মো. জাকিরুল ইসলাম, হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ)
‘এহন ডাইল ভাত লবণ দিয়া খাইয়া বাঁচব, সেই উপায় নাই। বাজারে আইলে হুনি সব জিনিসের দাম বাড়তি। টিভির খবর হুনলে মনে অয় দেশে কোনোকিছুর অভাব নাই, বাজারে গেলে বুজুন যায় জিনিসপাতির দামে কিরুম আগুন লাগছে। সরকার এইগুলায় কি নজর দিবার পারে না?’
আক্ষেপ নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার শাকুয়াই বাজারে চাল কিনতে আসা এরশাদ আলী। তিনি উপজেলার শাকুয়াই ইউনিয়নের বনগাঁও এলাকার বাসিন্দা। তিনি পেশায় দিনমুজুর। ঘরে রয়েছে দুই সন্তান। স্ত্রী ও বৃদ্ধ মা। বড় ছেলে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ম শ্রেণিতে পড়ে। ছোট ছেলে বয়স ১ বছর।
এরশাদ আলীর কথায় সায় দিয়ে হালুয়াঘাট বাজারের চা বিক্রেতা শামছুল হক বলেন, ‘বাবারে আমাগো সংসার চলানো বড় দায়, চায়ের কেতলীতে আগুন জ্বললে টেনেটুনে ঘরের বাজার নিওন যায়। এতে পাঁচজনের সংসার চলানো কষ্ট অইয়া পড়ছে। সবকিছুর দাম বেশি, আমাগো মতো গরিবরা চলব কেমনে?? একদিনের কামাই দিয়া একবেলার সবজি ভাত কি না দায়। এহন পেটের সঙ্গে যুদ্ধ করে বাঁচুন লাগে।’
শামছুল হকের বাড়ি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার পৌরসভার আকন পাড়া গ্রামে। হালুয়াঘাট উপজেলা পরিষদের সামনে মহাসড়কের ধারে চা-বিস্কুট বিক্রি করে পাঁচ সদস্যদের সংসার চালান তিনি। আবাদি জমি না থাকায় চাল থেকে তরি-তরকারি সবই তাঁকে বাজার কিনতে হয়। নিত্যপণ্যের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি পাওয়ায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁকে।
শামছুল হক জানান, ছোট্ট একটি দোকানঘর ভাড়া নিয়েছেন ৮০০ টাকায়। এতে প্রতিদিন ভোর থেকে রাত দশটা পর্যন্ত চা-বিস্কুট আর করে বিক্রি করে তাঁর পাঁচ সদস্যের সংসার চলে। একদিন চায়ের কেতলীতে আগুন না জ্বলালে ঘরের বাজার চলে না। তাঁর তিন ছেলে-মেয়ের সবাই স্কুলে ও কলেজে পড়ছে। তাদের লেখাপড়ার পেছনে মাসে অন্তত পাঁচ হাজার টাকা খরচ হয়। আর সব মিলিয়ে পরিবারের খরচ লাগে মাসে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। কিন্তু একদিকে যেমন সবকিছুর দাম বেড়েছে, আরেক দিকে তাঁর ব্যবসার লাভ কমে গেছে। দিন শেষে গড়ে ৬০০ টাকার মতো লাভ থাকে তাঁর। মূলধন ভাঙিয়ে চলছেন। প্রায় এক লাখ টাকা ঋণ হয়েছে বলে জানান শামসুল হক।
শামসুল হকের মতো একই অবস্থা বিলডোরা গ্রামের মকবুল মিয়ার (৪৭)। গাজীপুরে ভাড়ায় অটোরিকশা চালান তিনি। আগের মতো আয় নেই। সারা দিনে ৭০০ টাকা আয় করলে এর মধ্যে ৪০০ টাকা দিতে হয় অটো রিকশা মালিককে। দিনশেষে বাজার করার মতো পয়সায় টান পড়ে।
এমন আক্ষেপ শুধু শামসুল হক, এরশাদ আলীর ও মকবুল মিয়ার নয়। ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের নিম্ন আয়ের অনেক শ্রমজীবী মানুষই তাঁদের আক্ষেপের কথা জানান। গত ছয় মাসে চাল, ডাল, তেলসহ অন্যান্য পণ্যের দাম কয়েক দফা বেড়েছে। কিন্তু মানুষের আয় বাড়েনি। নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে নিম্ন আয়ের মানুষ বেশি কষ্টে আছেন। অনেক পরিবারকে তিন বেলা খাবার জোগাড় করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে।
উপজেলার শাকুয়াই ও বিলডোরাসহ বিভিন্ন বাজারের নিত্যপণ্যের দাম বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত কয়েক মাসে তেলের দাম ১৫০ টাকা থেকে বেড়ে ১৭০ টাকা, চালের দাম ৫৫ টাকা থেকে বেড়ে ৭৫ টাকা, ডালের দাম ১১০ টাকা থেকে বেড়ে ১২০ টাকা হয়েছে। এ ছাড়া চিনি, মাছ, মাংস ও শাকসবজির দামও বেশ চড়া। বেড়েছে গ্যাস ও খড়ির দামও। এতে দরিদ্র পরিবারগুলোকে ধারদেনা করে সংসার চালাতে হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কলেজশিক্ষক বলেন, নিত্যপণ্যের দাম কামানোর জন্য সিন্ডিকেট আগে বন্ধ করা উচিত।
উপজেলার বিলডোরা বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি খলিল উল্লাহ চৌধুরী সোহাগ বলেন, বর্তমানে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন। তবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপজেলা প্রশাসন থেকে নিয়মিত মনিটরিং হলে ব্যবসায়ীরা নিজের ইচ্ছামতো দাম বাড়াতে পারত না।
‘এহন ডাইল ভাত লবণ দিয়া খাইয়া বাঁচব, সেই উপায় নাই। বাজারে আইলে হুনি সব জিনিসের দাম বাড়তি। টিভির খবর হুনলে মনে অয় দেশে কোনোকিছুর অভাব নাই, বাজারে গেলে বুজুন যায় জিনিসপাতির দামে কিরুম আগুন লাগছে। সরকার এইগুলায় কি নজর দিবার পারে না?’
আক্ষেপ নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার শাকুয়াই বাজারে চাল কিনতে আসা এরশাদ আলী। তিনি উপজেলার শাকুয়াই ইউনিয়নের বনগাঁও এলাকার বাসিন্দা। তিনি পেশায় দিনমুজুর। ঘরে রয়েছে দুই সন্তান। স্ত্রী ও বৃদ্ধ মা। বড় ছেলে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ম শ্রেণিতে পড়ে। ছোট ছেলে বয়স ১ বছর।
এরশাদ আলীর কথায় সায় দিয়ে হালুয়াঘাট বাজারের চা বিক্রেতা শামছুল হক বলেন, ‘বাবারে আমাগো সংসার চলানো বড় দায়, চায়ের কেতলীতে আগুন জ্বললে টেনেটুনে ঘরের বাজার নিওন যায়। এতে পাঁচজনের সংসার চলানো কষ্ট অইয়া পড়ছে। সবকিছুর দাম বেশি, আমাগো মতো গরিবরা চলব কেমনে?? একদিনের কামাই দিয়া একবেলার সবজি ভাত কি না দায়। এহন পেটের সঙ্গে যুদ্ধ করে বাঁচুন লাগে।’
শামছুল হকের বাড়ি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার পৌরসভার আকন পাড়া গ্রামে। হালুয়াঘাট উপজেলা পরিষদের সামনে মহাসড়কের ধারে চা-বিস্কুট বিক্রি করে পাঁচ সদস্যদের সংসার চালান তিনি। আবাদি জমি না থাকায় চাল থেকে তরি-তরকারি সবই তাঁকে বাজার কিনতে হয়। নিত্যপণ্যের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি পাওয়ায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁকে।
শামছুল হক জানান, ছোট্ট একটি দোকানঘর ভাড়া নিয়েছেন ৮০০ টাকায়। এতে প্রতিদিন ভোর থেকে রাত দশটা পর্যন্ত চা-বিস্কুট আর করে বিক্রি করে তাঁর পাঁচ সদস্যের সংসার চলে। একদিন চায়ের কেতলীতে আগুন না জ্বলালে ঘরের বাজার চলে না। তাঁর তিন ছেলে-মেয়ের সবাই স্কুলে ও কলেজে পড়ছে। তাদের লেখাপড়ার পেছনে মাসে অন্তত পাঁচ হাজার টাকা খরচ হয়। আর সব মিলিয়ে পরিবারের খরচ লাগে মাসে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। কিন্তু একদিকে যেমন সবকিছুর দাম বেড়েছে, আরেক দিকে তাঁর ব্যবসার লাভ কমে গেছে। দিন শেষে গড়ে ৬০০ টাকার মতো লাভ থাকে তাঁর। মূলধন ভাঙিয়ে চলছেন। প্রায় এক লাখ টাকা ঋণ হয়েছে বলে জানান শামসুল হক।
