মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
নেত্রকোনার মদন উপজেলার বর্ণী নদী অবৈধভাবে দখলে নিয়েছেন অমৎস্যজীবী প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। মাছ শিকারের জন্য জেলেদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। টাকার বিনিময়ে মাছ শিকারের নিয়ম চালু থাকায় পুরো নদী এখন জালে ঘেরা।
এতে বর্ণী নদী দিয়ে নৌযান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিদিনেই জেলে ও নৌকার চালকদের মধ্যে সৃষ্টি হচ্ছে বাগ্বিতণ্ডা। নৌযান চলাচলের সময় জালের ক্ষতি দেখিয়ে নৌকার মালিকদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করছেন জেলেরা। এ ব্যাপারে প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করায় জনসাধারণের দুর্ভোগ দিনে দিনে বেড়েই চলেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্ণী নদী মগড়া নদীর একটি শাখা। নেত্রকোনার মগড়া থেকে প্রবাহিত হয়ে কেন্দুয়া উপজেলার সাইডুলি নদীতে মিলিত হয়। সেখান থেকে আবার মদন ও তাড়াইল উপজেলার মধ্য দিয়ে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার রাজি গ্রামের সামনে মগড়া নদীতে মিলিত হয়েছে। প্রায় ৫০ কিলোমিটার এই মুক্ত জলাশয়ের নৌপথ দীর্ঘদিনের। ওই নদী দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নেত্রকোনা জেলা, মদন, কেন্দুয়া ও কিশোরগঞ্জের ইটনা ও তাড়াইল উপজেলায় যাত্রী ও মালবাহী ট্রলার চলাচল করে থাকে। কিন্তু একশ্রেণির অসাধু প্রভাবশালী মহল সুকৌশলে তাড়াইল ও ইটনা উপজেলার অংশটি বন্ধ করে দিয়েছে। তাঁরা সেখানে জলাশয় দেখিয়ে ইজারা পত্তন নিয়ে নিজেদের ইচ্ছামতো জাল ও গাছের ডালপালা দিয়ে নৌ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
এ ছাড়া মদন উপজেলার ধানকুনিয়া গ্রামের উত্তর পাশ থেকে লাছারকান্দা গ্রামের পেছন পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার নদী দখলে নিয়েছে এলাকার আরেকটি কুচক্রী মহল। দখলকৃত নদীতে সরকার নিষিদ্ধ বরজাল, খরাজাল, চায়না জাল, কারেন্ট ও মশারীজালের অবৈধ ঘের থাকায় পুরো নদীপথই এখন অচল। এই নদী দিয়ে এখন আর বড় কোনো ট্রলার চলাচল করতে পারে না। দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কেন্দুয়া উপজেলার গোগবাজার ও ইটনা উপজেলার রায়টুটি বাজারে ইট, পাথর ও বালুবাহী অর্ধশত ট্রলার আটকে আছে। চালকেরা জরিমানার ভয়ে নৌকা আটকে দিন পার করছেন।
এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার বর্ণী নদীতে গেলে দেখা যায়, ধানকুনিয়া গ্রামের উত্তর পাশের অংশ থেকে লাছারকান্দা গ্রামের পেছন পর্যন্ত তিন কিলোমিটার নদীতে সরকারনিষিদ্ধ অসংখ্য ছোট-বড় জাল। এর মধ্যে ১২টি বরজাল দিয়ে তিন কিলোমিটার পুরো নদী দখল করে রাখা হয়েছে। প্রতিটি জাল থেকে নেওয়া হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। আর ওই টাকাগুলো আদায় করছে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল।
এ সময় মাছ শিকারি শহীদ মিয়া, কেনু মিয়া, জজ মিয়া, চাঁন মিয়াসহ অনেকেই জানান, বর্ণী নদীর কিছু অংশ মদন ও কিছু অংশ তাড়াইল, ইটনা উপজেলার সীমানায়। একটি বরজাল দিয়ে মাছ শিকার করার জন্য তাড়াইল অংশের জন্য প্রতিবছর ৬০ হাজার টাকা দেন ইটনা উপজেলার রাজি গ্রামের বাদল মিয়ার কাছে। আর মদন অংশের জন্য ৫০-৬০ হাজার টাকা নেন ধানকুনিয়া গ্রামের লালন ও ফরিদ। তাড়াইল ও ইটনা অংশ ইজারা হলেও মদন অংশ মুক্ত রয়েছে। কিন্তু মাছ শিকার করার জন্য মদন, তাড়াইল ও ইটনা তিন অংশের জন্য টাকা দেন, তবে নৌকা চলাচলে কোনো বাধা দেন না তাঁরা।
তাঁরা আরও জানান, তাঁরা শুধু একা নন, এই নদীতে যাঁরা জাল দিয়ে মাছ শিকার করেন, তাঁদের প্রত্যেককেই টাকা দিতে হয়। এই নদীতে মাছ শিকার নিয়ে প্রায়ই সংঘর্ষ হয়। প্রশাসন ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো রকম সুফল পান না তাঁরা। তাই বাধ্য হয়েই টাকা দিয়ে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন তাঁরা।
এ সময় আটকে থাকা নৌকার মালিক মনজিল মিয়া, দেওয়ান সিরাজুল, রাসেল মিয়া বলেন, ‘আমরা কেন্দুয়া উপজেলার গোগবাজারে মালামালবোঝাই নৌকা নিয়ে আটকে আছি। যারা জাল ফেলে মাছ ধরছে, তারা যদি অনুমতি না দেয় তাহলে আমদের মালামাল নিয়ে আটকে থাকতে হবে। অনুমতি ছাড়া নৌকা নিয়ে গেলে গালমন্দসহ জরিমানা গুনতে হবে।’
এ নিয়ে মোবাইলে কথা হয় বর্ণী নদীর ইটনা অংশের ইজারাদার রাজী গ্রামের বাদল মিয়া সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা বর্ণী নদীটি ছয় বছরের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে ইজারা এনেছি। এর মধ্যে চার বছর অতিবাহিত হয়েছে। এই নদী দিয়ে দুই থেকে তিন হাজার মণের মালবাহী নৌকা চলাচল করতে পারবে। এর চেয়ে বড় নৌকা চলাচল করা সম্ভব নয়। জাল দিয়ে মাছ শিকার করার জন্য আমরা জেলেদের কাছে পত্তন দিয়েছি। এতে কোনো নৌকা যদি মালামাল নিয়ে আটকে থাকে, আমাদের কিছু করার নাই।’
ধানকুনিয়া গ্রামের চাঁদা আদায়কারী ফরিদ মিয়া বলেন, ‘নদীর পাড়ে আমার জমি রয়েছে। জাল দিয়ে মাছ শিকার করার জন্য আমার জমিতে খুঁটি পুঁতেছি। এর জন্য জেলেরা আমাকে টাকা দেয়।’
এ বিষয়ে ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান সামিউল হায়দার তালুকদার শফি জানান, বর্ণী নদীটি মুক্ত জলাশয় থাকলেও কিছু লোকের দখলে আছে। জাল দিয়ে মাছ শিকার করায় নৌকা চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। নদীটি মুক্ত করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান তিনি।
এ নিয়ে মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কে এম লুৎফর রহমান বলেন, ‘বর্ণী নদী দখল করে মাছ শিকার করা হচ্ছে এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। অচিরেই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নেত্রকোনার মদন উপজেলার বর্ণী নদী অবৈধভাবে দখলে নিয়েছেন অমৎস্যজীবী প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। মাছ শিকারের জন্য জেলেদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। টাকার বিনিময়ে মাছ শিকারের নিয়ম চালু থাকায় পুরো নদী এখন জালে ঘেরা।
এতে বর্ণী নদী দিয়ে নৌযান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিদিনেই জেলে ও নৌকার চালকদের মধ্যে সৃষ্টি হচ্ছে বাগ্বিতণ্ডা। নৌযান চলাচলের সময় জালের ক্ষতি দেখিয়ে নৌকার মালিকদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করছেন জেলেরা। এ ব্যাপারে প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করায় জনসাধারণের দুর্ভোগ দিনে দিনে বেড়েই চলেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্ণী নদী মগড়া নদীর একটি শাখা। নেত্রকোনার মগড়া থেকে প্রবাহিত হয়ে কেন্দুয়া উপজেলার সাইডুলি নদীতে মিলিত হয়। সেখান থেকে আবার মদন ও তাড়াইল উপজেলার মধ্য দিয়ে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার রাজি গ্রামের সামনে মগড়া নদীতে মিলিত হয়েছে। প্রায় ৫০ কিলোমিটার এই মুক্ত জলাশয়ের নৌপথ দীর্ঘদিনের। ওই নদী দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নেত্রকোনা জেলা, মদন, কেন্দুয়া ও কিশোরগঞ্জের ইটনা ও তাড়াইল উপজেলায় যাত্রী ও মালবাহী ট্রলার চলাচল করে থাকে। কিন্তু একশ্রেণির অসাধু প্রভাবশালী মহল সুকৌশলে তাড়াইল ও ইটনা উপজেলার অংশটি বন্ধ করে দিয়েছে। তাঁরা সেখানে জলাশয় দেখিয়ে ইজারা পত্তন নিয়ে নিজেদের ইচ্ছামতো জাল ও গাছের ডালপালা দিয়ে নৌ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
এ ছাড়া মদন উপজেলার ধানকুনিয়া গ্রামের উত্তর পাশ থেকে লাছারকান্দা গ্রামের পেছন পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার নদী দখলে নিয়েছে এলাকার আরেকটি কুচক্রী মহল। দখলকৃত নদীতে সরকার নিষিদ্ধ বরজাল, খরাজাল, চায়না জাল, কারেন্ট ও মশারীজালের অবৈধ ঘের থাকায় পুরো নদীপথই এখন অচল। এই নদী দিয়ে এখন আর বড় কোনো ট্রলার চলাচল করতে পারে না। দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কেন্দুয়া উপজেলার গোগবাজার ও ইটনা উপজেলার রায়টুটি বাজারে ইট, পাথর ও বালুবাহী অর্ধশত ট্রলার আটকে আছে। চালকেরা জরিমানার ভয়ে নৌকা আটকে দিন পার করছেন।
এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার বর্ণী নদীতে গেলে দেখা যায়, ধানকুনিয়া গ্রামের উত্তর পাশের অংশ থেকে লাছারকান্দা গ্রামের পেছন পর্যন্ত তিন কিলোমিটার নদীতে সরকারনিষিদ্ধ অসংখ্য ছোট-বড় জাল। এর মধ্যে ১২টি বরজাল দিয়ে তিন কিলোমিটার পুরো নদী দখল করে রাখা হয়েছে। প্রতিটি জাল থেকে নেওয়া হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। আর ওই টাকাগুলো আদায় করছে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল।
এ সময় মাছ শিকারি শহীদ মিয়া, কেনু মিয়া, জজ মিয়া, চাঁন মিয়াসহ অনেকেই জানান, বর্ণী নদীর কিছু অংশ মদন ও কিছু অংশ তাড়াইল, ইটনা উপজেলার সীমানায়। একটি বরজাল দিয়ে মাছ শিকার করার জন্য তাড়াইল অংশের জন্য প্রতিবছর ৬০ হাজার টাকা দেন ইটনা উপজেলার রাজি গ্রামের বাদল মিয়ার কাছে। আর মদন অংশের জন্য ৫০-৬০ হাজার টাকা নেন ধানকুনিয়া গ্রামের লালন ও ফরিদ। তাড়াইল ও ইটনা অংশ ইজারা হলেও মদন অংশ মুক্ত রয়েছে। কিন্তু মাছ শিকার করার জন্য মদন, তাড়াইল ও ইটনা তিন অংশের জন্য টাকা দেন, তবে নৌকা চলাচলে কোনো বাধা দেন না তাঁরা।
তাঁরা আরও জানান, তাঁরা শুধু একা নন, এই নদীতে যাঁরা জাল দিয়ে মাছ শিকার করেন, তাঁদের প্রত্যেককেই টাকা দিতে হয়। এই নদীতে মাছ শিকার নিয়ে প্রায়ই সংঘর্ষ হয়। প্রশাসন ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো রকম সুফল পান না তাঁরা। তাই বাধ্য হয়েই টাকা দিয়ে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন তাঁরা।
এ সময় আটকে থাকা নৌকার মালিক মনজিল মিয়া, দেওয়ান সিরাজুল, রাসেল মিয়া বলেন, ‘আমরা কেন্দুয়া উপজেলার গোগবাজারে মালামালবোঝাই নৌকা নিয়ে আটকে আছি। যারা জাল ফেলে মাছ ধরছে, তারা যদি অনুমতি না দেয় তাহলে আমদের মালামাল নিয়ে আটকে থাকতে হবে। অনুমতি ছাড়া নৌকা নিয়ে গেলে গালমন্দসহ জরিমানা গুনতে হবে।’
এ নিয়ে মোবাইলে কথা হয় বর্ণী নদীর ইটনা অংশের ইজারাদার রাজী গ্রামের বাদল মিয়া সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা বর্ণী নদীটি ছয় বছরের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে ইজারা এনেছি। এর মধ্যে চার বছর অতিবাহিত হয়েছে। এই নদী দিয়ে দুই থেকে তিন হাজার মণের মালবাহী নৌকা চলাচল করতে পারবে। এর চেয়ে বড় নৌকা চলাচল করা সম্ভব নয়। জাল দিয়ে মাছ শিকার করার জন্য আমরা জেলেদের কাছে পত্তন দিয়েছি। এতে কোনো নৌকা যদি মালামাল নিয়ে আটকে থাকে, আমাদের কিছু করার নাই।’
ধানকুনিয়া গ্রামের চাঁদা আদায়কারী ফরিদ মিয়া বলেন, ‘নদীর পাড়ে আমার জমি রয়েছে। জাল দিয়ে মাছ শিকার করার জন্য আমার জমিতে খুঁটি পুঁতেছি। এর জন্য জেলেরা আমাকে টাকা দেয়।’
এ বিষয়ে ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান সামিউল হায়দার তালুকদার শফি জানান, বর্ণী নদীটি মুক্ত জলাশয় থাকলেও কিছু লোকের দখলে আছে। জাল দিয়ে মাছ শিকার করায় নৌকা চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। নদীটি মুক্ত করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান তিনি।
এ নিয়ে মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কে এম লুৎফর রহমান বলেন, ‘বর্ণী নদী দখল করে মাছ শিকার করা হচ্ছে এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। অচিরেই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
নেত্রকোনার মদন উপজেলার বর্ণী নদী অবৈধভাবে দখলে নিয়েছেন অমৎস্যজীবী প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। মাছ শিকারের জন্য জেলেদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। টাকার বিনিময়ে মাছ শিকারের নিয়ম চালু থাকায় পুরো নদী এখন জালে ঘেরা।
এতে বর্ণী নদী দিয়ে নৌযান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিদিনেই জেলে ও নৌকার চালকদের মধ্যে সৃষ্টি হচ্ছে বাগ্বিতণ্ডা। নৌযান চলাচলের সময় জালের ক্ষতি দেখিয়ে নৌকার মালিকদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করছেন জেলেরা। এ ব্যাপারে প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করায় জনসাধারণের দুর্ভোগ দিনে দিনে বেড়েই চলেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্ণী নদী মগড়া নদীর একটি শাখা। নেত্রকোনার মগড়া থেকে প্রবাহিত হয়ে কেন্দুয়া উপজেলার সাইডুলি নদীতে মিলিত হয়। সেখান থেকে আবার মদন ও তাড়াইল উপজেলার মধ্য দিয়ে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার রাজি গ্রামের সামনে মগড়া নদীতে মিলিত হয়েছে। প্রায় ৫০ কিলোমিটার এই মুক্ত জলাশয়ের নৌপথ দীর্ঘদিনের। ওই নদী দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নেত্রকোনা জেলা, মদন, কেন্দুয়া ও কিশোরগঞ্জের ইটনা ও তাড়াইল উপজেলায় যাত্রী ও মালবাহী ট্রলার চলাচল করে থাকে। কিন্তু একশ্রেণির অসাধু প্রভাবশালী মহল সুকৌশলে তাড়াইল ও ইটনা উপজেলার অংশটি বন্ধ করে দিয়েছে। তাঁরা সেখানে জলাশয় দেখিয়ে ইজারা পত্তন নিয়ে নিজেদের ইচ্ছামতো জাল ও গাছের ডালপালা দিয়ে নৌ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
এ ছাড়া মদন উপজেলার ধানকুনিয়া গ্রামের উত্তর পাশ থেকে লাছারকান্দা গ্রামের পেছন পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার নদী দখলে নিয়েছে এলাকার আরেকটি কুচক্রী মহল। দখলকৃত নদীতে সরকার নিষিদ্ধ বরজাল, খরাজাল, চায়না জাল, কারেন্ট ও মশারীজালের অবৈধ ঘের থাকায় পুরো নদীপথই এখন অচল। এই নদী দিয়ে এখন আর বড় কোনো ট্রলার চলাচল করতে পারে না। দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কেন্দুয়া উপজেলার গোগবাজার ও ইটনা উপজেলার রায়টুটি বাজারে ইট, পাথর ও বালুবাহী অর্ধশত ট্রলার আটকে আছে। চালকেরা জরিমানার ভয়ে নৌকা আটকে দিন পার করছেন।
এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার বর্ণী নদীতে গেলে দেখা যায়, ধানকুনিয়া গ্রামের উত্তর পাশের অংশ থেকে লাছারকান্দা গ্রামের পেছন পর্যন্ত তিন কিলোমিটার নদীতে সরকারনিষিদ্ধ অসংখ্য ছোট-বড় জাল। এর মধ্যে ১২টি বরজাল দিয়ে তিন কিলোমিটার পুরো নদী দখল করে রাখা হয়েছে। প্রতিটি জাল থেকে নেওয়া হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। আর ওই টাকাগুলো আদায় করছে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল।
এ সময় মাছ শিকারি শহীদ মিয়া, কেনু মিয়া, জজ মিয়া, চাঁন মিয়াসহ অনেকেই জানান, বর্ণী নদীর কিছু অংশ মদন ও কিছু অংশ তাড়াইল, ইটনা উপজেলার সীমানায়। একটি বরজাল দিয়ে মাছ শিকার করার জন্য তাড়াইল অংশের জন্য প্রতিবছর ৬০ হাজার টাকা দেন ইটনা উপজেলার রাজি গ্রামের বাদল মিয়ার কাছে। আর মদন অংশের জন্য ৫০-৬০ হাজার টাকা নেন ধানকুনিয়া গ্রামের লালন ও ফরিদ। তাড়াইল ও ইটনা অংশ ইজারা হলেও মদন অংশ মুক্ত রয়েছে। কিন্তু মাছ শিকার করার জন্য মদন, তাড়াইল ও ইটনা তিন অংশের জন্য টাকা দেন, তবে নৌকা চলাচলে কোনো বাধা দেন না তাঁরা।
তাঁরা আরও জানান, তাঁরা শুধু একা নন, এই নদীতে যাঁরা জাল দিয়ে মাছ শিকার করেন, তাঁদের প্রত্যেককেই টাকা দিতে হয়। এই নদীতে মাছ শিকার নিয়ে প্রায়ই সংঘর্ষ হয়। প্রশাসন ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো রকম সুফল পান না তাঁরা। তাই বাধ্য হয়েই টাকা দিয়ে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন তাঁরা।
এ সময় আটকে থাকা নৌকার মালিক মনজিল মিয়া, দেওয়ান সিরাজুল, রাসেল মিয়া বলেন, ‘আমরা কেন্দুয়া উপজেলার গোগবাজারে মালামালবোঝাই নৌকা নিয়ে আটকে আছি। যারা জাল ফেলে মাছ ধরছে, তারা যদি অনুমতি না দেয় তাহলে আমদের মালামাল নিয়ে আটকে থাকতে হবে। অনুমতি ছাড়া নৌকা নিয়ে গেলে গালমন্দসহ জরিমানা গুনতে হবে।’
এ নিয়ে মোবাইলে কথা হয় বর্ণী নদীর ইটনা অংশের ইজারাদার রাজী গ্রামের বাদল মিয়া সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা বর্ণী নদীটি ছয় বছরের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে ইজারা এনেছি। এর মধ্যে চার বছর অতিবাহিত হয়েছে। এই নদী দিয়ে দুই থেকে তিন হাজার মণের মালবাহী নৌকা চলাচল করতে পারবে। এর চেয়ে বড় নৌকা চলাচল করা সম্ভব নয়। জাল দিয়ে মাছ শিকার করার জন্য আমরা জেলেদের কাছে পত্তন দিয়েছি। এতে কোনো নৌকা যদি মালামাল নিয়ে আটকে থাকে, আমাদের কিছু করার নাই।’
ধানকুনিয়া গ্রামের চাঁদা আদায়কারী ফরিদ মিয়া বলেন, ‘নদীর পাড়ে আমার জমি রয়েছে। জাল দিয়ে মাছ শিকার করার জন্য আমার জমিতে খুঁটি পুঁতেছি। এর জন্য জেলেরা আমাকে টাকা দেয়।’
এ বিষয়ে ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান সামিউল হায়দার তালুকদার শফি জানান, বর্ণী নদীটি মুক্ত জলাশয় থাকলেও কিছু লোকের দখলে আছে। জাল দিয়ে মাছ শিকার করায় নৌকা চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। নদীটি মুক্ত করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান তিনি।
এ নিয়ে মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কে এম লুৎফর রহমান বলেন, ‘বর্ণী নদী দখল করে মাছ শিকার করা হচ্ছে এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। অচিরেই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নেত্রকোনার মদন উপজেলার বর্ণী নদী অবৈধভাবে দখলে নিয়েছেন অমৎস্যজীবী প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। মাছ শিকারের জন্য জেলেদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। টাকার বিনিময়ে মাছ শিকারের নিয়ম চালু থাকায় পুরো নদী এখন জালে ঘেরা।
এতে বর্ণী নদী দিয়ে নৌযান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিদিনেই জেলে ও নৌকার চালকদের মধ্যে সৃষ্টি হচ্ছে বাগ্বিতণ্ডা। নৌযান চলাচলের সময় জালের ক্ষতি দেখিয়ে নৌকার মালিকদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করছেন জেলেরা। এ ব্যাপারে প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করায় জনসাধারণের দুর্ভোগ দিনে দিনে বেড়েই চলেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্ণী নদী মগড়া নদীর একটি শাখা। নেত্রকোনার মগড়া থেকে প্রবাহিত হয়ে কেন্দুয়া উপজেলার সাইডুলি নদীতে মিলিত হয়। সেখান থেকে আবার মদন ও তাড়াইল উপজেলার মধ্য দিয়ে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার রাজি গ্রামের সামনে মগড়া নদীতে মিলিত হয়েছে। প্রায় ৫০ কিলোমিটার এই মুক্ত জলাশয়ের নৌপথ দীর্ঘদিনের। ওই নদী দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নেত্রকোনা জেলা, মদন, কেন্দুয়া ও কিশোরগঞ্জের ইটনা ও তাড়াইল উপজেলায় যাত্রী ও মালবাহী ট্রলার চলাচল করে থাকে। কিন্তু একশ্রেণির অসাধু প্রভাবশালী মহল সুকৌশলে তাড়াইল ও ইটনা উপজেলার অংশটি বন্ধ করে দিয়েছে। তাঁরা সেখানে জলাশয় দেখিয়ে ইজারা পত্তন নিয়ে নিজেদের ইচ্ছামতো জাল ও গাছের ডালপালা দিয়ে নৌ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
এ ছাড়া মদন উপজেলার ধানকুনিয়া গ্রামের উত্তর পাশ থেকে লাছারকান্দা গ্রামের পেছন পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার নদী দখলে নিয়েছে এলাকার আরেকটি কুচক্রী মহল। দখলকৃত নদীতে সরকার নিষিদ্ধ বরজাল, খরাজাল, চায়না জাল, কারেন্ট ও মশারীজালের অবৈধ ঘের থাকায় পুরো নদীপথই এখন অচল। এই নদী দিয়ে এখন আর বড় কোনো ট্রলার চলাচল করতে পারে না। দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কেন্দুয়া উপজেলার গোগবাজার ও ইটনা উপজেলার রায়টুটি বাজারে ইট, পাথর ও বালুবাহী অর্ধশত ট্রলার আটকে আছে। চালকেরা জরিমানার ভয়ে নৌকা আটকে দিন পার করছেন।
এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার বর্ণী নদীতে গেলে দেখা যায়, ধানকুনিয়া গ্রামের উত্তর পাশের অংশ থেকে লাছারকান্দা গ্রামের পেছন পর্যন্ত তিন কিলোমিটার নদীতে সরকারনিষিদ্ধ অসংখ্য ছোট-বড় জাল। এর মধ্যে ১২টি বরজাল দিয়ে তিন কিলোমিটার পুরো নদী দখল করে রাখা হয়েছে। প্রতিটি জাল থেকে নেওয়া হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। আর ওই টাকাগুলো আদায় করছে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল।
এ সময় মাছ শিকারি শহীদ মিয়া, কেনু মিয়া, জজ মিয়া, চাঁন মিয়াসহ অনেকেই জানান, বর্ণী নদীর কিছু অংশ মদন ও কিছু অংশ তাড়াইল, ইটনা উপজেলার সীমানায়। একটি বরজাল দিয়ে মাছ শিকার করার জন্য তাড়াইল অংশের জন্য প্রতিবছর ৬০ হাজার টাকা দেন ইটনা উপজেলার রাজি গ্রামের বাদল মিয়ার কাছে। আর মদন অংশের জন্য ৫০-৬০ হাজার টাকা নেন ধানকুনিয়া গ্রামের লালন ও ফরিদ। তাড়াইল ও ইটনা অংশ ইজারা হলেও মদন অংশ মুক্ত রয়েছে। কিন্তু মাছ শিকার করার জন্য মদন, তাড়াইল ও ইটনা তিন অংশের জন্য টাকা দেন, তবে নৌকা চলাচলে কোনো বাধা দেন না তাঁরা।
তাঁরা আরও জানান, তাঁরা শুধু একা নন, এই নদীতে যাঁরা জাল দিয়ে মাছ শিকার করেন, তাঁদের প্রত্যেককেই টাকা দিতে হয়। এই নদীতে মাছ শিকার নিয়ে প্রায়ই সংঘর্ষ হয়। প্রশাসন ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো রকম সুফল পান না তাঁরা। তাই বাধ্য হয়েই টাকা দিয়ে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন তাঁরা।
এ সময় আটকে থাকা নৌকার মালিক মনজিল মিয়া, দেওয়ান সিরাজুল, রাসেল মিয়া বলেন, ‘আমরা কেন্দুয়া উপজেলার গোগবাজারে মালামালবোঝাই নৌকা নিয়ে আটকে আছি। যারা জাল ফেলে মাছ ধরছে, তারা যদি অনুমতি না দেয় তাহলে আমদের মালামাল নিয়ে আটকে থাকতে হবে। অনুমতি ছাড়া নৌকা নিয়ে গেলে গালমন্দসহ জরিমানা গুনতে হবে।’
এ নিয়ে মোবাইলে কথা হয় বর্ণী নদীর ইটনা অংশের ইজারাদার রাজী গ্রামের বাদল মিয়া সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা বর্ণী নদীটি ছয় বছরের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে ইজারা এনেছি। এর মধ্যে চার বছর অতিবাহিত হয়েছে। এই নদী দিয়ে দুই থেকে তিন হাজার মণের মালবাহী নৌকা চলাচল করতে পারবে। এর চেয়ে বড় নৌকা চলাচল করা সম্ভব নয়। জাল দিয়ে মাছ শিকার করার জন্য আমরা জেলেদের কাছে পত্তন দিয়েছি। এতে কোনো নৌকা যদি মালামাল নিয়ে আটকে থাকে, আমাদের কিছু করার নাই।’
ধানকুনিয়া গ্রামের চাঁদা আদায়কারী ফরিদ মিয়া বলেন, ‘নদীর পাড়ে আমার জমি রয়েছে। জাল দিয়ে মাছ শিকার করার জন্য আমার জমিতে খুঁটি পুঁতেছি। এর জন্য জেলেরা আমাকে টাকা দেয়।’
এ বিষয়ে ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান সামিউল হায়দার তালুকদার শফি জানান, বর্ণী নদীটি মুক্ত জলাশয় থাকলেও কিছু লোকের দখলে আছে। জাল দিয়ে মাছ শিকার করায় নৌকা চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। নদীটি মুক্ত করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান তিনি।
এ নিয়ে মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কে এম লুৎফর রহমান বলেন, ‘বর্ণী নদী দখল করে মাছ শিকার করা হচ্ছে এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। অচিরেই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কালভার্টের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মিজানুর রহমান ও শিহাব আলী নামের দুই যুবক মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ইমন আলী নামের আরও এক যুবক। আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের কেন্দুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২ মিনিট আগে‘বঙ্গবন্ধু অবশ্যই স্বাধীনতার একজন অন্যতম স্থপতি। কিন্তু গত ১৬ বছরে শেখ মুজিবকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে মানুষের ক্ষোভ আছে। সেখানে ছাত্র-জনতা ম্যুরাল ভাঙচুর করে। আমরা সেখানে শুধু সেটআপটা নষ্ট করে দিয়েছি, দখল করিনি।’
১৪ মিনিট আগেপুলিশ পরিচয়ে কিশোরগঞ্জের এক সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই সাংবাদিক। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে ভুক্তভোগী সাংবাদিককে মোবাইল ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
১৮ মিনিট আগেবাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নারীদের কটূক্তি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শ্রীশান্ত রায় নামের ওই শিক্ষার্থীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। পরে বুয়েটে ধর্ষণের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের...
১ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কালভার্টের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মিজানুর রহমান ও শিহাব আলী নামের দুই যুবক মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ইমন আলী নামের আরও এক যুবক।
আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের কেন্দুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুকোমল চন্দ্র দেবনাথ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত যুবকেরা হলেন সদর উপজেলার মাঝপাড়ার তাজেবুর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান (২২) ও ধীনগর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে শিহাব আলী (২০)।
আহত যুবক হলেন আমনুরা কলোনির শফিকুল ইসলামের ছেলে ইমন আলী।
সুকোমল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, আজ বেলা পৌনে ৩টার দিকে একই মোটরসাইকেলে তিন যুবক ঝিলিমবাজার থেকে গোদাগাড়ীর দিকে যাচ্ছিলেন। পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলটি একটি কালভার্টের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে গুরুতর আহত তিনজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান মিজানুর। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শিহাব।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কালভার্টের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মিজানুর রহমান ও শিহাব আলী নামের দুই যুবক মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ইমন আলী নামের আরও এক যুবক।
আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের কেন্দুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুকোমল চন্দ্র দেবনাথ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত যুবকেরা হলেন সদর উপজেলার মাঝপাড়ার তাজেবুর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান (২২) ও ধীনগর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে শিহাব আলী (২০)।
আহত যুবক হলেন আমনুরা কলোনির শফিকুল ইসলামের ছেলে ইমন আলী।
সুকোমল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, আজ বেলা পৌনে ৩টার দিকে একই মোটরসাইকেলে তিন যুবক ঝিলিমবাজার থেকে গোদাগাড়ীর দিকে যাচ্ছিলেন। পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলটি একটি কালভার্টের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে গুরুতর আহত তিনজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান মিজানুর। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শিহাব।
নেত্রকোনার মদন উপজেলার বর্ণী নদী অবৈধভাবে দখলে নিয়েছেন অমৎস্যজীবী প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। মাছ শিকারের জন্য জেলেদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। টাকার বিনিময়ে মাছ শিকারের নিয়ম
১৯ জুলাই ২০২২‘বঙ্গবন্ধু অবশ্যই স্বাধীনতার একজন অন্যতম স্থপতি। কিন্তু গত ১৬ বছরে শেখ মুজিবকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে মানুষের ক্ষোভ আছে। সেখানে ছাত্র-জনতা ম্যুরাল ভাঙচুর করে। আমরা সেখানে শুধু সেটআপটা নষ্ট করে দিয়েছি, দখল করিনি।’
১৪ মিনিট আগেপুলিশ পরিচয়ে কিশোরগঞ্জের এক সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই সাংবাদিক। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে ভুক্তভোগী সাংবাদিককে মোবাইল ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
১৮ মিনিট আগেবাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নারীদের কটূক্তি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শ্রীশান্ত রায় নামের ওই শিক্ষার্থীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। পরে বুয়েটে ধর্ষণের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের...
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর ও দখলের কথা অস্বীকার করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নগর যুগ্ম সমন্বয়কারী আরিফ মঈনুদ্দিন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু অবশ্যই স্বাধীনতার একজন অন্যতম স্থপতি। কিন্তু গত ১৬ বছরে শেখ মুজিবকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে মানুষের ক্ষোভ আছে। সেখানে ছাত্র-জনতা ম্যুরাল ভাঙচুর করে। আমরা সেখানে শুধু সেটআপটা নষ্ট করে দিয়েছি, দখল করিনি।’
আজ বুধবার নগরীর বিপ্লব উদ্যানে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন এনসিপি নেতারা।
আরিফ মঈনুদ্দিন বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্টের পর চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের অফিসগুলো পরিত্যক্ত ছিল। কিন্তু দুই মাস ধরে খবর পাচ্ছি, অফিসগুলোতে কার্যক্রম চলছে, দরজা-জানালা লাগানো হচ্ছে, লোকজন আসা-যাওয়া করছে। আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম, কিন্তু প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়নি।’
ভাঙচুরের বিষয়ে যুগ্ম সমন্বয়কারী মোহাম্মদ এরফানুল হক বলেন, আওয়ামী লীগের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হলেও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড থেমে নেই। ওই ভবন আওয়ামী লীগ বিনা ভাড়ায় দখল করে ছিল। পাশাপাশি সেখানে বিভিন্ন অপকর্ম পরিচালনা করা হতো।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার নগরীর নিউমার্কেটের দোস্ত বিল্ডিংয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করেন একদল তরুণ। এতে নেতৃত্ব দেন এনসিপি নেতা আরিফ মঈনুদ্দিন। তাঁর সঙ্গে সাবেক সমন্বয়কসহ এনসিপি নেতা-কর্মীদের ভাঙচুর চালানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সমন্বয়কারী মো. রাফসান জানি ও মো. জসিম উদ্দিন। এ ছাড়া কমিটির সদস্য, সংগঠক ও থানা পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর ও দখলের কথা অস্বীকার করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নগর যুগ্ম সমন্বয়কারী আরিফ মঈনুদ্দিন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু অবশ্যই স্বাধীনতার একজন অন্যতম স্থপতি। কিন্তু গত ১৬ বছরে শেখ মুজিবকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে মানুষের ক্ষোভ আছে। সেখানে ছাত্র-জনতা ম্যুরাল ভাঙচুর করে। আমরা সেখানে শুধু সেটআপটা নষ্ট করে দিয়েছি, দখল করিনি।’
আজ বুধবার নগরীর বিপ্লব উদ্যানে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন এনসিপি নেতারা।
আরিফ মঈনুদ্দিন বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্টের পর চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের অফিসগুলো পরিত্যক্ত ছিল। কিন্তু দুই মাস ধরে খবর পাচ্ছি, অফিসগুলোতে কার্যক্রম চলছে, দরজা-জানালা লাগানো হচ্ছে, লোকজন আসা-যাওয়া করছে। আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম, কিন্তু প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়নি।’
ভাঙচুরের বিষয়ে যুগ্ম সমন্বয়কারী মোহাম্মদ এরফানুল হক বলেন, আওয়ামী লীগের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হলেও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড থেমে নেই। ওই ভবন আওয়ামী লীগ বিনা ভাড়ায় দখল করে ছিল। পাশাপাশি সেখানে বিভিন্ন অপকর্ম পরিচালনা করা হতো।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার নগরীর নিউমার্কেটের দোস্ত বিল্ডিংয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করেন একদল তরুণ। এতে নেতৃত্ব দেন এনসিপি নেতা আরিফ মঈনুদ্দিন। তাঁর সঙ্গে সাবেক সমন্বয়কসহ এনসিপি নেতা-কর্মীদের ভাঙচুর চালানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সমন্বয়কারী মো. রাফসান জানি ও মো. জসিম উদ্দিন। এ ছাড়া কমিটির সদস্য, সংগঠক ও থানা পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
নেত্রকোনার মদন উপজেলার বর্ণী নদী অবৈধভাবে দখলে নিয়েছেন অমৎস্যজীবী প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। মাছ শিকারের জন্য জেলেদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। টাকার বিনিময়ে মাছ শিকারের নিয়ম
১৯ জুলাই ২০২২চাঁপাইনবাবগঞ্জে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কালভার্টের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মিজানুর রহমান ও শিহাব আলী নামের দুই যুবক মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ইমন আলী নামের আরও এক যুবক। আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের কেন্দুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২ মিনিট আগেপুলিশ পরিচয়ে কিশোরগঞ্জের এক সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই সাংবাদিক। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে ভুক্তভোগী সাংবাদিককে মোবাইল ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
১৮ মিনিট আগেবাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নারীদের কটূক্তি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শ্রীশান্ত রায় নামের ওই শিক্ষার্থীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। পরে বুয়েটে ধর্ষণের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের...
১ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
পুলিশ পরিচয়ে কিশোরগঞ্জের এক সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই সাংবাদিক। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে ভুক্তভোগী সাংবাদিককে মোবাইল ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক খায়রুল ইসলাম মাসিক কালের নতুন সংবাদের সম্পাদক ও দৈনিক নওরোজের কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি। আর অভিযুক্ত জুয়েল ওরফে রুবেল ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার লংগাইর গ্রামের ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে। হুমকি দেওয়ার সময় তিনি নিজেকে পুলিশ বলে দাবি করেন।
অভিযোগে বলা হয়, গত ২৭ আগস্ট নিকলী থানার পুলিশ কনস্টেবল বিল্লালের বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ এনে কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন এক তরুণী। এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের জন্য অভিযুক্ত বিল্লালের বক্তব্য নেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে বিল্লালের হয়ে জুয়েল ওরফে রুবেল পুলিশ পরিচয় দিয়ে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন থানায় মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে হয়রানি করাসহ প্রাণনাশের হুমকি দেন।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত সরকার বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিষয়টি জানতে এ প্রতিবেদক হুমকিদাতাকে ফোন করলে নাম না বলে উল্টা ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে থাকেন।
পুলিশ পরিচয়ে কিশোরগঞ্জের এক সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই সাংবাদিক। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে ভুক্তভোগী সাংবাদিককে মোবাইল ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক খায়রুল ইসলাম মাসিক কালের নতুন সংবাদের সম্পাদক ও দৈনিক নওরোজের কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি। আর অভিযুক্ত জুয়েল ওরফে রুবেল ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার লংগাইর গ্রামের ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে। হুমকি দেওয়ার সময় তিনি নিজেকে পুলিশ বলে দাবি করেন।
অভিযোগে বলা হয়, গত ২৭ আগস্ট নিকলী থানার পুলিশ কনস্টেবল বিল্লালের বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ এনে কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন এক তরুণী। এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের জন্য অভিযুক্ত বিল্লালের বক্তব্য নেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে বিল্লালের হয়ে জুয়েল ওরফে রুবেল পুলিশ পরিচয় দিয়ে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন থানায় মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে হয়রানি করাসহ প্রাণনাশের হুমকি দেন।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত সরকার বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিষয়টি জানতে এ প্রতিবেদক হুমকিদাতাকে ফোন করলে নাম না বলে উল্টা ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে থাকেন।
নেত্রকোনার মদন উপজেলার বর্ণী নদী অবৈধভাবে দখলে নিয়েছেন অমৎস্যজীবী প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। মাছ শিকারের জন্য জেলেদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। টাকার বিনিময়ে মাছ শিকারের নিয়ম
১৯ জুলাই ২০২২চাঁপাইনবাবগঞ্জে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কালভার্টের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মিজানুর রহমান ও শিহাব আলী নামের দুই যুবক মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ইমন আলী নামের আরও এক যুবক। আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের কেন্দুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২ মিনিট আগে‘বঙ্গবন্ধু অবশ্যই স্বাধীনতার একজন অন্যতম স্থপতি। কিন্তু গত ১৬ বছরে শেখ মুজিবকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে মানুষের ক্ষোভ আছে। সেখানে ছাত্র-জনতা ম্যুরাল ভাঙচুর করে। আমরা সেখানে শুধু সেটআপটা নষ্ট করে দিয়েছি, দখল করিনি।’
১৪ মিনিট আগেবাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নারীদের কটূক্তি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শ্রীশান্ত রায় নামের ওই শিক্ষার্থীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। পরে বুয়েটে ধর্ষণের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের...
১ ঘণ্টা আগেচবি প্রতিনিধি
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নারীদের কটূক্তি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শ্রীশান্ত রায় নামের এক শিক্ষার্থীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। বুয়েটে ধর্ষণের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) নবনির্বাচিত নির্বাহী সদস্য আকাশ দাস। তাঁর এই পোস্ট ঘিরে ক্যাম্পাসে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া বিক্ষোভ সমাবেশও করেছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
চাকসু নির্বাচনে নির্বাহী সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির মনোনীত প্যানেল থেকে নির্বাচিত হন আকাশ দাস। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) নির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে ধর্ষণের মতো স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় তাঁকে ঘিরে চলছে নানা সমালোচনা। অনেকে বলছেন, তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্যতা হারিয়েছেন।
বুয়েটে ধর্ষণের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দীর্ঘ এই ফেসবুক পোস্টের এক জায়গায় আকাশ দাস লেখেন, ‘একটা মেয়েকে কখনোই জোরপূর্বকভাবে ঘর থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা সম্ভব না, যদি না মেয়েটার আগ্রহ থাকে।’
ফেসবুকে তাঁর এমন মন্তব্যের পরপরই ক্যাম্পাসজুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা।
ফেসবুক পোস্টে আকাশ লেখেন, ‘সম্প্রতি বুয়েটের ধর্ষণ কান্ড নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। যে ছেলেটা ধর্ষণ করলো সবাই তার বিচার দাবি করছে। এটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু আমি যতটুকু বুঝি, একতরফাভাবে কখনো কাউকে দায়ী করা যায় না। ছেলেটা যদি দোষী প্রমাণিত হয় তাহলে অবশ্যই তার শাস্তি আমি দাবি করছি। কিন্তু মেয়েটা যে নির্দোষ এমনটাও তো নয়। বরং যে ধরনের ধর্ষণকাণ্ডগুলো ঘটে থাকে বেশিরভাগ মেয়েরাই ছেলেদের ফাঁসানোর জন্য ধর্ষণকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। এখানেও এমনটা ঘটেছে কি না সেটিও তদন্তের আওতায় আনা উচিত বলে আমি মনে করি।’
আকাশ দাসের এমন মন্তব্যের বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা করেছেন চাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি ইব্রাহিম রনি। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘চাকসুর নবনির্বাচিত সদস্য আকাশ দাশ (দাস) বুয়েটের ধর্ষণ ঘটনাকে ঘিরে তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে যে নিন্দনীয় মন্তব্য করেছেন, আমি তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। তিনি যেন অবিলম্বে বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন, এই আহ্বান জানাচ্ছি।’
ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় লেখেন, ‘আকাশ দাস চবি ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল থেকে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ধর্ষণকে কীভাবে নর্মালাইজড করেছে দেখেন! এরাই ক্যাম্পাসকে নারীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়বে।’
ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোহাম্মদ পারভেজ লেখেন, ‘সম্প্রতি চাকসুর নবনির্বাচিত নির্বাহী সদস্য আকাশ দাশ (দাস) তার ব্যক্তিগত ফেসবুক ওয়ালে বুয়েটের ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে যে গর্হিত ও অমানবিক মন্তব্য করেছেন, আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে আমরা তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার আহ্বান জানাচ্ছি।’
এ ছাড়া তীব্র সমালোচনা করেছেন চাকসু নির্বাচনে বিজিত প্রার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
তীব্র সমালোচনার মুখে আকাশ দাস তাঁর পূর্ববর্তী সেই পোস্ট ডিলিট করেন এবং ক্ষমা চেয়ে আরও একটি পোস্ট লেখেন। সেই পোস্টে তিনি বলেন, ‘আমার যে পোস্ট নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে আমি সে পোস্ট দেওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি অপরাধীর পক্ষ নিয়েছি বিষয়টি এমন নয়, বরং ঘটনাটি সম্পর্কে আমি পুরোপুরি ওয়াকিবহাল ছিলাম না।’
আকাশ বলেন, ‘আশা করি বিষয়টা আপনারা সবাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি সকলের কাছে শর্তহীন ক্ষমা চাচ্ছি।’
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নারীদের কটূক্তি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শ্রীশান্ত রায় নামের এক শিক্ষার্থীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। বুয়েটে ধর্ষণের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) নবনির্বাচিত নির্বাহী সদস্য আকাশ দাস। তাঁর এই পোস্ট ঘিরে ক্যাম্পাসে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া বিক্ষোভ সমাবেশও করেছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
চাকসু নির্বাচনে নির্বাহী সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির মনোনীত প্যানেল থেকে নির্বাচিত হন আকাশ দাস। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) নির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে ধর্ষণের মতো স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় তাঁকে ঘিরে চলছে নানা সমালোচনা। অনেকে বলছেন, তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্যতা হারিয়েছেন।
বুয়েটে ধর্ষণের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দীর্ঘ এই ফেসবুক পোস্টের এক জায়গায় আকাশ দাস লেখেন, ‘একটা মেয়েকে কখনোই জোরপূর্বকভাবে ঘর থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা সম্ভব না, যদি না মেয়েটার আগ্রহ থাকে।’
ফেসবুকে তাঁর এমন মন্তব্যের পরপরই ক্যাম্পাসজুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা।
ফেসবুক পোস্টে আকাশ লেখেন, ‘সম্প্রতি বুয়েটের ধর্ষণ কান্ড নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। যে ছেলেটা ধর্ষণ করলো সবাই তার বিচার দাবি করছে। এটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু আমি যতটুকু বুঝি, একতরফাভাবে কখনো কাউকে দায়ী করা যায় না। ছেলেটা যদি দোষী প্রমাণিত হয় তাহলে অবশ্যই তার শাস্তি আমি দাবি করছি। কিন্তু মেয়েটা যে নির্দোষ এমনটাও তো নয়। বরং যে ধরনের ধর্ষণকাণ্ডগুলো ঘটে থাকে বেশিরভাগ মেয়েরাই ছেলেদের ফাঁসানোর জন্য ধর্ষণকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। এখানেও এমনটা ঘটেছে কি না সেটিও তদন্তের আওতায় আনা উচিত বলে আমি মনে করি।’
আকাশ দাসের এমন মন্তব্যের বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা করেছেন চাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি ইব্রাহিম রনি। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘চাকসুর নবনির্বাচিত সদস্য আকাশ দাশ (দাস) বুয়েটের ধর্ষণ ঘটনাকে ঘিরে তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে যে নিন্দনীয় মন্তব্য করেছেন, আমি তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। তিনি যেন অবিলম্বে বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন, এই আহ্বান জানাচ্ছি।’
ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় লেখেন, ‘আকাশ দাস চবি ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল থেকে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ধর্ষণকে কীভাবে নর্মালাইজড করেছে দেখেন! এরাই ক্যাম্পাসকে নারীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়বে।’
ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোহাম্মদ পারভেজ লেখেন, ‘সম্প্রতি চাকসুর নবনির্বাচিত নির্বাহী সদস্য আকাশ দাশ (দাস) তার ব্যক্তিগত ফেসবুক ওয়ালে বুয়েটের ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে যে গর্হিত ও অমানবিক মন্তব্য করেছেন, আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে আমরা তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার আহ্বান জানাচ্ছি।’
এ ছাড়া তীব্র সমালোচনা করেছেন চাকসু নির্বাচনে বিজিত প্রার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
তীব্র সমালোচনার মুখে আকাশ দাস তাঁর পূর্ববর্তী সেই পোস্ট ডিলিট করেন এবং ক্ষমা চেয়ে আরও একটি পোস্ট লেখেন। সেই পোস্টে তিনি বলেন, ‘আমার যে পোস্ট নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে আমি সে পোস্ট দেওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি অপরাধীর পক্ষ নিয়েছি বিষয়টি এমন নয়, বরং ঘটনাটি সম্পর্কে আমি পুরোপুরি ওয়াকিবহাল ছিলাম না।’
আকাশ বলেন, ‘আশা করি বিষয়টা আপনারা সবাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি সকলের কাছে শর্তহীন ক্ষমা চাচ্ছি।’
নেত্রকোনার মদন উপজেলার বর্ণী নদী অবৈধভাবে দখলে নিয়েছেন অমৎস্যজীবী প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। মাছ শিকারের জন্য জেলেদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। টাকার বিনিময়ে মাছ শিকারের নিয়ম
১৯ জুলাই ২০২২চাঁপাইনবাবগঞ্জে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কালভার্টের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মিজানুর রহমান ও শিহাব আলী নামের দুই যুবক মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ইমন আলী নামের আরও এক যুবক। আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের কেন্দুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২ মিনিট আগে‘বঙ্গবন্ধু অবশ্যই স্বাধীনতার একজন অন্যতম স্থপতি। কিন্তু গত ১৬ বছরে শেখ মুজিবকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে মানুষের ক্ষোভ আছে। সেখানে ছাত্র-জনতা ম্যুরাল ভাঙচুর করে। আমরা সেখানে শুধু সেটআপটা নষ্ট করে দিয়েছি, দখল করিনি।’
১৪ মিনিট আগেপুলিশ পরিচয়ে কিশোরগঞ্জের এক সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই সাংবাদিক। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে ভুক্তভোগী সাংবাদিককে মোবাইল ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
১৮ মিনিট আগে