ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রতিবেশীর কাছে বাজারদরের চেয়ে চারগুণ বেশি দামে জমি বিক্রির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে জমিতে পুকুর খনন করেছেন প্রভাবশালী বাছির উদ্দিন। এতে ওই জমির পাশে থাকা তিন পরিবারের বসতঘর ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় গত ২৫ মার্চ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর বাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ জমা দিয়েছেন একই গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে রাকিবুল হাসান। ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবরও লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
গ্রামবাসী ও ভুক্তভুগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খনন করা জমির আশপাশে প্রতি কাঠা জমির বাজারদর আড়াই লাখ টাকার মধ্যে। কিন্তু রাকিবের পরিবারের কাছে ওই জমি ১০ লাখ টাকা কাঠা দাবি করেন বাছির উদ্দিন। ওই দামে জমি না কিনলে খননযন্ত্র (ভেকু) দিয়ে গভীর পুকুর খনন করে রাকিবদের বসতঘর ঝুঁকিতে ফেলারও হুমকি দেন তিনি।
এতে বিপাকে পড়ে রাকিবের পরিবার শরণাপন্ন হয় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও গ্রাম্য মাতব্বরদের। সবার কথামতো পাকা ঘর রক্ষায় চার লাখ টাকা কাঠা পর্যন্ত দাম দিতে রাজি হন রাকিবের পরিবার। কিন্তু এতেও রাজি না হয়ে ১৪ শতাংশ ওই জমির জমির মালিক বাছির উদ্দিন সীমানা ঘেঁষে ১২ ফুট গভীর করে পুকুর খনন করেছেন। সেসব মাটি তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন স্থানীয় একটি ইটভাটায়। এতে জমির পাশের তিন পরিবারের বসতঘর ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। যেকোনো সময় ধ্বসে পড়তে পারে বসতঘর। এতে আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন পরিবারগুলো। ভুক্তভোগী পরিবারগুলো থাকার ঘর রক্ষা ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে বাছির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জমির দাম আছে দশ লাখ টাকা কাঠা, কিন্তু তাঁরা দিতে চায় কম। ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে ও গ্রামের পাঁচজন মিলে একটা রফা করেছিল। কিন্তু তাঁরা (তিন পরিবার) সেটা মানেনি।’
বাছির উদ্দিন আরও বলেন, ‘আমার আগেই এটা খনন করার একটা ইচ্ছা ছিল। আমার জায়গা আমি খনন করেছি। তাঁরা যদি চার হাত রেখে ঘর করত, তাহলে তো সমস্যা হতো না।’
জমি না কেনায় ইচ্ছেমতো খনন করার অভিযোগ প্রসঙ্গে বাছির উদ্দিন বলেন, ‘আমার জমি আমি খনন করেছি। এখন আমি কী করতে পারি, আপনিই বলেন?’
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য রাকিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার বাবা দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকে বাড়িটা করেছেন। এটুকুই আমাদের সম্বল। এখন থাকার ঘরটিও যেকোনো সময় ধ্বসে পড়তে পারে। বৃষ্টি হলে বিপদ আরও বাড়বে। বসতঘর ধ্বসে পড়ার ভয়ে আমরা তিন পরিবার নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছি।’
রাকিব আরো বলেন, ‘এর আগে জমির বাজারদরের চেয়ে তিন-চারগুণ বেশি দাম দাবি করে বিভিন্ন জনের মাধ্যমে হুমকি দিয়ে বলেছিল, ভেকু দিয়ে জমি খনন করে ফেলবে। কিন্তু আমাদের এতো বেশি দাম দিয়ে কেনার সামর্থ্য নাই। খনন করার সময় বাধা দিলে তাঁদের ভয়ভীতি ও হুমকি-ধমকির জন্য ঘর থেকে বেরই হতে পারিনি।’
জানতে চাইলে বালিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ বাদল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই পরিবারগুলোর সঙ্গে যা হচ্ছে, তা চরম অন্যায়। বিষয়টি জানতে পেরেই আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। বাছির কারও কথা শুনছে না। সে জমির দাম বাজারদরের চাইতে অনেক বেশি দাবি করেছিল। এখন খননের কারণে যেকোনো সময় বসতঘর ধ্বসে লোকও মারা যেতে পারে। আমি তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে নোটিশ করব।’
ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুয়েল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি আবেদন পেয়েছি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে তাৎক্ষণিক কথা বলেছি। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধান করতে বলেছি। সমাধান না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রতিবেশীর কাছে বাজারদরের চেয়ে চারগুণ বেশি দামে জমি বিক্রির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে জমিতে পুকুর খনন করেছেন প্রভাবশালী বাছির উদ্দিন। এতে ওই জমির পাশে থাকা তিন পরিবারের বসতঘর ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় গত ২৫ মার্চ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর বাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ জমা দিয়েছেন একই গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে রাকিবুল হাসান। ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবরও লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
গ্রামবাসী ও ভুক্তভুগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খনন করা জমির আশপাশে প্রতি কাঠা জমির বাজারদর আড়াই লাখ টাকার মধ্যে। কিন্তু রাকিবের পরিবারের কাছে ওই জমি ১০ লাখ টাকা কাঠা দাবি করেন বাছির উদ্দিন। ওই দামে জমি না কিনলে খননযন্ত্র (ভেকু) দিয়ে গভীর পুকুর খনন করে রাকিবদের বসতঘর ঝুঁকিতে ফেলারও হুমকি দেন তিনি।
এতে বিপাকে পড়ে রাকিবের পরিবার শরণাপন্ন হয় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও গ্রাম্য মাতব্বরদের। সবার কথামতো পাকা ঘর রক্ষায় চার লাখ টাকা কাঠা পর্যন্ত দাম দিতে রাজি হন রাকিবের পরিবার। কিন্তু এতেও রাজি না হয়ে ১৪ শতাংশ ওই জমির জমির মালিক বাছির উদ্দিন সীমানা ঘেঁষে ১২ ফুট গভীর করে পুকুর খনন করেছেন। সেসব মাটি তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন স্থানীয় একটি ইটভাটায়। এতে জমির পাশের তিন পরিবারের বসতঘর ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। যেকোনো সময় ধ্বসে পড়তে পারে বসতঘর। এতে আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন পরিবারগুলো। ভুক্তভোগী পরিবারগুলো থাকার ঘর রক্ষা ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে বাছির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জমির দাম আছে দশ লাখ টাকা কাঠা, কিন্তু তাঁরা দিতে চায় কম। ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে ও গ্রামের পাঁচজন মিলে একটা রফা করেছিল। কিন্তু তাঁরা (তিন পরিবার) সেটা মানেনি।’
বাছির উদ্দিন আরও বলেন, ‘আমার আগেই এটা খনন করার একটা ইচ্ছা ছিল। আমার জায়গা আমি খনন করেছি। তাঁরা যদি চার হাত রেখে ঘর করত, তাহলে তো সমস্যা হতো না।’
জমি না কেনায় ইচ্ছেমতো খনন করার অভিযোগ প্রসঙ্গে বাছির উদ্দিন বলেন, ‘আমার জমি আমি খনন করেছি। এখন আমি কী করতে পারি, আপনিই বলেন?’
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য রাকিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার বাবা দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকে বাড়িটা করেছেন। এটুকুই আমাদের সম্বল। এখন থাকার ঘরটিও যেকোনো সময় ধ্বসে পড়তে পারে। বৃষ্টি হলে বিপদ আরও বাড়বে। বসতঘর ধ্বসে পড়ার ভয়ে আমরা তিন পরিবার নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছি।’
রাকিব আরো বলেন, ‘এর আগে জমির বাজারদরের চেয়ে তিন-চারগুণ বেশি দাম দাবি করে বিভিন্ন জনের মাধ্যমে হুমকি দিয়ে বলেছিল, ভেকু দিয়ে জমি খনন করে ফেলবে। কিন্তু আমাদের এতো বেশি দাম দিয়ে কেনার সামর্থ্য নাই। খনন করার সময় বাধা দিলে তাঁদের ভয়ভীতি ও হুমকি-ধমকির জন্য ঘর থেকে বেরই হতে পারিনি।’
জানতে চাইলে বালিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ বাদল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই পরিবারগুলোর সঙ্গে যা হচ্ছে, তা চরম অন্যায়। বিষয়টি জানতে পেরেই আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। বাছির কারও কথা শুনছে না। সে জমির দাম বাজারদরের চাইতে অনেক বেশি দাবি করেছিল। এখন খননের কারণে যেকোনো সময় বসতঘর ধ্বসে লোকও মারা যেতে পারে। আমি তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে নোটিশ করব।’
ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুয়েল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি আবেদন পেয়েছি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে তাৎক্ষণিক কথা বলেছি। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধান করতে বলেছি। সমাধান না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পাবনার ঈশ্বরদীর পদ্মা নদী এলাকায় মানুষের জানমাল রক্ষায় কাকন বাহিনীর প্রধানসহ অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্যসচিব মেহেদী হাসান। আজ রোববার দুপুরে উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের পদ্মা নদীর ঘাটে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি এ দাবি জানান তিনি...
১ সেকেন্ড আগেশেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের নামে বরিশাল বিভাগের পাঁচটি কলেজের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। আজ রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত নোটিশ জারি করেছে বলে জানায় বরিশাল শিক্ষা বোর্ড।
৪ মিনিট আগেজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকসহ ১৯ জন কর্মকর্তাকে অবসর দেওয়া হয়েছে। তাঁদের চাকরিকাল ২৫ বছর হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশোধিত চাকরিবিধি অনুযায়ী এই অবসর দেওয়া হয়।
৩৭ মিনিট আগেবিষয়টি নিশ্চিত করে শিক্ষক মাহমুদুল হকের আইনজীবী শামীম আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলখানা থেকে মহানগর দায়রা জজকে জানানো হয়, মাহমুদুল হক খুব অসুস্থ। তারপর আমরা পুনরায় আবেদন করেছিলাম। পরে যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক মোছা. মার্জিয়া খাতুন জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।’
১ ঘণ্টা আগে