শামসুল হকের মতো একই অবস্থা বিলডোরা গ্রামের মকবুল মিয়ার (৪৭)। গাজীপুরে ভাড়ায় অটোরিকশা চালান তিনি। আগের মতো আয় নেই। সারা দিনে ৭০০ টাকা আয় করলে এর মধ্যে ৪০০ টাকা দিতে হয় অটো রিকশা মালিককে। দিনশেষে বাজার করার মতো পয়সায় টান পড়ে।
এমন আক্ষেপ শুধু শামসুল হক, এরশাদ আলীর ও মকবুল মিয়ার নয়। ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের নিম্ন আয়ের অনেক শ্রমজীবী মানুষই তাঁদের আক্ষেপের কথা জানান। গত ছয় মাসে চাল, ডাল, তেলসহ অন্যান্য পণ্যের দাম কয়েক দফা বেড়েছে। কিন্তু মানুষের আয় বাড়েনি। নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে নিম্ন আয়ের মানুষ বেশি কষ্টে আছেন। অনেক পরিবারকে তিন বেলা খাবার জোগাড় করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে।
উপজেলার শাকুয়াই ও বিলডোরাসহ বিভিন্ন বাজারের নিত্যপণ্যের দাম বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত কয়েক মাসে তেলের দাম ১৫০ টাকা থেকে বেড়ে ১৭০ টাকা, চালের দাম ৫৫ টাকা থেকে বেড়ে ৭৫ টাকা, ডালের দাম ১১০ টাকা থেকে বেড়ে ১২০ টাকা হয়েছে। এ ছাড়া চিনি, মাছ, মাংস ও শাকসবজির দামও বেশ চড়া। বেড়েছে গ্যাস ও খড়ির দামও। এতে দরিদ্র পরিবারগুলোকে ধারদেনা করে সংসার চালাতে হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কলেজশিক্ষক বলেন, নিত্যপণ্যের দাম কামানোর জন্য সিন্ডিকেট আগে বন্ধ করা উচিত।
উপজেলার বিলডোরা বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি খলিল উল্লাহ চৌধুরী সোহাগ বলেন, বর্তমানে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন। তবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপজেলা প্রশাসন থেকে নিয়মিত মনিটরিং হলে ব্যবসায়ীরা নিজের ইচ্ছামতো দাম বাড়াতে পারত না।
গত ২৮ জুলাই নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের লিখিত, মৌখিক ও প্রেজেন্টেশন পরীক্ষায় তারা উত্তীর্ণ হন। পরে নিয়ম অনুযায়ী ডোপ টেস্টে অংশ নিলে দুজনের শরীরে গাঁজা জাতীয় মাদকের উপস্থিতি মেলে।
২ মিনিট আগেমুফিজুল হক সিকদার দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। শুক্রবার (৮ আগস্ট) আসরের নামাজের পর রাউজান উপজেলার নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের ফতেহনগর গ্রামের ফতেহ মোহাম্মদ সিকদার বাড়ি জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
৭ মিনিট আগেসুনামগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ শিক্ষার্থীসহ ৩ জনের প্রাণ কেড়ে নেওয়া ঘাতক বাসচালককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত জাকির আলম (৩৫) সিলেটের বিশ্বনাথের...
১ ঘণ্টা আগেমাদারীপুর সদর, রাজৈর, কালকিনি, শিবচর ও ডাসার উপজেলায় কাগজে-কলমে ১৭টি নদনদী থাকলেও বর্তমানে দৃশ্যমান ১০টি। এর মধ্যে পদ্মা, পালরদী, আড়িয়াল খাঁ, ময়নাকাটা, বিষারকান্দি ও কুমার নদ উল্লেখযোগ্য। এসব নদনদী ঘিরে জেলার ৫ উপজেলায় ৩৪টি স্লুইস গেট নির্মাণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে ২৯টি পুরোপুরি অকেজো, আর বাকি ৫টিও
১ ঘণ্টা আগে