নেত্রকোনা প্রতিনিধি

পিয়ন দিয়েই চলছে নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়। দীর্ঘদিন ধরে চরম লোকবল-সংকটে থাকা এই দপ্তরে বর্তমানে একজন অফিস সহায়ক (পিয়ন) ছাড়া কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী নেই। অফিস সহায়ক এসে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দপ্তর খুলে বসে থাকেন। কোনো কর্মকর্তা না থাকায় কার্যালয়টি বর্তমানে কার্যত অচল অবস্থায় রয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, ওই কার্যালয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা, একাডেমিক সুপারভাইজার, হিসাবরক্ষক, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, অফিস সহায়ক ও নৈশপ্রহরী নিয়ে সাতটি পদ রয়েছে। এর মধ্যে শুধু অফিস সহায়ক ও নৈশপ্রহরী ছাড়া বাকি পাঁচটি পদ শূন্য রয়েছে।
কার্যালয়ের সর্বশেষ দায়িত্বে থাকা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজিজুর রহমান ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় বদলি হয়ে যান। এরপর নতুন কাউকে সেখানে পদায়ন করা হয়নি। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু কামরুজ্জামান অন্য জেলায় চলে যাওয়ায় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর থেকে পাশের মদন উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল বারীকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশেষ কাজ ছাড়া তিনিও খালিয়াজুরীতে আসেন না।
এই দপ্তরে সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার পদ খালি রয়েছে প্রায় তিন বছর ধরে। আর একাডেমিক সুপারভাইজার থেকে শুরু করে অন্য পদগুলো এক থেকে আড়াই বছর ধরে খালি পড়ে আছে। ২৯৭ দশমিক ৬৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের হাওরবেষ্টিত এই উপজেলায় ছয়টি ইউনিয়নে ৩টি কলেজ, ১৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২টি দাখিল ও একটি আলিম মাদ্রাসা রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ হাজার ২১৭ জন। তাদের পাঠদানের জন্য তিন শতাধিক শিক্ষক নিয়োজিত রয়েছেন। কিন্তু শিক্ষা কর্মকর্তা না থাকায় কার্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও সঠিকভাবে তদারকি করা যাচ্ছে না।
১৯ নভেম্বর দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়সহ অন্য একটি কক্ষ তালাবদ্ধ। দরজার ওপরে মাকড়সার বাসা জমে আছে। আরেকটি কক্ষে একমাত্র কর্মরত অফিস সহায়ক খাইরুল আমিন সিকদার বসে আছেন। তিনি বলেন, ‘আমি কোনোমতে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অফিস খুলে কার্যক্রম চালু রেখেছি। গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মকর্তা-কর্মচারী না থাকায় বিভিন্ন কাজে ফাইলপত্র নিয়ে আমাকে মদন ও জেলা শহরে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। সব কাজও তো আমি বুঝি না। তবে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা মদনের স্যার প্রয়োজন হলে আসেন। ঊর্ধ্বতন স্যাররা বিষয়টি জানেন।’
তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বললে তাঁরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে জনবল না থাকায় শিক্ষা কার্যক্রমের তদারকি মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত কর্মকর্তা নিয়োগ ও প্রয়োজনীয় জনবল পূরণের মাধ্যমে অফিসের কার্যক্রম সচল করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আবদুর রউফ স্বাধীন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী নেই। শুধু একজন পিয়ন অফিস খুলে বসে থাকেন। এতে শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে। আমরা বিভিন্ন সভা-সেমিনার ও সমন্বয় মিটিংয়ে বিষয়টি তুলে ধরার পরও কোনো প্রতিকার মেলেনি।’
এ বিষয়ে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল বারী বলেন, ‘আমাকে মদনের পাশাপাশি কেন্দুয়া ও খালিয়াজুরী উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এতে খুব বেগ পেতে হচ্ছে। বিশেষ প্রয়োজন হলে খালিয়াজুরীতে যাওয়া হয়। অফিস সহায়ক খায়রুল আমিন ফাইলপত্র নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করে থাকেন।’
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘খালিয়াজুরীতে লোকবল-সংকটের বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। দ্রুত সংকটের সমাধান হবে বলে আশা করছি।’
খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাদির হোসেন বলেন, ‘জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছি।’

পিয়ন দিয়েই চলছে নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়। দীর্ঘদিন ধরে চরম লোকবল-সংকটে থাকা এই দপ্তরে বর্তমানে একজন অফিস সহায়ক (পিয়ন) ছাড়া কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী নেই। অফিস সহায়ক এসে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দপ্তর খুলে বসে থাকেন। কোনো কর্মকর্তা না থাকায় কার্যালয়টি বর্তমানে কার্যত অচল অবস্থায় রয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, ওই কার্যালয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা, একাডেমিক সুপারভাইজার, হিসাবরক্ষক, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, অফিস সহায়ক ও নৈশপ্রহরী নিয়ে সাতটি পদ রয়েছে। এর মধ্যে শুধু অফিস সহায়ক ও নৈশপ্রহরী ছাড়া বাকি পাঁচটি পদ শূন্য রয়েছে।
