জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পাটোয়ারী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা শামসুল হক। জীর্ণশীর্ণ শরীর, বয়স ৭০ কি ৮০, তা-ও ঠিক বলতে পারছেন না। শুধু জানিয়েছেন, সংসারে অভাব-অনটন লেগে আছে। এখন ঘুম হারাম হঠাৎ জানতে পারা ঋণের খবরে। টাকা দিতে না পারলে জেলের ভাত খাওয়ানোর হুমকি দিয়েছে ব্যাংক। যে ঋণের কথা বলা হচ্ছে, তাঁর নামে সেটি নিয়েছিলের বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর কর্মকর্তা-কর্মীরা।
শামসুল হক জানান, তাঁর ছবি ও খালি চেকে স্বাক্ষর নিয়েছিলেন স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর স্থানীয় শাখার তিন কর্মী ও একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। হাতে ৮০০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে তাঁরা বলেছিলেন, এটি ‘ভিক্ষা ঋণ’, পরিশোধ করতে হবে না। অথচ এখন জানতে পেরেছেন, তাঁর নামে নেওয়া ঋণের পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার টাকা। ওই কর্মকর্তারা বাকি টাকাটা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে আত্মসাৎ করলেও এখন দায় চেপেছে হতদরিদ্র গ্রাহকের কাঁধে।
শুধু শামসুল হক নন, সোনালী ব্যাংকের চিলাহাটি শাখা থেকে তাঁর মতো ৮৪০ জন গ্রাহককে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর মাধ্যমে ২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে অন্তত দুই শ গ্রাহক প্রতারিত হয়েছেন। সঠিক তথ্য অজানা থাকায় তাঁদের ঋণের পুরোটাই দীর্ঘদিন ধরে খেলাপি।
জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংকের চিলাহাটি শাখার ব্যবস্থাপক সাদেকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্বনির্ভর বাংলাদেশের আয়োজনে ৮৪০ জন গ্রাহকের মাঝে ২ কোটি ৭৪ লাখ টাকার ঋণ শুধু তাঁর শাখা থেকে বিতরণ করা হয়, যার পুরোটা বছরের পর বছর খেলাপি। টাকার পরিমাণ কম থাকায় মামলা হয়নি। এনজিওটির কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সব গ্রাহককে চিহ্নিতকরণ এবং খেলাপি ঋণ আদায়ে বেগ পেতে হচ্ছে।
স্বনির্ভর বাংলাদেশ ১৯৮১ সাল থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। শুরুতে নানা সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করলেও ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর থেকে অনিয়ম-জালিয়াতিতে জড়িয়ে পড়েন সংস্থাটির কর্মকর্তারা। ঋণ বিতরণের নামে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর এমন জালিয়াতির তথ্য উঠে এসেছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) পরিদর্শন প্রতিবেদনে। এমআরএ জানিয়েছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের অর্থায়নে ৪০টি জেলায় ৩৩টি এরিয়া অফিস এবং ৭৭৫টি শাখার মাধ্যমে এনজিওটির বিতরণ করা ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৮০০ কোটির বেশি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সংস্থাটির ঋণ কার্যক্রম যতটা বিস্তৃত, ততটা বিস্তার ঘটেছে কর্মকর্তাদের প্রতারণার ফাঁদও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর মাধ্যমে ১৯৯৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় কেতকীবাড়ি ও ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নে দেড় শতাধিক গ্রাহকের নামে ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়া হয়। এই ঋণগ্রহীতাদের অনেকে জানেন না, তাঁদের নামে ঋণ আছে। মূলত ‘ভিক্ষা ঋণ’ নাম দিয়ে তাঁদের ছবি ও স্বাক্ষর নিয়ে ওই ঋণ সৃজন করে একটি চক্র। একেকজনের নামে ২৫-৩৫ হাজার ঋণ নেওয়া হলেও তাঁরা পান ৮০০ থেকে ২০০০ টাকা। মূলত স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর তৎকালীন কর্মকর্তা ওমর ফারুক ওরফে কাজল, মোকাররম হোসেন, মারুফ হোসেন, স্থানীয় দালালখ্যাত আশিকুর ও সাবুল এবং সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা আবু ফয়েজ সংঘবদ্ধভাবে এই প্রতারণা করেন।
জানতে চাইলে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর তৎকালীন ইউনিট ম্যানেজার ববি বেগম বলেন, ‘হাতে টাকা পায়নি এমন অভিযোগ আমার কাছে কেউ করেনি। এটা রহস্যজনক। তবে ঋণ যে আদায় হয়নি, সেটা সত্য।’
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের হোসনাবাদ কেন্দ্রে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর সদস্য ছিলেন রওশন আরা নামের এক গৃহিণী। এনজিওটির সদর ইউনিয়নের কর্মকর্তা নাজমা বেগম তাঁকে ঋণ দেওয়ার কথা বলে বাউফল অগ্রণী ব্যাংকের নিচে ডেকেছিলেন। সেখানে তাঁর কাছ থেকে স্বাক্ষর ও ছবি নেওয়ার পর বলা হয়, ‘এখন চলে যান, ঋণ পাস হলে জানানো হবে।’ রওশন আরা ঋণের তথ্য জানতে পেরেছেন ঠিকই, তবে অন্তত চার বছর পর। যদিও ওই ঋণের কোনো টাকা পাননি তিনি।
একই এলাকার ভুক্তভোগী হানিফ হাওলাদার জানান, তাঁর বাড়িতে স্বনির্ভরের একটি কেন্দ্র ছিল। তখন ২৫ হাজার ঋণ নিয়ে সময়মতো পরিশোধ করেছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি অগ্রণী ব্যাংকের শাখা থেকে আব্বাস নামের এক কর্মকর্তা ৫ লাখ টাকা ঋণ বকেয়ার বিষয়ে জানিয়েছেন। টাকা না দিলে মামলা করার ভয় দেখাচ্ছেন। সেই ভয়ে সপরিবার এলাকা ছেড়ে ঢাকায় গা ঢাকা দিয়ে নির্মাণশ্রমিকের কাজ করছেন তিনি।
সহজ শর্তে কৃষিঋণের নামে অগ্রণী ব্যাংকের বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার গোয়ালমাঠ শাখা থেকে ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর মাধ্যমে বিতরণ করা এই ঋণের অধিকাংশই সংস্থাটির ক্রেডিট ম্যানেজার সরদার আলমগীর হোসেন অন্যদের সঙ্গে যোগসাজশে আত্মসাৎ করেছেন বলে জানা গেছে।
ঋণ জালিয়াতিতে জড়িত স্বনির্ভর বাংলাদেশ এখন কোনো ধরনের কার্যক্রমে নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে, ৬ শতাংশ কমিশনের বিনিময়ে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে স্বনির্ভর বাংলাদেশ। এখন তারা শত শত গ্রাহককে খুঁজে পাচ্ছে না। ঋণের অর্থ তছরুপ করার কারণে নথিপত্র সংরক্ষণ করা হয়নি। এখন নতুন করে অর্থ তছরুপের লক্ষ্যে অর্থায়ন চাইছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণ বিতরণে নীতিমালা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে। গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। অপরাধের তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মামুন-অর-রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘদিনের কোন্দল, মামলা ও দখলবাজির কারণে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম কয়েক বছর ধরে বন্ধ। কোথাও কোনো শাখা চলছে না। এতে ঋণ বিতরণ ও আদায় বন্ধ রয়েছে। ফলে কমিশনও বন্ধ। এমনকি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ থাকায় ঋণের কমিশন ও এফডিআরের অর্থ ব্যবহার করা যাচ্ছে না। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে অর্থ দরকার। অর্থ পেলে কার্যক্রম আবার চালু করা সম্ভব। তখন ঋণ আদায় হবে।
বিভিন্ন ব্যাংকের পাশাপাশি পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকএসএফের) থেকে অর্থ নিয়েও ঋণ বিতরণ করেছে স্বনির্ভর বাংলাদেশ। কিন্তু পিকেএসএফের ঋণ বিতরণের তথ্য গোপন করেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। ঋণ বিতরণের নামে স্বনির্ভর বাংলাদেশ এমন জালিয়াতির তথ্য উঠে এসেছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) পরিদর্শন প্রতিবেদনেও।
পিকেএসএফের সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও আরটিআই কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, ২০২২ সাল পর্যন্ত স্বনির্ভর বাংলাদেশের মাধ্যমে পিকেএসএফের ঋণের পরিমাণ ৩১ কোটি ১৫ লাখ ২২ হাজার টাকা। সুদ ও সার্ভিস চার্জ বাবদ বকেয়া ৪ কোটি ৫৪ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। পাওনা আদায়ে স্বনির্ভর বাংলাদেশকে ইতিমধ্যে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
এমআরএর পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে পরিচালিত পরিদর্শনে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর বহুবিধ অনিয়ম ও জালিয়াতির ঘটনা উঠে এসেছে। ২০১৭ সাল থেকে সংস্থাটির মাঠপর্যায়ের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এমনকি এমআরএ থেকে প্রাপ্ত মূল সনদ, পরিচালনা পর্ষদের সভার কার্যবিবরণীও পরিদর্শনকে দল দেখাতে পারেনি এনজিওটি। হিসাব ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন, সাধারণ বাজেট অনুমোদন, নিরীক্ষক নিয়োগ, ভাতা পুনর্নির্ধারণ, রেজিস্টার বই, ক্যাশ ও ব্যাংক বই, সাধারণ খতিয়ান, এফডিআর রেজিস্টার, স্থায়ী সম্পদ রেজিস্টার, অপচয় রেজিস্টার সংরক্ষণের নির্দেশনা থাকলেও পরিদর্শনে গিয়ে এসব নথিপত্র পায়নি পরিদর্শক দল।
স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর পরিচালক এনামুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের ঋণ পেতে সহায়তা করে আসছে। কিন্তু সংগত কারণে কার্যক্রম থেমে গেছে। নতুন করে চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অর্থছাড়ে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। অর্থ পেলে গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ হবে। ঋণ আদায় হবে।

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পাটোয়ারী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা শামসুল হক। জীর্ণশীর্ণ শরীর, বয়স ৭০ কি ৮০, তা-ও ঠিক বলতে পারছেন না। শুধু জানিয়েছেন, সংসারে অভাব-অনটন লেগে আছে। এখন ঘুম হারাম হঠাৎ জানতে পারা ঋণের খবরে। টাকা দিতে না পারলে জেলের ভাত খাওয়ানোর হুমকি দিয়েছে ব্যাংক। যে ঋণের কথা বলা হচ্ছে, তাঁর নামে সেটি নিয়েছিলের বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর কর্মকর্তা-কর্মীরা।
শামসুল হক জানান, তাঁর ছবি ও খালি চেকে স্বাক্ষর নিয়েছিলেন স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর স্থানীয় শাখার তিন কর্মী ও একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। হাতে ৮০০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে তাঁরা বলেছিলেন, এটি ‘ভিক্ষা ঋণ’, পরিশোধ করতে হবে না। অথচ এখন জানতে পেরেছেন, তাঁর নামে নেওয়া ঋণের পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার টাকা। ওই কর্মকর্তারা বাকি টাকাটা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে আত্মসাৎ করলেও এখন দায় চেপেছে হতদরিদ্র গ্রাহকের কাঁধে।
শুধু শামসুল হক নন, সোনালী ব্যাংকের চিলাহাটি শাখা থেকে তাঁর মতো ৮৪০ জন গ্রাহককে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর মাধ্যমে ২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে অন্তত দুই শ গ্রাহক প্রতারিত হয়েছেন। সঠিক তথ্য অজানা থাকায় তাঁদের ঋণের পুরোটাই দীর্ঘদিন ধরে খেলাপি।
জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংকের চিলাহাটি শাখার ব্যবস্থাপক সাদেকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্বনির্ভর বাংলাদেশের আয়োজনে ৮৪০ জন গ্রাহকের মাঝে ২ কোটি ৭৪ লাখ টাকার ঋণ শুধু তাঁর শাখা থেকে বিতরণ করা হয়, যার পুরোটা বছরের পর বছর খেলাপি। টাকার পরিমাণ কম থাকায় মামলা হয়নি। এনজিওটির কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সব গ্রাহককে চিহ্নিতকরণ এবং খেলাপি ঋণ আদায়ে বেগ পেতে হচ্ছে।
স্বনির্ভর বাংলাদেশ ১৯৮১ সাল থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। শুরুতে নানা সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করলেও ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর থেকে অনিয়ম-জালিয়াতিতে জড়িয়ে পড়েন সংস্থাটির কর্মকর্তারা। ঋণ বিতরণের নামে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর এমন জালিয়াতির তথ্য উঠে এসেছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) পরিদর্শন প্রতিবেদনে। এমআরএ জানিয়েছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের অর্থায়নে ৪০টি জেলায় ৩৩টি এরিয়া অফিস এবং ৭৭৫টি শাখার মাধ্যমে এনজিওটির বিতরণ করা ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৮০০ কোটির বেশি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সংস্থাটির ঋণ কার্যক্রম যতটা বিস্তৃত, ততটা বিস্তার ঘটেছে কর্মকর্তাদের প্রতারণার ফাঁদও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর মাধ্যমে ১৯৯৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় কেতকীবাড়ি ও ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নে দেড় শতাধিক গ্রাহকের নামে ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়া হয়। এই ঋণগ্রহীতাদের অনেকে জানেন না, তাঁদের নামে ঋণ আছে। মূলত ‘ভিক্ষা ঋণ’ নাম দিয়ে তাঁদের ছবি ও স্বাক্ষর নিয়ে ওই ঋণ সৃজন করে একটি চক্র। একেকজনের নামে ২৫-৩৫ হাজার ঋণ নেওয়া হলেও তাঁরা পান ৮০০ থেকে ২০০০ টাকা। মূলত স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর তৎকালীন কর্মকর্তা ওমর ফারুক ওরফে কাজল, মোকাররম হোসেন, মারুফ হোসেন, স্থানীয় দালালখ্যাত আশিকুর ও সাবুল এবং সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা আবু ফয়েজ সংঘবদ্ধভাবে এই প্রতারণা করেন।
জানতে চাইলে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর তৎকালীন ইউনিট ম্যানেজার ববি বেগম বলেন, ‘হাতে টাকা পায়নি এমন অভিযোগ আমার কাছে কেউ করেনি। এটা রহস্যজনক। তবে ঋণ যে আদায় হয়নি, সেটা সত্য।’
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের হোসনাবাদ কেন্দ্রে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর সদস্য ছিলেন রওশন আরা নামের এক গৃহিণী। এনজিওটির সদর ইউনিয়নের কর্মকর্তা নাজমা বেগম তাঁকে ঋণ দেওয়ার কথা বলে বাউফল অগ্রণী ব্যাংকের নিচে ডেকেছিলেন। সেখানে তাঁর কাছ থেকে স্বাক্ষর ও ছবি নেওয়ার পর বলা হয়, ‘এখন চলে যান, ঋণ পাস হলে জানানো হবে।’ রওশন আরা ঋণের তথ্য জানতে পেরেছেন ঠিকই, তবে অন্তত চার বছর পর। যদিও ওই ঋণের কোনো টাকা পাননি তিনি।
একই এলাকার ভুক্তভোগী হানিফ হাওলাদার জানান, তাঁর বাড়িতে স্বনির্ভরের একটি কেন্দ্র ছিল। তখন ২৫ হাজার ঋণ নিয়ে সময়মতো পরিশোধ করেছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি অগ্রণী ব্যাংকের শাখা থেকে আব্বাস নামের এক কর্মকর্তা ৫ লাখ টাকা ঋণ বকেয়ার বিষয়ে জানিয়েছেন। টাকা না দিলে মামলা করার ভয় দেখাচ্ছেন। সেই ভয়ে সপরিবার এলাকা ছেড়ে ঢাকায় গা ঢাকা দিয়ে নির্মাণশ্রমিকের কাজ করছেন তিনি।
সহজ শর্তে কৃষিঋণের নামে অগ্রণী ব্যাংকের বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার গোয়ালমাঠ শাখা থেকে ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর মাধ্যমে বিতরণ করা এই ঋণের অধিকাংশই সংস্থাটির ক্রেডিট ম্যানেজার সরদার আলমগীর হোসেন অন্যদের সঙ্গে যোগসাজশে আত্মসাৎ করেছেন বলে জানা গেছে।
ঋণ জালিয়াতিতে জড়িত স্বনির্ভর বাংলাদেশ এখন কোনো ধরনের কার্যক্রমে নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে, ৬ শতাংশ কমিশনের বিনিময়ে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে স্বনির্ভর বাংলাদেশ। এখন তারা শত শত গ্রাহককে খুঁজে পাচ্ছে না। ঋণের অর্থ তছরুপ করার কারণে নথিপত্র সংরক্ষণ করা হয়নি। এখন নতুন করে অর্থ তছরুপের লক্ষ্যে অর্থায়ন চাইছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণ বিতরণে নীতিমালা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে। গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। অপরাধের তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মামুন-অর-রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘদিনের কোন্দল, মামলা ও দখলবাজির কারণে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম কয়েক বছর ধরে বন্ধ। কোথাও কোনো শাখা চলছে না। এতে ঋণ বিতরণ ও আদায় বন্ধ রয়েছে। ফলে কমিশনও বন্ধ। এমনকি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ থাকায় ঋণের কমিশন ও এফডিআরের অর্থ ব্যবহার করা যাচ্ছে না। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে অর্থ দরকার। অর্থ পেলে কার্যক্রম আবার চালু করা সম্ভব। তখন ঋণ আদায় হবে।
বিভিন্ন ব্যাংকের পাশাপাশি পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকএসএফের) থেকে অর্থ নিয়েও ঋণ বিতরণ করেছে স্বনির্ভর বাংলাদেশ। কিন্তু পিকেএসএফের ঋণ বিতরণের তথ্য গোপন করেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। ঋণ বিতরণের নামে স্বনির্ভর বাংলাদেশ এমন জালিয়াতির তথ্য উঠে এসেছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) পরিদর্শন প্রতিবেদনেও।
পিকেএসএফের সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও আরটিআই কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, ২০২২ সাল পর্যন্ত স্বনির্ভর বাংলাদেশের মাধ্যমে পিকেএসএফের ঋণের পরিমাণ ৩১ কোটি ১৫ লাখ ২২ হাজার টাকা। সুদ ও সার্ভিস চার্জ বাবদ বকেয়া ৪ কোটি ৫৪ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। পাওনা আদায়ে স্বনির্ভর বাংলাদেশকে ইতিমধ্যে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
এমআরএর পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে পরিচালিত পরিদর্শনে স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর বহুবিধ অনিয়ম ও জালিয়াতির ঘটনা উঠে এসেছে। ২০১৭ সাল থেকে সংস্থাটির মাঠপর্যায়ের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এমনকি এমআরএ থেকে প্রাপ্ত মূল সনদ, পরিচালনা পর্ষদের সভার কার্যবিবরণীও পরিদর্শনকে দল দেখাতে পারেনি এনজিওটি। হিসাব ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন, সাধারণ বাজেট অনুমোদন, নিরীক্ষক নিয়োগ, ভাতা পুনর্নির্ধারণ, রেজিস্টার বই, ক্যাশ ও ব্যাংক বই, সাধারণ খতিয়ান, এফডিআর রেজিস্টার, স্থায়ী সম্পদ রেজিস্টার, অপচয় রেজিস্টার সংরক্ষণের নির্দেশনা থাকলেও পরিদর্শনে গিয়ে এসব নথিপত্র পায়নি পরিদর্শক দল।
স্বনির্ভর বাংলাদেশ-এর পরিচালক এনামুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের ঋণ পেতে সহায়তা করে আসছে। কিন্তু সংগত কারণে কার্যক্রম থেমে গেছে। নতুন করে চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অর্থছাড়ে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। অর্থ পেলে গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ হবে। ঋণ আদায় হবে।

তিন মাস আগে মেয়ের বিয়ের দিন ঠিক করার জন্য পথ ভুলে যাওয়া ভাগনি জামাইকে এগিয়ে আনতে গিয়ে মবের শিকার হয়ে গণপিটুনিতে প্রাণ হারান রূপলাল রবিদাস। সেই শোক মনে নিয়েই বিয়ে হচ্ছে তাঁর বড় মেয়ের।
২ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনার সরকারি খাদ্যগুদামগুলোয় বদলি-বাণিজ্য চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কয়েকজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ‘পারিবারিক সমস্যা’ দেখিয়ে প্রত্যাহারের আবেদন করিয়ে নেওয়া হয়েছে। এরপর মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে অন্যদের পদায়ন করা হচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগে
‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’—মর্মস্পর্শী বাক্যটি দেশজুড়ে বেশ আলোচিত হয়েছিল। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার (২৪) মাথায় চাপ না দেওয়ার সতর্কবাণী ছিল এটি। সমাজতত্ত্ব বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এই শিক্ষার্থীর মাথায় মারাত্মক আঘাতের কারণে মাথার খুলি খুলে ফ্রিজে রেখে দেওয়া হয়েছিল দুই মাস আগে।
৩ ঘণ্টা আগে
শিশু-কিশোরদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করার লক্ষ্যে ‘বই পড়ি, স্বপ্ন আঁকি’ স্লোগানে রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড। গতকাল শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে মুক্ত আসরের উদ্যোগে বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটি এই আয়োজন করে।
৫ ঘণ্টা আগেশিপুল ইসলাম, রংপুর প্রতিনিধি

তিন মাস আগে মেয়ের বিয়ের দিন ঠিক করার জন্য পথ ভুলে যাওয়া ভাগনি জামাইকে এগিয়ে আনতে গিয়ে মবের শিকার হয়ে গণপিটুনিতে প্রাণ হারান রূপলাল রবিদাস। সেই শোক মনে নিয়েই বিয়ে হচ্ছে তাঁর বড় মেয়ের।
রংপুরের তারাগঞ্জের কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুর গ্রামে রূপলালের বাড়িতে গতকাল সকাল থেকে চলছে ব্যস্ততা। সড়কে রঙিন গেট, উঠানে বাঁশের মাচা, মণ্ডপ, রঙিন কাপড়ের প্যান্ডেল, ধোঁয়া উঠছে রান্নার হাঁড়ি থেকে। বাইরে থেকে দেখলে মনে হয়, আনন্দঘন উৎসব, কিন্তু একটু কাছে গেলে বোঝা যায়—উৎসবের ভেতর পরিবারের সদস্যদের মনে লুকিয়ে রয়েছে রূপলালকে হারানোর গভীর ব্যথা।
রূপলালের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, গত ১০ আগস্ট রূপলালের বড় মেয়ে নুপুর রানীর বিয়ের দিন ঠিক করার কথা ছিল মিঠাপুকুর উপজেলার শ্যামপুর এলাকার এক তরুণের সঙ্গে। এ জন্য ৯ আগস্ট মিঠাপুকুর থেকে নিজের ভ্যান চালিয়ে আত্মীয় রূপলাল দাসের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন ভাগনি জামাই প্রদীপ দাস। তারাগঞ্জ-কাজীরহাট সড়কের বটতলা এলাকায় পৌঁছালে ভ্যান চোর সন্দেহে তাঁদের দুজনকে থামান স্থানীয় কয়েকজন। এরপর সেখানে লোক জড়ো হতে থাকে। একপর্যায়ে মব তৈরি করে রূপলাল দাস ও প্রদীপ দাসকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় রূপলালের স্ত্রী হত্যা মামলা করলে পুলিশ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়।
বাবার মৃত্যুর পর নুপুর রানীর বিয়ে বন্ধ হয়ে যায়। রূপলালকে হারিয়ে পুরো পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়ে। তবে রূপলালের পরিবার জানিয়েছে, মেয়ের বিয়ের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক লাখ, তারাগঞ্জ হাটের ব্যবসায়ীরা ৭১ হাজার, উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে ৭৫ হাজার, একটি সংগঠন থেকে এক লাখ টাকা টাকা পেয়েছে তারা। এ ছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন ব্যক্তি রূপলালের ছেলে জয় রবিদাস ও ছোট মেয়ে রুপার পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন।
রূপলালের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, ঘরের ভেতরে কনে নুপুর রবিদাস বসে আছেন বিয়ের শাড়িতে। মুখে বিয়ের সাজ, কিন্তু চোখ দুটো লাল। পাশে মা ভারতী রানী নীরবে অতিথি আপ্যায়নের প্রস্তুতি সামলাচ্ছেন।

তিন মাস আগে মেয়ের বিয়ের দিন ঠিক করার জন্য পথ ভুলে যাওয়া ভাগনি জামাইকে এগিয়ে আনতে গিয়ে মবের শিকার হয়ে গণপিটুনিতে প্রাণ হারান রূপলাল রবিদাস। সেই শোক মনে নিয়েই বিয়ে হচ্ছে তাঁর বড় মেয়ের।
রংপুরের তারাগঞ্জের কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুর গ্রামে রূপলালের বাড়িতে গতকাল সকাল থেকে চলছে ব্যস্ততা। সড়কে রঙিন গেট, উঠানে বাঁশের মাচা, মণ্ডপ, রঙিন কাপড়ের প্যান্ডেল, ধোঁয়া উঠছে রান্নার হাঁড়ি থেকে। বাইরে থেকে দেখলে মনে হয়, আনন্দঘন উৎসব, কিন্তু একটু কাছে গেলে বোঝা যায়—উৎসবের ভেতর পরিবারের সদস্যদের মনে লুকিয়ে রয়েছে রূপলালকে হারানোর গভীর ব্যথা।
রূপলালের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, গত ১০ আগস্ট রূপলালের বড় মেয়ে নুপুর রানীর বিয়ের দিন ঠিক করার কথা ছিল মিঠাপুকুর উপজেলার শ্যামপুর এলাকার এক তরুণের সঙ্গে। এ জন্য ৯ আগস্ট মিঠাপুকুর থেকে নিজের ভ্যান চালিয়ে আত্মীয় রূপলাল দাসের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন ভাগনি জামাই প্রদীপ দাস। তারাগঞ্জ-কাজীরহাট সড়কের বটতলা এলাকায় পৌঁছালে ভ্যান চোর সন্দেহে তাঁদের দুজনকে থামান স্থানীয় কয়েকজন। এরপর সেখানে লোক জড়ো হতে থাকে। একপর্যায়ে মব তৈরি করে রূপলাল দাস ও প্রদীপ দাসকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় রূপলালের স্ত্রী হত্যা মামলা করলে পুলিশ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়।
বাবার মৃত্যুর পর নুপুর রানীর বিয়ে বন্ধ হয়ে যায়। রূপলালকে হারিয়ে পুরো পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়ে। তবে রূপলালের পরিবার জানিয়েছে, মেয়ের বিয়ের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক লাখ, তারাগঞ্জ হাটের ব্যবসায়ীরা ৭১ হাজার, উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে ৭৫ হাজার, একটি সংগঠন থেকে এক লাখ টাকা টাকা পেয়েছে তারা। এ ছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন ব্যক্তি রূপলালের ছেলে জয় রবিদাস ও ছোট মেয়ে রুপার পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন।
রূপলালের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, ঘরের ভেতরে কনে নুপুর রবিদাস বসে আছেন বিয়ের শাড়িতে। মুখে বিয়ের সাজ, কিন্তু চোখ দুটো লাল। পাশে মা ভারতী রানী নীরবে অতিথি আপ্যায়নের প্রস্তুতি সামলাচ্ছেন।

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পাটোয়ারী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা শামসুল হক। জীর্ণশীর্ণ শরীর, বয়স ৭০ কি ৮০, তা-ও ঠিক বলতে পারছেন না। শুধু জানিয়েছেন, সংসারে অভাব-অনটন লেগে আছে। এখন ঘুম হারাম হঠাৎ জানতে পারা ঋণের খবরে। টাকা দিতে না পারলে জেলের ভাত খাওয়ানোর হুমকি দিয়েছে ব্যাংক। যে ঋণের কথা বলা হচ্ছে, তাঁর নামে স
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনার সরকারি খাদ্যগুদামগুলোয় বদলি-বাণিজ্য চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কয়েকজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ‘পারিবারিক সমস্যা’ দেখিয়ে প্রত্যাহারের আবেদন করিয়ে নেওয়া হয়েছে। এরপর মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে অন্যদের পদায়ন করা হচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগে
‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’—মর্মস্পর্শী বাক্যটি দেশজুড়ে বেশ আলোচিত হয়েছিল। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার (২৪) মাথায় চাপ না দেওয়ার সতর্কবাণী ছিল এটি। সমাজতত্ত্ব বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এই শিক্ষার্থীর মাথায় মারাত্মক আঘাতের কারণে মাথার খুলি খুলে ফ্রিজে রেখে দেওয়া হয়েছিল দুই মাস আগে।
৩ ঘণ্টা আগে
শিশু-কিশোরদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করার লক্ষ্যে ‘বই পড়ি, স্বপ্ন আঁকি’ স্লোগানে রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড। গতকাল শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে মুক্ত আসরের উদ্যোগে বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটি এই আয়োজন করে।
৫ ঘণ্টা আগেসাইফুল আরিফ জুয়েল, নেত্রকোনা

ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনার সরকারি খাদ্যগুদামগুলোয় বদলি-বাণিজ্য চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কয়েকজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ‘পারিবারিক সমস্যা’ দেখিয়ে প্রত্যাহারের আবেদন করিয়ে নেওয়া হয়েছে। এরপর মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে অন্যদের পদায়ন করা হচ্ছে।
সম্প্রতি অন্তত ছয়টি গুদামের কর্মকর্তাদের এভাবে বদলি ও পদায়নের তথ্য পাওয়া গেছে।
অভিযোগ উঠেছে, ময়মনসিংহ আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে গঠিত একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট এই বদলি-বাণিজ্যের মূল হোতা। পুরো প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতা করছেন খাদ্য পরিদর্শক মো. মাজহারুল ইসলাম কামাল।
নেত্রকোনার কেন্দুয়া সদর খাদ্যগুদামে সম্প্রতি মেয়াদ শেষ না হতেই বিধিবহির্ভূতভাবে একজন উপপরিদর্শককে পদায়ন করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী সেখানে পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তা থাকার কথা। অভিযোগ ওঠার পর ওই পদায়ন আদেশ পরে বাতিল করা হয়।
এদিকে নেত্রকোনা সদর, ঠাকুরাকোণা, ময়মনসিংহের গৌরীপুর, তারাকান্দা, ধলা ও শ্যামগঞ্জ গুদামে দেখা গেছে, দুই বছর পূর্ণের আগেই কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে বদলি করা হয়েছে এবং তাৎক্ষণিকভাবে নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এতে প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
তথ্য-উপাত্ত ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১৯ আগস্ট ময়মনসিংহের তারাকান্দা গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলাল হোসেনকে দুই বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার ২৫ দিন আগেই পারিবারিক সমস্যার কারণে বদলি করা হয় ফুলবাড়িয়ায়। একই দিন তারাকান্দায় পদায়ন করা হয় শাকিল আহম্মেদকে। ২৭ দিন পর আলাল হোসেনকে গৌরীপুর খাদ্যগুদামে পদায়ন করা হয়। ৯ সেপ্টেম্বর শ্যামগঞ্জ গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ুমকে একই কারণ দেখিয়ে মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই মাস ৫ দিন আগেই বদলি করে তাঁর স্থলে একই দিনে পদায়ন করা হয় সাজ্জাদ হোসেন খান পাঠানকে। ১৪ সেপ্টেম্বর গৌরীপুর খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিনকে পারিবারিক সমস্যার কারণ দেখিয়ে মেয়াদ শেষ হওয়ার ২৮ দিন আগেই বদলি করে তাঁর স্থলে আলাল হোসেনকে পদায়ন করা হয়। ২৮ সেপ্টেম্বর ত্রিশালের ধলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদকে একই কারণ দেখিয়ে মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস আগেই বদলি করে তাঁর স্থলে হিমেল চন্দ্র সরকারকে পদায়ন করা হয়। ২৮ সেপ্টেম্বর নেত্রকোনার ঠাকুরাকোণা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামীম আহমেদকে একই কারণ (পারিবারিক সমস্যা) দেখিয়ে মেয়াদ শেষ হওয়ার এক মাস ২০ দিন আগেই বদলি করে তাঁর স্থলে আব্দুল ওয়াহাবকে পদায়ন করা হয়। ৩০ অক্টোবর নেত্রকোনা সদর খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাইয়ুম মোহাম্মদকে পারিবারিক সমস্যার কারণে মেয়াদ শেষ হওয়ার ২২ দিন আগে বদলি করে তাঁর স্থলে রেজাউল ইসলামকে পদায়ন করা হয়েছে।
খাদ্য অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস থেকে চাপ দিয়ে পারিবারিক সমস্যার আবেদন করতে বলা হয়েছে। ঊর্ধ্বতনের কথা না মানলে সমস্যায় পড়তে হবে। তাই সবাই বাধ্য হয়ে আবেদন করেছে। বদলি-বাণিজ্যে এখন প্রতি পদায়নে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ লেনদেন হচ্ছে। টাকা না দিলে গুদামের দায়িত্বও দেওয়া হচ্ছে না। অনেকের বদলি ও পদায়নের অফিস কপিও লুকিয়ে রাখা হয়েছে; যেটা অফিস ফাইলে থাকার কথা। ওই কর্মকর্তারা বলেন, একসঙ্গে এত কর্মকর্তাকে পারিবারিক সমস্যা দেখিয়ে প্রত্যাহার করা এবং ঘুষ নিয়ে নতুনদের বসানো হয়েছে। এর আগে কখনো এমন অনিয়ম দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে কথা বলতে ময়মনসিংহ আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক (আরসি ফুড) আশরাফুল আলমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে কল দেখে তিনি এ বিষয়টি তাঁর অনিয়মের সহযোগী পরিদর্শক মাজহারুল ইসলাম কামালকে জানিয়ে রাখেন।
খাদ্য পরিদর্শক মো. মাজহারুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক স্যারকে কল দিয়েছিলাম; সাংবাদিক কল দিয়েছিল, এটা তিনি আমাকে জানিয়েছেন। স্যার মূলত সচরাচর কারও কল ধরেন না। আমি নিজেই একসময় সাংবাদিক ছিলাম। অভিযোগের বিষয়টা মিথ্যা। ঠাকুরাকোণা গুদামের কর্মকর্তা শামীম তাঁর এক বন্ধুকে এখানে দিয়ে সময়কাল শেষ হওয়ার আগেই তিনি স্বেচ্ছায় আবেদন করে চলে গেছেন। অন্যগুলোও প্রায় একই রকম। কয়েকজন অহেতুক আমাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করে যাচ্ছে। সোর্স লাগিয়ে তাদের খুঁজে বের করতে সময় লাগবে না।’
এ বিষয়ে জানতে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীরের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
খাদ্যসচিব মাসুদুল হাসান বলেন, ‘আমাদের খাদ্য অধিদপ্তরের নীতিমালা অনুযায়ী একজন কর্মকর্তা দুই বছর একটি স্টেশনে থাকবেন। যদি তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি না থাকে, তাহলে তাঁকে বদলি করার নিয়ম নেই। আর একসঙ্গে তো এত কর্মকর্তার পারিবারিক সমস্যা হতে পারে না। বিষয়টা তদন্ত করে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনার সরকারি খাদ্যগুদামগুলোয় বদলি-বাণিজ্য চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কয়েকজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ‘পারিবারিক সমস্যা’ দেখিয়ে প্রত্যাহারের আবেদন করিয়ে নেওয়া হয়েছে। এরপর মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে অন্যদের পদায়ন করা হচ্ছে।
সম্প্রতি অন্তত ছয়টি গুদামের কর্মকর্তাদের এভাবে বদলি ও পদায়নের তথ্য পাওয়া গেছে।
অভিযোগ উঠেছে, ময়মনসিংহ আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে গঠিত একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট এই বদলি-বাণিজ্যের মূল হোতা। পুরো প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতা করছেন খাদ্য পরিদর্শক মো. মাজহারুল ইসলাম কামাল।
নেত্রকোনার কেন্দুয়া সদর খাদ্যগুদামে সম্প্রতি মেয়াদ শেষ না হতেই বিধিবহির্ভূতভাবে একজন উপপরিদর্শককে পদায়ন করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী সেখানে পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তা থাকার কথা। অভিযোগ ওঠার পর ওই পদায়ন আদেশ পরে বাতিল করা হয়।
এদিকে নেত্রকোনা সদর, ঠাকুরাকোণা, ময়মনসিংহের গৌরীপুর, তারাকান্দা, ধলা ও শ্যামগঞ্জ গুদামে দেখা গেছে, দুই বছর পূর্ণের আগেই কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে বদলি করা হয়েছে এবং তাৎক্ষণিকভাবে নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এতে প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
তথ্য-উপাত্ত ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১৯ আগস্ট ময়মনসিংহের তারাকান্দা গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলাল হোসেনকে দুই বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার ২৫ দিন আগেই পারিবারিক সমস্যার কারণে বদলি করা হয় ফুলবাড়িয়ায়। একই দিন তারাকান্দায় পদায়ন করা হয় শাকিল আহম্মেদকে। ২৭ দিন পর আলাল হোসেনকে গৌরীপুর খাদ্যগুদামে পদায়ন করা হয়। ৯ সেপ্টেম্বর শ্যামগঞ্জ গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ুমকে একই কারণ দেখিয়ে মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই মাস ৫ দিন আগেই বদলি করে তাঁর স্থলে একই দিনে পদায়ন করা হয় সাজ্জাদ হোসেন খান পাঠানকে। ১৪ সেপ্টেম্বর গৌরীপুর খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিনকে পারিবারিক সমস্যার কারণ দেখিয়ে মেয়াদ শেষ হওয়ার ২৮ দিন আগেই বদলি করে তাঁর স্থলে আলাল হোসেনকে পদায়ন করা হয়। ২৮ সেপ্টেম্বর ত্রিশালের ধলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদকে একই কারণ দেখিয়ে মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস আগেই বদলি করে তাঁর স্থলে হিমেল চন্দ্র সরকারকে পদায়ন করা হয়। ২৮ সেপ্টেম্বর নেত্রকোনার ঠাকুরাকোণা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামীম আহমেদকে একই কারণ (পারিবারিক সমস্যা) দেখিয়ে মেয়াদ শেষ হওয়ার এক মাস ২০ দিন আগেই বদলি করে তাঁর স্থলে আব্দুল ওয়াহাবকে পদায়ন করা হয়। ৩০ অক্টোবর নেত্রকোনা সদর খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাইয়ুম মোহাম্মদকে পারিবারিক সমস্যার কারণে মেয়াদ শেষ হওয়ার ২২ দিন আগে বদলি করে তাঁর স্থলে রেজাউল ইসলামকে পদায়ন করা হয়েছে।
খাদ্য অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস থেকে চাপ দিয়ে পারিবারিক সমস্যার আবেদন করতে বলা হয়েছে। ঊর্ধ্বতনের কথা না মানলে সমস্যায় পড়তে হবে। তাই সবাই বাধ্য হয়ে আবেদন করেছে। বদলি-বাণিজ্যে এখন প্রতি পদায়নে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ লেনদেন হচ্ছে। টাকা না দিলে গুদামের দায়িত্বও দেওয়া হচ্ছে না। অনেকের বদলি ও পদায়নের অফিস কপিও লুকিয়ে রাখা হয়েছে; যেটা অফিস ফাইলে থাকার কথা। ওই কর্মকর্তারা বলেন, একসঙ্গে এত কর্মকর্তাকে পারিবারিক সমস্যা দেখিয়ে প্রত্যাহার করা এবং ঘুষ নিয়ে নতুনদের বসানো হয়েছে। এর আগে কখনো এমন অনিয়ম দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে কথা বলতে ময়মনসিংহ আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক (আরসি ফুড) আশরাফুল আলমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে কল দেখে তিনি এ বিষয়টি তাঁর অনিয়মের সহযোগী পরিদর্শক মাজহারুল ইসলাম কামালকে জানিয়ে রাখেন।
খাদ্য পরিদর্শক মো. মাজহারুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক স্যারকে কল দিয়েছিলাম; সাংবাদিক কল দিয়েছিল, এটা তিনি আমাকে জানিয়েছেন। স্যার মূলত সচরাচর কারও কল ধরেন না। আমি নিজেই একসময় সাংবাদিক ছিলাম। অভিযোগের বিষয়টা মিথ্যা। ঠাকুরাকোণা গুদামের কর্মকর্তা শামীম তাঁর এক বন্ধুকে এখানে দিয়ে সময়কাল শেষ হওয়ার আগেই তিনি স্বেচ্ছায় আবেদন করে চলে গেছেন। অন্যগুলোও প্রায় একই রকম। কয়েকজন অহেতুক আমাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করে যাচ্ছে। সোর্স লাগিয়ে তাদের খুঁজে বের করতে সময় লাগবে না।’
এ বিষয়ে জানতে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীরের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
খাদ্যসচিব মাসুদুল হাসান বলেন, ‘আমাদের খাদ্য অধিদপ্তরের নীতিমালা অনুযায়ী একজন কর্মকর্তা দুই বছর একটি স্টেশনে থাকবেন। যদি তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি না থাকে, তাহলে তাঁকে বদলি করার নিয়ম নেই। আর একসঙ্গে তো এত কর্মকর্তার পারিবারিক সমস্যা হতে পারে না। বিষয়টা তদন্ত করে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পাটোয়ারী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা শামসুল হক। জীর্ণশীর্ণ শরীর, বয়স ৭০ কি ৮০, তা-ও ঠিক বলতে পারছেন না। শুধু জানিয়েছেন, সংসারে অভাব-অনটন লেগে আছে। এখন ঘুম হারাম হঠাৎ জানতে পারা ঋণের খবরে। টাকা দিতে না পারলে জেলের ভাত খাওয়ানোর হুমকি দিয়েছে ব্যাংক। যে ঋণের কথা বলা হচ্ছে, তাঁর নামে স
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
তিন মাস আগে মেয়ের বিয়ের দিন ঠিক করার জন্য পথ ভুলে যাওয়া ভাগনি জামাইকে এগিয়ে আনতে গিয়ে মবের শিকার হয়ে গণপিটুনিতে প্রাণ হারান রূপলাল রবিদাস। সেই শোক মনে নিয়েই বিয়ে হচ্ছে তাঁর বড় মেয়ের।
২ ঘণ্টা আগে
‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’—মর্মস্পর্শী বাক্যটি দেশজুড়ে বেশ আলোচিত হয়েছিল। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার (২৪) মাথায় চাপ না দেওয়ার সতর্কবাণী ছিল এটি। সমাজতত্ত্ব বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এই শিক্ষার্থীর মাথায় মারাত্মক আঘাতের কারণে মাথার খুলি খুলে ফ্রিজে রেখে দেওয়া হয়েছিল দুই মাস আগে।
৩ ঘণ্টা আগে
শিশু-কিশোরদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করার লক্ষ্যে ‘বই পড়ি, স্বপ্ন আঁকি’ স্লোগানে রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড। গতকাল শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে মুক্ত আসরের উদ্যোগে বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটি এই আয়োজন করে।
৫ ঘণ্টা আগেচবি শিক্ষার্থী-গ্রামবাসী সংঘাত
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’—মর্মস্পর্শী বাক্যটি দেশজুড়ে বেশ আলোচিত হয়েছিল। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার (২৪) মাথায় চাপ না দেওয়ার সতর্কবাণী ছিল এটি। সমাজতত্ত্ব বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এই শিক্ষার্থীর মাথায় মারাত্মক আঘাতের কারণে মাথার খুলি খুলে ফ্রিজে রেখে দেওয়া হয়েছিল দুই মাস আগে। অবশেষে গত শনিবার অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এটি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
গত ৩০ আগস্ট এক তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় গ্রামবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় চবির অন্তত ৫০০ শিক্ষার্থী আহত হন। গ্রামবাসীর মধ্যেও অনেকে আহত হন। তাঁদের মধ্যে মাথায় মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন মামুন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ সায়েম (২৪)। প্রথমে তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। দ্রুত অস্ত্রোপচারের জন্য পরে বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই রাতেই তাঁদের অস্ত্রোপচার হয়। এর মধ্যে অপারেশনের মাধ্যমে মামুনের মাথার খুলি পৃথক করে রেখে দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে মামুন ও সায়েম পার্কভিউ হাসপাতালের কেবিনে চিকিৎসাধীন। তবে এখন বেশ উন্নতি হয়েছে। মামুনের চিকিৎসকেরা বলছেন, তিনি প্রায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আর সায়েমও (২৪) সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাসায় ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন।
পার্কভিউ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ টি এম রেজাউল করিম জানান, ‘মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দুই শিক্ষার্থীকে আমাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। দুজনই এখন সুস্থ। মামুনের মাথায় খুলি আমরা প্রতিস্থাপন করেছি। এরপর মামুন স্বাভাবিকভাবেই কথা বলছেন।’
চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মু. ইসমাঈল হোসেন জানান, অপারেশনের দুই মাস পর মামুনের মাথার খুলিটা প্রতিস্থাপন করা হলো। এখন মামুন সুস্থ। আর হামলায় সায়েমের একটি পা অবশ হয়ে যাওয়ায় তাঁকে থেরাপি দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে তিনিও সুস্থ। আরও কিছুদিন তাঁকে থেরাপি দিতে হবে। দুজনই এখন স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারছেন। হামলার সময় ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মামুনের মাথার পেছনের অংশে মারাত্মকভাবে আঘাত করা হয়। অপারেশনের মাধ্যমে তাঁর মাথা থেকে ১৩ টুকরা হাড় বের করা হয়েছিল বলেও জানান এই চিকিৎসক।
মামুনের ভাই মাসুদ রানা বলেন, ‘মামুনের সুস্থতার জন্য আমরা সবার কাছে ঋণী।’
তথ্যমতে, মাথার খুলি রেখে দেওয়ার ঘটনা এটি প্রথম নয়। এর আগে ২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মাহাদি আকিব মাথায় মারাত্মকভাবে আঘাত পান। দুদিন পর তাঁর মাথায় অপারেশন করা হয়। তখনো খুলি রেখে দিয়ে ব্যান্ডেজের ওপর লিখে দেওয়া হয়েছিল—‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’।

‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’—মর্মস্পর্শী বাক্যটি দেশজুড়ে বেশ আলোচিত হয়েছিল। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার (২৪) মাথায় চাপ না দেওয়ার সতর্কবাণী ছিল এটি। সমাজতত্ত্ব বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এই শিক্ষার্থীর মাথায় মারাত্মক আঘাতের কারণে মাথার খুলি খুলে ফ্রিজে রেখে দেওয়া হয়েছিল দুই মাস আগে। অবশেষে গত শনিবার অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এটি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
গত ৩০ আগস্ট এক তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় গ্রামবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় চবির অন্তত ৫০০ শিক্ষার্থী আহত হন। গ্রামবাসীর মধ্যেও অনেকে আহত হন। তাঁদের মধ্যে মাথায় মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন মামুন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ সায়েম (২৪)। প্রথমে তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। দ্রুত অস্ত্রোপচারের জন্য পরে বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই রাতেই তাঁদের অস্ত্রোপচার হয়। এর মধ্যে অপারেশনের মাধ্যমে মামুনের মাথার খুলি পৃথক করে রেখে দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে মামুন ও সায়েম পার্কভিউ হাসপাতালের কেবিনে চিকিৎসাধীন। তবে এখন বেশ উন্নতি হয়েছে। মামুনের চিকিৎসকেরা বলছেন, তিনি প্রায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আর সায়েমও (২৪) সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাসায় ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন।
পার্কভিউ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ টি এম রেজাউল করিম জানান, ‘মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দুই শিক্ষার্থীকে আমাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। দুজনই এখন সুস্থ। মামুনের মাথায় খুলি আমরা প্রতিস্থাপন করেছি। এরপর মামুন স্বাভাবিকভাবেই কথা বলছেন।’
চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মু. ইসমাঈল হোসেন জানান, অপারেশনের দুই মাস পর মামুনের মাথার খুলিটা প্রতিস্থাপন করা হলো। এখন মামুন সুস্থ। আর হামলায় সায়েমের একটি পা অবশ হয়ে যাওয়ায় তাঁকে থেরাপি দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে তিনিও সুস্থ। আরও কিছুদিন তাঁকে থেরাপি দিতে হবে। দুজনই এখন স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারছেন। হামলার সময় ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মামুনের মাথার পেছনের অংশে মারাত্মকভাবে আঘাত করা হয়। অপারেশনের মাধ্যমে তাঁর মাথা থেকে ১৩ টুকরা হাড় বের করা হয়েছিল বলেও জানান এই চিকিৎসক।
মামুনের ভাই মাসুদ রানা বলেন, ‘মামুনের সুস্থতার জন্য আমরা সবার কাছে ঋণী।’
তথ্যমতে, মাথার খুলি রেখে দেওয়ার ঘটনা এটি প্রথম নয়। এর আগে ২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মাহাদি আকিব মাথায় মারাত্মকভাবে আঘাত পান। দুদিন পর তাঁর মাথায় অপারেশন করা হয়। তখনো খুলি রেখে দিয়ে ব্যান্ডেজের ওপর লিখে দেওয়া হয়েছিল—‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’।

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পাটোয়ারী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা শামসুল হক। জীর্ণশীর্ণ শরীর, বয়স ৭০ কি ৮০, তা-ও ঠিক বলতে পারছেন না। শুধু জানিয়েছেন, সংসারে অভাব-অনটন লেগে আছে। এখন ঘুম হারাম হঠাৎ জানতে পারা ঋণের খবরে। টাকা দিতে না পারলে জেলের ভাত খাওয়ানোর হুমকি দিয়েছে ব্যাংক। যে ঋণের কথা বলা হচ্ছে, তাঁর নামে স
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
তিন মাস আগে মেয়ের বিয়ের দিন ঠিক করার জন্য পথ ভুলে যাওয়া ভাগনি জামাইকে এগিয়ে আনতে গিয়ে মবের শিকার হয়ে গণপিটুনিতে প্রাণ হারান রূপলাল রবিদাস। সেই শোক মনে নিয়েই বিয়ে হচ্ছে তাঁর বড় মেয়ের।
২ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনার সরকারি খাদ্যগুদামগুলোয় বদলি-বাণিজ্য চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কয়েকজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ‘পারিবারিক সমস্যা’ দেখিয়ে প্রত্যাহারের আবেদন করিয়ে নেওয়া হয়েছে। এরপর মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে অন্যদের পদায়ন করা হচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগে
শিশু-কিশোরদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করার লক্ষ্যে ‘বই পড়ি, স্বপ্ন আঁকি’ স্লোগানে রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড। গতকাল শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে মুক্ত আসরের উদ্যোগে বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটি এই আয়োজন করে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শিশু-কিশোরদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করার লক্ষ্যে ‘বই পড়ি, স্বপ্ন আঁকি’ স্লোগানে রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড। গতকাল শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে মুক্ত আসরের উদ্যোগে বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটি এই আয়োজন করে।
বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক রহমান রাজু।
অধ্যাপক রহমান রাজু বলেন, বুক অলিম্পিয়াড একটি স্বপ্ন অভিযাত্রা, যেখানে স্বপ্নের ডানা মেলার আয়োজন নিহিত রয়েছে। এই আয়োজনের মধ্যে লুকিয়ে আছে আগামীর সম্ভাবনার বীজ। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পাঠপ্রেম জাগিয়ে তোলার পাশাপাশি এটি সমাজে জ্ঞাননির্ভর, প্রগতিশীল ও মানবিক মনন গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। চিন্তা ও বুদ্ধির সমন্বয়ে নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে এবং নির্মাণের পথে এগিয়ে নিতে বুক অলিম্পিয়াড এক অনন্য উদ্যোগ।
রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আজিজুর রহমান দীপু বলেন, বুক অলিম্পিয়াড বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার এক অসাধারণ উদ্যোগ। ক্লাসের বই অনেক সময় বাধ্য হয়েই পড়া হয়, কিন্তু বুক অলিম্পিয়াড শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ের গণ্ডি পেরিয়ে জ্ঞানের নতুন দিগন্তে নিয়ে যাবে। এই বই পড়া অভ্যাসই তাদের মানবিক ও চিন্তাশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে।
নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. ওমর আলী আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ জাগিয়েছে, যা ভবিষ্যতে তাদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ বলেন, ‘সারা দেশে বুক অলিম্পিয়াডের আলোকছটা ছড়িয়ে দিতে আমরা রাজশাহীতে এই আয়োজন করেছি। বইয়ের ভেতরেই লুকিয়ে আছে জ্ঞানের আলো আর সেই আলোকে প্রতিটি শিক্ষার্থী ও প্রান্তিক অঞ্চলে পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছি।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আজিজুর রহমান দীপু, নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, জালাল উদ্দিন, আকতার ফারুক, সার্ক কৃষিকেন্দ্রের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার ও বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াডের যোগাযোগবিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক আবুল বাশার মিরাজ, লেখক সুফিয়া ডেইজি প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটির সহযোগী হিসেবে ছিল স্বপ্ন ’৭১ প্রকাশন, বইচারিতা, কাঠবিড়ালি প্রকাশন ও শব্দঘর।

শিশু-কিশোরদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করার লক্ষ্যে ‘বই পড়ি, স্বপ্ন আঁকি’ স্লোগানে রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড। গতকাল শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে মুক্ত আসরের উদ্যোগে বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটি এই আয়োজন করে।
বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক রহমান রাজু।
অধ্যাপক রহমান রাজু বলেন, বুক অলিম্পিয়াড একটি স্বপ্ন অভিযাত্রা, যেখানে স্বপ্নের ডানা মেলার আয়োজন নিহিত রয়েছে। এই আয়োজনের মধ্যে লুকিয়ে আছে আগামীর সম্ভাবনার বীজ। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পাঠপ্রেম জাগিয়ে তোলার পাশাপাশি এটি সমাজে জ্ঞাননির্ভর, প্রগতিশীল ও মানবিক মনন গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। চিন্তা ও বুদ্ধির সমন্বয়ে নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে এবং নির্মাণের পথে এগিয়ে নিতে বুক অলিম্পিয়াড এক অনন্য উদ্যোগ।
রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আজিজুর রহমান দীপু বলেন, বুক অলিম্পিয়াড বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার এক অসাধারণ উদ্যোগ। ক্লাসের বই অনেক সময় বাধ্য হয়েই পড়া হয়, কিন্তু বুক অলিম্পিয়াড শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ের গণ্ডি পেরিয়ে জ্ঞানের নতুন দিগন্তে নিয়ে যাবে। এই বই পড়া অভ্যাসই তাদের মানবিক ও চিন্তাশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে।
নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. ওমর আলী আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ জাগিয়েছে, যা ভবিষ্যতে তাদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ বলেন, ‘সারা দেশে বুক অলিম্পিয়াডের আলোকছটা ছড়িয়ে দিতে আমরা রাজশাহীতে এই আয়োজন করেছি। বইয়ের ভেতরেই লুকিয়ে আছে জ্ঞানের আলো আর সেই আলোকে প্রতিটি শিক্ষার্থী ও প্রান্তিক অঞ্চলে পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছি।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আজিজুর রহমান দীপু, নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, জালাল উদ্দিন, আকতার ফারুক, সার্ক কৃষিকেন্দ্রের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার ও বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াডের যোগাযোগবিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক আবুল বাশার মিরাজ, লেখক সুফিয়া ডেইজি প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটির সহযোগী হিসেবে ছিল স্বপ্ন ’৭১ প্রকাশন, বইচারিতা, কাঠবিড়ালি প্রকাশন ও শব্দঘর।

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পাটোয়ারী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা শামসুল হক। জীর্ণশীর্ণ শরীর, বয়স ৭০ কি ৮০, তা-ও ঠিক বলতে পারছেন না। শুধু জানিয়েছেন, সংসারে অভাব-অনটন লেগে আছে। এখন ঘুম হারাম হঠাৎ জানতে পারা ঋণের খবরে। টাকা দিতে না পারলে জেলের ভাত খাওয়ানোর হুমকি দিয়েছে ব্যাংক। যে ঋণের কথা বলা হচ্ছে, তাঁর নামে স
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
তিন মাস আগে মেয়ের বিয়ের দিন ঠিক করার জন্য পথ ভুলে যাওয়া ভাগনি জামাইকে এগিয়ে আনতে গিয়ে মবের শিকার হয়ে গণপিটুনিতে প্রাণ হারান রূপলাল রবিদাস। সেই শোক মনে নিয়েই বিয়ে হচ্ছে তাঁর বড় মেয়ের।
২ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনার সরকারি খাদ্যগুদামগুলোয় বদলি-বাণিজ্য চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কয়েকজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ‘পারিবারিক সমস্যা’ দেখিয়ে প্রত্যাহারের আবেদন করিয়ে নেওয়া হয়েছে। এরপর মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে অন্যদের পদায়ন করা হচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগে
‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’—মর্মস্পর্শী বাক্যটি দেশজুড়ে বেশ আলোচিত হয়েছিল। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার (২৪) মাথায় চাপ না দেওয়ার সতর্কবাণী ছিল এটি। সমাজতত্ত্ব বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এই শিক্ষার্থীর মাথায় মারাত্মক আঘাতের কারণে মাথার খুলি খুলে ফ্রিজে রেখে দেওয়া হয়েছিল দুই মাস আগে।
৩ ঘণ্টা আগে