Ajker Patrika

নিষিদ্ধ বেহুন্দি জালে বিপাকে ৫০ হাজার জেলে

ইসমাইল হোসেন কিরন, হাতিয়া (নোয়াখালী) 
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নিঝুম দ্বীপের শতফুল বাজার এলাকায় খালে মাছ ধরার নৌকা। ছবি: আজকের পত্রিকা
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নিঝুম দ্বীপের শতফুল বাজার এলাকায় খালে মাছ ধরার নৌকা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ায় এখন ছেউয়া বা চেওয়া মাছ শিকার ও শুঁটকি উৎপাদনের মৌসুম। বছরের এ সময় অনেকে নদীতে গিয়ে মাছ ধরেন। কেউ কেউ সেগুলো শুকিয়ে শুঁটকি তৈরি করেন। প্রতিটি ঘাট ব্যবসায়ী, দোকানি ও শ্রমিকের হাঁকডাকে সরগরম থাকে গভীর রাত পর্যন্ত। কিন্তু এবার চিরচেনা সেই চিত্র বদলে গেছে।

চেওয়া মাছ শিকারে ব্যবহার করা হয় বেহুন্দি জাল। পানিতে স্থির থাকা এই জালে নির্বিচারে মাছ ধরা পড়ে বলে এটি সরকারিভাবে নিষিদ্ধ। এবার হাতিয়ায় কোস্ট গার্ড ও মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে এ নিষেধাজ্ঞা কড়াকড়িভাবে কার্যকর হচ্ছে। এতে মৎস্যসম্পদ রক্ষা পেলেও বিপাকে পড়েছেন জেলে ও শুঁটকি ব্যবসায়ীরা।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, হাতিয়া উপজেলার বন্দরটিলা, শতফুল, নামার বাজার, জঙ্গলিয়া, সূর্যমুখী, কাজিরবাজার, কাদিরা সুইজসহ ২০টি ঘাটের প্রায় ৫০ হাজার জেলে, ব্যবসায়ী ও শ্রমিক চেওয়া মাছ ধরা ও শুঁটকি তৈরির সঙ্গে জড়িত।

জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে মার্চ পর্যন্ত চলে চেওয়া মাছের মৌসুম। এ মাছ ধরায় ইলিশের তুলনায় পুঁজি কম লাগায় অনেকে বংশানুক্রমে এই কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। প্রতিবছরের মতো এবারও জেলেরা চেওয়া মাছ শিকার করতে জাল, নৌকা ও প্রয়োজনীয় রসদ নিয়ে নদীতে নেমেছিলেন। কিন্তু কয়েক দিন পরই সরকারি নির্দেশনায় জাল গুটিয়ে নিতে হয় তাঁদের।

উপজেলার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের শতফুল বাজারে গিয়ে জানা যায়, এ ঘাটে ২০০ মাঝি আছেন, যাঁদের প্রত্যেকের সঙ্গ ২০-২২ জন জেলে কাজ করেন। এক সপ্তাহ ধরে তাঁরা বেকার। প্রশাসনের নির্দেশে সবাই ঘাটে বসে আছেন। কেউ নদীতে যাওয়ার সাহস করছেন না।

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নিঝুম দ্বীপের শতফুল বাজার এলাকায় মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নিঝুম দ্বীপের শতফুল বাজার এলাকায় মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

প্রবীণ মাঝি মোস্তান মিয়া বলেন, ‘সামান্য কিছু মাছ শুঁটকি করেছি। কিন্তু লাভের মুখ দেখার আগেই দেওয়া হলো বাধা। এখন জাল, নৌকা নিয়ে ঘাটে অলস সময় পার করতে হচ্ছে। দৈনন্দিন খাবার জোগান দিতেই হিমশিত খেতে হচ্ছে। মৌসুম শুরুর আগেই এই সিদ্ধান্ত জানতে পারলে এত বড় ক্ষতির মধ্যে আমাদের পড়তে হতো না। গত সপ্তাহে হঠাৎ কোস্ট গার্ড এসে বেহুন্দি জাল ব্যবহার করা যাবে না বলে ঘোষণা করে যায়। ইতিমধ্যে অনেকের জাল তুলে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলেছে। উপজেলা মৎস্য অফিসের পক্ষ থেকেও লোকজন এসে বেহুন্দি ব্যবহার করতে নিষেধ করে গেছে।’

একই এলাকার জেলে আনাজল হক বলেন, ‘আমরা নদীভাঙনে বাস্তুহারা পরিবার। নিঝুম দ্বীপে এসে কোনোরকম মাথা গোঁজার ব্যবস্থা হয়েছে। এখানে কোনো কলকারখানাও নাই যে চাকরি-বাকরি করে জীবন যাপন করব। আমাদের একেকজনের পরিবারে ৭-৮ জন সদস্য। নদীর সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ। নদীতে মাছ ধরে কিছু পেলে বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে খাই। এখন ছেউয়া ধরার সময়। ঋণ করে জাল কিনে, দোকান থেকে বাকিতে যাবতীয় বাজার করে, নৌকা নিয়ে নদীতে নেমেছি। কিন্তু প্রশাসন আমাদের মাছ ধরতে দিচ্ছে না। মৌসুমও শেষ হয়ে যাচ্ছে। যদি মাছ ধরতে না পারি, তাহলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে।’

হাতিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের নিঝুম দ্বীপসহ চারটি ইউনিয়নের জেলেরা চেওয়া মাছ বেশি ধরেন। সরকারি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন নিঝুম দ্বীপের জেলেরা।

মাছ ধরতে দেওয়ার দাবিতে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নিঝুম দ্বীপের নামার বাজারে জেলেদের বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা
মাছ ধরতে দেওয়ার দাবিতে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নিঝুম দ্বীপের নামার বাজারে জেলেদের বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাবেক ইউপি সদস্য তাজুল ইসলাম জানান, তিন থেকে চার মাস নিঝুম দ্বীপে চেওয়া মাছ ধরার মৌসুম। এই মৌসুমে অন্য কোনো মাছের পোনা পাওয়া যায় না। এই চেওয়া ধরে এখানকার জেলেরা পরিবার-পরিজন নিয়ে কোনোরকমে জীবন অতিবাহিত করেন। গত বছর এখানে প্রায় ১৬ হাজার টন চেওয়া শুঁটকি উৎপন্ন হয়েছে এবং প্রায় ২০ হাজার টন কাঁচা চেওয়া মাছ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা হয়েছে। প্রতি টন শুঁটকি প্রায় ১ লাখ এবং প্রতি টন কাঁচা চেওয়া ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।

এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহাদ হাসান বলেন, ‘নদীতে স্থির থাকে এমন ধরনের যেকোনো জাল ব্যবহার আইনগতভাবে নিষিদ্ধ। বেহুন্দি জাল নদীতে স্থির থাকে। তাই এ জাল সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। আমরা অনেক আগে থেকে এ জাল ব্যবহার বন্ধ করার জন্য জেলেদের বলে আসছি। কিন্তু তাঁরা মানছেন না। এদিকে হাতিয়াতে বেহুন্দি জাল ব্যবহার করে জেলেরা কাঁচা মাছ ধরে ও শুঁটকি তৈরি করে কোটি কোটি টাকা আয় করেন। আমরা চেষ্টা করছি, এই মাছ ধরতে বিকল্প কোনো উপায় বের করা যায় কি না। বিষয়টি আমি অধিদপ্তরে অবহিত করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হলেন মামদানি

জোট নয়, নির্বাচনী সমঝোতা করবে জামায়াত—জানালেন আমির

আজকের রাশিফল: অফিসে মিষ্টি কথায় মন গলবে বসের, প্রেমের ঝগড়ায় চ্যাটজিপিটিতে ভরসা নয়

বাংলা ভাষার সঙ্গে জোহরান মামদানির ঘরের সম্পর্ক, যোগসূত্র মা মীরা নায়ার

বুমরা-সূর্যকুমারকে শাস্তি দিল আইসিসি, নিষিদ্ধ পাকিস্তানি ক্রিকেটার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

টিকটকে প্রেম, তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
গ্রেপ্তার জিল্লুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার জিল্লুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা থেকে জিল্লুর রহমান (৩৬) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কাঁঠালবাড়িয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার জিল্লুর রহমানের বাড়ি বগুড়ার কাহালু উপজেলার বামুজা গ্রামে। র‍্যাব-৫-এর একটি দল তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে।

বুধবার সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব জানায়, প্রায় তিন মাস আগে টিকটকের মাধ্যমে ওই তরুণীর সঙ্গে জিল্লুরের পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। মোবাইল ফোনে কথা হয়। পরে জিল্লুর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তরুণীকে পাবনার ঈশ্বরদীতে ডাকেন। গত ৯ অক্টোবর রাতে ওই তরুণী ট্রেনে ঈশ্বরদী পৌঁছালে জিল্লুর তাঁকে মোটরসাইকেলে চাপিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘোরান। পরদিন (১০ অক্টোবর) দুপুরে ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া বাজার এলাকায় একটি কক্ষ ভাড়া নেন এবং ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত সেখানে বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।

র‍্যাব জানায়, পরে বিয়ের কথা বললে জিল্লুর কালক্ষেপণ করতে থাকেন। একপর্যায়ে কাজি অফিসে নেওয়ার কথা বলে ওই তরুণীর মোবাইল ফোন ও ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যান। ঘটনার পর ভুক্তভোগী নিজেই ঈশ্বরদী থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। মামলার পর র‍্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরপর মঙ্গলবার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব-৫-এর রাজশাহী সিপিএসসি ক্যাম্পের একটি দল তাঁকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হলেন মামদানি

জোট নয়, নির্বাচনী সমঝোতা করবে জামায়াত—জানালেন আমির

আজকের রাশিফল: অফিসে মিষ্টি কথায় মন গলবে বসের, প্রেমের ঝগড়ায় চ্যাটজিপিটিতে ভরসা নয়

বাংলা ভাষার সঙ্গে জোহরান মামদানির ঘরের সম্পর্ক, যোগসূত্র মা মীরা নায়ার

বুমরা-সূর্যকুমারকে শাস্তি দিল আইসিসি, নিষিদ্ধ পাকিস্তানি ক্রিকেটার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চকরিয়ায় দুর্ঘটনা: নিহতরা একই পরিবারের, দুজন বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থী

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি   
দুর্ঘটনায় দুমড়েমুচড়ে যাওয়া মাইক্রোবাস। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুর্ঘটনায় দুমড়েমুচড়ে যাওয়া মাইক্রোবাস। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে নিহত পাঁচজনের পরিচয় মিলেছে। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। আজ বুধবার সকাল ৯টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হাঁসের দিঘি আর্মি ক্যাম্পের অদূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার পাঁচরা এলাকার এনামুল হকের স্ত্রী রুমানা আক্তার রুমি (৬০) ও তাঁর মেয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ শিক্ষার্থী সাদিয়া হক (২২); একই এলাকার আব্দুল মান্নান মজুমদারের স্ত্রী রাশেদা শিল্পী (৫১) ও তাঁর মেয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্রী ফারহানা মজুমদার টিজা (২৩) এবং আমিনুল হকের স্ত্রী ফারজানা আক্তার লিজা (২৮)। তাঁরা পরস্পরের নিকটাত্মীয়।

আহত ব্যক্তিরা হলেন এনামুল হক, আমিনুল হক ও তাঁর মেয়ে। গুরুতর আহত দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে আসা মারছা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস চট্টগ্রাম যাচ্ছিল। বাসটি চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হাঁসের দিঘি এলাকায় পৌঁছালে কক্সবাজারগামী একটি পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করেন। পরে তাঁদের চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিষ্টান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুজন ও মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিষ্টান হাসপাতালে তিনজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। গুরুতর আহত তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেকে পাঠানো হয়। তাঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

রুমানা আক্তার রুমির ছেলে মোহাম্মদ মনীরুল ইসলাম বলেন, ‘দুর্ঘটনায় আমার মা, ছোট বোন, ভাবি, ভাইয়ের শাশুড়ি ও শ্যালিকা মারা গেছেন। বড় ভাই ও ভাতিজির অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমাদের ও ভাইয়ের শ্বশুরবাড়ির পরিবার কক্সবাজারে বেড়াতে যাচ্ছিল। ফেরার পথে চকরিয়ায় বেড়াতে যাওয়ার কথা ছিল। এখন সবাই লাশ হয়ে ফিরেছে। আমাদের পুরো পরিবারের আশা, স্বপ্ন ও ভবিষ্যৎ তছনছ হয়েছে। এই শোক কীভাবে কাটাব বুঝতে পারছি না।’

মালুমঘাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, চট্টগ্রামগামী মারছা পরিবহনের একটি বাস ও পর্যটকবাহী কক্সবাজারগামী মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসের যাত্রীরা গুরুতর আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও মেমোরিয়াল খ্রিষ্টান হাসপাতালে নিলে সেখানে এখন পর্যন্ত পাঁচজন মারা গেছেন। আহত ব্যক্তিদের চমেকে পাঠানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে থেকে গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হলেন মামদানি

জোট নয়, নির্বাচনী সমঝোতা করবে জামায়াত—জানালেন আমির

আজকের রাশিফল: অফিসে মিষ্টি কথায় মন গলবে বসের, প্রেমের ঝগড়ায় চ্যাটজিপিটিতে ভরসা নয়

বাংলা ভাষার সঙ্গে জোহরান মামদানির ঘরের সম্পর্ক, যোগসূত্র মা মীরা নায়ার

বুমরা-সূর্যকুমারকে শাস্তি দিল আইসিসি, নিষিদ্ধ পাকিস্তানি ক্রিকেটার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নাশকতার মামলায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

নেত্রকোনা, প্রতিনিধি
মো. রাজন মিয়া। ছবি: সংগৃহীত
মো. রাজন মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাজন মিয়াকে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে সদর ইউনিয়নের ঘোষপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে নাশকতার একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ওই এলাকার মো. তারা মিয়ার ছেলে।

কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফুর রহমান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নাশকতার একটি মামলায় মো. রাজন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হলেন মামদানি

জোট নয়, নির্বাচনী সমঝোতা করবে জামায়াত—জানালেন আমির

আজকের রাশিফল: অফিসে মিষ্টি কথায় মন গলবে বসের, প্রেমের ঝগড়ায় চ্যাটজিপিটিতে ভরসা নয়

বাংলা ভাষার সঙ্গে জোহরান মামদানির ঘরের সম্পর্ক, যোগসূত্র মা মীরা নায়ার

বুমরা-সূর্যকুমারকে শাস্তি দিল আইসিসি, নিষিদ্ধ পাকিস্তানি ক্রিকেটার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাকসু তহবিলের ২২ বছরের হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না, অভিযোগ ভিপির

রাবি প্রতিনিধি  
রাকসু কার্যালয়ের সামনে আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলন করেন প্রতিনিধিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাকসু কার্যালয়ের সামনে আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলন করেন প্রতিনিধিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) তহবিলের গত ২২ বছরে উপার্জিত অর্থের সুনির্দিষ্ট হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন সহসভাপতি (ভিপি) মোস্তাকুর রহমান জাহিদ। আজ বুধবার দুপুরে রাকসু ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও রাকসুর কোষাধ্যক্ষ ওই হিসাব দিতে পারেনি।

মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘দীর্ঘ ৩৫ বছর পর রাকসু নির্বাচন হয়েছে। সবশেষ নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯০ সালে। প্রতিবছর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রাকসুর তহবিলের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এত বছর ধরে এই টাকার একটি বিশাল অঙ্ক জমা হওয়ার কথা, কিন্তু তার কোনো স্পষ্ট হিসাব নেই। আমরা জানতে চাই, রাকসু ফান্ডে এখন আসলে কত টাকা আছে।’

রাকসুর ভিপি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে। এর আগে কে ভিসি (উপাচার্য) ছিলেন, কে কোষাধ্যক্ষ ছিলেন, তা আমাদের দেখার বিষয় না। ২০১৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত উপার্জিত অর্থের হিসাব দিতে পারলেও ১৯৯০-এর পর থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে উপার্জিত অর্থের কোনো হিসাব দিতে পারছে না প্রশাসন।’

ভিপি জাহিদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আস্থা রাখতে পূর্ণাঙ্গ আর্থিক প্রতিবেদন দেওয়া জরুরি। আমরা তহবিলের অর্থের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভর না থেকে বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও অন্যান্য উৎস থেকেও অর্থ সংগ্রহ করে কাজ করার পরিকল্পনা নিয়েছি।’

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাকসুর সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) এস এম সালমান সাব্বির। তিনি রাকসুর প্রথম অধিবেশনে আগামী এক মাসের কর্মসূচি উপস্থাপন করেন।

সেগুলো হলো রাকসু তহবিলের যথাযথ হিসাব, সম্প্রতি সুইমিংপুলে মারা যাওয়া সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সায়মার পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ, জারাফার জন্য তহবিল সংগ্রহ, চিকিৎসাসেবার রোডম্যাপ তৈরি, সমাজ স্বীকৃত পোশাক নিয়ে কটূক্তিকারীদের শাস্তির আওতায় আনা, প্রতিটি হলে পানির ফিল্টার মেশিন স্থাপন এবং প্রতিটি একাডেমিক বিল্ডিংয়ে স্যানিটাইজেশন ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন।

এ ছাড়া ছাত্রী হলের সামনে ফার্মেসি, সুপারশপ, মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা নিশ্চিত করা, মহিলা জিমনেসিয়াম চালু করা; আবাসিক হল, একাডেমিক ভবন ও স্যুভেনির শপে উচ্চগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, আন্তহল বিতর্ক আয়োজন এবং ক্লিন ক্যাম্পাস কর্মসূচি পালন করা।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাকসুর সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কনফারেন্স কক্ষে প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হলেন মামদানি

জোট নয়, নির্বাচনী সমঝোতা করবে জামায়াত—জানালেন আমির

আজকের রাশিফল: অফিসে মিষ্টি কথায় মন গলবে বসের, প্রেমের ঝগড়ায় চ্যাটজিপিটিতে ভরসা নয়

বাংলা ভাষার সঙ্গে জোহরান মামদানির ঘরের সম্পর্ক, যোগসূত্র মা মীরা নায়ার

বুমরা-সূর্যকুমারকে শাস্তি দিল আইসিসি, নিষিদ্ধ পাকিস্তানি ক্রিকেটার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত