Ajker Patrika

বাড়ি থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, পরিবার বলছে জিনে মেরেছে 

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি 
বাড়ি থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, পরিবার বলছে জিনে মেরেছে 

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার দুপুরে উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের ঈশ্বরপুর গ্রাম থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের সদস্যের দাবি, ওই নারীকে জিনে হত্যা করে টয়লেটের সামনে লাশ ফেলে রাখে।

নিহত রাবেয়া খাতুন (২৩) ওই এলাকার মো. আবুল খায়েরের স্ত্রী। এই দম্পতির দুই বছর বয়সী এক ছেলে ও সাত মাস বয়সী এক মেয়ে সন্তান আছে।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, আজ শনিবার ভোরে নিহতের স্বামী সজাগ হয়ে দেখেন তাঁর স্ত্রী রাবেয়া ঘরে নেই। নিহতের স্বামী ভাবেন তিনি (রাবেয়া) হয়তো টয়লেটে গেছেন। এরপর অনেকক্ষণ পরও টয়লেট থেকে ফিরতে দেরি হওয়ায় স্বামী আবুল খায়েরও সেটির সামনে যান। সেখানে গিয়ে দেখতে পান তাঁর স্ত্রীর নিথর দেহ টয়লেটের সামনে পড়ে আছে। এরপর তাঁর ডাক-চিৎকারে আশপাশের বাড়ির মানুষজনও ছুটে এসে দেখে রাবেয়া খাতুন মরে পড়ে আছে। এদিকে এ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

নিহতের স্বামী মো. আবুল খায়ের জানান, তাঁর স্ত্রী বেশ কয়েক মাস যাবৎ শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। এ ছাড়াও প্রায় সময়েই তার শরীরে জিন ভর করত। ওই সময় সে বিভিন্ন ধরনের উল্টাপাল্টা কথাবার্তাসহ ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করত। তিনি বলেন, তার স্ত্রীর গলায় অর্ধচন্দ্রাকৃতির একটি কালো দাগ পাওয়া গেছে। যা দেখে মনে হচ্ছে জিনেই তাকে মেরে ফেলেছে। অথবা কিছু একটা দেখে ভয়ে স্ট্রোক করে মারা গেছে। 

এ বিষয়ে রাবেয়ার মা সফুরা খাতুন বলেন, ‘আমার মেয়ের জামাই খুবই ভালো মানুষ। আমার মেয়ের ওপর সত্যিই জিনে ভর করত। এ জন্য তাকে বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসাও করিয়েছি, তবুও ভালো হয়নি। আমার মেয়ের মৃত্যুতে কারও ওপর অভিযোগ নেই।’ 

এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে নারীর গলায় একটি কালো দাগ দেখে সন্দেহ হয়েছে। তাই মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত