পাবনা প্রতিনিধি
পাবনা সদর হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম। রাস্তা খারাপ হওয়ায় মাথায় করে সবজির ঝুড়ি বাজারে নিতে দেরি হয়ে যায়। এ জন্য এখন ব্যাপারীরা তাঁর সবজি তেমন নিতে চান না। বাধ্য হয়ে শহিদুলকে কম দামে বিক্রি করতে হয় কষ্টার্জিত ফসল।
আফসোসের সুরে শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এগুলোর যদি সঠিক মূল্য পাওয়া যেত, তবে কৃষকদের ভাগ্য বদলে যেত। রাস্তার জন্য সেটি আর হচ্ছে না। আবাদ করে শান্তি নাই, সবজি বাজারে আনতে শান্তি নাই।’ শুধু শহিদুল ইসলাম নন, তাঁর মতো একই আক্ষেপ ১০ গ্রামের মানুষের।
হেমায়েতপুর ইউনিয়নের শানিকদিয়ার মন্ডল মোড়ে রয়েছে কাঁচা সবজি বিক্রির পাইকারি আড়ত। সেখানে প্রতিদিন বিক্রি হয় প্রায় ২০ লাখ টাকার বিভিন্ন রকম সবজি। ভোরের আলো না ফুটতে জেগে ওঠে এই বাজার। চরাঞ্চলের আশপাশের অন্তত ১০টি গ্রাম থেকে প্রতিদিন ভোররাত থেকে সকাল পর্যন্ত নিজেদের উৎপাদিত সবজি বিক্রি করেন কৃষকেরা। কিন্তু স্থানীয় কৃষকদের দুঃখ সেই বাজারে যাতায়াতে সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়ক নিয়ে। সড়কের অবস্থা খুবই বেহাল। একটু বৃষ্টি হলে কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায়। তখন ফসল বাজারে নিতে গিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন কৃষকেরা। রাস্তাটির কারণে সঠিক সময়ে উৎপাদিত সবজি নিয়ে বাজারে না আসতে পারায় ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা। এ ছাড়াও সড়কের দুর্দশার কারণে রোগী নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এই সড়ক দিয়ে স্কুল-কলেজে যেতে ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর, ভগীরথপুর, রতনপুর, জয়েনপুর, বোয়ালগাড়ী এবং ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামসহ অন্তত ১০ গ্রামের চরের বালুতে ফলে সবুজ সতেজ সবজি। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে কলাবাগান ও সবুজ সবজিখেত। মরিচ, কলা, কুমড়া, লাউ, ঝিঙে, ধুন্দল, করলা, মিষ্টিকুমড়া, মুলাসহ বিভিন্ন সবজির আবাদ হয় এখানে। এসব সবজি মন্ডল মোড় বাজারে নিতে হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ভগীরথপুর থেকে ভুইড়ির ছাম মোড় পর্যন্ত প্রায় সাড়ে সাড়ে ৩ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক হয়ে যেতে হয়।
কৃষকেরা বলছেন, এই বাজার থেকে ট্রাকে ভরে ব্যাপারীরা এসব সবজি কিনে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যান। বাইরের জেলার ব্যাপারীরা এই বাজার থেকে কাঁচামাল কেনায় কৃষকদের ভালো দাম পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বেহাল সড়কের কারণে তাঁদের সব কষ্ট বিফলে যাচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতে কোথাও হাঁটু আবার কোথাও কোমর পর্যন্ত পানি হয়। ফলে মাঠ থেকে তোলা ফসল ভ্যান বা মহিষের গাড়িতে করে বাজারে নিয়ে যাওয়া দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে পড়ে। এবড়োখেবড়ো পথের জন্য গুনতে হয় বাড়তি ভাড়া। বাধ্য হয়ে ঝাঁকবোঝাই ফসল মাথায় নিয়ে কয়েক বাজারে নিতে হচ্ছে কৃষকদের। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়ছেন তাঁরা। শ্রমিক ও পরিবহন সংকটে অনেক সময় খেতেই নষ্ট হয় কষ্টের ফসল।
ভগীরথপুর গ্রামের কৃষক জফির মাঝি বলেন, ‘শুধু পদ্মার চর থেকেই প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার সবজি বাজারে যায়। নদীটুকু নৌকায় এলেও এখান থেকে সবজি বাজারে নেওয়ার উপায় নেই। মাথায় করে দফায় দফায় বাজারে নিতে হয়। সরকার ওই রাস্তাটুকু যদি পাকা করে দিত, তাহলে কৃষকের সবচেয়ে বেশি উপকার হতো।’
আরেক কৃষক হাসান আলী বলেন, ‘গাড়িতে করে মাল (সবজি) কীভাবে আনব ভাই, হেঁটে চলার মতো উপায়ই তো নাই। ভাঙাচোরা, গর্ত যা-ই থাক, শুকনা সময়ে তবু ৫০ টাকার জায়গায় ১০০ টাকা দিলে এক ঝাঁকি সবজি নিতে ভ্যান পাওয়া যায়। কিন্তু বৃষ্টি হলে ৫০০ টাকায়ও সেটা পাওয়া যায় না।’
স্থানীয় উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক মোক্তার হোসেন বলেন, ‘রাস্তার কারণে রোগীকে সঠিক সময়ে হাসপাতালে নেওয়া যায় না। বিশেষ করে কোনো অন্তঃসত্ত্বা মাকে নিয়ে কী যে বিপাকে পড়তে হয়, এখানকার মানুষই বোঝে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যোগাযোগব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় স্কুলে উপস্থিতি কমছে। বিশেষ করে মেয়েদের উপস্থিতি খুবই কম। এতে বাল্যবিবাহ বাড়ছে। সার্বিক দিক বিবেচনা করতে গেলে এই এলাকায় সবার আগে একটি পাকা সড়ক প্রয়োজন।’
এ বিষয়ে পাবনা বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী আফনান আজম রুদ্র বলেন, ‘ওই এলাকাগুলোতে কৃষকেরা উৎপাদিত ফসল বাজারে নিতে ভোগান্তিতে পড়ছেন বলে জেনেছি। আমাদের প্রকল্প পরিকল্পনা রয়েছে, তাতে সড়কটি রাখার চিন্তা করেছি। অনুমোদন পেলে সড়ক নির্মাণ করা হবে।’
পাবনা সদর হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম। রাস্তা খারাপ হওয়ায় মাথায় করে সবজির ঝুড়ি বাজারে নিতে দেরি হয়ে যায়। এ জন্য এখন ব্যাপারীরা তাঁর সবজি তেমন নিতে চান না। বাধ্য হয়ে শহিদুলকে কম দামে বিক্রি করতে হয় কষ্টার্জিত ফসল।
আফসোসের সুরে শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এগুলোর যদি সঠিক মূল্য পাওয়া যেত, তবে কৃষকদের ভাগ্য বদলে যেত। রাস্তার জন্য সেটি আর হচ্ছে না। আবাদ করে শান্তি নাই, সবজি বাজারে আনতে শান্তি নাই।’ শুধু শহিদুল ইসলাম নন, তাঁর মতো একই আক্ষেপ ১০ গ্রামের মানুষের।
হেমায়েতপুর ইউনিয়নের শানিকদিয়ার মন্ডল মোড়ে রয়েছে কাঁচা সবজি বিক্রির পাইকারি আড়ত। সেখানে প্রতিদিন বিক্রি হয় প্রায় ২০ লাখ টাকার বিভিন্ন রকম সবজি। ভোরের আলো না ফুটতে জেগে ওঠে এই বাজার। চরাঞ্চলের আশপাশের অন্তত ১০টি গ্রাম থেকে প্রতিদিন ভোররাত থেকে সকাল পর্যন্ত নিজেদের উৎপাদিত সবজি বিক্রি করেন কৃষকেরা। কিন্তু স্থানীয় কৃষকদের দুঃখ সেই বাজারে যাতায়াতে সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়ক নিয়ে। সড়কের অবস্থা খুবই বেহাল। একটু বৃষ্টি হলে কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায়। তখন ফসল বাজারে নিতে গিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন কৃষকেরা। রাস্তাটির কারণে সঠিক সময়ে উৎপাদিত সবজি নিয়ে বাজারে না আসতে পারায় ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা। এ ছাড়াও সড়কের দুর্দশার কারণে রোগী নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এই সড়ক দিয়ে স্কুল-কলেজে যেতে ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর, ভগীরথপুর, রতনপুর, জয়েনপুর, বোয়ালগাড়ী এবং ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামসহ অন্তত ১০ গ্রামের চরের বালুতে ফলে সবুজ সতেজ সবজি। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে কলাবাগান ও সবুজ সবজিখেত। মরিচ, কলা, কুমড়া, লাউ, ঝিঙে, ধুন্দল, করলা, মিষ্টিকুমড়া, মুলাসহ বিভিন্ন সবজির আবাদ হয় এখানে। এসব সবজি মন্ডল মোড় বাজারে নিতে হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ভগীরথপুর থেকে ভুইড়ির ছাম মোড় পর্যন্ত প্রায় সাড়ে সাড়ে ৩ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক হয়ে যেতে হয়।
কৃষকেরা বলছেন, এই বাজার থেকে ট্রাকে ভরে ব্যাপারীরা এসব সবজি কিনে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যান। বাইরের জেলার ব্যাপারীরা এই বাজার থেকে কাঁচামাল কেনায় কৃষকদের ভালো দাম পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বেহাল সড়কের কারণে তাঁদের সব কষ্ট বিফলে যাচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতে কোথাও হাঁটু আবার কোথাও কোমর পর্যন্ত পানি হয়। ফলে মাঠ থেকে তোলা ফসল ভ্যান বা মহিষের গাড়িতে করে বাজারে নিয়ে যাওয়া দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে পড়ে। এবড়োখেবড়ো পথের জন্য গুনতে হয় বাড়তি ভাড়া। বাধ্য হয়ে ঝাঁকবোঝাই ফসল মাথায় নিয়ে কয়েক বাজারে নিতে হচ্ছে কৃষকদের। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়ছেন তাঁরা। শ্রমিক ও পরিবহন সংকটে অনেক সময় খেতেই নষ্ট হয় কষ্টের ফসল।
ভগীরথপুর গ্রামের কৃষক জফির মাঝি বলেন, ‘শুধু পদ্মার চর থেকেই প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার সবজি বাজারে যায়। নদীটুকু নৌকায় এলেও এখান থেকে সবজি বাজারে নেওয়ার উপায় নেই। মাথায় করে দফায় দফায় বাজারে নিতে হয়। সরকার ওই রাস্তাটুকু যদি পাকা করে দিত, তাহলে কৃষকের সবচেয়ে বেশি উপকার হতো।’
আরেক কৃষক হাসান আলী বলেন, ‘গাড়িতে করে মাল (সবজি) কীভাবে আনব ভাই, হেঁটে চলার মতো উপায়ই তো নাই। ভাঙাচোরা, গর্ত যা-ই থাক, শুকনা সময়ে তবু ৫০ টাকার জায়গায় ১০০ টাকা দিলে এক ঝাঁকি সবজি নিতে ভ্যান পাওয়া যায়। কিন্তু বৃষ্টি হলে ৫০০ টাকায়ও সেটা পাওয়া যায় না।’
স্থানীয় উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক মোক্তার হোসেন বলেন, ‘রাস্তার কারণে রোগীকে সঠিক সময়ে হাসপাতালে নেওয়া যায় না। বিশেষ করে কোনো অন্তঃসত্ত্বা মাকে নিয়ে কী যে বিপাকে পড়তে হয়, এখানকার মানুষই বোঝে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যোগাযোগব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় স্কুলে উপস্থিতি কমছে। বিশেষ করে মেয়েদের উপস্থিতি খুবই কম। এতে বাল্যবিবাহ বাড়ছে। সার্বিক দিক বিবেচনা করতে গেলে এই এলাকায় সবার আগে একটি পাকা সড়ক প্রয়োজন।’
এ বিষয়ে পাবনা বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী আফনান আজম রুদ্র বলেন, ‘ওই এলাকাগুলোতে কৃষকেরা উৎপাদিত ফসল বাজারে নিতে ভোগান্তিতে পড়ছেন বলে জেনেছি। আমাদের প্রকল্প পরিকল্পনা রয়েছে, তাতে সড়কটি রাখার চিন্তা করেছি। অনুমোদন পেলে সড়ক নির্মাণ করা হবে।’
পাবনা প্রতিনিধি
পাবনা সদর হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম। রাস্তা খারাপ হওয়ায় মাথায় করে সবজির ঝুড়ি বাজারে নিতে দেরি হয়ে যায়। এ জন্য এখন ব্যাপারীরা তাঁর সবজি তেমন নিতে চান না। বাধ্য হয়ে শহিদুলকে কম দামে বিক্রি করতে হয় কষ্টার্জিত ফসল।
আফসোসের সুরে শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এগুলোর যদি সঠিক মূল্য পাওয়া যেত, তবে কৃষকদের ভাগ্য বদলে যেত। রাস্তার জন্য সেটি আর হচ্ছে না। আবাদ করে শান্তি নাই, সবজি বাজারে আনতে শান্তি নাই।’ শুধু শহিদুল ইসলাম নন, তাঁর মতো একই আক্ষেপ ১০ গ্রামের মানুষের।
হেমায়েতপুর ইউনিয়নের শানিকদিয়ার মন্ডল মোড়ে রয়েছে কাঁচা সবজি বিক্রির পাইকারি আড়ত। সেখানে প্রতিদিন বিক্রি হয় প্রায় ২০ লাখ টাকার বিভিন্ন রকম সবজি। ভোরের আলো না ফুটতে জেগে ওঠে এই বাজার। চরাঞ্চলের আশপাশের অন্তত ১০টি গ্রাম থেকে প্রতিদিন ভোররাত থেকে সকাল পর্যন্ত নিজেদের উৎপাদিত সবজি বিক্রি করেন কৃষকেরা। কিন্তু স্থানীয় কৃষকদের দুঃখ সেই বাজারে যাতায়াতে সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়ক নিয়ে। সড়কের অবস্থা খুবই বেহাল। একটু বৃষ্টি হলে কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায়। তখন ফসল বাজারে নিতে গিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন কৃষকেরা। রাস্তাটির কারণে সঠিক সময়ে উৎপাদিত সবজি নিয়ে বাজারে না আসতে পারায় ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা। এ ছাড়াও সড়কের দুর্দশার কারণে রোগী নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এই সড়ক দিয়ে স্কুল-কলেজে যেতে ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর, ভগীরথপুর, রতনপুর, জয়েনপুর, বোয়ালগাড়ী এবং ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামসহ অন্তত ১০ গ্রামের চরের বালুতে ফলে সবুজ সতেজ সবজি। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে কলাবাগান ও সবুজ সবজিখেত। মরিচ, কলা, কুমড়া, লাউ, ঝিঙে, ধুন্দল, করলা, মিষ্টিকুমড়া, মুলাসহ বিভিন্ন সবজির আবাদ হয় এখানে। এসব সবজি মন্ডল মোড় বাজারে নিতে হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ভগীরথপুর থেকে ভুইড়ির ছাম মোড় পর্যন্ত প্রায় সাড়ে সাড়ে ৩ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক হয়ে যেতে হয়।
কৃষকেরা বলছেন, এই বাজার থেকে ট্রাকে ভরে ব্যাপারীরা এসব সবজি কিনে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যান। বাইরের জেলার ব্যাপারীরা এই বাজার থেকে কাঁচামাল কেনায় কৃষকদের ভালো দাম পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বেহাল সড়কের কারণে তাঁদের সব কষ্ট বিফলে যাচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতে কোথাও হাঁটু আবার কোথাও কোমর পর্যন্ত পানি হয়। ফলে মাঠ থেকে তোলা ফসল ভ্যান বা মহিষের গাড়িতে করে বাজারে নিয়ে যাওয়া দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে পড়ে। এবড়োখেবড়ো পথের জন্য গুনতে হয় বাড়তি ভাড়া। বাধ্য হয়ে ঝাঁকবোঝাই ফসল মাথায় নিয়ে কয়েক বাজারে নিতে হচ্ছে কৃষকদের। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়ছেন তাঁরা। শ্রমিক ও পরিবহন সংকটে অনেক সময় খেতেই নষ্ট হয় কষ্টের ফসল।
ভগীরথপুর গ্রামের কৃষক জফির মাঝি বলেন, ‘শুধু পদ্মার চর থেকেই প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার সবজি বাজারে যায়। নদীটুকু নৌকায় এলেও এখান থেকে সবজি বাজারে নেওয়ার উপায় নেই। মাথায় করে দফায় দফায় বাজারে নিতে হয়। সরকার ওই রাস্তাটুকু যদি পাকা করে দিত, তাহলে কৃষকের সবচেয়ে বেশি উপকার হতো।’
আরেক কৃষক হাসান আলী বলেন, ‘গাড়িতে করে মাল (সবজি) কীভাবে আনব ভাই, হেঁটে চলার মতো উপায়ই তো নাই। ভাঙাচোরা, গর্ত যা-ই থাক, শুকনা সময়ে তবু ৫০ টাকার জায়গায় ১০০ টাকা দিলে এক ঝাঁকি সবজি নিতে ভ্যান পাওয়া যায়। কিন্তু বৃষ্টি হলে ৫০০ টাকায়ও সেটা পাওয়া যায় না।’
স্থানীয় উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক মোক্তার হোসেন বলেন, ‘রাস্তার কারণে রোগীকে সঠিক সময়ে হাসপাতালে নেওয়া যায় না। বিশেষ করে কোনো অন্তঃসত্ত্বা মাকে নিয়ে কী যে বিপাকে পড়তে হয়, এখানকার মানুষই বোঝে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যোগাযোগব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় স্কুলে উপস্থিতি কমছে। বিশেষ করে মেয়েদের উপস্থিতি খুবই কম। এতে বাল্যবিবাহ বাড়ছে। সার্বিক দিক বিবেচনা করতে গেলে এই এলাকায় সবার আগে একটি পাকা সড়ক প্রয়োজন।’
এ বিষয়ে পাবনা বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী আফনান আজম রুদ্র বলেন, ‘ওই এলাকাগুলোতে কৃষকেরা উৎপাদিত ফসল বাজারে নিতে ভোগান্তিতে পড়ছেন বলে জেনেছি। আমাদের প্রকল্প পরিকল্পনা রয়েছে, তাতে সড়কটি রাখার চিন্তা করেছি। অনুমোদন পেলে সড়ক নির্মাণ করা হবে।’
পাবনা সদর হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম। রাস্তা খারাপ হওয়ায় মাথায় করে সবজির ঝুড়ি বাজারে নিতে দেরি হয়ে যায়। এ জন্য এখন ব্যাপারীরা তাঁর সবজি তেমন নিতে চান না। বাধ্য হয়ে শহিদুলকে কম দামে বিক্রি করতে হয় কষ্টার্জিত ফসল।
আফসোসের সুরে শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এগুলোর যদি সঠিক মূল্য পাওয়া যেত, তবে কৃষকদের ভাগ্য বদলে যেত। রাস্তার জন্য সেটি আর হচ্ছে না। আবাদ করে শান্তি নাই, সবজি বাজারে আনতে শান্তি নাই।’ শুধু শহিদুল ইসলাম নন, তাঁর মতো একই আক্ষেপ ১০ গ্রামের মানুষের।
হেমায়েতপুর ইউনিয়নের শানিকদিয়ার মন্ডল মোড়ে রয়েছে কাঁচা সবজি বিক্রির পাইকারি আড়ত। সেখানে প্রতিদিন বিক্রি হয় প্রায় ২০ লাখ টাকার বিভিন্ন রকম সবজি। ভোরের আলো না ফুটতে জেগে ওঠে এই বাজার। চরাঞ্চলের আশপাশের অন্তত ১০টি গ্রাম থেকে প্রতিদিন ভোররাত থেকে সকাল পর্যন্ত নিজেদের উৎপাদিত সবজি বিক্রি করেন কৃষকেরা। কিন্তু স্থানীয় কৃষকদের দুঃখ সেই বাজারে যাতায়াতে সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়ক নিয়ে। সড়কের অবস্থা খুবই বেহাল। একটু বৃষ্টি হলে কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায়। তখন ফসল বাজারে নিতে গিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন কৃষকেরা। রাস্তাটির কারণে সঠিক সময়ে উৎপাদিত সবজি নিয়ে বাজারে না আসতে পারায় ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা। এ ছাড়াও সড়কের দুর্দশার কারণে রোগী নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এই সড়ক দিয়ে স্কুল-কলেজে যেতে ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর, ভগীরথপুর, রতনপুর, জয়েনপুর, বোয়ালগাড়ী এবং ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামসহ অন্তত ১০ গ্রামের চরের বালুতে ফলে সবুজ সতেজ সবজি। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে কলাবাগান ও সবুজ সবজিখেত। মরিচ, কলা, কুমড়া, লাউ, ঝিঙে, ধুন্দল, করলা, মিষ্টিকুমড়া, মুলাসহ বিভিন্ন সবজির আবাদ হয় এখানে। এসব সবজি মন্ডল মোড় বাজারে নিতে হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ভগীরথপুর থেকে ভুইড়ির ছাম মোড় পর্যন্ত প্রায় সাড়ে সাড়ে ৩ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক হয়ে যেতে হয়।
কৃষকেরা বলছেন, এই বাজার থেকে ট্রাকে ভরে ব্যাপারীরা এসব সবজি কিনে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যান। বাইরের জেলার ব্যাপারীরা এই বাজার থেকে কাঁচামাল কেনায় কৃষকদের ভালো দাম পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বেহাল সড়কের কারণে তাঁদের সব কষ্ট বিফলে যাচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতে কোথাও হাঁটু আবার কোথাও কোমর পর্যন্ত পানি হয়। ফলে মাঠ থেকে তোলা ফসল ভ্যান বা মহিষের গাড়িতে করে বাজারে নিয়ে যাওয়া দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে পড়ে। এবড়োখেবড়ো পথের জন্য গুনতে হয় বাড়তি ভাড়া। বাধ্য হয়ে ঝাঁকবোঝাই ফসল মাথায় নিয়ে কয়েক বাজারে নিতে হচ্ছে কৃষকদের। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়ছেন তাঁরা। শ্রমিক ও পরিবহন সংকটে অনেক সময় খেতেই নষ্ট হয় কষ্টের ফসল।
ভগীরথপুর গ্রামের কৃষক জফির মাঝি বলেন, ‘শুধু পদ্মার চর থেকেই প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার সবজি বাজারে যায়। নদীটুকু নৌকায় এলেও এখান থেকে সবজি বাজারে নেওয়ার উপায় নেই। মাথায় করে দফায় দফায় বাজারে নিতে হয়। সরকার ওই রাস্তাটুকু যদি পাকা করে দিত, তাহলে কৃষকের সবচেয়ে বেশি উপকার হতো।’
আরেক কৃষক হাসান আলী বলেন, ‘গাড়িতে করে মাল (সবজি) কীভাবে আনব ভাই, হেঁটে চলার মতো উপায়ই তো নাই। ভাঙাচোরা, গর্ত যা-ই থাক, শুকনা সময়ে তবু ৫০ টাকার জায়গায় ১০০ টাকা দিলে এক ঝাঁকি সবজি নিতে ভ্যান পাওয়া যায়। কিন্তু বৃষ্টি হলে ৫০০ টাকায়ও সেটা পাওয়া যায় না।’
স্থানীয় উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক মোক্তার হোসেন বলেন, ‘রাস্তার কারণে রোগীকে সঠিক সময়ে হাসপাতালে নেওয়া যায় না। বিশেষ করে কোনো অন্তঃসত্ত্বা মাকে নিয়ে কী যে বিপাকে পড়তে হয়, এখানকার মানুষই বোঝে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যোগাযোগব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় স্কুলে উপস্থিতি কমছে। বিশেষ করে মেয়েদের উপস্থিতি খুবই কম। এতে বাল্যবিবাহ বাড়ছে। সার্বিক দিক বিবেচনা করতে গেলে এই এলাকায় সবার আগে একটি পাকা সড়ক প্রয়োজন।’
এ বিষয়ে পাবনা বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী আফনান আজম রুদ্র বলেন, ‘ওই এলাকাগুলোতে কৃষকেরা উৎপাদিত ফসল বাজারে নিতে ভোগান্তিতে পড়ছেন বলে জেনেছি। আমাদের প্রকল্প পরিকল্পনা রয়েছে, তাতে সড়কটি রাখার চিন্তা করেছি। অনুমোদন পেলে সড়ক নির্মাণ করা হবে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি মনে করি প্রথম যে জিনিসটি করতে হবে, সরকারকে তাৎক্ষণিক তদন্ত করতে হবে যারা এটা করেছে, তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। আমাদের এ নিয়ে স্ট্রং পলিসি থাকতে হবে, যেন জনবহুল এলাকায় এ ধরনের ক্ষেত্রগুলো না থাকে।’
২৫ মিনিট আগেবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিয়ালবাড়িতে শাহ আলম নামের রাসায়নিকের গুদাম ও সংলগ্ন প্রিন্টিং কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ১৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
৩৭ মিনিট আগেস্বচ্ছতা ও জন-অংশগ্রহণের মাধ্যমে স্থানীয় উন্নয়নের রূপরেখা তৈরির লক্ষ্যে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের উন্মুক্ত বাজেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পার্টিসিপাটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক (প্রান)-এর উদ্যোগে এই অধিবেশনটি সুবর্ণচর উপজেলার ৮ নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ
৪১ মিনিট আগেরাজধানীর কলাবাগানে স্ত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যার পর লাশ ডিপ ফ্রিজে রেখে স্বামীর পলায়নের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় স্বামী মো. নজরুল ইসলামকে (৫৯) গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কলাবাগান থানা-পুলিশ। মামলা দায়ের করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানি
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মিরপুরের রূপনগর আবাসিক এলাকার শিয়ালবাড়িতে একটি রাসায়নিকের গুদাম ও পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। একই সঙ্গে জনবহুল এলাকায় অবৈধভাবে আলম ট্রেডার্স নামের ওই রাসায়নিক গুদাম নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেছেন, জনবহুল এলাকা থেকে অতিসত্বর রাসায়নিক গুদাম উৎখাত করা দরকার।
আজ বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রূপনগর আবাসিক এলাকার শিয়ালবাড়িতে একটি টিনশেড দোতলা রাসায়নিক গুদামে আগুন লাগে এবং বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেই আগুন পাশের চারতলা ভবনে ছড়িয়ে পড়ে।
পরে চারতলা ভবনের দোতলা ও তিনতলার বিভিন্ন স্থান থেকে ১৬টি লাশ উদ্ধার করা হয়।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি মনে করি প্রথম যে জিনিসটি করতে হবে, সরকারকে তাৎক্ষণিক তদন্ত করতে হবে যারা এটা করেছে, তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। আমাদের এ নিয়ে স্ট্রং পলিসি থাকতে হবে, যেন জনবহুল এলাকায় এ ধরনের ক্ষেত্রগুলো না থাকে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘এর আগেও পুরান ঢাকায় এ রকম ঘটনা ঘটেছে। যেহেতু ওইটা একটি জনবহুল এলাকা, সে কারণে ওই জায়গা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার ফলে যেটা হয়েছে, প্রাইভেট এই ক্ষেত্রগুলো বিভিন্ন জায়গায় চলে গেছে। এটা চিহ্নিত করে আমাদের অতিসত্বর জরুরিভাবে এগুলোকে উৎখাত করা দরকার, যাতে জনবহুল এলাকা থেকে এগুলো বের হয়ে যায়। যদি পলিসি পরিবর্তন করা দরকার হয়, তাহলে সেটাই করতে হবে।’
শারমীন মুরশিদ বলেন, ‘যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের পরিবারের সঙ্গে সবকিছু নিয়ে ফলোআপের দায়িত্ব আমার মন্ত্রণালয়ের। এবং আমি সেটি করব। আমার যেটা করণীয়, আমি সেটা দ্রুত করতে চাই।’
ক্ষতিপূরণের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘ক্ষতিপূরণ পরের ব্যাপার। তবে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় পরিবারগুলোর পাশে থাকবে, সে নিশ্চয়তা আমি দিচ্ছি। যে মানুষগুলো মারা গেছে, আমরা যেটুকু পরিসংখ্যান পেয়েছি, হাসপাতালে আমার মন্ত্রণালয় থেকে হেল্প ডেস্ক রয়েছে। আমাদের সমাজকর্মীরা সেখানে রয়েছে। তারা এটা ফলোআপ করবে এবং তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবে। যা যা সাহায্য-সহযোগিতা করা সম্ভব, আমরা সেটি করব।’
মিরপুরের রূপনগর আবাসিক এলাকার শিয়ালবাড়িতে একটি রাসায়নিকের গুদাম ও পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। একই সঙ্গে জনবহুল এলাকায় অবৈধভাবে আলম ট্রেডার্স নামের ওই রাসায়নিক গুদাম নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেছেন, জনবহুল এলাকা থেকে অতিসত্বর রাসায়নিক গুদাম উৎখাত করা দরকার।
আজ বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রূপনগর আবাসিক এলাকার শিয়ালবাড়িতে একটি টিনশেড দোতলা রাসায়নিক গুদামে আগুন লাগে এবং বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেই আগুন পাশের চারতলা ভবনে ছড়িয়ে পড়ে।
পরে চারতলা ভবনের দোতলা ও তিনতলার বিভিন্ন স্থান থেকে ১৬টি লাশ উদ্ধার করা হয়।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি মনে করি প্রথম যে জিনিসটি করতে হবে, সরকারকে তাৎক্ষণিক তদন্ত করতে হবে যারা এটা করেছে, তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। আমাদের এ নিয়ে স্ট্রং পলিসি থাকতে হবে, যেন জনবহুল এলাকায় এ ধরনের ক্ষেত্রগুলো না থাকে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘এর আগেও পুরান ঢাকায় এ রকম ঘটনা ঘটেছে। যেহেতু ওইটা একটি জনবহুল এলাকা, সে কারণে ওই জায়গা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার ফলে যেটা হয়েছে, প্রাইভেট এই ক্ষেত্রগুলো বিভিন্ন জায়গায় চলে গেছে। এটা চিহ্নিত করে আমাদের অতিসত্বর জরুরিভাবে এগুলোকে উৎখাত করা দরকার, যাতে জনবহুল এলাকা থেকে এগুলো বের হয়ে যায়। যদি পলিসি পরিবর্তন করা দরকার হয়, তাহলে সেটাই করতে হবে।’
শারমীন মুরশিদ বলেন, ‘যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের পরিবারের সঙ্গে সবকিছু নিয়ে ফলোআপের দায়িত্ব আমার মন্ত্রণালয়ের। এবং আমি সেটি করব। আমার যেটা করণীয়, আমি সেটা দ্রুত করতে চাই।’
ক্ষতিপূরণের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘ক্ষতিপূরণ পরের ব্যাপার। তবে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় পরিবারগুলোর পাশে থাকবে, সে নিশ্চয়তা আমি দিচ্ছি। যে মানুষগুলো মারা গেছে, আমরা যেটুকু পরিসংখ্যান পেয়েছি, হাসপাতালে আমার মন্ত্রণালয় থেকে হেল্প ডেস্ক রয়েছে। আমাদের সমাজকর্মীরা সেখানে রয়েছে। তারা এটা ফলোআপ করবে এবং তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবে। যা যা সাহায্য-সহযোগিতা করা সম্ভব, আমরা সেটি করব।’
পাবনা সদর হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম। রাস্তা খারাপ হওয়ায় মাথায় করে সবজির ঝুড়ি বাজারে নিতে দেরি হয়ে যায়। এ জন্য এখন ব্যাপারীরা তাঁর সবজি তেমন নিতে চান না। বাধ্য হয়ে শহিদুলকে কম দামে বিক্রি করতে হয় কষ্টার্জিত ফসল।
৬ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিয়ালবাড়িতে শাহ আলম নামের রাসায়নিকের গুদাম ও সংলগ্ন প্রিন্টিং কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ১৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
৩৭ মিনিট আগেস্বচ্ছতা ও জন-অংশগ্রহণের মাধ্যমে স্থানীয় উন্নয়নের রূপরেখা তৈরির লক্ষ্যে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের উন্মুক্ত বাজেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পার্টিসিপাটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক (প্রান)-এর উদ্যোগে এই অধিবেশনটি সুবর্ণচর উপজেলার ৮ নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ
৪১ মিনিট আগেরাজধানীর কলাবাগানে স্ত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যার পর লাশ ডিপ ফ্রিজে রেখে স্বামীর পলায়নের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় স্বামী মো. নজরুল ইসলামকে (৫৯) গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কলাবাগান থানা-পুলিশ। মামলা দায়ের করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানি
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মিরপুরের রূপনগর আবাসিক এলাকার শিয়ালবাড়িতে একটি রাসায়নিকের গুদাম ও পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ১৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব লস্কার তাজুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে এই কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করবে।
আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিয়ালবাড়িতে শাহ আলম নামের রাসায়নিকের গুদাম ও সংলগ্ন প্রিন্টিং কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ১৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং অগ্নিকাণ্ডে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি তিনি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। কর্মস্থলে নিহত প্রত্যেক শ্রমিকের পরিবারকে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে ২ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা এবং আহত শ্রমিকদের চিকিৎসায় ৫০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হবে।
এতে বলা হয়, অগ্নিকাণ্ডের কারণ, দায়দায়িত্ব নির্ধারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে সুপারিশ প্রদানের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব লস্কার তাজুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে একটি বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদন দাখিল করবে।
এ ছাড়া দুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ; আহত ও নিহত ব্যক্তিদের তালিকা প্রণয়ন; পরিদর্শন প্রক্রিয়ায় কোনো গাফিলতি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা; কারখানার ঝুঁকি নিরূপণ; ঝুঁকি নিরসনের সুপারিশ এবং দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিতকরণ ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ বিষয়ে সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে দাখিল করবে কমিটি।
মিরপুরের রূপনগর আবাসিক এলাকার শিয়ালবাড়িতে একটি রাসায়নিকের গুদাম ও পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ১৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব লস্কার তাজুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে এই কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করবে।
আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিয়ালবাড়িতে শাহ আলম নামের রাসায়নিকের গুদাম ও সংলগ্ন প্রিন্টিং কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ১৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং অগ্নিকাণ্ডে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি তিনি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। কর্মস্থলে নিহত প্রত্যেক শ্রমিকের পরিবারকে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে ২ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা এবং আহত শ্রমিকদের চিকিৎসায় ৫০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হবে।
এতে বলা হয়, অগ্নিকাণ্ডের কারণ, দায়দায়িত্ব নির্ধারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে সুপারিশ প্রদানের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব লস্কার তাজুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে একটি বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদন দাখিল করবে।
এ ছাড়া দুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ; আহত ও নিহত ব্যক্তিদের তালিকা প্রণয়ন; পরিদর্শন প্রক্রিয়ায় কোনো গাফিলতি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা; কারখানার ঝুঁকি নিরূপণ; ঝুঁকি নিরসনের সুপারিশ এবং দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিতকরণ ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ বিষয়ে সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে দাখিল করবে কমিটি।
পাবনা সদর হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম। রাস্তা খারাপ হওয়ায় মাথায় করে সবজির ঝুড়ি বাজারে নিতে দেরি হয়ে যায়। এ জন্য এখন ব্যাপারীরা তাঁর সবজি তেমন নিতে চান না। বাধ্য হয়ে শহিদুলকে কম দামে বিক্রি করতে হয় কষ্টার্জিত ফসল।
৬ ঘণ্টা আগেউপদেষ্টা বলেন, ‘আমি মনে করি প্রথম যে জিনিসটি করতে হবে, সরকারকে তাৎক্ষণিক তদন্ত করতে হবে যারা এটা করেছে, তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। আমাদের এ নিয়ে স্ট্রং পলিসি থাকতে হবে, যেন জনবহুল এলাকায় এ ধরনের ক্ষেত্রগুলো না থাকে।’
২৫ মিনিট আগেস্বচ্ছতা ও জন-অংশগ্রহণের মাধ্যমে স্থানীয় উন্নয়নের রূপরেখা তৈরির লক্ষ্যে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের উন্মুক্ত বাজেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পার্টিসিপাটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক (প্রান)-এর উদ্যোগে এই অধিবেশনটি সুবর্ণচর উপজেলার ৮ নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ
৪১ মিনিট আগেরাজধানীর কলাবাগানে স্ত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যার পর লাশ ডিপ ফ্রিজে রেখে স্বামীর পলায়নের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় স্বামী মো. নজরুল ইসলামকে (৫৯) গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কলাবাগান থানা-পুলিশ। মামলা দায়ের করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানি
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
স্বচ্ছতা ও জন-অংশগ্রহণের মাধ্যমে স্থানীয় উন্নয়নের রূপরেখা তৈরির লক্ষ্যে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের উন্মুক্ত বাজেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পার্টিসিপাটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক (প্রান)-এর উদ্যোগে এই অধিবেশনটি সুবর্ণচর উপজেলার ৮ নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত এই অধিবেশনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাসহ প্রায় ২৮০ জন অংশ নেন।
সভায় মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব গোলাম কিবরিয়া আসন্ন অর্থবছরের (২০২৫–২৬) প্রস্তাবিত ৫ কোটি ৬৮ লাখ ১২ হাজার ২০০ টাকার বাজেট উন্মোচন করেন। তিনি জানান, চলতি অর্থবছরের (২০২৪–২৫) বাজেট ছিল ৫ কোটি ১ লাখ ৯৬ হাজার ২০০ টাকা।
সচিব বলেন, এই বাজেটে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সেচ, রাস্তা মেরামত ও খাল সংস্কারসহ বিভিন্ন উন্নয়ন খাতে সুষম বন্টন নিশ্চিত করার লক্ষ্য রাখা হয়েছে।
অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাবেয়া আফসার সায়মা। তিনি টেকসই উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, ‘রিলিফ সাময়িক সহায়তা হলেও টেকসই উন্নয়ন ভবিষ্যতের জন্য স্থায়ী সুফল বয়ে আনে।’ তিনি আগামী বাজেটে খাল খনন, কালভার্ট নির্মাণ ও রাস্তা সংস্কারে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন। ইউএনও সুবর্ণচরের আক্তার মিয়ার হাট, চৌরাস্তা থেকে মেইন রোড, বোরহান মার্কেট ও বেড়িবাঁধ এলাকার রাস্তা সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমরা চাইবো বাজেট যেন সব এলাকায় সমানভাবে বন্টিত হয়। জলাবদ্ধতা, খাল খনন ও নিরাপদ পানির সংকট সমাধানে পরবর্তী বাজেটে বরাদ্দ প্রয়োজন।’
উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি মো. সাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘মোহাম্মদপুরের নয়টি খাল অবৈধভাবে দখল হয়ে আছে। এগুলো পুনরুদ্ধার না করলে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হবে। কৃষি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে বাজেট প্রস্তুত করতে হবে।’
অধিবেশনে অংশগ্রহণকারী বক্তারা ইউনিয়ন জুড়ে মোট ৪৮টি বাজার থাকা সত্ত্বেও বাজেট ঘাটতির কারণে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সীমাবদ্ধতা থাকার কথা জানান। এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যেমন বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় উন্নয়নের গতিকে ব্যাহত করছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
স্বচ্ছতা ও জন-অংশগ্রহণের মাধ্যমে স্থানীয় উন্নয়নের রূপরেখা তৈরির লক্ষ্যে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের উন্মুক্ত বাজেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পার্টিসিপাটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক (প্রান)-এর উদ্যোগে এই অধিবেশনটি সুবর্ণচর উপজেলার ৮ নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত এই অধিবেশনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাসহ প্রায় ২৮০ জন অংশ নেন।
সভায় মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব গোলাম কিবরিয়া আসন্ন অর্থবছরের (২০২৫–২৬) প্রস্তাবিত ৫ কোটি ৬৮ লাখ ১২ হাজার ২০০ টাকার বাজেট উন্মোচন করেন। তিনি জানান, চলতি অর্থবছরের (২০২৪–২৫) বাজেট ছিল ৫ কোটি ১ লাখ ৯৬ হাজার ২০০ টাকা।