কার্যালয়ের সর্বশেষ দায়িত্বে থাকা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজিজুর রহমান ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় বদলি হয়ে যান। এরপর নতুন কাউকে সেখানে পদায়ন করা হয়নি। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু কামরুজ্জামান অন্য জেলায় চলে যাওয়ায় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর থেকে পাশের মদন উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল বারীকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশেষ কাজ ছাড়া তিনিও খালিয়াজুরীতে আসেন না।
এই দপ্তরে সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার পদ খালি রয়েছে প্রায় তিন বছর ধরে। আর একাডেমিক সুপারভাইজার থেকে শুরু করে অন্য পদগুলো এক থেকে আড়াই বছর ধরে খালি পড়ে আছে। ২৯৭ দশমিক ৬৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের হাওরবেষ্টিত এই উপজেলায় ছয়টি ইউনিয়নে ৩টি কলেজ, ১৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২টি দাখিল ও একটি আলিম মাদ্রাসা রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ হাজার ২১৭ জন। তাদের পাঠদানের জন্য তিন শতাধিক শিক্ষক নিয়োজিত রয়েছেন। কিন্তু শিক্ষা কর্মকর্তা না থাকায় কার্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও সঠিকভাবে তদারকি করা যাচ্ছে না।
১৯ নভেম্বর দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়সহ অন্য একটি কক্ষ তালাবদ্ধ। দরজার ওপরে মাকড়সার বাসা জমে আছে। আরেকটি কক্ষে একমাত্র কর্মরত অফিস সহায়ক খাইরুল আমিন সিকদার বসে আছেন। তিনি বলেন, ‘আমি কোনোমতে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অফিস খুলে কার্যক্রম চালু রেখেছি। গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মকর্তা-কর্মচারী না থাকায় বিভিন্ন কাজে ফাইলপত্র নিয়ে আমাকে মদন ও জেলা শহরে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। সব কাজও তো আমি বুঝি না। তবে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা মদনের স্যার প্রয়োজন হলে আসেন। ঊর্ধ্বতন স্যাররা বিষয়টি জানেন।’
তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বললে তাঁরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে জনবল না থাকায় শিক্ষা কার্যক্রমের তদারকি মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত কর্মকর্তা নিয়োগ ও প্রয়োজনীয় জনবল পূরণের মাধ্যমে অফিসের কার্যক্রম সচল করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আবদুর রউফ স্বাধীন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী নেই। শুধু একজন পিয়ন অফিস খুলে বসে থাকেন। এতে শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে। আমরা বিভিন্ন সভা-সেমিনার ও সমন্বয় মিটিংয়ে বিষয়টি তুলে ধরার পরও কোনো প্রতিকার মেলেনি।’
এ বিষয়ে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল বারী বলেন, ‘আমাকে মদনের পাশাপাশি কেন্দুয়া ও খালিয়াজুরী উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এতে খুব বেগ পেতে হচ্ছে। বিশেষ প্রয়োজন হলে খালিয়াজুরীতে যাওয়া হয়। অফিস সহায়ক খায়রুল আমিন ফাইলপত্র নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করে থাকেন।’
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘খালিয়াজুরীতে লোকবল-সংকটের বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। দ্রুত সংকটের সমাধান হবে বলে আশা করছি।’
খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাদির হোসেন বলেন, ‘জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছি।’
নেত্রকোনা প্রতিনিধি

পিয়ন দিয়েই চলছে নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়। দীর্ঘদিন ধরে চরম লোকবল-সংকটে থাকা এই দপ্তরে বর্তমানে একজন অফিস সহায়ক (পিয়ন) ছাড়া কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী নেই। অফিস সহায়ক এসে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দপ্তর খুলে বসে থাকেন। কোনো কর্মকর্তা না থাকায় কার্যালয়টি বর্তমানে কার্যত অচল অবস্থায় রয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, ওই কার্যালয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা, একাডেমিক সুপারভাইজার, হিসাবরক্ষক, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, অফিস সহায়ক ও নৈশপ্রহরী নিয়ে সাতটি পদ রয়েছে। এর মধ্যে শুধু অফিস সহায়ক ও নৈশপ্রহরী ছাড়া বাকি পাঁচটি পদ শূন্য রয়েছে।
কার্যালয়ের সর্বশেষ দায়িত্বে থাকা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজিজুর রহমান ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় বদলি হয়ে যান। এরপর নতুন কাউকে সেখানে পদায়ন করা হয়নি। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু কামরুজ্জামান অন্য জেলায় চলে যাওয়ায় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর থেকে পাশের মদন উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল বারীকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশেষ কাজ ছাড়া তিনিও খালিয়াজুরীতে আসেন না।
এই দপ্তরে সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার পদ খালি রয়েছে প্রায় তিন বছর ধরে। আর একাডেমিক সুপারভাইজার থেকে শুরু করে অন্য পদগুলো এক থেকে আড়াই বছর ধরে খালি পড়ে আছে। ২৯৭ দশমিক ৬৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের হাওরবেষ্টিত এই উপজেলায় ছয়টি ইউনিয়নে ৩টি কলেজ, ১৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২টি দাখিল ও একটি আলিম মাদ্রাসা রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ হাজার ২১৭ জন। তাদের পাঠদানের জন্য তিন শতাধিক শিক্ষক নিয়োজিত রয়েছেন। কিন্তু শিক্ষা কর্মকর্তা না থাকায় কার্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও সঠিকভাবে তদারকি করা যাচ্ছে না।
১৯ নভেম্বর দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়সহ অন্য একটি কক্ষ তালাবদ্ধ। দরজার ওপরে মাকড়সার বাসা জমে আছে। আরেকটি কক্ষে একমাত্র কর্মরত অফিস সহায়ক খাইরুল আমিন সিকদার বসে আছেন। তিনি বলেন, ‘আমি কোনোমতে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অফিস খুলে কার্যক্রম চালু রেখেছি। গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মকর্তা-কর্মচারী না থাকায় বিভিন্ন কাজে ফাইলপত্র নিয়ে আমাকে মদন ও জেলা শহরে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। সব কাজও তো আমি বুঝি না। তবে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা মদনের স্যার প্রয়োজন হলে আসেন। ঊর্ধ্বতন স্যাররা বিষয়টি জানেন।’
তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বললে তাঁরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে জনবল না থাকায় শিক্ষা কার্যক্রমের তদারকি মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত কর্মকর্তা নিয়োগ ও প্রয়োজনীয় জনবল পূরণের মাধ্যমে অফিসের কার্যক্রম সচল করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আবদুর রউফ স্বাধীন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী নেই। শুধু একজন পিয়ন অফিস খুলে বসে থাকেন। এতে শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে। আমরা বিভিন্ন সভা-সেমিনার ও সমন্বয় মিটিংয়ে বিষয়টি তুলে ধরার পরও কোনো প্রতিকার মেলেনি।’
এ বিষয়ে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল বারী বলেন, ‘আমাকে মদনের পাশাপাশি কেন্দুয়া ও খালিয়াজুরী উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এতে খুব বেগ পেতে হচ্ছে। বিশেষ প্রয়োজন হলে খালিয়াজুরীতে যাওয়া হয়। অফিস সহায়ক খায়রুল আমিন ফাইলপত্র নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করে থাকেন।’
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘খালিয়াজুরীতে লোকবল-সংকটের বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। দ্রুত সংকটের সমাধান হবে বলে আশা করছি।’
খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাদির হোসেন বলেন, ‘জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছি।’

পিয়ন দিয়েই চলছে নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়। দীর্ঘদিন ধরে চরম লোকবল-সংকটে থাকা এই দপ্তরে বর্তমানে একজন অফিস সহায়ক (পিয়ন) ছাড়া কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী নেই। অফিস সহায়ক এসে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দপ্তর খুলে বসে থাকেন। কোনো কর্মকর্তা না থাকায় কার্যালয়টি বর্তমানে কার্যত অচল অবস্থায় রয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, ওই কার্যালয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা, একাডেমিক সুপারভাইজার, হিসাবরক্ষক, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, অফিস সহায়ক ও নৈশপ্রহরী নিয়ে সাতটি পদ রয়েছে। এর মধ্যে শুধু অফিস সহায়ক ও নৈশপ্রহরী ছাড়া বাকি পাঁচটি পদ শূন্য রয়েছে।
কার্যালয়ের সর্বশেষ দায়িত্বে থাকা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজিজুর রহমান ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় বদলি হয়ে যান। এরপর নতুন কাউকে সেখানে পদায়ন করা হয়নি। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু কামরুজ্জামান অন্য জেলায় চলে যাওয়ায় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর থেকে পাশের মদন উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল বারীকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশেষ কাজ ছাড়া তিনিও খালিয়াজুরীতে আসেন না।
এই দপ্তরে সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার পদ খালি রয়েছে প্রায় তিন বছর ধরে। আর একাডেমিক সুপারভাইজার থেকে শুরু করে অন্য পদগুলো এক থেকে আড়াই বছর ধরে খালি পড়ে আছে। ২৯৭ দশমিক ৬৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের হাওরবেষ্টিত এই উপজেলায় ছয়টি ইউনিয়নে ৩টি কলেজ, ১৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২টি দাখিল ও একটি আলিম মাদ্রাসা রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ হাজার ২১৭ জন। তাদের পাঠদানের জন্য তিন শতাধিক শিক্ষক নিয়োজিত রয়েছেন। কিন্তু শিক্ষা কর্মকর্তা না থাকায় কার্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও সঠিকভাবে তদারকি করা যাচ্ছে না।
১৯ নভেম্বর দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়সহ অন্য একটি কক্ষ তালাবদ্ধ। দরজার ওপরে মাকড়সার বাসা জমে আছে। আরেকটি কক্ষে একমাত্র কর্মরত অফিস সহায়ক খাইরুল আমিন সিকদার বসে আছেন। তিনি বলেন, ‘আমি কোনোমতে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অফিস খুলে কার্যক্রম চালু রেখেছি। গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মকর্তা-কর্মচারী না থাকায় বিভিন্ন কাজে ফাইলপত্র নিয়ে আমাকে মদন ও জেলা শহরে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। সব কাজও তো আমি বুঝি না। তবে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা মদনের স্যার প্রয়োজন হলে আসেন। ঊর্ধ্বতন স্যাররা বিষয়টি জানেন।’
তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বললে তাঁরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে জনবল না থাকায় শিক্ষা কার্যক্রমের তদারকি মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত কর্মকর্তা নিয়োগ ও প্রয়োজনীয় জনবল পূরণের মাধ্যমে অফিসের কার্যক্রম সচল করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আবদুর রউফ স্বাধীন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী নেই। শুধু একজন পিয়ন অফিস খুলে বসে থাকেন। এতে শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে। আমরা বিভিন্ন সভা-সেমিনার ও সমন্বয় মিটিংয়ে বিষয়টি তুলে ধরার পরও কোনো প্রতিকার মেলেনি।’
এ বিষয়ে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল বারী বলেন, ‘আমাকে মদনের পাশাপাশি কেন্দুয়া ও খালিয়াজুরী উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এতে খুব বেগ পেতে হচ্ছে। বিশেষ প্রয়োজন হলে খালিয়াজুরীতে যাওয়া হয়। অফিস সহায়ক খায়রুল আমিন ফাইলপত্র নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করে থাকেন।’
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘খালিয়াজুরীতে লোকবল-সংকটের বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। দ্রুত সংকটের সমাধান হবে বলে আশা করছি।’
খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাদির হোসেন বলেন, ‘জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছি।’

অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস নিজেই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরে তদন্ত শুরু হতেই টানা তিন দিন প্রতিষ্ঠানে তিনি অনুপস্থিত। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিনে রহস্যজনকভাবে কমিটি বাতিল করে নতুন পরিপত্র জারি করেন, যা নিয়ে শিক্ষকেরা আরও সন্দিহান হয়ে পড়েন।
৬ মিনিট আগে
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৩ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার
৩৭ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
৪০ মিনিট আগেঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

অর্থ কেলেঙ্কারি, প্রশাসনিক অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও বিভিন্ন খাতে দুর্নীতির অভিযোগ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাসের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত রবীন্দ্রনাথ দাস মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়ন সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির ২১ জন শিক্ষক ও কর্মচারী তাঁর অপসারণের দাবিতে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে।
একই দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বানিয়াজুরী-ঘিওর সড়কের কলেজ গেটে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে অধ্যক্ষের ক্ষমতার অপব্যবহারের ফলে শিক্ষকেরা অসহায় হয়ে পড়েছেন। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় হয়রানির শিকার হচ্ছেন এবং অভিভাবকেরা আস্থাহীন হয়ে পড়ছেন। বক্তারা অভিযোগ করেন, অধ্যক্ষের স্বেচ্ছাচারী আচরণ, আর্থিক অনিয়ম, উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি, ভর্তিপ্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত ফি আদায় এবং প্রশাসনিক কাজের স্বচ্ছতার অভাবে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ সম্পূর্ণ স্থবির হয়ে পড়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রশাসনিক কাজের জন্য সরকার অনুমোদিত ৪ লাখ ৬৭ হাজার টাকা কোনো কাজেই ব্যয় করা হয়নি। এ ছাড়া উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বরাদ্দ ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৭০০ টাকা অধ্যক্ষ নিজের নামে উত্তোলন করেছেন, যা উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের সরকারি পোশাকের জন্য ভাতার টাকা দীর্ঘ সময় আটকে রেখে পরে চাপের মুখে আংশিক টাকা বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া ইন্টারনেট বিল, কম্পিউটার খরচ, ভূমি উন্নয়ন কর, রাসায়নিক দ্রব্য, আসবাব, ক্রীড়াসামগ্রীসহ মোট ২১টি খাতে ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি করে সরকারি বরাদ্দের কয়েক লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। প্রতিষ্ঠানটির ১৫ জন শিক্ষক এসব অভিযোগের ব্যাপারে সত্যতা নিশ্চিত করেন। তাঁরা বলেন, লাইব্রেরির বই কেনার জন্য বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও বই না কেনা, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ভর্তি ফি নিয়ম অনুযায়ী ব্যয় না করে ব্যক্তিগত কাজে খরচ করা, সরকারি শিক্ষকদের এসিআর উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে জমা না দিয়ে নিজের কাছে আটকে রাখা, এসব অভিযোগও নথিভুক্ত করা হয়েছে।
এসব অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস নিজেই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরে তদন্ত শুরু হতেই টানা তিন দিন প্রতিষ্ঠানে তিনি অনুপস্থিত। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিনে রহস্যজনকভাবে কমিটি বাতিল করে নতুন পরিপত্র জারি করেন, যা নিয়ে শিক্ষকেরা আরও সন্দিহান হয়ে পড়েন।
শিক্ষক মো. মোনায়েম খান বলেন, ‘অধ্যক্ষের অনিয়ম-দুর্নীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, নীরব থাকার কোনো উপায় নেই। তিনি মানসিকভাবে শিক্ষকদের হয়রানি করছেন এবং অভিযোগ করার পর উল্টো আমাদের বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ দিয়েছেন, যা মানহানিকর ও লজ্জাজনক ব্যাপার।’
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস বলেন, ‘আমি অনেক অভিযোগ সম্পর্কে জানি না, কোথাও ভুল হয়ে থাকতে পারে। আর অধিকাংশ অভিযোগ সত্য নয়। শাস্তিযোগ্য কিছু প্রমাণিত হলে তা মেনে নেব।’
ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাশিতা তুল ইসলাম বলেন, ‘অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জেলা প্রশাসকের কাছে পৌঁছেছে, শিক্ষা বোর্ডেও অবহিত করা হয়েছে। তদন্ত চলছে এবং তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অর্থ কেলেঙ্কারি, প্রশাসনিক অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও বিভিন্ন খাতে দুর্নীতির অভিযোগ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাসের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত রবীন্দ্রনাথ দাস মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়ন সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির ২১ জন শিক্ষক ও কর্মচারী তাঁর অপসারণের দাবিতে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে।
একই দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বানিয়াজুরী-ঘিওর সড়কের কলেজ গেটে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে অধ্যক্ষের ক্ষমতার অপব্যবহারের ফলে শিক্ষকেরা অসহায় হয়ে পড়েছেন। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় হয়রানির শিকার হচ্ছেন এবং অভিভাবকেরা আস্থাহীন হয়ে পড়ছেন। বক্তারা অভিযোগ করেন, অধ্যক্ষের স্বেচ্ছাচারী আচরণ, আর্থিক অনিয়ম, উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি, ভর্তিপ্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত ফি আদায় এবং প্রশাসনিক কাজের স্বচ্ছতার অভাবে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ সম্পূর্ণ স্থবির হয়ে পড়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রশাসনিক কাজের জন্য সরকার অনুমোদিত ৪ লাখ ৬৭ হাজার টাকা কোনো কাজেই ব্যয় করা হয়নি। এ ছাড়া উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বরাদ্দ ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৭০০ টাকা অধ্যক্ষ নিজের নামে উত্তোলন করেছেন, যা উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের সরকারি পোশাকের জন্য ভাতার টাকা দীর্ঘ সময় আটকে রেখে পরে চাপের মুখে আংশিক টাকা বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া ইন্টারনেট বিল, কম্পিউটার খরচ, ভূমি উন্নয়ন কর, রাসায়নিক দ্রব্য, আসবাব, ক্রীড়াসামগ্রীসহ মোট ২১টি খাতে ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি করে সরকারি বরাদ্দের কয়েক লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। প্রতিষ্ঠানটির ১৫ জন শিক্ষক এসব অভিযোগের ব্যাপারে সত্যতা নিশ্চিত করেন। তাঁরা বলেন, লাইব্রেরির বই কেনার জন্য বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও বই না কেনা, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ভর্তি ফি নিয়ম অনুযায়ী ব্যয় না করে ব্যক্তিগত কাজে খরচ করা, সরকারি শিক্ষকদের এসিআর উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে জমা না দিয়ে নিজের কাছে আটকে রাখা, এসব অভিযোগও নথিভুক্ত করা হয়েছে।
এসব অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস নিজেই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরে তদন্ত শুরু হতেই টানা তিন দিন প্রতিষ্ঠানে তিনি অনুপস্থিত। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিনে রহস্যজনকভাবে কমিটি বাতিল করে নতুন পরিপত্র জারি করেন, যা নিয়ে শিক্ষকেরা আরও সন্দিহান হয়ে পড়েন।
শিক্ষক মো. মোনায়েম খান বলেন, ‘অধ্যক্ষের অনিয়ম-দুর্নীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, নীরব থাকার কোনো উপায় নেই। তিনি মানসিকভাবে শিক্ষকদের হয়রানি করছেন এবং অভিযোগ করার পর উল্টো আমাদের বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ দিয়েছেন, যা মানহানিকর ও লজ্জাজনক ব্যাপার।’
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস বলেন, ‘আমি অনেক অভিযোগ সম্পর্কে জানি না, কোথাও ভুল হয়ে থাকতে পারে। আর অধিকাংশ অভিযোগ সত্য নয়। শাস্তিযোগ্য কিছু প্রমাণিত হলে তা মেনে নেব।’
ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাশিতা তুল ইসলাম বলেন, ‘অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জেলা প্রশাসকের কাছে পৌঁছেছে, শিক্ষা বোর্ডেও অবহিত করা হয়েছে। তদন্ত চলছে এবং তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পিয়ন দিয়েই চলছে নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়। দীর্ঘদিন ধরে চরম লোকবল-সংকটে থাকা এই দপ্তরে বর্তমানে একজন অফিস সহায়ক (পিয়ন) ছাড়া কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী নেই। অফিস সহায়ক এসে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দপ্তর খুলে বসে থাকেন। কোনো কর্মকর্তা না থাকায় কার্যালয়টি বর্তমানে কার্যত অচল
৯ দিন আগে
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৩ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার
৩৭ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
৪০ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ও ভৈরব সংবাদদাতা

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দগ্ধদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ১২ জনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান। বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দোকান মালিক, লুন্দিয়া টুকচানপুর গ্রামের বাসিন্দা জহির মিয়া পুরি ও রুটি ভাজি বিক্রি শেষে সকালে ১০টার দিকে প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান। তিনি ভুলে গ্যাস সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সুইচ বন্ধ করেননি। দীর্ঘ সময় ধরে দোকানের ভেতর গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। পরে এক পর্যায়ে গ্যাসের বিস্ফোরণে দোকানে আগুন ধরে যায়। এসময় দোকানের সামনে থাকা পথচারী এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দগ্ধ হন।
আহতরা হলেন—হারুন মিয়া (৪০), সোহাগ মিয়া (১০), ওয়াসিবুল (১০), সামিউল (৯), আল আমিন (৮), শুভ (৮), নিরব (১৫), রাহাত (১২), ফাহিম (১০), আমিন (১০), হেকিম মিয়া (৫৫), সেরাজুল (১০), ছিদ্দিক মিয়া (৫৮), মোর্শিদ মিয়া (৫০) ও নাছির মিয়া (৪০)।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে স্বজনেরা জানান, আহতদের মধ্যে হারুন মিয়ার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ দগ্ধ হওয়ায় তাঁর অবস্থা সংকটজনক।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ রাস্তার ওপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। চোখের সামনে কয়েকজন মানুষ আগুনে পুড়তে দেখি। পরে জানতে পারি গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই আগুন ছড়িয়েছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কিশোর কুমার ধর বলেন, ১৫ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী হাসপাতালে আসে। একজনের শরীরের ৮০ শতাংশ এবং অন্যদের ২০–৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ১২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দগ্ধদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ১২ জনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান। বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দোকান মালিক, লুন্দিয়া টুকচানপুর গ্রামের বাসিন্দা জহির মিয়া পুরি ও রুটি ভাজি বিক্রি শেষে সকালে ১০টার দিকে প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান। তিনি ভুলে গ্যাস সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সুইচ বন্ধ করেননি। দীর্ঘ সময় ধরে দোকানের ভেতর গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। পরে এক পর্যায়ে গ্যাসের বিস্ফোরণে দোকানে আগুন ধরে যায়। এসময় দোকানের সামনে থাকা পথচারী এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দগ্ধ হন।
আহতরা হলেন—হারুন মিয়া (৪০), সোহাগ মিয়া (১০), ওয়াসিবুল (১০), সামিউল (৯), আল আমিন (৮), শুভ (৮), নিরব (১৫), রাহাত (১২), ফাহিম (১০), আমিন (১০), হেকিম মিয়া (৫৫), সেরাজুল (১০), ছিদ্দিক মিয়া (৫৮), মোর্শিদ মিয়া (৫০) ও নাছির মিয়া (৪০)।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে স্বজনেরা জানান, আহতদের মধ্যে হারুন মিয়ার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ দগ্ধ হওয়ায় তাঁর অবস্থা সংকটজনক।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ রাস্তার ওপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। চোখের সামনে কয়েকজন মানুষ আগুনে পুড়তে দেখি। পরে জানতে পারি গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই আগুন ছড়িয়েছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কিশোর কুমার ধর বলেন, ১৫ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী হাসপাতালে আসে। একজনের শরীরের ৮০ শতাংশ এবং অন্যদের ২০–৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ১২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

পিয়ন দিয়েই চলছে নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়। দীর্ঘদিন ধরে চরম লোকবল-সংকটে থাকা এই দপ্তরে বর্তমানে একজন অফিস সহায়ক (পিয়ন) ছাড়া কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী নেই। অফিস সহায়ক এসে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দপ্তর খুলে বসে থাকেন। কোনো কর্মকর্তা না থাকায় কার্যালয়টি বর্তমানে কার্যত অচল
৯ দিন আগে
অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস নিজেই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরে তদন্ত শুরু হতেই টানা তিন দিন প্রতিষ্ঠানে তিনি অনুপস্থিত। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিনে রহস্যজনকভাবে কমিটি বাতিল করে নতুন পরিপত্র জারি করেন, যা নিয়ে শিক্ষকেরা আরও সন্দিহান হয়ে পড়েন।
৬ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার
৩৭ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
৪০ মিনিট আগেনাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বিচারক আশরাফুল আলম আসামির জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন। পরে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদ আহাম্মদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসামির জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ জানান, গত মঙ্গলবার রাতে দুলাল মিয়া আট বছরের ওই শিশুকে ঘর থেকে ডেকে নেন। এরপর তাকে বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে শ্বাস রোধ করে তাকে হত্যা করেন দুলাল।
মাকছুদ আহাম্মদ জানান, এদিকে ওই রাতেই শিশুকে না পেয়ে তার পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সে সময় সন্ধান চেয়ে মাইকে প্রচারও করা হয়। তখন দুলাল মিয়াও শিশুটির বাবার সঙ্গে খোঁজাখুঁজিতে যোগ দেন। পরদিন গত বুধবার সকালে বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় দুলাল মিয়া ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়ে পুলিশ সদস্যদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন।
জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ বলেন, ‘লাশ উদ্ধারের সময় দুলাল মিয়ার আচরণে আমাদের সন্দেহ হয়। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপার মো. আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আল সরকারের সঙ্গে কথা হয়। পরে বুধবার রাতে শিশুটির বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। মামলার পরই দ্রুত তদন্ত শুরু করে ঘটনাস্থলসংলগ্ন বিভিন্ন আলামত পর্যালোচনা শেষে ওই রাতেই দুলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শিশুটির লাশের ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বিচারক আশরাফুল আলম আসামির জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন। পরে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদ আহাম্মদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসামির জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ জানান, গত মঙ্গলবার রাতে দুলাল মিয়া আট বছরের ওই শিশুকে ঘর থেকে ডেকে নেন। এরপর তাকে বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে শ্বাস রোধ করে তাকে হত্যা করেন দুলাল।
মাকছুদ আহাম্মদ জানান, এদিকে ওই রাতেই শিশুকে না পেয়ে তার পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সে সময় সন্ধান চেয়ে মাইকে প্রচারও করা হয়। তখন দুলাল মিয়াও শিশুটির বাবার সঙ্গে খোঁজাখুঁজিতে যোগ দেন। পরদিন গত বুধবার সকালে বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় দুলাল মিয়া ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়ে পুলিশ সদস্যদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন।
জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ বলেন, ‘লাশ উদ্ধারের সময় দুলাল মিয়ার আচরণে আমাদের সন্দেহ হয়। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপার মো. আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আল সরকারের সঙ্গে কথা হয়। পরে বুধবার রাতে শিশুটির বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। মামলার পরই দ্রুত তদন্ত শুরু করে ঘটনাস্থলসংলগ্ন বিভিন্ন আলামত পর্যালোচনা শেষে ওই রাতেই দুলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শিশুটির লাশের ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

পিয়ন দিয়েই চলছে নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়। দীর্ঘদিন ধরে চরম লোকবল-সংকটে থাকা এই দপ্তরে বর্তমানে একজন অফিস সহায়ক (পিয়ন) ছাড়া কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী নেই। অফিস সহায়ক এসে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দপ্তর খুলে বসে থাকেন। কোনো কর্মকর্তা না থাকায় কার্যালয়টি বর্তমানে কার্যত অচল
৯ দিন আগে
অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস নিজেই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরে তদন্ত শুরু হতেই টানা তিন দিন প্রতিষ্ঠানে তিনি অনুপস্থিত। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিনে রহস্যজনকভাবে কমিটি বাতিল করে নতুন পরিপত্র জারি করেন, যা নিয়ে শিক্ষকেরা আরও সন্দিহান হয়ে পড়েন।
৬ মিনিট আগে
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৩ মিনিট আগে
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
৪০ মিনিট আগেচাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি

পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ শুক্রবার সকালে চাটমোহর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন মামলার ১ নম্বর বিবাদী, ছাইকোলা ইউনিয়নের কুবড়াগাড়ি গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন।
জানা গেছে, গত ৪ জুলাই রাত আড়াইটার দিকে কুবড়াগাড়ি গ্রামের আব্দুর রহিম (৬৫) নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। ওই সময় দুর্বৃত্তরা তাঁকে ঘর থেকে বাইরে ডেকে শরীরে দাহ্য পদার্থ ঢেলে দেয়। এতে তিনি দগ্ধ হন। প্রথমে তাঁকে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। এ ঘটনায় আব্দুর রহিমের ভাই আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে প্রতিবেশী সাতজনকে বিবাদী করে অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনে মামলা করেন। মামলার ছয়জন জামিন পেলেও ১ নম্বর বিবাদী শফিকুল ইসলাম এখনো কারাগারে।
সংবাদ সম্মেলনে সুমাইয়া খাতুন দাবি করেন, ঘটনার দিন ওই সময়ে তাঁর স্বামী চাটমোহরে ছিলেন না। তাঁরা দুজনই সেদিন চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ছিলেন, যেখানে তাঁরা ফুটপাতে বিরিয়ানি বিক্রি করেন। তা সত্ত্বেও তাঁর স্বামীকে মামলার ১ নম্বর বিবাদী করা হয়েছে। এ ছাড়া শফিকুলের পিতা শহিদ সরদারসহ আরও দুই ভাইকে মামলায় জড়ানো হয়েছে।
সুমাইয়ার ভাষ্য, ‘আমার স্বামী গ্রামে থাকেন না। আমরা তিন সন্তান নিয়ে হাটহাজারীতেই থাকি। প্রতিপক্ষ আমাদের ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা করেছে। প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করা হয়নি। আমরা অন্যায়ের শিকার।’ তিনি অভিযোগ করেন, মামলার তদন্তে গাফিলতি থাকায় তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে হয়রানির শিকার। তিন সন্তানসহ মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মামলাটি পুনঃতদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করা এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান পরিবারের সদস্যরা। সেখানে শফিকুল ইসলামের পিতা শহিদ সরদার, তাঁর মা ও অন্যান্য স্বজন উপস্থিত ছিলেন।

পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ শুক্রবার সকালে চাটমোহর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন মামলার ১ নম্বর বিবাদী, ছাইকোলা ইউনিয়নের কুবড়াগাড়ি গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন।
জানা গেছে, গত ৪ জুলাই রাত আড়াইটার দিকে কুবড়াগাড়ি গ্রামের আব্দুর রহিম (৬৫) নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। ওই সময় দুর্বৃত্তরা তাঁকে ঘর থেকে বাইরে ডেকে শরীরে দাহ্য পদার্থ ঢেলে দেয়। এতে তিনি দগ্ধ হন। প্রথমে তাঁকে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। এ ঘটনায় আব্দুর রহিমের ভাই আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে প্রতিবেশী সাতজনকে বিবাদী করে অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনে মামলা করেন। মামলার ছয়জন জামিন পেলেও ১ নম্বর বিবাদী শফিকুল ইসলাম এখনো কারাগারে।
সংবাদ সম্মেলনে সুমাইয়া খাতুন দাবি করেন, ঘটনার দিন ওই সময়ে তাঁর স্বামী চাটমোহরে ছিলেন না। তাঁরা দুজনই সেদিন চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ছিলেন, যেখানে তাঁরা ফুটপাতে বিরিয়ানি বিক্রি করেন। তা সত্ত্বেও তাঁর স্বামীকে মামলার ১ নম্বর বিবাদী করা হয়েছে। এ ছাড়া শফিকুলের পিতা শহিদ সরদারসহ আরও দুই ভাইকে মামলায় জড়ানো হয়েছে।
সুমাইয়ার ভাষ্য, ‘আমার স্বামী গ্রামে থাকেন না। আমরা তিন সন্তান নিয়ে হাটহাজারীতেই থাকি। প্রতিপক্ষ আমাদের ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা করেছে। প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করা হয়নি। আমরা অন্যায়ের শিকার।’ তিনি অভিযোগ করেন, মামলার তদন্তে গাফিলতি থাকায় তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে হয়রানির শিকার। তিন সন্তানসহ মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মামলাটি পুনঃতদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করা এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান পরিবারের সদস্যরা। সেখানে শফিকুল ইসলামের পিতা শহিদ সরদার, তাঁর মা ও অন্যান্য স্বজন উপস্থিত ছিলেন।

পিয়ন দিয়েই চলছে নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়। দীর্ঘদিন ধরে চরম লোকবল-সংকটে থাকা এই দপ্তরে বর্তমানে একজন অফিস সহায়ক (পিয়ন) ছাড়া কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী নেই। অফিস সহায়ক এসে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দপ্তর খুলে বসে থাকেন। কোনো কর্মকর্তা না থাকায় কার্যালয়টি বর্তমানে কার্যত অচল
৯ দিন আগে
অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ দাস নিজেই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরে তদন্ত শুরু হতেই টানা তিন দিন প্রতিষ্ঠানে তিনি অনুপস্থিত। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিনে রহস্যজনকভাবে কমিটি বাতিল করে নতুন পরিপত্র জারি করেন, যা নিয়ে শিক্ষকেরা আরও সন্দিহান হয়ে পড়েন।
৬ মিনিট আগে
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৩ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার
৩৭ মিনিট আগে