নেত্রকোনা প্রতিনিধি
জমি দখল, আধিপত্য বিস্তার ও তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে নেত্রকোনার মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের সাতটি গ্রামে বছরব্যাপী চলছিল টেঁটাযুদ্ধ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহ আলম মিয়ার উদ্যোগে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে এই টেঁটাযুদ্ধের অবসান করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার উপজেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে সাতটি গ্রামের দুই পক্ষের শতাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তিকে নিয়ে আলোচনা সভায় বসেন ইউএনও। এতে উভয় পক্ষের লোকজন টেঁটাযুদ্ধ আর করবেন না বলে কথা দিয়েছেন। পরে তাঁরা একে-অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন। অনেক দিনের এই সংঘাত নিষ্পত্তি হওয়ায় এসব গ্রামের জনসাধারণসহ এলাকায় স্বস্তি ফিরেছে।
আলোচনা সভায় মদন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, পৌর মেয়র সাইফুল ইসলাম সাইফ, মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল কান্তি সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. কদ্দুছ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান তালুকদার শামীম, সহসভাপতি ইফতেখারুল আলম চৌধুরী আজাদ, ভাইস চেয়ারম্যান মুফতি আনোয়ার হোসেন ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরাসহ দুই পক্ষের শতাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জমি দখল, আধিপত্য বিস্তার ও তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনেক দিন আগে নায়েকপুর ইউনিয়নে দুটি গ্রুপের সৃষ্টি হয়। এক গ্রুপে ইউনিয়নের নোয়াগাঁও, পাছআলমশ্রী, বাউশা ও তালুককানাই এই চারটি গ্রাম এবং অপর গ্রুপে আলমশ্রী, দেওয়ানপাড়া ও মাখনার এই তিনটি গ্রাম দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে বিরোধে জড়ায়। কিছুদিন পরপর উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বছরব্যাপী টেঁটাযুদ্ধ চলমান থাকে। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, বিভিন্ন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দুই পক্ষের বিভেদ নিষ্পত্তির জন্য কয়েক দফা চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসেও দুই পক্ষের হাজার হাজার লোক মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। এতে অর্ধশত লোক আহত হন। দুই পক্ষের মধ্যে একাধিক মামলাও হয়। এর পরেও তাঁরা প্রতি মাসেই টেঁটাযুদ্ধ অব্যাহত রাখেন। এতে করে ওই সাত গ্রামের জনসাধারণসহ এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে মাস তিনেক আগে প্রশাসন সাতটি গ্রামে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় মদন থানার পুলিশ বাদী হয়ে দুই পক্ষের ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এর পরেও একাধিক মারধরের ঘটনা ঘটেছে। শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহ আলম মিয়া ওই সাত গ্রামের বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেন। গতকাল উপজেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে বিরোধ নিষ্পত্তির সেই কাঙ্ক্ষিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ওই সাত গ্রামের গণ্যমান্য শতাধিক ব্যক্তি, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ইউএনওর মধ্যস্থতায় আলোচনার মাধ্যমে উভয় পক্ষ ভবিষ্যতে আর সংঘাতে না জড়ানোর বিষয়ে কথা দেয়। পরে উভয় পক্ষ কোলাকুলি করে নিজেদের ভুল বোঝাবুঝির অবসান করে বলে প্রশাসনের লোকজন জানান।
এ বিষয়ে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল কান্তি সরকার জানান, ‘নায়েকপুর ইউনিয়নের সাতটি গ্রামের টেঁটাযুদ্ধ নিয়ে উপজেলা প্রশাসন, আওয়ামী লীগের নেতারা ও এলাকার গণ্যমান্য লোকজন আলোচনা করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করেছেন। দুই পক্ষের লোকজন টেঁটাযুদ্ধ আর করবেন না বলে কথা দিয়েছেন। এটি একটি ভালো উদ্যোগ।’
ইউএনও মো. শাহ আলম মিয়া বলেন, ‘নায়েকপুর ইউনিয়নের সাতটি গ্রামের লোকজনের মধ্যে টেঁটাযুদ্ধ চলমান থাকায় সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকায় বিঘ্ন ঘটছিল। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় অসুবিধা হচ্ছিল। এ নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের ও এলাকার গণ্যমান্য লোকজন নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে টেঁটাযুদ্ধ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। দুই পক্ষের শতাধিক লোকের উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে আর কোনো টেঁটাযুদ্ধ হবে না বলে আমরা আশাবাদী।’
জমি দখল, আধিপত্য বিস্তার ও তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে নেত্রকোনার মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের সাতটি গ্রামে বছরব্যাপী চলছিল টেঁটাযুদ্ধ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহ আলম মিয়ার উদ্যোগে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে এই টেঁটাযুদ্ধের অবসান করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার উপজেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে সাতটি গ্রামের দুই পক্ষের শতাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তিকে নিয়ে আলোচনা সভায় বসেন ইউএনও। এতে উভয় পক্ষের লোকজন টেঁটাযুদ্ধ আর করবেন না বলে কথা দিয়েছেন। পরে তাঁরা একে-অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন। অনেক দিনের এই সংঘাত নিষ্পত্তি হওয়ায় এসব গ্রামের জনসাধারণসহ এলাকায় স্বস্তি ফিরেছে।
আলোচনা সভায় মদন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, পৌর মেয়র সাইফুল ইসলাম সাইফ, মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল কান্তি সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. কদ্দুছ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান তালুকদার শামীম, সহসভাপতি ইফতেখারুল আলম চৌধুরী আজাদ, ভাইস চেয়ারম্যান মুফতি আনোয়ার হোসেন ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরাসহ দুই পক্ষের শতাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জমি দখল, আধিপত্য বিস্তার ও তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনেক দিন আগে নায়েকপুর ইউনিয়নে দুটি গ্রুপের সৃষ্টি হয়। এক গ্রুপে ইউনিয়নের নোয়াগাঁও, পাছআলমশ্রী, বাউশা ও তালুককানাই এই চারটি গ্রাম এবং অপর গ্রুপে আলমশ্রী, দেওয়ানপাড়া ও মাখনার এই তিনটি গ্রাম দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে বিরোধে জড়ায়। কিছুদিন পরপর উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বছরব্যাপী টেঁটাযুদ্ধ চলমান থাকে। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, বিভিন্ন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দুই পক্ষের বিভেদ নিষ্পত্তির জন্য কয়েক দফা চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসেও দুই পক্ষের হাজার হাজার লোক মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। এতে অর্ধশত লোক আহত হন। দুই পক্ষের মধ্যে একাধিক মামলাও হয়। এর পরেও তাঁরা প্রতি মাসেই টেঁটাযুদ্ধ অব্যাহত রাখেন। এতে করে ওই সাত গ্রামের জনসাধারণসহ এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে মাস তিনেক আগে প্রশাসন সাতটি গ্রামে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় মদন থানার পুলিশ বাদী হয়ে দুই পক্ষের ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এর পরেও একাধিক মারধরের ঘটনা ঘটেছে। শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহ আলম মিয়া ওই সাত গ্রামের বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেন। গতকাল উপজেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে বিরোধ নিষ্পত্তির সেই কাঙ্ক্ষিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ওই সাত গ্রামের গণ্যমান্য শতাধিক ব্যক্তি, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ইউএনওর মধ্যস্থতায় আলোচনার মাধ্যমে উভয় পক্ষ ভবিষ্যতে আর সংঘাতে না জড়ানোর বিষয়ে কথা দেয়। পরে উভয় পক্ষ কোলাকুলি করে নিজেদের ভুল বোঝাবুঝির অবসান করে বলে প্রশাসনের লোকজন জানান।
এ বিষয়ে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল কান্তি সরকার জানান, ‘নায়েকপুর ইউনিয়নের সাতটি গ্রামের টেঁটাযুদ্ধ নিয়ে উপজেলা প্রশাসন, আওয়ামী লীগের নেতারা ও এলাকার গণ্যমান্য লোকজন আলোচনা করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করেছেন। দুই পক্ষের লোকজন টেঁটাযুদ্ধ আর করবেন না বলে কথা দিয়েছেন। এটি একটি ভালো উদ্যোগ।’
ইউএনও মো. শাহ আলম মিয়া বলেন, ‘নায়েকপুর ইউনিয়নের সাতটি গ্রামের লোকজনের মধ্যে টেঁটাযুদ্ধ চলমান থাকায় সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকায় বিঘ্ন ঘটছিল। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় অসুবিধা হচ্ছিল। এ নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের ও এলাকার গণ্যমান্য লোকজন নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে টেঁটাযুদ্ধ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। দুই পক্ষের শতাধিক লোকের উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে আর কোনো টেঁটাযুদ্ধ হবে না বলে আমরা আশাবাদী।’
‘আমি বিএনপি করে শ ম রেজাউলের আমলে মামলায় জেল খেটেছি। এমনকি আমাকে মেরে ফেলারও চেষ্টা হয়েছে। তবে শেখ হাসিনার আদর্শ ধারণ করে এযাবৎ কাজ করেছি।’ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এমন মন্তব্য করে আবারও আলোচনায় পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের বিতর্কিত ইউপি সদস্য সোহাগ মৃধা। জানা গেছে, পাঁচ বছর আগ
৩ মিনিট আগেমৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে দায়িত্বরত মো. সিরাজ মিয়া (৭০) নামের এক বন টহল দলের (সিপিজি) সদস্যের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার ভোরে লাউয়াছড়া বনের শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ সড়কের জানকিছড়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত সিরাজ মিয়া শ্রীমঙ্গল উপজেলার ডলুছড়া এলাকার বাসিন্দা।
১০ মিনিট আগেভুয়া অভিজ্ঞতা ও জাল সনদে একাধিক স্কুলে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এবার স্কুলের অ্যাডহক কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে শিক্ষা বোর্ডে নথি পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ সরকারি কলোনি উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির এ
১ ঘণ্টা আগেকুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার শেখ মো. কামরুল (৩৬) ওমানের রাস্তায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। ১৫ অক্টোবর সকালে বাসা থেকে মার্কেটে যাওয়ার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শেখ মো. কামরুল উপজেলার মাধবপুর গ্রামের শেখ বাড়ির মৃত কামাল হোসেনের ছেলে। তিনি ২৫ বছর ধরে ওমানে বসবাস করছিলেন এবং সিলাল মার্কেটে ব্
১ ঘণ্টা আগেনেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
‘আমি বিএনপি করে শ ম রেজাউলের আমলে মামলায় জেল খেটেছি। এমনকি আমাকে মেরে ফেলারও চেষ্টা হয়েছে। তবে শেখ হাসিনার আদর্শ ধারণ করে এযাবৎ কাজ করেছি।’ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এমন মন্তব্য করে আবারও আলোচনায় পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের বিতর্কিত ইউপি সদস্য সোহাগ মৃধা।
জানা গেছে, পাঁচ বছর আগে নিজের ঘরে আগুন দিয়ে ভাই ও চাচাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোসহ বিভিন্ন অভিযোগে তিনি আগে থেকেই সমালোচিত। অভিযোগ উঠেছে, ওই মামলায় রেহাই পেতে তাঁর ভাই ও চাচা ৫০ হাজার টাকা দিলেও হয়রানি থেকে মুক্তি পাননি। তাঁরা এখনো ভুগছেন সেই ঘর পোড়ানোর মামলায়। বিতর্কিত মন্তব্য করে এখন তিনি আবারও আলোচনায় উঠে এসেছেন।
সোহাগ মৃধার চাচা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘ওয়ারিশ সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে সোহাগ তার ভাইকে হয়রানি করত। আমি প্রতিবাদ করায় আমাকে চুরির মামলায় ফাঁসায়। পরে নিজের ঘরে আগুন দিয়ে আমি ও তার ভাই তৈমুর রেজার নামে মামলা দেয়। তখন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আমাদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েও রেহাই দেয়নি।’
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আওয়ামী আমলে সোহাগ মৃধা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে রেখেছিলেন। প্রতিপক্ষকে ফাঁসানো, সরকারি অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অপকর্মে তিনি জড়িত ছিলেন। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এখন তিনি বিএনপি পরিচয়ে সক্রিয় হয়েছেন।
জানতে চাইলে বলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. সোহাগ হোসেন বলেন, ‘সোহাগ মৃধা কেমন মানুষ, তা সবাই জানে। সে আমার বাবাকেও একসময় হয়রানি করেছে।’
উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. ফকরুল আলম বলেন, ‘শুনেছি সোহাগ মৃধা আওয়ামী লীগ করতেন। এখন কীভাবে বিএনপি করলেন জানি না। কেউ নিজেকে বিএনপি বললেই সে বিএনপি হয়ে যায় না। তিনি আমাদের দলের কেউ নন।’
এসব নিয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য সোহাগ মৃধা বলেন, ‘আমি কাউকে মিথ্যা মামলা দিইনি। আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী। ইউপি সদস্যদের নির্দিষ্ট দল থাকে না—যে সরকার আসে, তার হয়ে কাজ করি।’
‘আমি বিএনপি করে শ ম রেজাউলের আমলে মামলায় জেল খেটেছি। এমনকি আমাকে মেরে ফেলারও চেষ্টা হয়েছে। তবে শেখ হাসিনার আদর্শ ধারণ করে এযাবৎ কাজ করেছি।’ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এমন মন্তব্য করে আবারও আলোচনায় পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের বিতর্কিত ইউপি সদস্য সোহাগ মৃধা।
জানা গেছে, পাঁচ বছর আগে নিজের ঘরে আগুন দিয়ে ভাই ও চাচাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোসহ বিভিন্ন অভিযোগে তিনি আগে থেকেই সমালোচিত। অভিযোগ উঠেছে, ওই মামলায় রেহাই পেতে তাঁর ভাই ও চাচা ৫০ হাজার টাকা দিলেও হয়রানি থেকে মুক্তি পাননি। তাঁরা এখনো ভুগছেন সেই ঘর পোড়ানোর মামলায়। বিতর্কিত মন্তব্য করে এখন তিনি আবারও আলোচনায় উঠে এসেছেন।
সোহাগ মৃধার চাচা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘ওয়ারিশ সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে সোহাগ তার ভাইকে হয়রানি করত। আমি প্রতিবাদ করায় আমাকে চুরির মামলায় ফাঁসায়। পরে নিজের ঘরে আগুন দিয়ে আমি ও তার ভাই তৈমুর রেজার নামে মামলা দেয়। তখন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আমাদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েও রেহাই দেয়নি।’
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আওয়ামী আমলে সোহাগ মৃধা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে রেখেছিলেন। প্রতিপক্ষকে ফাঁসানো, সরকারি অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অপকর্মে তিনি জড়িত ছিলেন। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এখন তিনি বিএনপি পরিচয়ে সক্রিয় হয়েছেন।
জানতে চাইলে বলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. সোহাগ হোসেন বলেন, ‘সোহাগ মৃধা কেমন মানুষ, তা সবাই জানে। সে আমার বাবাকেও একসময় হয়রানি করেছে।’
উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. ফকরুল আলম বলেন, ‘শুনেছি সোহাগ মৃধা আওয়ামী লীগ করতেন। এখন কীভাবে বিএনপি করলেন জানি না। কেউ নিজেকে বিএনপি বললেই সে বিএনপি হয়ে যায় না। তিনি আমাদের দলের কেউ নন।’
এসব নিয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য সোহাগ মৃধা বলেন, ‘আমি কাউকে মিথ্যা মামলা দিইনি। আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী। ইউপি সদস্যদের নির্দিষ্ট দল থাকে না—যে সরকার আসে, তার হয়ে কাজ করি।’
জমি দখল, আধিপত্য বিস্তার ও তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে নেত্রকোনার মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের সাতটি গ্রামে বছরব্যাপী চলছিল টেঁটাযুদ্ধ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহ আলম মিয়ার উদ্যোগে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে এই টেঁটাযুদ্ধের অবসান করা হয়েছে।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে দায়িত্বরত মো. সিরাজ মিয়া (৭০) নামের এক বন টহল দলের (সিপিজি) সদস্যের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার ভোরে লাউয়াছড়া বনের শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ সড়কের জানকিছড়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত সিরাজ মিয়া শ্রীমঙ্গল উপজেলার ডলুছড়া এলাকার বাসিন্দা।
১০ মিনিট আগেভুয়া অভিজ্ঞতা ও জাল সনদে একাধিক স্কুলে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এবার স্কুলের অ্যাডহক কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে শিক্ষা বোর্ডে নথি পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ সরকারি কলোনি উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির এ
১ ঘণ্টা আগেকুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার শেখ মো. কামরুল (৩৬) ওমানের রাস্তায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। ১৫ অক্টোবর সকালে বাসা থেকে মার্কেটে যাওয়ার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শেখ মো. কামরুল উপজেলার মাধবপুর গ্রামের শেখ বাড়ির মৃত কামাল হোসেনের ছেলে। তিনি ২৫ বছর ধরে ওমানে বসবাস করছিলেন এবং সিলাল মার্কেটে ব্
১ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজার প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে দায়িত্বরত মো. সিরাজ মিয়া (৭০) নামের এক বন টহল দলের (সিপিজি) সদস্যের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার ভোরে লাউয়াছড়া বনের শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ সড়কের জানকিছড়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত সিরাজ মিয়া শ্রীমঙ্গল উপজেলার ডলুছড়া এলাকার বাসিন্দা।
পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, সিরাজ মিয়া মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে লাউয়াছড়া বনের জানকিছড়া এলাকায় বন পাহারায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। আজ সকালে খবর পাওয়া যায়, লাউয়াছড়া বনের শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ প্রধান সড়কের পাশে সিপিজি ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় তাঁর মরদেহ পড়ে আছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বন বিভাগের সদস্যরা।
জানতে চাইলে লাউয়াছড়া বনের বনবিট কর্মকর্তা মারজুক হোসেন বলেন, ‘নিহত সিরাজ মিয়ার ডিউটি শেষ হয়েছিল ভোর ৫টার দিকে। সকাল ৬টার দিকে খবর পাই, তাঁর মরদেহ সড়কের পাশে পড়ে আছে। ধারণা করা হচ্ছে, ডিউটি শেষে বাড়ি ফেরার পথে কোনো গাড়ির ধাক্কায় তিনি মারা গেছেন। মরদেহের পাশে গ্লাস ভাঙা টুকরো পাওয়া গেছে।’
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাফর মো. মাহফুজুল কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি সড়ক দুর্ঘটনা।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে দায়িত্বরত মো. সিরাজ মিয়া (৭০) নামের এক বন টহল দলের (সিপিজি) সদস্যের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার ভোরে লাউয়াছড়া বনের শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ সড়কের জানকিছড়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত সিরাজ মিয়া শ্রীমঙ্গল উপজেলার ডলুছড়া এলাকার বাসিন্দা।
পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, সিরাজ মিয়া মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে লাউয়াছড়া বনের জানকিছড়া এলাকায় বন পাহারায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। আজ সকালে খবর পাওয়া যায়, লাউয়াছড়া বনের শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ প্রধান সড়কের পাশে সিপিজি ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় তাঁর মরদেহ পড়ে আছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বন বিভাগের সদস্যরা।
জানতে চাইলে লাউয়াছড়া বনের বনবিট কর্মকর্তা মারজুক হোসেন বলেন, ‘নিহত সিরাজ মিয়ার ডিউটি শেষ হয়েছিল ভোর ৫টার দিকে। সকাল ৬টার দিকে খবর পাই, তাঁর মরদেহ সড়কের পাশে পড়ে আছে। ধারণা করা হচ্ছে, ডিউটি শেষে বাড়ি ফেরার পথে কোনো গাড়ির ধাক্কায় তিনি মারা গেছেন। মরদেহের পাশে গ্লাস ভাঙা টুকরো পাওয়া গেছে।’
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাফর মো. মাহফুজুল কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি সড়ক দুর্ঘটনা।
জমি দখল, আধিপত্য বিস্তার ও তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে নেত্রকোনার মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের সাতটি গ্রামে বছরব্যাপী চলছিল টেঁটাযুদ্ধ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহ আলম মিয়ার উদ্যোগে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে এই টেঁটাযুদ্ধের অবসান করা হয়েছে।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪‘আমি বিএনপি করে শ ম রেজাউলের আমলে মামলায় জেল খেটেছি। এমনকি আমাকে মেরে ফেলারও চেষ্টা হয়েছে। তবে শেখ হাসিনার আদর্শ ধারণ করে এযাবৎ কাজ করেছি।’ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এমন মন্তব্য করে আবারও আলোচনায় পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের বিতর্কিত ইউপি সদস্য সোহাগ মৃধা। জানা গেছে, পাঁচ বছর আগ
৩ মিনিট আগেভুয়া অভিজ্ঞতা ও জাল সনদে একাধিক স্কুলে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এবার স্কুলের অ্যাডহক কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে শিক্ষা বোর্ডে নথি পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ সরকারি কলোনি উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির এ
১ ঘণ্টা আগেকুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার শেখ মো. কামরুল (৩৬) ওমানের রাস্তায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। ১৫ অক্টোবর সকালে বাসা থেকে মার্কেটে যাওয়ার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শেখ মো. কামরুল উপজেলার মাধবপুর গ্রামের শেখ বাড়ির মৃত কামাল হোসেনের ছেলে। তিনি ২৫ বছর ধরে ওমানে বসবাস করছিলেন এবং সিলাল মার্কেটে ব্
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
ভুয়া অভিজ্ঞতা ও জাল সনদে একাধিক স্কুলে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এবার স্কুলের অ্যাডহক কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে শিক্ষা বোর্ডে নথি পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ সরকারি কলোনি উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির একটি সভার রেজল্যুশনে তিনি এই জালিয়াতি করেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে জমা হওয়া অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত শেষে ১৯ অক্টোবর বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার এই নির্দেশনার বিষয়টি জানা যায়।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (উন্নয়ন) মো. রিদুয়ানুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পত্রে বলা হয়েছে, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম কর্তৃক গত বছরের ৩১ আগস্ট অনুষ্ঠিত ম্যানেজিং কমিটির সভার কার্যবিবরণীর প্রথম ও শেষ পাতা ঠিক রেখে দ্বিতীয় পাতায় আলোচ্যসূচি ৩-এ ‘এমপিওভুক্ত কয়েকজন শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিও শিটে নাম, বয়স, জন্মতারিখ, ব্যাংক হিসাব নম্বর, পদবি ও বিষয় সংশোধন প্রসঙ্গে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত’ শিরোনামে ভুয়া কার্যবিবরণী তৈরি করা হয়।
এই ভুয়া কার্যবিবরণীতে অ্যাডহক কমিটির সভাপতি ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (হিসাব ও নেজারত) মোহাম্মদ শাহজাহানের স্বাক্ষর জাল করা হয়। চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি সেই জাল কার্যবিবরণী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ইএমআইএস সেলে পাঠানো হয়।
চিঠিতে আরও বলা হয়, জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম নিজেই বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে গিয়ে দোষ স্বীকার করেছেন। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিকে।
এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর আজকের পত্রিকার অনলাইনে ‘ভুয়া অভিজ্ঞতা ও জাল সনদে একাধিক স্কুলে প্রধান শিক্ষক, শাস্তির সুপারিশ বোর্ডের’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। জানা গেছে, শিক্ষা বোর্ড থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এখনো চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ সরকারি কলোনি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রচ্ছায়ায় থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তাঁদের দাবি, এই ধরনের মুখোশধারী অপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি।
ভুয়া অভিজ্ঞতা ও জাল সনদে একাধিক স্কুলে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এবার স্কুলের অ্যাডহক কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে শিক্ষা বোর্ডে নথি পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ সরকারি কলোনি উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির একটি সভার রেজল্যুশনে তিনি এই জালিয়াতি করেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে জমা হওয়া অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত শেষে ১৯ অক্টোবর বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার এই নির্দেশনার বিষয়টি জানা যায়।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (উন্নয়ন) মো. রিদুয়ানুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পত্রে বলা হয়েছে, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম কর্তৃক গত বছরের ৩১ আগস্ট অনুষ্ঠিত ম্যানেজিং কমিটির সভার কার্যবিবরণীর প্রথম ও শেষ পাতা ঠিক রেখে দ্বিতীয় পাতায় আলোচ্যসূচি ৩-এ ‘এমপিওভুক্ত কয়েকজন শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিও শিটে নাম, বয়স, জন্মতারিখ, ব্যাংক হিসাব নম্বর, পদবি ও বিষয় সংশোধন প্রসঙ্গে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত’ শিরোনামে ভুয়া কার্যবিবরণী তৈরি করা হয়।
এই ভুয়া কার্যবিবরণীতে অ্যাডহক কমিটির সভাপতি ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (হিসাব ও নেজারত) মোহাম্মদ শাহজাহানের স্বাক্ষর জাল করা হয়। চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি সেই জাল কার্যবিবরণী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ইএমআইএস সেলে পাঠানো হয়।
চিঠিতে আরও বলা হয়, জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম নিজেই বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে গিয়ে দোষ স্বীকার করেছেন। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিকে।
এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর আজকের পত্রিকার অনলাইনে ‘ভুয়া অভিজ্ঞতা ও জাল সনদে একাধিক স্কুলে প্রধান শিক্ষক, শাস্তির সুপারিশ বোর্ডের’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। জানা গেছে, শিক্ষা বোর্ড থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এখনো চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ সরকারি কলোনি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রচ্ছায়ায় থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তাঁদের দাবি, এই ধরনের মুখোশধারী অপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি।
জমি দখল, আধিপত্য বিস্তার ও তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে নেত্রকোনার মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের সাতটি গ্রামে বছরব্যাপী চলছিল টেঁটাযুদ্ধ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহ আলম মিয়ার উদ্যোগে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে এই টেঁটাযুদ্ধের অবসান করা হয়েছে।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪‘আমি বিএনপি করে শ ম রেজাউলের আমলে মামলায় জেল খেটেছি। এমনকি আমাকে মেরে ফেলারও চেষ্টা হয়েছে। তবে শেখ হাসিনার আদর্শ ধারণ করে এযাবৎ কাজ করেছি।’ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এমন মন্তব্য করে আবারও আলোচনায় পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের বিতর্কিত ইউপি সদস্য সোহাগ মৃধা। জানা গেছে, পাঁচ বছর আগ
৩ মিনিট আগেমৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে দায়িত্বরত মো. সিরাজ মিয়া (৭০) নামের এক বন টহল দলের (সিপিজি) সদস্যের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার ভোরে লাউয়াছড়া বনের শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ সড়কের জানকিছড়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত সিরাজ মিয়া শ্রীমঙ্গল উপজেলার ডলুছড়া এলাকার বাসিন্দা।
১০ মিনিট আগেকুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার শেখ মো. কামরুল (৩৬) ওমানের রাস্তায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। ১৫ অক্টোবর সকালে বাসা থেকে মার্কেটে যাওয়ার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শেখ মো. কামরুল উপজেলার মাধবপুর গ্রামের শেখ বাড়ির মৃত কামাল হোসেনের ছেলে। তিনি ২৫ বছর ধরে ওমানে বসবাস করছিলেন এবং সিলাল মার্কেটে ব্
১ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার শেখ মো. কামরুল (৩৬) ওমানের রাস্তায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। ১৫ অক্টোবর সকালে বাসা থেকে মার্কেটে যাওয়ার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শেখ মো. কামরুল উপজেলার মাধবপুর গ্রামের শেখ বাড়ির মৃত কামাল হোসেনের ছেলে। তিনি ২৫ বছর ধরে ওমানে বসবাস করছিলেন এবং সিলাল মার্কেটে ব্যবসা করতেন।
কামরুলের চাচাতো ভাই শেখ মো. সজিব জানান, কোরবানির ঈদ শেষে কামরুলসহ পাঁচজন একসঙ্গে ছুটি কাটিয়ে ১০ অক্টোবর ওমানে ফিরে যান। ফেরার মাত্র ছয় দিন পরই ঘটে এই দুর্ঘটনা।
স্বজনদের ভাষ্যমতে, ১৫ অক্টোবর সকালে বাসা থেকে সিলাল মার্কেটে যাওয়ার পথে একজন তানজানিয়ান চালকের প্রস্তাবে কামরুল একটি বাসে ওঠেন। নতুন সিলাল মার্কেটের গেটের সামনে পৌঁছালে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে থাকা একটি মাটি কাটার গাড়ির (জেসিবি) সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খায়। এতে বাসের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান কামরুল। বর্তমানে তাঁর মরদেহ রুস্তাক হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আজ বুধবার রাতে কামরুলের মরদেহ দেশে পৌঁছানোর কথা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর তাঁর নিজ এলাকা মাধবপুরে জানাজা শেষে দাফন করা হবে।
তাঁর দুই শিশুপুত্র রয়েছে; একজনের বয়স চার বছর এবং অন্যজনের মাত্র পাঁচ মাস। কামরুল ১২ বছর বয়সে পরিবারের দায়িত্ব নিতে প্রবাসে পাড়ি জমান। তাঁর অকালমৃত্যুতে পরিবার, স্থানীয় বাসিন্দা ও ওমানপ্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার শেখ মো. কামরুল (৩৬) ওমানের রাস্তায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। ১৫ অক্টোবর সকালে বাসা থেকে মার্কেটে যাওয়ার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শেখ মো. কামরুল উপজেলার মাধবপুর গ্রামের শেখ বাড়ির মৃত কামাল হোসেনের ছেলে। তিনি ২৫ বছর ধরে ওমানে বসবাস করছিলেন এবং সিলাল মার্কেটে ব্যবসা করতেন।
কামরুলের চাচাতো ভাই শেখ মো. সজিব জানান, কোরবানির ঈদ শেষে কামরুলসহ পাঁচজন একসঙ্গে ছুটি কাটিয়ে ১০ অক্টোবর ওমানে ফিরে যান। ফেরার মাত্র ছয় দিন পরই ঘটে এই দুর্ঘটনা।
স্বজনদের ভাষ্যমতে, ১৫ অক্টোবর সকালে বাসা থেকে সিলাল মার্কেটে যাওয়ার পথে একজন তানজানিয়ান চালকের প্রস্তাবে কামরুল একটি বাসে ওঠেন। নতুন সিলাল মার্কেটের গেটের সামনে পৌঁছালে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে থাকা একটি মাটি কাটার গাড়ির (জেসিবি) সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খায়। এতে বাসের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান কামরুল। বর্তমানে তাঁর মরদেহ রুস্তাক হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আজ বুধবার রাতে কামরুলের মরদেহ দেশে পৌঁছানোর কথা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর তাঁর নিজ এলাকা মাধবপুরে জানাজা শেষে দাফন করা হবে।
তাঁর দুই শিশুপুত্র রয়েছে; একজনের বয়স চার বছর এবং অন্যজনের মাত্র পাঁচ মাস। কামরুল ১২ বছর বয়সে পরিবারের দায়িত্ব নিতে প্রবাসে পাড়ি জমান। তাঁর অকালমৃত্যুতে পরিবার, স্থানীয় বাসিন্দা ও ওমানপ্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জমি দখল, আধিপত্য বিস্তার ও তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে নেত্রকোনার মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের সাতটি গ্রামে বছরব্যাপী চলছিল টেঁটাযুদ্ধ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহ আলম মিয়ার উদ্যোগে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে এই টেঁটাযুদ্ধের অবসান করা হয়েছে।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪‘আমি বিএনপি করে শ ম রেজাউলের আমলে মামলায় জেল খেটেছি। এমনকি আমাকে মেরে ফেলারও চেষ্টা হয়েছে। তবে শেখ হাসিনার আদর্শ ধারণ করে এযাবৎ কাজ করেছি।’ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এমন মন্তব্য করে আবারও আলোচনায় পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের বিতর্কিত ইউপি সদস্য সোহাগ মৃধা। জানা গেছে, পাঁচ বছর আগ
৩ মিনিট আগেমৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে দায়িত্বরত মো. সিরাজ মিয়া (৭০) নামের এক বন টহল দলের (সিপিজি) সদস্যের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার ভোরে লাউয়াছড়া বনের শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ সড়কের জানকিছড়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত সিরাজ মিয়া শ্রীমঙ্গল উপজেলার ডলুছড়া এলাকার বাসিন্দা।
১০ মিনিট আগেভুয়া অভিজ্ঞতা ও জাল সনদে একাধিক স্কুলে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এবার স্কুলের অ্যাডহক কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে শিক্ষা বোর্ডে নথি পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ সরকারি কলোনি উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির এ
১ ঘণ্টা আগে