Ajker Patrika

বাকৃবি: বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মতানৈক্যে হয়নি সিন্ডিকেট সভা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) দাবি পূরণের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই অবস্থায় বুধবার সকালে প্রশাসনিক কার্যালয়ে যান উপাচার্য ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। ২৪ ঘণ্টা পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খোলা হয় কোষাধ্যক্ষ কার্যালয়ের তালা। তবে যে সিন্ডিকেট সভার আশায় আন্দোলন স্থগিত হয়েছে, সেই সভা হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র বলেছে, গতকাল মঙ্গলবার রাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পাঁচ ঘণ্টার আলোচনায় হল ছাড়ার নির্দেশনা প্রত্যাহার, সাত দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। ফলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক বিভাগের অফিসে বুধবার সন্ধ্যায় ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, পূর্বঘোষিত সিন্ডিকেট সভা না হওয়ায় হল বন্ধের নোটিশ বহাল থাকছে।

সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. সোনিয়া সেহেলী বলেন, ‘সিন্ডিকেটে হল খোলার বিষয়ে আলোচনার জন্য উপাচার্য লিখিত ডকুমেন্টারি চেয়েছিলেন। মঙ্গলবার ৫ ঘণ্টার মিটিংয়ে যা সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা উল্লেখ করে ছাত্র-শিক্ষক সবার সম্মতিক্রমে তাঁদের স্বাক্ষরিত একটি লিখিত ডকুমেন্ট সিন্ডিকেটে উপস্থাপন করার কথা ছিল। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমরা এ বিষয়ে বারবার কথা বললেও তারা সম্মতি দেয়নি, যে কারণে সিন্ডিকেট হচ্ছে না।’

এ বিষয়ে আন্দোলনের অন্যতম মুখ পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থী এহসানুল হক হিমেল বলেন, ‘স্যাররা আমাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছিলেন, গতকালের (মঙ্গলবার) মিটিংয়ে যারা উপস্থিত ছিলাম, তারা সবাই স্বাক্ষর করেছি, তাহলে আবার নতুন করে কিসের স্বাক্ষর? আমরা তাঁদের কথার সঙ্গে একমত নই। পরে কী কর্মসূচি হবে, তা জানানো হবে সবার সঙ্গে আলোচনা করে।’

ভেটেরিনারি অনুষদ এবং পশুপালন অনুষদের ডিগ্রিকে একীভূত করে একটি কম্বাইন্ড ডিগ্রি দেওয়ার দাবিতে এক মাস আন্দোলনের পর গত রোববার ২৫১ জন শিক্ষক-কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বহিরাগতরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে তালা ভেঙে তাঁদের ছাড়িয়ে নেয়। ওই দিন রাত সাড়ে ৯টায় অনলাইনে জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন‍্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ছাত্রছাত্রীদের সোমবার সকাল ৯টার মধ্যে হল ত‍্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী হল ত্যাগ না করে আন্দোলনে নামেন। রেলপথ অবরোধ, ব্যাংক ও কোষাধ্যক্ষ কার্যালয়ে তালা দেন তাঁরা। এরপর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আলোচনায় বসেন শিক্ষকেরা। প্রায় পাঁচ ঘণ্টার আলোচনায় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষদ মিলিয়ে ৪০ জনের বেশি শিক্ষার্থী এতে অংশ নেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৯ পুলিশ পরিদর্শক বাধ্যতামূলক অবসরে

‎ডিভোর্সের পরও জোর করে রাতযাপন, বর্তমান স্বামীকে নিয়ে প্রাক্তন স্বামীকে হত্যা ‎

গণবিক্ষোভ আতঙ্কে মোদি সরকার, ১৯৭৪-পরবর্তী সব আন্দোলন নিয়ে গবেষণার নির্দেশ

নিজের বিচারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি কলেজশিক্ষকের

আমাদের জন্য ভারত নেই, বঙ্গোপসাগরে ডুবে মরতে হবে—বিএনপি নেতার সতর্কবার্তা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত