জামালপুর প্রতিনিধি
জামালপুরের সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজটিতে একাডেমিক ভবন সংকটে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। শ্রেণিকক্ষ সংকটে অনিয়মিত হচ্ছে পাঠদান। শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে দুই দিন এবং তিন দিন ভাগ করে ক্লাস নিতে হচ্ছে বলে জানান শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা।
জামালপুর-শেরপুর জেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজটিতে একাডেমিক ভবন সংকটের কারণে শিক্ষাব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, একাডেমিক ভবনে ক্লাসরুম সংকট থাকায় পাঠদান হচ্ছে অনিয়মিত। ছাত্র-ছাত্রীদের সপ্তাহে দুই দিন এবং তিন দিন ভাগ করে করে ক্লাস নিতে হচ্ছে। আর কলেজের অধ্যক্ষ নিজেও স্বীকার করেছেন কলেজটির নানা সমস্যার কথা।
তিনি বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে কলেজের নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হলে জেলার সর্বাধিক শিক্ষার্থী এই কলেজটিতে পড়াশোনা করে। এখানে মানসম্মত শিক্ষা যদি নিশ্চিত করতে পারি তাহলে পুরো জামালপুর এগিয়ে যাবে। তবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘সরকারি কলেজ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কলেজের বড় ধরনের কাজ চলছে। একাডেমিক ভবন তৈরির নতুন প্রস্তাবনা প্রেরণ করেছি।’
এই কলেজের শিক্ষার্থী শাওন মোল্লা বলেন, ‘আমাদের ক্লাসে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে একটি বেঞ্চে চার-পাঁচজন করে শিক্ষার্থীকে বসতে হচ্ছে। গরমে গাদাগাদি করে বসে ক্লাস করতে হচ্ছে। আগে প্রতিদিন ছয়টি করে ক্লাস হতো। এখন তিনটি করে ক্লাস হচ্ছে। কলেজের অনেক ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। শিক্ষার সুন্দর পরিবেশের জন্য দ্রুত শ্রেণিকক্ষ বাড়ানোর দাবি জানাই।’
কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাকের আহম্মদ চৌধুরী বলেন, ‘পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ না থাকার কারণে ক্লাস নিতে সমস্যা হয়। পরীক্ষা নিতে গেলে শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে ক্লাস বন্ধ রেখে পরীক্ষা নিতে হয়। এ কলেজের শ্রেণিকক্ষ বাড়াতে জন্য কমপক্ষে ১০তলা বিশিষ্ট একটি একাডেমিক ভবন জরুরি।’
কলেজের অধ্যক্ষ মো. হারুন অর রশীদ বলেন, ‘কলেজে ১৪টি বিভাগে অনার্স ও ১২টি বিভাগে মাস্টার্সসহ উচ্চমাধ্যমিক থেকে শুরু করে মাস্টার্স পর্যন্ত প্রায় ১৪ হাজার শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। এত বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর জন্য কমপক্ষে ১০০টি শ্রেণিকক্ষের দরকার। সেখানে রয়েছে মাত্র ৩৭টি। ফলে সপ্তাহের প্রতিদিন ক্লাস নিতে পারি না। ল্যাব এবং প্রত্যেকটি বিভাগের একটি করে সেমিনার কক্ষ দরকার। ১৪৫টি কক্ষ যদি থাকে তাহলে আমরা মোটামুটি ক্লাসগুলো পরিচালনা করতে পারব।’
অধ্যক্ষ আরও বলেন, ‘কলেজের উন্নয়নে ১০৬ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। আমাদের মূল চাহিদা ছিল একাডেমিক ভবন। একাডেমিক ভবনের প্রতি ফ্লোরে ২৯ হাজার স্কয়ার ফিট করে ১০তলা ভিত দিয়ে ৯তলা বিশিষ্ট একটি ভবনের নকশা করে প্রস্তাবনা জমা দিয়েছিলাম শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে। এটার জন্য ৫০ কোটি টাকার প্রয়োজন পড়ত। ১০৬ কোটি প্রকল্পের প্রায় ৪০ কোটি টাকা অব্যায়িত রয়ে গেছে। এটা দিয়েই চাহিদা মতো ভবনটি নির্মাণ করতে পারতাম যদি অনুমোদন আসত। কিন্তু এ প্রকল্প থেকে ৪০ কোটি ফেরত গেলেও যে একাডেমিক ভবনটি অনুমোদন হয়ে আসার পরে টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ চলমান, যা চাহিদার তুলনায় নিতান্তই অপ্রতুল।’
‘ছয়তলা ভবনের মোট আয়তন হচ্ছে ৩ হাজার ৬০০ বর্গমিটার। এতে আমাদের চাহিদার কিছুই পূরণ হবে না। এটার সঙ্গে আরও দুটি উয়িং দিয়ে আমরা একটি নকশা জমা দিয়েছিলাম। এর একটি উয়িংয়ের এটা কিছু অংশ। আমাদের সংসদ সদস্য মির্জা আজমের ডিও লেটারসহ কয়েক দিন আগেও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর তাঁর কাছে একটি আবেদন জমা দিয়েছি। যে ভবনটি হচ্ছে সেই ভবনের সঙ্গে আরও একটি ভবন অথবা আমরা যে নকশা জমা দিয়েছি, সেই অনুযায়ী বাকি আরও দুটি উয়িংসহ আমাদের চাহিদামতো ভবনটা অনুমোদন যদি হয় এ কলেজের ১৪ হাজার শিক্ষার্থীর মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারব।’ যুক্ত করেন অধ্যক্ষ।
জামালপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজে, নির্বাচিত ৯টি সরকারি কলেজ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এখানে একটি বড় ধরনের প্রকল্প কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে কথা হয়েছে, তিনি আশ্বস্ত করেছেন। এগুলোর একটা মেজারমেন্ট দিলেই হয়তো প্রকল্পের মধ্যে ইনক্লুট করে আমাদের পাস করে দিলে আমরা কাজগুলো করতে পারব। আশা করি আশেক মাহমুদ কলেজের এ প্রকল্পের কাজগুলো শেষ হয়ে একটি সুন্দর ও চমৎকার প্রতিষ্ঠান হবে।
জামালপুরের সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজটিতে একাডেমিক ভবন সংকটে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। শ্রেণিকক্ষ সংকটে অনিয়মিত হচ্ছে পাঠদান। শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে দুই দিন এবং তিন দিন ভাগ করে ক্লাস নিতে হচ্ছে বলে জানান শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা।
জামালপুর-শেরপুর জেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজটিতে একাডেমিক ভবন সংকটের কারণে শিক্ষাব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, একাডেমিক ভবনে ক্লাসরুম সংকট থাকায় পাঠদান হচ্ছে অনিয়মিত। ছাত্র-ছাত্রীদের সপ্তাহে দুই দিন এবং তিন দিন ভাগ করে করে ক্লাস নিতে হচ্ছে। আর কলেজের অধ্যক্ষ নিজেও স্বীকার করেছেন কলেজটির নানা সমস্যার কথা।
তিনি বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে কলেজের নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হলে জেলার সর্বাধিক শিক্ষার্থী এই কলেজটিতে পড়াশোনা করে। এখানে মানসম্মত শিক্ষা যদি নিশ্চিত করতে পারি তাহলে পুরো জামালপুর এগিয়ে যাবে। তবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘সরকারি কলেজ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কলেজের বড় ধরনের কাজ চলছে। একাডেমিক ভবন তৈরির নতুন প্রস্তাবনা প্রেরণ করেছি।’
এই কলেজের শিক্ষার্থী শাওন মোল্লা বলেন, ‘আমাদের ক্লাসে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে একটি বেঞ্চে চার-পাঁচজন করে শিক্ষার্থীকে বসতে হচ্ছে। গরমে গাদাগাদি করে বসে ক্লাস করতে হচ্ছে। আগে প্রতিদিন ছয়টি করে ক্লাস হতো। এখন তিনটি করে ক্লাস হচ্ছে। কলেজের অনেক ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। শিক্ষার সুন্দর পরিবেশের জন্য দ্রুত শ্রেণিকক্ষ বাড়ানোর দাবি জানাই।’
কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাকের আহম্মদ চৌধুরী বলেন, ‘পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ না থাকার কারণে ক্লাস নিতে সমস্যা হয়। পরীক্ষা নিতে গেলে শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে ক্লাস বন্ধ রেখে পরীক্ষা নিতে হয়। এ কলেজের শ্রেণিকক্ষ বাড়াতে জন্য কমপক্ষে ১০তলা বিশিষ্ট একটি একাডেমিক ভবন জরুরি।’
কলেজের অধ্যক্ষ মো. হারুন অর রশীদ বলেন, ‘কলেজে ১৪টি বিভাগে অনার্স ও ১২টি বিভাগে মাস্টার্সসহ উচ্চমাধ্যমিক থেকে শুরু করে মাস্টার্স পর্যন্ত প্রায় ১৪ হাজার শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। এত বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর জন্য কমপক্ষে ১০০টি শ্রেণিকক্ষের দরকার। সেখানে রয়েছে মাত্র ৩৭টি। ফলে সপ্তাহের প্রতিদিন ক্লাস নিতে পারি না। ল্যাব এবং প্রত্যেকটি বিভাগের একটি করে সেমিনার কক্ষ দরকার। ১৪৫টি কক্ষ যদি থাকে তাহলে আমরা মোটামুটি ক্লাসগুলো পরিচালনা করতে পারব।’
অধ্যক্ষ আরও বলেন, ‘কলেজের উন্নয়নে ১০৬ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। আমাদের মূল চাহিদা ছিল একাডেমিক ভবন। একাডেমিক ভবনের প্রতি ফ্লোরে ২৯ হাজার স্কয়ার ফিট করে ১০তলা ভিত দিয়ে ৯তলা বিশিষ্ট একটি ভবনের নকশা করে প্রস্তাবনা জমা দিয়েছিলাম শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে। এটার জন্য ৫০ কোটি টাকার প্রয়োজন পড়ত। ১০৬ কোটি প্রকল্পের প্রায় ৪০ কোটি টাকা অব্যায়িত রয়ে গেছে। এটা দিয়েই চাহিদা মতো ভবনটি নির্মাণ করতে পারতাম যদি অনুমোদন আসত। কিন্তু এ প্রকল্প থেকে ৪০ কোটি ফেরত গেলেও যে একাডেমিক ভবনটি অনুমোদন হয়ে আসার পরে টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ চলমান, যা চাহিদার তুলনায় নিতান্তই অপ্রতুল।’
‘ছয়তলা ভবনের মোট আয়তন হচ্ছে ৩ হাজার ৬০০ বর্গমিটার। এতে আমাদের চাহিদার কিছুই পূরণ হবে না। এটার সঙ্গে আরও দুটি উয়িং দিয়ে আমরা একটি নকশা জমা দিয়েছিলাম। এর একটি উয়িংয়ের এটা কিছু অংশ। আমাদের সংসদ সদস্য মির্জা আজমের ডিও লেটারসহ কয়েক দিন আগেও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর তাঁর কাছে একটি আবেদন জমা দিয়েছি। যে ভবনটি হচ্ছে সেই ভবনের সঙ্গে আরও একটি ভবন অথবা আমরা যে নকশা জমা দিয়েছি, সেই অনুযায়ী বাকি আরও দুটি উয়িংসহ আমাদের চাহিদামতো ভবনটা অনুমোদন যদি হয় এ কলেজের ১৪ হাজার শিক্ষার্থীর মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারব।’ যুক্ত করেন অধ্যক্ষ।
জামালপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজে, নির্বাচিত ৯টি সরকারি কলেজ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এখানে একটি বড় ধরনের প্রকল্প কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে কথা হয়েছে, তিনি আশ্বস্ত করেছেন। এগুলোর একটা মেজারমেন্ট দিলেই হয়তো প্রকল্পের মধ্যে ইনক্লুট করে আমাদের পাস করে দিলে আমরা কাজগুলো করতে পারব। আশা করি আশেক মাহমুদ কলেজের এ প্রকল্পের কাজগুলো শেষ হয়ে একটি সুন্দর ও চমৎকার প্রতিষ্ঠান হবে।
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
৪ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
৪ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
৪ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
৪ ঘণ্টা আগে