Ajker Patrika

কাঁচা রাস্তা দিয়ে খেতের সবজি বাজারে নিতে ১০ গ্রামের কৃষকের দুর্ভোগ

পাবনা প্রতিনিধি
এবড়োখেবড়ো কাঁচা রাস্তার কারণে সবজি বাজারে নিতে কোনো যানবাহন মেলে না। বাধ্য হয়ে মাথায় সবজির ঝুড়ি নিয়ে বাজারে যান কৃষক। ছবি: আজকের পত্রিকা
এবড়োখেবড়ো কাঁচা রাস্তার কারণে সবজি বাজারে নিতে কোনো যানবাহন মেলে না। বাধ্য হয়ে মাথায় সবজির ঝুড়ি নিয়ে বাজারে যান কৃষক। ছবি: আজকের পত্রিকা

পাবনা সদর হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম। রাস্তা খারাপ হওয়ায় মাথায় করে সবজির ঝুড়ি বাজারে নিতে দেরি হয়ে যায়। এ জন্য এখন ব্যাপারীরা তাঁর সবজি তেমন নিতে চান না। বাধ্য হয়ে শহিদুলকে কম দামে বিক্রি করতে হয় কষ্টার্জিত ফসল।

আফসোসের সুরে শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এগুলোর যদি সঠিক মূল্য পাওয়া যেত, তবে কৃষকদের ভাগ্য বদলে যেত। রাস্তার জন্য সেটি আর হচ্ছে না। আবাদ করে শান্তি নাই, সবজি বাজারে আনতে শান্তি নাই।’ শুধু শহিদুল ইসলাম নন, তাঁর মতো একই আক্ষেপ ১০ গ্রামের মানুষের।

হেমায়েতপুর ইউনিয়নের শানিকদিয়ার মন্ডল মোড়ে রয়েছে কাঁচা সবজি বিক্রির পাইকারি আড়ত। সেখানে প্রতিদিন বিক্রি হয় প্রায় ২০ লাখ টাকার বিভিন্ন রকম সবজি। ভোরের আলো না ফুটতে জেগে ওঠে এই বাজার। চরাঞ্চলের আশপাশের অন্তত ১০টি গ্রাম থেকে প্রতিদিন ভোররাত থেকে সকাল পর্যন্ত নিজেদের উৎপাদিত সবজি বিক্রি করেন কৃষকেরা। কিন্তু স্থানীয় কৃষকদের দুঃখ সেই বাজারে যাতায়াতে সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়ক নিয়ে। সড়কের অবস্থা খুবই বেহাল। একটু বৃষ্টি হলে কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায়। তখন ফসল বাজারে নিতে গিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন কৃষকেরা। রাস্তাটির কারণে সঠিক সময়ে উৎপাদিত সবজি নিয়ে বাজারে না আসতে পারায় ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা। এ ছাড়াও সড়কের দুর্দশার কারণে রোগী নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এই সড়ক দিয়ে স্কুল-কলেজে যেতে ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর, ভগীরথপুর, রতনপুর, জয়েনপুর, বোয়ালগাড়ী এবং ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামসহ অন্তত ১০ গ্রামের চরের বালুতে ফলে সবুজ সতেজ সবজি। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে কলাবাগান ও সবুজ সবজিখেত। মরিচ, কলা, কুমড়া, লাউ, ঝিঙে, ধুন্দল, করলা, মিষ্টিকুমড়া, মুলাসহ বিভিন্ন সবজির আবাদ হয় এখানে। এসব সবজি মন্ডল মোড় বাজারে নিতে হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ভগীরথপুর থেকে ভুইড়ির ছাম মোড় পর্যন্ত প্রায় সাড়ে সাড়ে ৩ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক হয়ে যেতে হয়।

কৃষকেরা বলছেন, এই বাজার থেকে ট্রাকে ভরে ব্যাপারীরা এসব সবজি কিনে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যান। বাইরের জেলার ব্যাপারীরা এই বাজার থেকে কাঁচামাল কেনায় কৃষকদের ভালো দাম পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বেহাল সড়কের কারণে তাঁদের সব কষ্ট বিফলে যাচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতে কোথাও হাঁটু আবার কোথাও কোমর পর্যন্ত পানি হয়। ফলে মাঠ থেকে তোলা ফসল ভ্যান বা মহিষের গাড়িতে করে বাজারে নিয়ে যাওয়া দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে পড়ে। এবড়োখেবড়ো পথের জন্য গুনতে হয় বাড়তি ভাড়া। বাধ্য হয়ে ঝাঁকবোঝাই ফসল মাথায় নিয়ে কয়েক বাজারে নিতে হচ্ছে কৃষকদের। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়ছেন তাঁরা। শ্রমিক ও পরিবহন সংকটে অনেক সময় খেতেই নষ্ট হয় কষ্টের ফসল।

ভগীরথপুর গ্রামের কৃষক জফির মাঝি বলেন, ‘শুধু পদ্মার চর থেকেই প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার সবজি বাজারে যায়। নদীটুকু নৌকায় এলেও এখান থেকে সবজি বাজারে নেওয়ার উপায় নেই। মাথায় করে দফায় দফায় বাজারে নিতে হয়। সরকার ওই রাস্তাটুকু যদি পাকা করে দিত, তাহলে কৃষকের সবচেয়ে বেশি উপকার হতো।’

আরেক কৃষক হাসান আলী বলেন, ‘গাড়িতে করে মাল (সবজি) কীভাবে আনব ভাই, হেঁটে চলার মতো উপায়ই তো নাই। ভাঙাচোরা, গর্ত যা-ই থাক, শুকনা সময়ে তবু ৫০ টাকার জায়গায় ১০০ টাকা দিলে এক ঝাঁকি সবজি নিতে ভ্যান পাওয়া যায়। কিন্তু বৃষ্টি হলে ৫০০ টাকায়ও সেটা পাওয়া যায় না।’

স্থানীয় উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক মোক্তার হোসেন বলেন, ‘রাস্তার কারণে রোগীকে সঠিক সময়ে হাসপাতালে নেওয়া যায় না। বিশেষ করে কোনো অন্তঃসত্ত্বা মাকে নিয়ে কী যে বিপাকে পড়তে হয়, এখানকার মানুষই বোঝে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যোগাযোগব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় স্কুলে উপস্থিতি কমছে। বিশেষ করে মেয়েদের উপস্থিতি খুবই কম। এতে বাল্যবিবাহ বাড়ছে। সার্বিক দিক বিবেচনা করতে গেলে এই এলাকায় সবার আগে একটি পাকা সড়ক প্রয়োজন।’

এ বিষয়ে পাবনা বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী আফনান আজম রুদ্র বলেন, ‘ওই এলাকাগুলোতে কৃষকেরা উৎপাদিত ফসল বাজারে নিতে ভোগান্তিতে পড়ছেন বলে জেনেছি। আমাদের প্রকল্প পরিকল্পনা রয়েছে, তাতে সড়কটি রাখার চিন্তা করেছি। অনুমোদন পেলে সড়ক নির্মাণ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যৌনকর্মীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ, কুয়াকাটায় জামায়াত নেতা বহিষ্কার

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
বহিষ্কার করা জামায়াত নেতা আ. হালিম। ছবি: সংগৃহীত
বহিষ্কার করা জামায়াত নেতা আ. হালিম। ছবি: সংগৃহীত

নিজের বাড়িতে যৌনকর্মীদের (পতিতা) আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে কুয়াকাটা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি আ. হালিমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য নিশ্চিত করেন কুয়াকাটা পৌর জামায়াতের আমির মাওলানা মো. শহীদুল ইসলাম।

জামায়াত নেতারা বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার বিশেষ রোকন বৈঠক আহ্বান করা হয়। বৈঠকে উত্থাপিত অভিযোগ ও প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বিষয়টি জামায়াতে ইসলামীর নীতিমালা ও আদর্শ পরিপন্থী। তাই সাংগঠনিক শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আ. হালিমকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কুয়াকাটা পৌর জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা মোহাম্মদ মাঈনুল ইসলাম মন্নান, লতাচাপলী ইউনিয়ন জামায়াতের আমির রাসেল মুসুল্লি, পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আল আমিন মৃধা, যুব জামায়াতের সভাপতি হেমায়েত উদ্দিন সিকদার এবং জামায়াতের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সেক্রেটারি শাহাবুদ্দিন ফরাজি।

কুয়াকাটা পৌর জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা মোহাম্মদ মাঈনুল ইসলাম মন্নান বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী একটি আদর্শভিত্তিক সংগঠন। এখানে ব্যক্তির চেয়ে সংগঠনের আদর্শ ও নৈতিকতা গুরুত্বপূর্ণ। কোনো নেতার বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠলে তা দলীয়ভাবে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হয়। সংগঠনের সুনাম ও আদর্শ রক্ষার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

কলাপাড়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘একটি অভিযোগের ভিত্তিতে বিশেষ রোকন বৈঠক ডেকে কুয়াকাটা পৌর ৫ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতিকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী করতে হলে অবশ্যই সাংগঠনিক নিয়মকানুন ও দলীয় নীতিমালা মেনে চলতে হয়।’

তবে অভিযুক্ত মো. আ. হালিম তাঁর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার বাসায় ছয়টি পরিবার ভাড়া থাকে। এর মধ্যে একটি বাসা মা-মেয়ে পরিচয়ে চারজন নারী দুই মাস আগে ভাড়া নেন। তাঁরা কোথায় কী কাজ করেন, তা আমার জানার বিষয় নয়। আমার সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমি শিগগির সংবাদ সম্মেলন করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দলবদলেও রক্ষা পেলেন না ছাত্রলীগ নেতা, ডিবির হাতে আটক

দেবিদ্বার (কুমিল্লা) সংবাদদাতা
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ০১
মোহাম্মদ শাহীন মিয়া। ছবি: সংগৃহীত
মোহাম্মদ শাহীন মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপিতে যোগদানের এক দিন পার না হতেই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কুমিল্লা উত্তর জেলার সাবেক সহসভাপতি মোহাম্মদ শাহীন মিয়াকে (৩৪) আটক করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। গতকাল সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে দেবিদ্বার উপজেলার ১ নম্বর বড়শালঘর ইউনিয়নের সৈয়দপুর বাজারে তাঁর নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ‘শাহীন ফার্মেসি’ থেকে ডিবি ও থানা-পুলিশের যৌথ অভিযানে তাঁকে আটক করা হয়।

মোহাম্মদ শাহীন মিয়া বড়শালঘর গ্রামের মৃত শহিদ মেম্বারের ছেলে। তিনি নিষিদ্ধ সংগঠন কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি এবং কুমিল্লা-৪ দেবিদ্বার আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের আস্থাভাজন ছিলেন।

এর আগে গত রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে দেবিদ্বার পৌর এলাকার গুনাইঘরে ‘শহীদ জিয়া মিলনায়তনে’ আনুষ্ঠানিকভাবে শালঘর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের দুই শতাধিক নেতা-কর্মী বিএনপিতে যোগদান করেন। অনুষ্ঠানে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, টানা চারবারের সাবেক এমপি ও আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সির হাতে তাঁরা বিএনপির পতাকা তুলে দেন। যোগদানকারীদের মধ্যে মোহাম্মদ শাহীন মিয়াও ছিলেন।

ওই যোগদান কার্যক্রম সম্পন্ন হয় আওয়ামী লীগের বড়শালঘর ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি জহিরুল ইসলাম জারু চেয়ারম্যানের নির্দেশে এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহসভাপতি ও ইউপি সদস্য আলম হাজারীর নেতৃত্বে। যোগদানকারীরা সবাই সাবেক আওয়ামী লীগ এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের সমর্থক ছিলেন।

এ বিষয়ে সদ্য বিএনপিতে যোগদানকারী ইউপি সদস্য আলম হাজারী বলেন, ‘শাহীনের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। কেন তাঁকে আটক করা হলো, সেটিও আমরা জানি না।’

কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রেজভিউল আহসান মুন্সি বলেন, ‘মোহাম্মদ শাহীন মিয়া আমাদের পুরোনো কর্মী। বিগত সরকারের আমলে নিরাপত্তার কারণে তিনি ভিন্নভাবে চলাফেরা করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই।’

দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারোয়ার শাহীন মিয়াকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তিনি বর্তমানে ছুটিতে আছেন। অভিযানে থাকা ওসি (তদন্ত) মঈনুদ্দিনের কাছ থেকে বিস্তারিত জানা যাবে।

মঈনুদ্দিন বলেন, ‘শাহীনকে ডিবি পুলিশ আটক করেছে। কোন মামলায় তাঁকে আটক দেখানো হয়েছে, তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানানো হবে।’

এ বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওসি মো. শামসুল আলম শাহ বলেন, গ্রেপ্তারের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‎আরমানিটোলায় বহুতল ভবনে আগুন‎, ৪০ মিনিট পর নিয়ন্ত্রণে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৫৯
বাবুবাজার এলাকায় হাজী টাওয়ার নামের ১৪ তলা ভবনের ষষ্ঠ তলায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ছবি: ফায়ার সার্ভিস
বাবুবাজার এলাকায় হাজী টাওয়ার নামের ১৪ তলা ভবনের ষষ্ঠ তলায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ছবি: ফায়ার সার্ভিস

‎রাজধানীর আরমানিটোলার বাবুবাজার এলাকায় হাজী টাওয়ার নামের ১৪ তলা ভবনের ষষ্ঠতলায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পেয়ে নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট। সকাল ৭টা ২০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর থেকে আজ সকালে খুদে বার্তায় সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানানো হয়।

‎‎ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে আগুন লাগার সংবাদ পাওয়া যায়। খবর পাওয়ার মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে, অর্থাৎ সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।

বাবুবাজার এলাকায় হাজী টাওয়ার নামের ১৪ তলা ভবনের ষষ্ঠ তলায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ছবি: ফায়ার সার্ভিস
বাবুবাজার এলাকায় হাজী টাওয়ার নামের ১৪ তলা ভবনের ষষ্ঠ তলায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ছবি: ফায়ার সার্ভিস

হাজী টাওয়ারের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সদরঘাট ফায়ার স্টেশন থেকে ২টি, সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশন থেকে ৫টি এবং সূত্রাপুর ফায়ার স্টেশন থেকে ২টিসহ মোট ৯টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করে। পরে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।‎

তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। এ বিষয়ে তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নির্দোষ আওয়ামী লীগসহ সাধারণ মানুষকে হয়রানি না করার দাবি বিএনপি নেতার

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৪১
গতকাল দুপুরে নেছারাবাদে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা মো. মইনুল হাসান। ছবি: আজকের পত্রিকা
গতকাল দুপুরে নেছারাবাদে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা মো. মইনুল হাসান। ছবি: আজকের পত্রিকা

নেছারাবাদে নির্দোষ ও নিরপরাধ আওয়ামী লীগ সমর্থকসহ সাধারণ জনগণকে হয়রানি না করার জন্য পিরোজপুরের জেলা প্রশাসকের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন বিএনপি নেতা মো. মইনুল হাসান। গতকাল সোমবার দুপুরে নেছারাবাদ উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এই দাবি জানান। জেলা প্রশাসকের সফর উপলক্ষে নেছারাবাদ উপজেলা পরিষদ হলরুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মো. আবু সাঈদ। সভাপতিত্ব করেন নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিত দত্ত। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নেছারাবাদ-কাউখালী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সাবিহা মেহবুবা, নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী হাসান।

সভায় স্বরূপকাঠি পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মইনুল হাসান বলেন, ‘নেছারাবাদ উপজেলায় যেন কোনো নির্দোষ ও নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা না হয়। গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন বা হয়রানি বন্ধ করতে হবে।’ প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি। বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘বিএনপির প্রার্থী আহমেদ সোহেল মঞ্জুর সুমনও ইতিপূর্বে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে একই ধরনের অনুরোধ জানিয়েছেন।’ পাশাপাশি ধর্মকে অপব্যবহার করে নেছারাবাদে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি যেন না হয়, সে বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর নজরদারির আহ্বান জানান তিনি।

এর আগে একই সভায় বক্তব্য দেন জামায়াত নেতা মো. গোলাম আযম। তিনি অভিযোগ করে বলেন, অতীতে ডিবি পুলিশের মাধ্যমে নির্দোষ কিছু মানুষকে ধরে গ্রেপ্তার-বাণিজ্য করা হয়েছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ করে প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার দাবি জানান তিনি।

নেছারাবাদ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রায়হান মাহমুদের সঞ্চালনায় মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন, নেছারাবাদ সেনাক্যাম্পের কমান্ডার ক্যাপ্টেন আল আরাফ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হোসেন জয় প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত