Ajker Patrika

ধর্ষণ মামলা করায় নারীকে পিটিয়ে হত্যা, ২ সহোদর গ্রেপ্তার 

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
ধর্ষণ মামলা করায় নারীকে পিটিয়ে হত্যা, ২ সহোদর গ্রেপ্তার 

নেত্রকোনার আটপাড়ায় পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে ধর্ষণ মামলা করেন এক নারী। ওই নারীকে হত্যা করেন মামলার আসামিরা। এ ঘটনায় হত্যা মামলায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার জৈনা বাজার এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

নেত্রকোনার আটপাড়ায় ধর্ষণ মামলায় পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন এক নারী। ওই নারীকে হত্যা মামলায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার জৈনা বাজার এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

এর আগে, গত বছর ১৫ ডিসেম্বর ধর্ষণের মামলা করেন ওই নারী। চলতি বছর ৩ জানুয়ারি রাতে তাঁকে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরদিন ৪ জানুয়ারি তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় ৮ জানুয়ারি হত্যা মামলা করা হয়। 

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার পালগাঁও গ্রামের মো. অসীম (২৫) ও মো. রাজু মিয়া (২৩)। তাঁরা সম্পর্কে আপন ভাই। 

ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ এর উপ-পরিচালক অপারেশনস অফিসার মো. আনোয়ার হোসেন আজ রোববার দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে র‍্যাব জানায়, জেলার আটপাড়া উপজেলার সেলিনা আক্তার ও তাঁর স্বামীর সঙ্গে গ্রেপ্তারকৃতদের দীর্ঘদিন যাবত মামলা মোকদ্দমা চলে আসছিল। এরই একপর্যায়ে সেলিনা গ্রামের মাসুদ মিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণের মামলা করেন। এতে মাসুদ, অসীম ও রাজুসহ তাঁরা সবাই ক্ষিপ্ত হয়। 

গত ৩ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১টার দিকে অসীম, রাজুসহ অন্য আসামিরা রামদা, কিরিচ, লোহার রড ও চাপাতি নিয়ে সেলিনার বাড়িতে গিয়ে ঘরের দরজা তাঁকে ধরে উঠানে নিয়ে আসেন। পরে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সেলিনার মাথায়, বুকে ও পেটে এলোপাথারি আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে রেখে চলে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় গুরুতর জখম সেলিনাকে আটপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সেলিনাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন চিকিৎসক। পরদিন সেখানে পৌঁছালে কর্তব্যরত চিকিৎসক সেলিনাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এ ঘটনায় গত ৮ জানুয়ারি নিহত সেলিনার ননদ বেদেনা আক্তার বাদী হয়ে অসীম ও রাজুসহ ১০ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। তবে ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। 

এদিকে থানা–পুলিশের পাশাপাশি পলাতক আসামির ধরতে তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে র‍্যাব। গাজীপুরের শ্রীপুরের জৈনা বাজার এলাকায় তাঁদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে র‍্যাব-১৪ এর উপপরিচালক অপারেশনস অফিসার মো. আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল তাঁদের গ্রেপ্তার করে। 

ময়মনসিংহ র‍্যাব-১৪ এর উপপরিচালক অপারেশনস অফিসার মো. আনোয়ার হোসেন জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের আটপাড়া থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। 
এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতেও র‍্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। 

আটপাড়া থানার ওসি মো. তাওহীদুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের আজ বিকেলে আদালতে প্রেরণ করা হবে। এছাড়া এ মামলার অন্য আাসমিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শাহজাদপুরে কবরস্থান থেকে ১৬টি কংকাল চুরির অভিযোগ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
সিরাজগঞ্জে কবরস্থান। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিরাজগঞ্জে কবরস্থান। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে একটি কবরস্থান থেকে ১৬টি কংকাল চুরির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বেলতৈল ইউনিয়নের কুঠি সাতবাড়িয়া কবরস্থান থেকে গত সোমবার রাতের কোনো এক সময় কবরগুলো খুঁড়ে এসব কংকাল দুর্বৃত্তরা নিয়ে যায় বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।

আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। কবরস্থান ঘিরে ভিড় করেন অসংখ্য মানুষ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গতকাল মঙ্গলবার ফজরের নামাজ শেষে কয়েকজন মুসল্লি কবরস্থানে গিয়ে দেখেন কয়েকটি কবরের মাটি খোঁড়া। কাছে গিয়ে দেখা যায়, কবরগুলো ফাঁকা। কংকাল নেই। ঘটনাস্থলে পড়ে ছিল চোরদের ব্যবহৃত একটি ট্রাউজার, গেঞ্জি ও কবর খোঁড়ার যন্ত্র।

স্থানীয় স্কুলশিক্ষক ছানোয়ার হোসেন বলেন, যেসব কবর খোঁড়া হয়েছে, সেসবে এক থেকে দেড় বছর আগে মানুষ দাফন করা হয়েছিল।

কবরস্থান পরিচালনা কমিটির কোষাধ্যক্ষ খোকন সরকার ও সদস্য গোলজার হোসেন জানান, গত সোমবার অমাবস্যার রাতে কবরস্থানটিতে ঢুকে দুর্বৃত্তরা ১৬টি কবর খুঁড়ে কংকাল নিয়ে যায়। পরদিন সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় বাসিন্দারা খোঁড়া কবরগুলোয় নতুন করে মাটিচাপা দেন। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আছলাম আলী বলেন, ঘটনা সম্পর্কে এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাইবার সুরক্ষার মামলায় গ্রেপ্তার বুয়েট ছাত্র শ্রীশান্ত কারাগারে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। ছবি: স্ক্রিনশট
মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। ছবি: স্ক্রিনশট

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সহপাঠীকে যৌন হয়রানি, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায়কে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ এহসানুল ইসলাম তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতের চকবাজার থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এস আই আশরাফুল আলম এসব তথ্য জানিয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম রেডিটে করা পোস্টের জের ধরে গতকাল মঙ্গলবার রাতে বুয়েটে বিক্ষোভ করে একদল শিক্ষার্থী। তাঁদের দাবির মুখে বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২১তম ব্যাচের ছাত্র শ্রীশান্তকে সাময়িক বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ।

পরে তাঁর বিরুদ্ধে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর ২৫ ও ২৬ ধারায় রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলা করেন বুয়েটের নিরাপত্তা কর্মকর্তা আফগান হোসেন। ওই মামলায় শ্রীশান্তকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ আদালতে হাজির করে পুলিশ।

শ্রীশান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি রেডিট ব্যবহার করে সহপাঠীকে যৌন হয়রানির হুমকি দিয়েছেন এবং নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতেন। পাশাপাশি মুসলিম নারীদের পোশাক হিজাব নিয়েও নানা প্ল্যাটফর্মে বাজে মন্তব্য করতেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর ২৫ ও ২৬ ধারার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তোলা হয়েছে।

তদন্ত কর্মকর্তা বুয়েটের ওই ছাত্রকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে তাঁর পক্ষে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী। আদালত জামিনের আবেদন নিয়ে শুনানির জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন। শুনানির সময় তদন্ত কর্মকর্তাকে হাজির থাকার নির্দেশ দেন তিনি।

গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে বিক্ষোভে নামে বুয়েটের একদল শিক্ষার্থী। বিক্ষোভের মুখে রাতেই তাঁকে হেফাজতে নেয় চকবাজার থানা পুলিশ। চকবাজার থানায় আজ বুয়েটের মামলার পর তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাজাহান সিরাজ।

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের ২৫ (১) ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে অন্য কোনো ব্যক্তিকে ব্ল‍্যাকমেইলিং বা যৌন হয়রানি বা রিভেঞ্জ পর্ন বা ডিজিটাল শিশু যৌন নিপীড়ন সংক্রান্ত উপাদান (চাইল্ড সেক্সুয়াল অ্যাবিউজ ম্যাটেরিয়াল) বা সেক্সটর্শন করবার অভিপ্রায়ে সৃষ্ট বা প্রাপ্ত বা সংরক্ষিত কোনো তথ্য, ভিডিও চিত্র, অডিও ভিজ্যুয়াল চিত্র, স্থির চিত্র, গ্রাফিকস বা অন্য কোনো উপায়ে ধারণকৃত, এডিটকৃত, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা নির্মিত অথবা এডিটকৃত ও প্রদর্শনযোগ্য এইরূপ কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ, প্রকাশ বা প্রচার করেন বা প্রেরণ, প্রকাশ বা প্রচার করার হুমকি প্রদান করেন; যা ক্ষতিকর বা ভীতি প্রদর্শক, তাহলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হবে একটি অপরাধ।

অন্যদিকে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর ২৬ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে বা ছদ্ম পরিচয়ে নিজের বা অন্যের আইডিতে অবৈধ প্রবেশ করিয়া এমন কোনো কিছু সাইবার স্পেসে প্রকাশ বা প্রচার করেন বা করান, যাহা ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক ঘৃণামূলক বা জাতিগত বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এবং যাহা সহিংসতা তৈরি বা উদ্বেগ সৃষ্টি করে বা বিশৃঙ্খলা বা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের নির্দেশনা করে, তাহা হইলে অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।

এই দুই ধারায় সর্বোচ্চ ২ থেকে ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকার অর্থদণ্ড হতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৪ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা, আসামির দায়ের কোপে শিশুর দাদি নিহত

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আবুল রবিদাস। ছবি: সংগৃহীত
আবুল রবিদাস। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ফুলপুর পৌরসভা এলাকায় চার বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার সময় তাকে রক্ষা করতে গিয়ে ঘাতকের দায়ের কোপে মারা গেছেন শিশুটির দাদি ফুলবাঁশির (৬৫)। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আব্দুল্লাহ আল মামুন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফুলপুর পৌরসভার আমুয়াকান্দা গ্রামের চার বছর বয়সী ওই শিশু গত সোমবার (২০ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। শিশুটির পরিবার দ্রুত খোঁজাখুঁজি শুরু করে। রাতেই জানা যায়, শিশুটিকে প্রতিবেশী আবুল রবিদাস (৪০) প্রলুব্ধ করে অপহরণ করেছেন এবং তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানোর চেষ্টা করেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্যমতে, এ খবর শুনে শিশুটির দাদি ফুলবাঁশির তাঁর নাতিকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন। বৃদ্ধার এই সাহসিকতা দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন অভিযুক্ত আবুল রবিদাস।

তখন রবিদাস ধারালো দা দিয়ে বৃদ্ধ ফুলবাঁশির মাথায় সজোরে কোপ দেন। এতে তিনি গুরুতর জখম হন।

তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় ফুলবাঁশিরকে ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

ঘটনার পরপরই বাড়ি থেকে পালিয়ে যান রবিদাস। খবর পেয়ে স্থানীয় জনতা ও পুলিশ যৌথভাবে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে খুঁজতে শুরু করে। পুলিশের তৎপরতায় গতকাল মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে ভালুকার কাশর এলাকা থেকে আবুল রবিদাসকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়।

ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাদি বলেন, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রবিদাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ঘটনা জানার পরপরই পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। পুলিশের তৎপরতায় গতকাল রাতে অভিযুক্ত আবুল রবিদাসকে (৪০) আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিরাপদ সড়ক দিবসে রাজশাহীতে বাসচাপায় ২ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীতে যাত্রীবাহী বাসচাপায় মোটরসাইকেলের চালকসহ দুজন নিহত হয়েছেন। ইউ-টার্ন নেওয়ার সময় পেছন থেকে গ্রামীণ ট্রাভেলসের একটি বাস মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে চাপা দেয়। আজ বুধবার নগরীর শাহমখদুম থানার সিটিহাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এ দিন সারা দেশে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত হয়। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য-‘মানসম্মত হেলমেট ও নিরাপদ গতি, কমবে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি।’ আর এ দিনই রাজশাহীতে বেপরোয়া বাসের চাপায় প্রাণ হারান দুজন।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ফকিরপাড়া গ্রামের আজিজুর রহমান খান (৪০) এবং একই উপজেলার কিচনিদহা গ্রামের সৈবুর রহমান (৪৫)। আজিজুর রহমান খান ঘটনাস্থলেই মারা যান। সৈবুর রহমানকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাছুমা মুস্তারী জানান, আজিজুর রহমান ও সৈবুর রহমান একই মোটরসাইকেলে চেপে রাজশাহী শহর থেকে বের হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দিকে যাচ্ছিলেন। সিটিহাট এলাকায় ইউ-টার্ন নেওয়ার সময় গ্রামীণ ট্রাভেলসের দ্রুতগতির একটি বাস মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে বাসের নিচে পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে বাস ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

ওসি আরও জানান, বাসমালিকের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ। নিহত দুজনের একজনের আত্মীয় এই বাসের কাউন্টারে চাকরি করেন। ফলে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তাঁরা ময়নাতদন্ত ছাড়াই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে লাশ নিয়ে গেছেন।

পরিবারের অভিযোগ না থাকায় এ ব্যাপারে সড়ক পরিবহন আইনে মামলা হয়নি। তবে পুলিশ একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছে বলেও জানান ওসি মাছুমা মুস্তারী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত