প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী)
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে তিন লাখের বেশি মানুষের স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র ভরসা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কাগজে–কলমে ৫০ শয্যা হলেও এটি চলছে ৩১ শয্যার জনবল ও চিকিৎসক দিয়ে। ফলে আউটডোরে প্রতিদিন তিন থেকে চার শতাধিক রোগীর সেবা দিতে গিয়ে দুজন চিকিৎসককে হিমশিম খেতে হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সম্প্রতি গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেক রোগী। তাই কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও জনবল দ্রুত নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, প্রথম শ্রেণির ২৯টি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন ১৪ জন। দ্বিতীয় শ্রেণির ২৮টি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন ২২ জন। তৃতীয় শ্রেণির ১৪২টি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন ৫৫ জন। চতুর্থ শ্রেণির ২৯টি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন ১২ জন। এখানে ১৪ জন চিকিৎসক কর্মরত দেখানো হলেও কনিষ্ঠ কনসালট্যান্ট অ্যানেসথেসিয়া প্রেষণে আছেন সদর হাসপাতালে। আর তিনজন ডেপুটেশনে আছেন বিভিন্ন হাসপাতালে।
৫০ শয্যাবিশিষ্ট এ কমপ্লেক্সে কনিষ্ঠ কনসালট্যান্ট সার্জারি, মেডিসিন, কার্ডিওলজি, অর্থোপেডিক সার্জারি, শিশু, চক্ষু, ইএনটি, চর্ম ও যৌনরোগের চিকিৎসক থাকার কথা। তবে এখানে কোনো কনসালট্যান্ট চিকিৎসক নেই।
কয়েক বছর আগে কিশোরগঞ্জের জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কমপ্লেক্সটিকে ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করে সরকার। কিন্তু প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও জনবলের অভাবে সেই লক্ষ্য ভেস্তে যেতে বসেছে। ফলে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলার বিশাল জনগোষ্ঠী।
ওটির জন্য অ্যানেসথেসিয়া মেশিন, এক্স-রে, ইসিজি ও আল্ট্রাসনোগ্রাম, এসি রয়েছে। বেবি-ইনকিউবেটরসহ ফটোথেরাপি মেশিনও আছে। ৫০টি বেড ও সমানসংখ্যক ডাইড চালু আছে। ৫০ শয্যা কমপ্লেক্সে পরিপূর্ণ থাকলে প্রসূতির সিজারের জন্য রংপুর বা নীলফামারী যেতে হতো না।
কমপ্লেক্সের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাসপাতালে চিকিৎসকের সংকট ও রোগ নির্ণয়ে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় রোগীদের সেবা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে। নারী ও শিশু ওয়ার্ডের অবস্থা আরও নাজুক। কমপ্লেক্স থেকে কিছু ওষুধ পাওয়া গেলেও বাকি সব বাইরে থেকে কিনতে হয়। রোগীর সংখ্যা বেশি থাকলেও বেডসংকটের কারণে মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসাসেবা নিতে হয়। মোদ্দাকথা, কমপ্লেক্স নিজেই অসুস্থ।
উপজেলার চেয়ারম্যান শাহ্ মো. আবুল কালাম বারী পাইলট বলেন, ‘আমাদের উপজেলার মানুষ অত্যন্ত গরিব ও অসহায়। তাঁদের বেশির ভাগই সরকারি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন। কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও টেকনিশিয়ান–সংকটের কারণে সঠিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা। তাই এদিকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া প্রয়োজন।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু শফি মাহমুদ বলেন, ‘হাসপাতালে দৈনিক ৪০০ থেকে ৫০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। কাগজে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হলেও এ কমপ্লেক্স চলছে ৩১ শয্যার জনবল দিয়ে। ওয়ার্ড বয় আছে শুধু একজন। অল্প জনবল দিয়েই আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করি। তবে হিমশিম খেতে হয়। রোগীদের চাপ সামলাতে সব শূন্য পদে চিকিৎসক ও জনবল নিয়োগের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি। শিগগির নিয়োগ হলে রোগীদের উন্নত সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।’
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে তিন লাখের বেশি মানুষের স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র ভরসা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কাগজে–কলমে ৫০ শয্যা হলেও এটি চলছে ৩১ শয্যার জনবল ও চিকিৎসক দিয়ে। ফলে আউটডোরে প্রতিদিন তিন থেকে চার শতাধিক রোগীর সেবা দিতে গিয়ে দুজন চিকিৎসককে হিমশিম খেতে হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সম্প্রতি গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেক রোগী। তাই কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও জনবল দ্রুত নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, প্রথম শ্রেণির ২৯টি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন ১৪ জন। দ্বিতীয় শ্রেণির ২৮টি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন ২২ জন। তৃতীয় শ্রেণির ১৪২টি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন ৫৫ জন। চতুর্থ শ্রেণির ২৯টি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন ১২ জন। এখানে ১৪ জন চিকিৎসক কর্মরত দেখানো হলেও কনিষ্ঠ কনসালট্যান্ট অ্যানেসথেসিয়া প্রেষণে আছেন সদর হাসপাতালে। আর তিনজন ডেপুটেশনে আছেন বিভিন্ন হাসপাতালে।
৫০ শয্যাবিশিষ্ট এ কমপ্লেক্সে কনিষ্ঠ কনসালট্যান্ট সার্জারি, মেডিসিন, কার্ডিওলজি, অর্থোপেডিক সার্জারি, শিশু, চক্ষু, ইএনটি, চর্ম ও যৌনরোগের চিকিৎসক থাকার কথা। তবে এখানে কোনো কনসালট্যান্ট চিকিৎসক নেই।
কয়েক বছর আগে কিশোরগঞ্জের জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কমপ্লেক্সটিকে ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করে সরকার। কিন্তু প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও জনবলের অভাবে সেই লক্ষ্য ভেস্তে যেতে বসেছে। ফলে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলার বিশাল জনগোষ্ঠী।
ওটির জন্য অ্যানেসথেসিয়া মেশিন, এক্স-রে, ইসিজি ও আল্ট্রাসনোগ্রাম, এসি রয়েছে। বেবি-ইনকিউবেটরসহ ফটোথেরাপি মেশিনও আছে। ৫০টি বেড ও সমানসংখ্যক ডাইড চালু আছে। ৫০ শয্যা কমপ্লেক্সে পরিপূর্ণ থাকলে প্রসূতির সিজারের জন্য রংপুর বা নীলফামারী যেতে হতো না।
কমপ্লেক্সের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাসপাতালে চিকিৎসকের সংকট ও রোগ নির্ণয়ে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় রোগীদের সেবা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে। নারী ও শিশু ওয়ার্ডের অবস্থা আরও নাজুক। কমপ্লেক্স থেকে কিছু ওষুধ পাওয়া গেলেও বাকি সব বাইরে থেকে কিনতে হয়। রোগীর সংখ্যা বেশি থাকলেও বেডসংকটের কারণে মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসাসেবা নিতে হয়। মোদ্দাকথা, কমপ্লেক্স নিজেই অসুস্থ।
উপজেলার চেয়ারম্যান শাহ্ মো. আবুল কালাম বারী পাইলট বলেন, ‘আমাদের উপজেলার মানুষ অত্যন্ত গরিব ও অসহায়। তাঁদের বেশির ভাগই সরকারি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন। কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও টেকনিশিয়ান–সংকটের কারণে সঠিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা। তাই এদিকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া প্রয়োজন।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু শফি মাহমুদ বলেন, ‘হাসপাতালে দৈনিক ৪০০ থেকে ৫০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। কাগজে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হলেও এ কমপ্লেক্স চলছে ৩১ শয্যার জনবল দিয়ে। ওয়ার্ড বয় আছে শুধু একজন। অল্প জনবল দিয়েই আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করি। তবে হিমশিম খেতে হয়। রোগীদের চাপ সামলাতে সব শূন্য পদে চিকিৎসক ও জনবল নিয়োগের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি। শিগগির নিয়োগ হলে রোগীদের উন্নত সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।’
প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে চাল আমদানি করা হচ্ছে। রাজধানীসহ দেশের বাজারগুলোয় বেড়েছে সেই চালের সরবরাহ। এতে স্থানীয় বাজারে গত এক সপ্তাহে চালের দাম কেজিপ্রতি ৪ টাকা পর্যন্ত কমেছে। রাজধানীর সেগুনবাগিচা, মানিকনগর, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
১ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে খাদ্য বিভাগের বিভিন্ন গুদামে পচা ও নিম্নমানের চাল সরবরাহ করা হয়েছে। গত জুন ও জুলাই মাসে চালগুলো গুদামে ঢোকানো হয়েছে। এর মধ্যে সম্প্রতি দুটি গুদামে নিম্নমানের চাল থাকার বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে তদন্তও শুরু হয়েছে। তদন্তের সময় গুদামগুলোয় সরবরাহের রেজিস্টার ও পরিদর্শন বহি..
১ ঘণ্টা আগেঝালকাঠির রাজাপুরে একটি এতিমখানায় ব্যাপক অনিয়ম ও সরকারি বরাদ্দের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটির নাম সাহিত্যিক অধ্যক্ষ মো. ইসমাইল হোসেন এতিমখানা। এটির অবস্থান উপজেলার উত্তর উত্তমপুর গ্রামে। কাগজ-কলমে প্রতিষ্ঠানটিতে ৩৮ জন শিশু থাকলেও বাস্তব চিত্র অন্যরকম।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর দারুসসালাম থানা এলাকায় ঝটিকা মিছিলের প্রস্তুতিকালে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ১২ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে টেকনিক্যাল মোড় এলাকায় এসব নেতা-কর্মীরা মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে