইল ফোনেই চলে আসে। তিনি তিন-চার মাস পরপর ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে টাকা উত্তোলন করেন।
গত ১৯ বছর ধরেই প্রতিবন্ধী জহুরুল ইসলাম। আগে ব্যাংক গিয়ে সিরিয়াল ধরে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করে টাকা সংগ্রহ করতে হতো তাঁর। কিন্তু গত তিন বছর ধরেই জহুরুলের মোবাইল ফোনে চলে আসে ভাতার টাকা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করি। তাঁর জন্য সব সময় দোয়া করি। আল্লাহ পাক যেন তাঁকে ভালো রাখেন, সুস্থ রাখেন।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম গত শনিবার গণমাধ্যমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের ক্যাশলেস ইউপি সেবা সিস্টেম একটি অন্যতম উপাদান। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সময়, খরচ কমিয়ে মানুষ এখন ঘরে বসেই এই সেবা পাচ্ছে। দেশে কোনো জেলা হিসেবে পঞ্চগড়েই এটা প্রথম।

কার্যক্রম নিষিদ্ধঘোষিত ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. ফারুক হোসেনকে (৭২) আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা এক তরুণীকেও আটক করা হয়। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী এলাকার ডায়াবেটিক হাসপাতাল-সংলগ্ন নূরজাহান ভবন থেকে তাঁদের আটক করে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ।
১ মিনিট আগে
‘ভাই, আমি যে চাকরি করি, আমি ভাই এর মধ্যে কোনো ফাঁক রাখি না। আমি যদি ৫ টাকা খাই, এ কাজ আমি করি না যে সিনিয়র অফিসারকে ফাঁকি দেব। এ কাজ আমি করি না, কোনো দিনও না। এখন আমার কোনো সমস্যা হলে সিনিয়র অফিসার আমাকে সেফ করে কীভাবে?’
৪ মিনিট আগে
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে দাম্পত্য কলহের জেরে শারমিন আক্তার (২৮) নামের এক গৃহবধূর মুখে গরম রডের ছ্যাঁকা ও কাঁচি দিয়ে পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামী আলমগীর হোসেনের (৩৫) বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে আলমগীর পলাতক রয়েছেন। গতকাল সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় শারমিনকে সাদুল্লাপুর...
২০ মিনিট আগে
এক বছরের বেশি সময় আগে খুলনা জেলা পরিষদ থেকে গায়েব হয়ে যাওয়া বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম মাহাবুবুর রহমানের কক্ষ থেকে ৬টি নথি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন জেলা পরিষদের প্রধান সহকারী মো. সহিদুল ইসলাম।
৭ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

কার্যক্রম নিষিদ্ধঘোষিত ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. ফারুক হোসেনকে (৭২) আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা এক তরুণীকেও আটক করা হয়।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী এলাকার ডায়াবেটিক হাসপাতাল-সংলগ্ন নূরজাহান ভবন থেকে তাঁদের আটক করে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ। আটকের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) শামছুল আজম।
থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই ভবনে চারটি ফ্ল্যাট রয়েছে আটক ফারুক হোসেনের। যার মধ্যে তিনটি ভাড়া দেওয়া এবং একটিতে তিনি অবস্থান করছিলেন। তবে কবে থেকে ওই বাসায় অবস্থান করছিলেন, সে বিষয়ে পুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ছাড়া একই বাসা থেকে নাসরিন আক্তার (২৮) নামের এক তরুণীকেও আটক করা হয়। আটকের সময় নাসরিন আক্তারকে গৃহপরিচারিকা হিসেবে পরিচয় দেন ফারুক হোসেন। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নাসরিন শহরের লক্ষ্মীপুর মহল্লার বাসিন্দা প্রয়াত শ্রমিক লীগ নেতা ফিরোজ শেখের প্রথম স্ত্রীর মেয়ে। এ ছাড়া তাঁর ফেসবুক আইডিতে লেখা রয়েছে, ফরিদপুর যুব মহিলা লীগের সদস্য।
জানা গেছে, ফারুক হোসেনের নামে কোতোয়ালি থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেন। এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আব্দুল্লাহ বিশ্বাস বলেন, তাঁর (ফারুক হোসেন) নামে থানায় দুটি মামলা রয়েছে এবং দুটি মামলায় গ্রেপ্তারের বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

কার্যক্রম নিষিদ্ধঘোষিত ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. ফারুক হোসেনকে (৭২) আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা এক তরুণীকেও আটক করা হয়।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী এলাকার ডায়াবেটিক হাসপাতাল-সংলগ্ন নূরজাহান ভবন থেকে তাঁদের আটক করে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ। আটকের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) শামছুল আজম।
থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই ভবনে চারটি ফ্ল্যাট রয়েছে আটক ফারুক হোসেনের। যার মধ্যে তিনটি ভাড়া দেওয়া এবং একটিতে তিনি অবস্থান করছিলেন। তবে কবে থেকে ওই বাসায় অবস্থান করছিলেন, সে বিষয়ে পুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ছাড়া একই বাসা থেকে নাসরিন আক্তার (২৮) নামের এক তরুণীকেও আটক করা হয়। আটকের সময় নাসরিন আক্তারকে গৃহপরিচারিকা হিসেবে পরিচয় দেন ফারুক হোসেন। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নাসরিন শহরের লক্ষ্মীপুর মহল্লার বাসিন্দা প্রয়াত শ্রমিক লীগ নেতা ফিরোজ শেখের প্রথম স্ত্রীর মেয়ে। এ ছাড়া তাঁর ফেসবুক আইডিতে লেখা রয়েছে, ফরিদপুর যুব মহিলা লীগের সদস্য।
জানা গেছে, ফারুক হোসেনের নামে কোতোয়ালি থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেন। এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আব্দুল্লাহ বিশ্বাস বলেন, তাঁর (ফারুক হোসেন) নামে থানায় দুটি মামলা রয়েছে এবং দুটি মামলায় গ্রেপ্তারের বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। পিছিয়ে পড়া এই জনপদেও পড়েছে সরকারের পরিকল্পিত উন্নয়নের ছোঁয়া। শিল্প, যোগাযোগ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে কৃষিনির্ভর জনপদে এসেছে অভূতপূর্ব পরিবর্তন।
১১ জুলাই ২০২৩
‘ভাই, আমি যে চাকরি করি, আমি ভাই এর মধ্যে কোনো ফাঁক রাখি না। আমি যদি ৫ টাকা খাই, এ কাজ আমি করি না যে সিনিয়র অফিসারকে ফাঁকি দেব। এ কাজ আমি করি না, কোনো দিনও না। এখন আমার কোনো সমস্যা হলে সিনিয়র অফিসার আমাকে সেফ করে কীভাবে?’
৪ মিনিট আগে
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে দাম্পত্য কলহের জেরে শারমিন আক্তার (২৮) নামের এক গৃহবধূর মুখে গরম রডের ছ্যাঁকা ও কাঁচি দিয়ে পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামী আলমগীর হোসেনের (৩৫) বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে আলমগীর পলাতক রয়েছেন। গতকাল সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় শারমিনকে সাদুল্লাপুর...
২০ মিনিট আগে
এক বছরের বেশি সময় আগে খুলনা জেলা পরিষদ থেকে গায়েব হয়ে যাওয়া বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম মাহাবুবুর রহমানের কক্ষ থেকে ৬টি নথি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন জেলা পরিষদের প্রধান সহকারী মো. সহিদুল ইসলাম।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

‘ভাই, আমি যে চাকরি করি, আমি ভাই এর মধ্যে কোনো ফাঁক রাখি না। আমি যদি ৫ টাকা খাই, এ কাজ আমি করি না যে সিনিয়র অফিসারকে ফাঁকি দেব। এ কাজ আমি করি না, কোনো দিনও না। এখন আমার কোনো সমস্যা হলে সিনিয়র অফিসার আমাকে সেফ করে কীভাবে?’ মোবাইলে মাহমুদ হাসান লিমন নামের এক আসামির সঙ্গে কথাগুলো বলছিলেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মহিউদ্দিন।
বর্তমানে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় কর্মরত মহিউদ্দিন এর আগে ছিলেন চন্দ্রিমা থানায়। কথোপকথনটি সে সময়ের। আসামিপক্ষ বলছে, এসআই মহিউদ্দিন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে টাকা নিয়েছেন।
ওই মামলার আসামিদের একজন রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান শিশিল। তাঁর অভিযোগ, তাঁর বড় ভাই মেহেদী হাসান সিজারের শাশুড়ি হাবিবা আক্তার মুক্তার মামলায় তাঁকে ও তাঁর বন্ধু মাহমুদ হাসান লিমনকে আসামি করা হয়। এ সুযোগে এসআই মহিউদ্দিন ও ওসি আবুল কালাম আজাদ অভিযোগপত্র দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সেই ওসি আবুল কালাম আজাদও এখন বোয়ালিয়া থানায়।
গত ২ জুলাই শহরের ভদ্রা পারিজাত আবাসিক এলাকায় হাবিবা আক্তার মুক্তার বাসায় মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনির অবস্থানের খবরে বাসাটি অবরুদ্ধ করে ছাত্র-জনতা। তবে পুলিশের তল্লাশিতে সেখানে রনির সন্ধান মেলেনি। এ ঘটনায় মামলা করেন মুক্তা। মামলায় শিশিল ও লিমনকেও আসামি করা হয়। ঘটনার সঙ্গে যে শিশিল সম্পৃক্ত নন, তা এসআই মহিউদ্দিনের কথোপকথনে উঠে আসে। শিশিলকে তিনি বলছিলেন, শিশিলের সম্পৃক্ত না থাকার বিষয়টি কিছুতেই মানছেন না ওসি আবুল কালাম আজাদ।
এ-সংক্রান্ত কয়েকটি ফোনকল রেকর্ডও এ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। এক ফোনালাপে শিশিল এসআই মহিউদ্দিনকে বলেন, ‘সুষ্ঠুভাবে যেটা হবে, সেটা করবেন। আমার পক্ষেও করার দরকার নাই।’ তবে শেষ পর্যন্ত সিনিয়র অফিসারদের কথা বলে টাকা নেন মহিউদ্দিন।
আরেক ফোনালাপে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘মামলার মনিটরিং অফিসার হলো ডিসি স্যার। ডিসির ওপরে হলো কমিশনার...। সব ডিরেকশন উনারা দেন। আমরা চাকরি করি ভাই, সবাইকে লিয়েই (নিয়ে)।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই মহিউদ্দিন বলেন, ‘যা বলি, আমার গায়ে লেগে যায়। মাঝখানে অনেক কথা কেটে দিয়ে কিছু অংশ ওরা প্রচার করছে।’ আরএমপির মুখপাত্র গাজিউর রহমান বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

‘ভাই, আমি যে চাকরি করি, আমি ভাই এর মধ্যে কোনো ফাঁক রাখি না। আমি যদি ৫ টাকা খাই, এ কাজ আমি করি না যে সিনিয়র অফিসারকে ফাঁকি দেব। এ কাজ আমি করি না, কোনো দিনও না। এখন আমার কোনো সমস্যা হলে সিনিয়র অফিসার আমাকে সেফ করে কীভাবে?’ মোবাইলে মাহমুদ হাসান লিমন নামের এক আসামির সঙ্গে কথাগুলো বলছিলেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মহিউদ্দিন।
বর্তমানে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় কর্মরত মহিউদ্দিন এর আগে ছিলেন চন্দ্রিমা থানায়। কথোপকথনটি সে সময়ের। আসামিপক্ষ বলছে, এসআই মহিউদ্দিন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে টাকা নিয়েছেন।
ওই মামলার আসামিদের একজন রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান শিশিল। তাঁর অভিযোগ, তাঁর বড় ভাই মেহেদী হাসান সিজারের শাশুড়ি হাবিবা আক্তার মুক্তার মামলায় তাঁকে ও তাঁর বন্ধু মাহমুদ হাসান লিমনকে আসামি করা হয়। এ সুযোগে এসআই মহিউদ্দিন ও ওসি আবুল কালাম আজাদ অভিযোগপত্র দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সেই ওসি আবুল কালাম আজাদও এখন বোয়ালিয়া থানায়।
গত ২ জুলাই শহরের ভদ্রা পারিজাত আবাসিক এলাকায় হাবিবা আক্তার মুক্তার বাসায় মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনির অবস্থানের খবরে বাসাটি অবরুদ্ধ করে ছাত্র-জনতা। তবে পুলিশের তল্লাশিতে সেখানে রনির সন্ধান মেলেনি। এ ঘটনায় মামলা করেন মুক্তা। মামলায় শিশিল ও লিমনকেও আসামি করা হয়। ঘটনার সঙ্গে যে শিশিল সম্পৃক্ত নন, তা এসআই মহিউদ্দিনের কথোপকথনে উঠে আসে। শিশিলকে তিনি বলছিলেন, শিশিলের সম্পৃক্ত না থাকার বিষয়টি কিছুতেই মানছেন না ওসি আবুল কালাম আজাদ।
এ-সংক্রান্ত কয়েকটি ফোনকল রেকর্ডও এ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। এক ফোনালাপে শিশিল এসআই মহিউদ্দিনকে বলেন, ‘সুষ্ঠুভাবে যেটা হবে, সেটা করবেন। আমার পক্ষেও করার দরকার নাই।’ তবে শেষ পর্যন্ত সিনিয়র অফিসারদের কথা বলে টাকা নেন মহিউদ্দিন।
আরেক ফোনালাপে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘মামলার মনিটরিং অফিসার হলো ডিসি স্যার। ডিসির ওপরে হলো কমিশনার...। সব ডিরেকশন উনারা দেন। আমরা চাকরি করি ভাই, সবাইকে লিয়েই (নিয়ে)।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই মহিউদ্দিন বলেন, ‘যা বলি, আমার গায়ে লেগে যায়। মাঝখানে অনেক কথা কেটে দিয়ে কিছু অংশ ওরা প্রচার করছে।’ আরএমপির মুখপাত্র গাজিউর রহমান বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। পিছিয়ে পড়া এই জনপদেও পড়েছে সরকারের পরিকল্পিত উন্নয়নের ছোঁয়া। শিল্প, যোগাযোগ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে কৃষিনির্ভর জনপদে এসেছে অভূতপূর্ব পরিবর্তন।
১১ জুলাই ২০২৩
কার্যক্রম নিষিদ্ধঘোষিত ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. ফারুক হোসেনকে (৭২) আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা এক তরুণীকেও আটক করা হয়। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী এলাকার ডায়াবেটিক হাসপাতাল-সংলগ্ন নূরজাহান ভবন থেকে তাঁদের আটক করে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ।
১ মিনিট আগে
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে দাম্পত্য কলহের জেরে শারমিন আক্তার (২৮) নামের এক গৃহবধূর মুখে গরম রডের ছ্যাঁকা ও কাঁচি দিয়ে পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামী আলমগীর হোসেনের (৩৫) বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে আলমগীর পলাতক রয়েছেন। গতকাল সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় শারমিনকে সাদুল্লাপুর...
২০ মিনিট আগে
এক বছরের বেশি সময় আগে খুলনা জেলা পরিষদ থেকে গায়েব হয়ে যাওয়া বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম মাহাবুবুর রহমানের কক্ষ থেকে ৬টি নথি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন জেলা পরিষদের প্রধান সহকারী মো. সহিদুল ইসলাম।
৭ ঘণ্টা আগেপলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে দাম্পত্য কলহের জেরে শারমিন আক্তার (২৮) নামের এক গৃহবধূর মুখে গরম রডের ছ্যাঁকা ও কাঁচি দিয়ে পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামী আলমগীর হোসেনের (৩৫) বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে আলমগীর পলাতক রয়েছেন।
গতকাল সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় শারমিনকে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিছানায় যন্ত্রণায় কাতরাতে দেখা যায়। এর আগে সকাল ১০টার দিকে উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের ছোট দাউদপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় স্থানীয় গ্রাম পুলিশ ও প্রতিবেশীরা শারমিনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
দিনভর ঘটনাটি গোপন থাকলেও সোমবার রাতে ভুক্তভোগী গৃহবধূর মা সুফিয়া বেগম থানায় লিখিত অভিযোগ করলে বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের নজরে আসে। দুই সন্তানের জননী শারমিন আক্তার একই গ্রামের আলমগীর হোসেনের স্ত্রী। আলমগীর সাদা মিয়ার ছেলে। তিনি হাটে ছাগল বেচাকেনা করেন।
হাসপাতালে শারমিনের পাশে থাকা তাঁর মা সুফিয়া বেগম বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে মেয়েকে নির্যাতন করে আসছে আলমগীর। আজকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে এমন নৃশংস নির্যাতন করেছে। আমরা থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজ উদ্দিন খন্দকার বলেন, ঘটনাটি জানার পরই হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। রাতে ওই নারীর মা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে দাম্পত্য কলহের জেরে শারমিন আক্তার (২৮) নামের এক গৃহবধূর মুখে গরম রডের ছ্যাঁকা ও কাঁচি দিয়ে পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামী আলমগীর হোসেনের (৩৫) বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে আলমগীর পলাতক রয়েছেন।
গতকাল সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় শারমিনকে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিছানায় যন্ত্রণায় কাতরাতে দেখা যায়। এর আগে সকাল ১০টার দিকে উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের ছোট দাউদপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় স্থানীয় গ্রাম পুলিশ ও প্রতিবেশীরা শারমিনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
দিনভর ঘটনাটি গোপন থাকলেও সোমবার রাতে ভুক্তভোগী গৃহবধূর মা সুফিয়া বেগম থানায় লিখিত অভিযোগ করলে বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের নজরে আসে। দুই সন্তানের জননী শারমিন আক্তার একই গ্রামের আলমগীর হোসেনের স্ত্রী। আলমগীর সাদা মিয়ার ছেলে। তিনি হাটে ছাগল বেচাকেনা করেন।
হাসপাতালে শারমিনের পাশে থাকা তাঁর মা সুফিয়া বেগম বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে মেয়েকে নির্যাতন করে আসছে আলমগীর। আজকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে এমন নৃশংস নির্যাতন করেছে। আমরা থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজ উদ্দিন খন্দকার বলেন, ঘটনাটি জানার পরই হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। রাতে ওই নারীর মা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। পিছিয়ে পড়া এই জনপদেও পড়েছে সরকারের পরিকল্পিত উন্নয়নের ছোঁয়া। শিল্প, যোগাযোগ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে কৃষিনির্ভর জনপদে এসেছে অভূতপূর্ব পরিবর্তন।
১১ জুলাই ২০২৩
কার্যক্রম নিষিদ্ধঘোষিত ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. ফারুক হোসেনকে (৭২) আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা এক তরুণীকেও আটক করা হয়। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী এলাকার ডায়াবেটিক হাসপাতাল-সংলগ্ন নূরজাহান ভবন থেকে তাঁদের আটক করে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ।
১ মিনিট আগে
‘ভাই, আমি যে চাকরি করি, আমি ভাই এর মধ্যে কোনো ফাঁক রাখি না। আমি যদি ৫ টাকা খাই, এ কাজ আমি করি না যে সিনিয়র অফিসারকে ফাঁকি দেব। এ কাজ আমি করি না, কোনো দিনও না। এখন আমার কোনো সমস্যা হলে সিনিয়র অফিসার আমাকে সেফ করে কীভাবে?’
৪ মিনিট আগে
এক বছরের বেশি সময় আগে খুলনা জেলা পরিষদ থেকে গায়েব হয়ে যাওয়া বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম মাহাবুবুর রহমানের কক্ষ থেকে ৬টি নথি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন জেলা পরিষদের প্রধান সহকারী মো. সহিদুল ইসলাম।
৭ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

এক বছরের বেশি সময় আগে খুলনা জেলা পরিষদ থেকে গায়েব হয়ে যাওয়া বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম মাহাবুবুর রহমানের কক্ষ থেকে ৬টি নথি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন জেলা পরিষদের প্রধান সহকারী মো. সহিদুল ইসলাম।
এর আগে এসব নথির তথ্য চেয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের জেলা পরিষদ শাখার উপসচিবের কাছে চিঠি দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ২১ এপ্রিল সংস্থাটির খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে ওই চিঠি পাঠানো হয়।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জেলা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন নথি গায়েব হয়ে যায়। এ ঘটনায় ৯ আগস্ট জেলা পরিষদের প্রধান সহকারী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খুলনা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি ও ১৭ আগস্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান বাদী হয়ে একই থানায় অজ্ঞাতনামা ২০০-২৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
এজাহারে বলা হয়, জুলাই আন্দোলনের সময় ২০০-২৫০ জন সশস্ত্র ব্যক্তি জেলা পরিষদের প্রধান ফটক ভেঙে হামলা চালায়। এ সময় তারা অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথিসহ বিভিন্ন মালপত্র পুড়িয়ে দিয়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। এ ছাড়া আসামিরা ১ কোটি ৮৯ লাখ ৫ হাজার ৩৬০ টাকার মালপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। তারা জেলা পরিষদ ভবনের প্রতিটি কক্ষে থাকা জিনিসপত্র নিয়ে গেছে। এর মধ্যে চেকবই, চেক রেজিস্টার, ক্যাশবই, জমি ইজারা রেজিস্টার, অডিট রেজিস্টার, খেয়াঘাট রেজিস্টার, ব্যাংক হিসাব-সংক্রান্ত নথি প্রভৃতি রয়েছে।
এদিকে গত ২১ এপ্রিল ২০১৮-১৯ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন ও চলমান রয়েছে তার তালিকা ও বরাদ্দ করা নথির তথ্য চেয়ে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের জেলা পরিষদ শাখার উপসচিবের কাছে চিঠি দেয় দুদক। কিন্তু জেলা পরিষদ থেকে লিখিতভাবে জানানো হয় যে, নথি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
জেলা পরিষদ সূত্র জানায়, প্রকৃতপক্ষে ২৮৪টি নথি পাওয়া গেলেও গুরুত্বপূর্ণ ৬টির হদিস মেলেনি। গতকাল সোমবার দুপুরে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তারের নেতৃত্বে এসব নথির খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। একপর্যায়ে এস এম মাহাবুবুর রহমানের কক্ষ থেকে সেগুলো উদ্ধার করা হয়। তবে মাহাবুবুর রহমানের দাবি, ‘কিছু ফাইল কর্মচারীরা পেয়ে আমার আলমারিতে রেখেছিল। ওটা এমন কিছু না।’ এই নথিগুলো দুদক চেয়েছিল কি? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমার স্মরণে নেই।’
তাছলিমা আক্তার বলেন, ‘যে ফাইলগুলো পাওয়া গেছে, এগুলো ২১ এপ্রিল দুদক আমাদের কাছে চেয়েছিল। ৫ আগস্টের পর আমরা যে ফাইলগুলো বা নথি উদ্ধার করেছিলাম তার মধ্যে এগুলো ছিল না। এসব নথি উদ্ধারের বিষয়টি স্থানীয় সরকার ও দুদককে জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, মাহাবুবুর রহমানকে ইতিপূর্বে দুই দফায় নেত্রকোনা ও বগুড়া জেলা পরিষদে বদলি করা হয়। এর মধ্যে নেত্রকোনায় যোগদানের দুদিন পরেই ফের বদলির আদেশ নিয়ে খুলনায় ফেরেন। আর বগুড়ায় শেষ পর্যন্ত তাঁকে যেতেই হয়নি।

এক বছরের বেশি সময় আগে খুলনা জেলা পরিষদ থেকে গায়েব হয়ে যাওয়া বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম মাহাবুবুর রহমানের কক্ষ থেকে ৬টি নথি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন জেলা পরিষদের প্রধান সহকারী মো. সহিদুল ইসলাম।
এর আগে এসব নথির তথ্য চেয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের জেলা পরিষদ শাখার উপসচিবের কাছে চিঠি দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ২১ এপ্রিল সংস্থাটির খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে ওই চিঠি পাঠানো হয়।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জেলা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন নথি গায়েব হয়ে যায়। এ ঘটনায় ৯ আগস্ট জেলা পরিষদের প্রধান সহকারী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খুলনা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি ও ১৭ আগস্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান বাদী হয়ে একই থানায় অজ্ঞাতনামা ২০০-২৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
এজাহারে বলা হয়, জুলাই আন্দোলনের সময় ২০০-২৫০ জন সশস্ত্র ব্যক্তি জেলা পরিষদের প্রধান ফটক ভেঙে হামলা চালায়। এ সময় তারা অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথিসহ বিভিন্ন মালপত্র পুড়িয়ে দিয়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। এ ছাড়া আসামিরা ১ কোটি ৮৯ লাখ ৫ হাজার ৩৬০ টাকার মালপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। তারা জেলা পরিষদ ভবনের প্রতিটি কক্ষে থাকা জিনিসপত্র নিয়ে গেছে। এর মধ্যে চেকবই, চেক রেজিস্টার, ক্যাশবই, জমি ইজারা রেজিস্টার, অডিট রেজিস্টার, খেয়াঘাট রেজিস্টার, ব্যাংক হিসাব-সংক্রান্ত নথি প্রভৃতি রয়েছে।
এদিকে গত ২১ এপ্রিল ২০১৮-১৯ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন ও চলমান রয়েছে তার তালিকা ও বরাদ্দ করা নথির তথ্য চেয়ে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের জেলা পরিষদ শাখার উপসচিবের কাছে চিঠি দেয় দুদক। কিন্তু জেলা পরিষদ থেকে লিখিতভাবে জানানো হয় যে, নথি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
জেলা পরিষদ সূত্র জানায়, প্রকৃতপক্ষে ২৮৪টি নথি পাওয়া গেলেও গুরুত্বপূর্ণ ৬টির হদিস মেলেনি। গতকাল সোমবার দুপুরে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তারের নেতৃত্বে এসব নথির খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। একপর্যায়ে এস এম মাহাবুবুর রহমানের কক্ষ থেকে সেগুলো উদ্ধার করা হয়। তবে মাহাবুবুর রহমানের দাবি, ‘কিছু ফাইল কর্মচারীরা পেয়ে আমার আলমারিতে রেখেছিল। ওটা এমন কিছু না।’ এই নথিগুলো দুদক চেয়েছিল কি? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমার স্মরণে নেই।’
তাছলিমা আক্তার বলেন, ‘যে ফাইলগুলো পাওয়া গেছে, এগুলো ২১ এপ্রিল দুদক আমাদের কাছে চেয়েছিল। ৫ আগস্টের পর আমরা যে ফাইলগুলো বা নথি উদ্ধার করেছিলাম তার মধ্যে এগুলো ছিল না। এসব নথি উদ্ধারের বিষয়টি স্থানীয় সরকার ও দুদককে জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, মাহাবুবুর রহমানকে ইতিপূর্বে দুই দফায় নেত্রকোনা ও বগুড়া জেলা পরিষদে বদলি করা হয়। এর মধ্যে নেত্রকোনায় যোগদানের দুদিন পরেই ফের বদলির আদেশ নিয়ে খুলনায় ফেরেন। আর বগুড়ায় শেষ পর্যন্ত তাঁকে যেতেই হয়নি।

বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। পিছিয়ে পড়া এই জনপদেও পড়েছে সরকারের পরিকল্পিত উন্নয়নের ছোঁয়া। শিল্প, যোগাযোগ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে কৃষিনির্ভর জনপদে এসেছে অভূতপূর্ব পরিবর্তন।
১১ জুলাই ২০২৩
কার্যক্রম নিষিদ্ধঘোষিত ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. ফারুক হোসেনকে (৭২) আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা এক তরুণীকেও আটক করা হয়। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী এলাকার ডায়াবেটিক হাসপাতাল-সংলগ্ন নূরজাহান ভবন থেকে তাঁদের আটক করে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ।
১ মিনিট আগে
‘ভাই, আমি যে চাকরি করি, আমি ভাই এর মধ্যে কোনো ফাঁক রাখি না। আমি যদি ৫ টাকা খাই, এ কাজ আমি করি না যে সিনিয়র অফিসারকে ফাঁকি দেব। এ কাজ আমি করি না, কোনো দিনও না। এখন আমার কোনো সমস্যা হলে সিনিয়র অফিসার আমাকে সেফ করে কীভাবে?’
৪ মিনিট আগে
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে দাম্পত্য কলহের জেরে শারমিন আক্তার (২৮) নামের এক গৃহবধূর মুখে গরম রডের ছ্যাঁকা ও কাঁচি দিয়ে পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামী আলমগীর হোসেনের (৩৫) বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে আলমগীর পলাতক রয়েছেন। গতকাল সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় শারমিনকে সাদুল্লাপুর...
২০ মিনিট আগে