সচিব বলেন, এই বাজেটে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সেচ, রাস্তা মেরামত ও খাল সংস্কারসহ বিভিন্ন উন্নয়ন খাতে সুষম বন্টন নিশ্চিত করার লক্ষ্য রাখা হয়েছে।
অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাবেয়া আফসার সায়মা। তিনি টেকসই উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, ‘রিলিফ সাময়িক সহায়তা হলেও টেকসই উন্নয়ন ভবিষ্যতের জন্য স্থায়ী সুফল বয়ে আনে।’ তিনি আগামী বাজেটে খাল খনন, কালভার্ট নির্মাণ ও রাস্তা সংস্কারে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন। ইউএনও সুবর্ণচরের আক্তার মিয়ার হাট, চৌরাস্তা থেকে মেইন রোড, বোরহান মার্কেট ও বেড়িবাঁধ এলাকার রাস্তা সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমরা চাইবো বাজেট যেন সব এলাকায় সমানভাবে বন্টিত হয়। জলাবদ্ধতা, খাল খনন ও নিরাপদ পানির সংকট সমাধানে পরবর্তী বাজেটে বরাদ্দ প্রয়োজন।’
উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি মো. সাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘মোহাম্মদপুরের নয়টি খাল অবৈধভাবে দখল হয়ে আছে। এগুলো পুনরুদ্ধার না করলে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হবে। কৃষি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে বাজেট প্রস্তুত করতে হবে।’
অধিবেশনে অংশগ্রহণকারী বক্তারা ইউনিয়ন জুড়ে মোট ৪৮টি বাজার থাকা সত্ত্বেও বাজেট ঘাটতির কারণে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সীমাবদ্ধতা থাকার কথা জানান। এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যেমন বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় উন্নয়নের গতিকে ব্যাহত করছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
পাবনা সদর হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম। রাস্তা খারাপ হওয়ায় মাথায় করে সবজির ঝুড়ি বাজারে নিতে দেরি হয়ে যায়। এ জন্য এখন ব্যাপারীরা তাঁর সবজি তেমন নিতে চান না। বাধ্য হয়ে শহিদুলকে কম দামে বিক্রি করতে হয় কষ্টার্জিত ফসল।
৬ ঘণ্টা আগেউপদেষ্টা বলেন, ‘আমি মনে করি প্রথম যে জিনিসটি করতে হবে, সরকারকে তাৎক্ষণিক তদন্ত করতে হবে যারা এটা করেছে, তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। আমাদের এ নিয়ে স্ট্রং পলিসি থাকতে হবে, যেন জনবহুল এলাকায় এ ধরনের ক্ষেত্রগুলো না থাকে।’
২৫ মিনিট আগেবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিয়ালবাড়িতে শাহ আলম নামের রাসায়নিকের গুদাম ও সংলগ্ন প্রিন্টিং কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ১৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
৩৭ মিনিট আগেরাজধানীর কলাবাগানে স্ত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যার পর লাশ ডিপ ফ্রিজে রেখে স্বামীর পলায়নের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় স্বামী মো. নজরুল ইসলামকে (৫৯) গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কলাবাগান থানা-পুলিশ। মামলা দায়ের করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানি
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর কলাবাগানে স্ত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যার পর লাশ ডিপ ফ্রিজে রেখে স্বামীর পলায়নের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় স্বামী মো. নজরুল ইসলামকে (৫৯) গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কলাবাগান থানা-পুলিশ। মামলা দায়ের করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রী পরকীয়ায় লিপ্ত এবং তাঁর সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে চায়—এমন সন্দেহেই তাঁকে হত্যা করেন নজরুল।
গতকাল মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ৯টা ১০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বংশাল থানার নবাবপুর রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছেন।
কলাবাগান থানা সূত্রে জানা যায়, গত রোববার রাত ১১টায় নজরুল ইসলাম কলাবাগান থানার ১ নম্বর লেনের ২৪ নম্বর বাসার ভাড়া করা ৬(বি) ফ্ল্যাটে ফিরে দেখেন ফ্ল্যাটের দরজার তিনটি লকের মধ্যে দুটি খোলা। স্ত্রী তাসলিমা আক্তারের (৪২) প্রতি দীর্ঘদিনের সন্দেহ—পরপুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক ও তাঁর সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার ভয় তাঁকে উত্তেজিত করে।
রাত ১২টার দিকে ঘুমন্ত স্ত্রীর মাথায় ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেন তিনি। এরপর লাশটি গামছা দিয়ে বেঁধে, বিছানার চাদর ও ওড়না দিয়ে মুড়িয়ে বাসার ফ্রিজে লুকিয়ে রাখেন। পরে রক্তমাখা তোশক উল্টিয়ে, মেঝে পরিষ্কার করে এবং নিজের জামাকাপড় ধুয়ে আলামত গোপনের চেষ্টা করেন।
পরদিন সকালে নজরুল ইসলাম তাঁর বড় মেয়ে নাজনীন আক্তারকে জানান, তাদের মা অন্য পুরুষের সঙ্গে পালিয়েছে। এ সময় নাজনীন আক্তার ঘরের দেয়ালে রক্তের দাগ দেখতে পায়। এরপর নজরুল ইসলাম তাঁর দুই মেয়েকে নানার বাড়ি রেখে আসার কথা বলে রাজধানীর আদাবরে তাদের ফুফুর বাসায় রেখে নিজের প্রাইভেটকারে পালিয়ে যান।
পরে এ বিষয়ে সন্দেহ হলে ভুক্তভোগীর ছোট ভাই নাঈম হোসেন ও তাঁর দুই মেয়ে ১৩ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কলাবাগান থানায় এসে অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে কলাবাগান থানা-পুলিশের একটি দল ওই ফ্ল্যাটে উপস্থিত হয়ে দরজার তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ঘরের মধ্যে রাখা ডিপ ফ্রিজ খুলে ওপরের অংশ থেকে মাছ-মাংস সরালে চাদর দিয়ে প্যাঁচানো অবস্থায় তাসলিমা আক্তারের মৃতদেহ দেখতে পায় পুলিশ।
পরে ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্য ও সিআইডির ক্রাইম সিন দলের সহায়তায় কলাবাগান থানা-পুলিশ ডিপ ফ্রিজের ভেতর থেকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় ভিকটিমের মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওই দিন রাতে তাসলিমার ছোট ভাই নাঈম হোসেন বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলা দায়েরের পর সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় কলাবাগান থানা-পুলিশ তাসলিমার স্বামী মো. নজরুল ইসলামের অবস্থান শনাক্ত করে। পরে মঙ্গলবার রাতে নবাবপুর রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে তাঁর নিজ বাসার ওয়ার্ডরোব হতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো দা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নজরুল ইসলাম ও তাসলিমা আক্তার দম্পতির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য কলহ চলছিল। নজরুল ইসলাম অবৈধ সম্পর্কের সন্দেহে স্ত্রীকে প্রতিনিয়ত মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন। এমনকি তিনি ভয় পেতেন, স্ত্রী তাঁর সম্পত্তি ও ব্যাংকে রাখা অর্থ হাতিয়ে নেবেন। এই চরম সন্দেহ ও নিয়ন্ত্রণের মানসিকতা থেকেই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রাজধানীর কলাবাগানে স্ত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যার পর লাশ ডিপ ফ্রিজে রেখে স্বামীর পলায়নের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় স্বামী মো. নজরুল ইসলামকে (৫৯) গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কলাবাগান থানা-পুলিশ। মামলা দায়ের করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রী পরকীয়ায় লিপ্ত এবং তাঁর সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে চায়—এমন সন্দেহেই তাঁকে হত্যা করেন নজরুল।
গতকাল মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ৯টা ১০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বংশাল থানার নবাবপুর রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছেন।
কলাবাগান থানা সূত্রে জানা যায়, গত রোববার রাত ১১টায় নজরুল ইসলাম কলাবাগান থানার ১ নম্বর লেনের ২৪ নম্বর বাসার ভাড়া করা ৬(বি) ফ্ল্যাটে ফিরে দেখেন ফ্ল্যাটের দরজার তিনটি লকের মধ্যে দুটি খোলা। স্ত্রী তাসলিমা আক্তারের (৪২) প্রতি দীর্ঘদিনের সন্দেহ—পরপুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক ও তাঁর সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার ভয় তাঁকে উত্তেজিত করে।
রাত ১২টার দিকে ঘুমন্ত স্ত্রীর মাথায় ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেন তিনি। এরপর লাশটি গামছা দিয়ে বেঁধে, বিছানার চাদর ও ওড়না দিয়ে মুড়িয়ে বাসার ফ্রিজে লুকিয়ে রাখেন। পরে রক্তমাখা তোশক উল্টিয়ে, মেঝে পরিষ্কার করে এবং নিজের জামাকাপড় ধুয়ে আলামত গোপনের চেষ্টা করেন।
পরদিন সকালে নজরুল ইসলাম তাঁর বড় মেয়ে নাজনীন আক্তারকে জানান, তাদের মা অন্য পুরুষের সঙ্গে পালিয়েছে। এ সময় নাজনীন আক্তার ঘরের দেয়ালে রক্তের দাগ দেখতে পায়। এরপর নজরুল ইসলাম তাঁর দুই মেয়েকে নানার বাড়ি রেখে আসার কথা বলে রাজধানীর আদাবরে তাদের ফুফুর বাসায় রেখে নিজের প্রাইভেটকারে পালিয়ে যান।
পরে এ বিষয়ে সন্দেহ হলে ভুক্তভোগীর ছোট ভাই নাঈম হোসেন ও তাঁর দুই মেয়ে ১৩ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কলাবাগান থানায় এসে অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে কলাবাগান থানা-পুলিশের একটি দল ওই ফ্ল্যাটে উপস্থিত হয়ে দরজার তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ঘরের মধ্যে রাখা ডিপ ফ্রিজ খুলে ওপরের অংশ থেকে মাছ-মাংস সরালে চাদর দিয়ে প্যাঁচানো অবস্থায় তাসলিমা আক্তারের মৃতদেহ দেখতে পায় পুলিশ।
পরে ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্য ও সিআইডির ক্রাইম সিন দলের সহায়তায় কলাবাগান থানা-পুলিশ ডিপ ফ্রিজের ভেতর থেকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় ভিকটিমের মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওই দিন রাতে তাসলিমার ছোট ভাই নাঈম হোসেন বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলা দায়েরের পর সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় কলাবাগান থানা-পুলিশ তাসলিমার স্বামী মো. নজরুল ইসলামের অবস্থান শনাক্ত করে। পরে মঙ্গলবার রাতে নবাবপুর রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে তাঁর নিজ বাসার ওয়ার্ডরোব হতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো দা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নজরুল ইসলাম ও তাসলিমা আক্তার দম্পতির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য কলহ চলছিল। নজরুল ইসলাম অবৈধ সম্পর্কের সন্দেহে স্ত্রীকে প্রতিনিয়ত মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন। এমনকি তিনি ভয় পেতেন, স্ত্রী তাঁর সম্পত্তি ও ব্যাংকে রাখা অর্থ হাতিয়ে নেবেন। এই চরম সন্দেহ ও নিয়ন্ত্রণের মানসিকতা থেকেই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পাবনা সদর হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম। রাস্তা খারাপ হওয়ায় মাথায় করে সবজির ঝুড়ি বাজারে নিতে দেরি হয়ে যায়। এ জন্য এখন ব্যাপারীরা তাঁর সবজি তেমন নিতে চান না। বাধ্য হয়ে শহিদুলকে কম দামে বিক্রি করতে হয় কষ্টার্জিত ফসল।
৬ ঘণ্টা আগেউপদেষ্টা বলেন, ‘আমি মনে করি প্রথম যে জিনিসটি করতে হবে, সরকারকে তাৎক্ষণিক তদন্ত করতে হবে যারা এটা করেছে, তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। আমাদের এ নিয়ে স্ট্রং পলিসি থাকতে হবে, যেন জনবহুল এলাকায় এ ধরনের ক্ষেত্রগুলো না থাকে।’
২৫ মিনিট আগেবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিয়ালবাড়িতে শাহ আলম নামের রাসায়নিকের গুদাম ও সংলগ্ন প্রিন্টিং কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ১৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
৩৭ মিনিট আগেস্বচ্ছতা ও জন-অংশগ্রহণের মাধ্যমে স্থানীয় উন্নয়নের রূপরেখা তৈরির লক্ষ্যে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের উন্মুক্ত বাজেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পার্টিসিপাটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক (প্রান)-এর উদ্যোগে এই অধিবেশনটি সুবর্ণচর উপজেলার ৮ নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ
৪১ মিনিট আগে