ঢাকা-মাওয়া
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে ও সার্ভিস লেনে চার মাস ধরে নিভে আছে সব সড়কবাতি। ফলে রাত নামলেই সড়কজুড়ে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের আশঙ্কাও। তার কেটে চুরির কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
গত বুধবার রাত ৮টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, এক্সপ্রেসওয়ের কেরানীগঞ্জের ধলেশ্বরী সেতুর টোল প্লাজা থেকে শুরু করে সিরাজদিখানের কেয়াইন ইউনিয়নের কুচিয়ামোড়া ফ্লাইওভার ও দক্ষিণ প্রান্ত হয়ে নিমতলা পর্যন্ত কোথাও সড়কবাতি জ্বলছে না। প্রায় চার মাস ধরে মূল সড়ক ও সার্ভিস লেন সম্পূর্ণ অন্ধকারে রয়েছে। এতে রাতে ওই পথে যানবাহন চালানো ও চলাচল করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
কুচিয়ামোড়া এলাকার দোকানদার দেলোয়ার হোসেন বলেন, আগে বাতিগুলো নিয়মিত জ্বলত। কিন্তু প্রায় চার মাস হলো সব বন্ধ। এখন রাত হলেই পুরো এক্সপ্রেসওয়ে অন্ধকারে ঢেকে যায়। এতে দুর্ঘটনা যেমন বাড়ছে, তেমনি ছিনতাইও হচ্ছে প্রায়ই।
বড় শিকারপুর গ্রামের বাসিন্দা ইকবাল মোল্লা বলেন, মূল লেন থেকে সার্ভিস লেন, সব জায়গা অন্ধকারে থাকে। এই সুযোগে রাতের বেলায় ছিনতাইকারীরা সক্রিয় হয়ে পড়ে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহলও চোখে পড়ে না, তাই চালক ও যাত্রীরা আতঙ্কে থাকে।
অটোরিকশাচালক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘রাতে যাত্রী নিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচল করা এখন ভয়ংকর। কোথায় গর্ত বা গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে বোঝা যায় না। কয়েক দিন আগে আমার এক সহকর্মীর অটোরিকশা ট্রাকের ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে গেছে।’
পিকআপ ভ্যানচালক আল-আমিন বলেন, ‘রাতে ঢাকা থেকে মাছ নিয়ে মুন্সিগঞ্জ আসি। আলো না থাকায় রাস্তা দেখা যায় না। দুর্ঘটনার ভয় লেগেই থাকে। অনেক সময় রাস্তার পাশে সন্দেহজনক লোক দাঁড়িয়ে থাকেন, থামলেই ছিনতাইয়ের শিকার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।’
মোটরসাইকেলের চালক হৃদয় আহমেদ বলেন, ‘কয়েক দিন আগে রাতে আমার মোটরসাইকেলের হেডলাইট হঠাৎ নষ্ট হয়ে যায়। তখন আমি কুচিয়ামোড়া ফ্লাইওভারের নিচে থেমে মেরামত করছিলাম। ঠিক সে সময় পেছন থেকে একটি বাস দ্রুতগতিতে এসে প্রায় ধাক্কা দিচ্ছিল। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছি। যদি সড়কবাতি জ্বলত, তাহলে এমন বিপদের মুখে পড়তে হতো না।’
মুন্সিগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা এরই মধ্যে টোল প্লাজার অপারেটর কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনের (কেইসি) সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এক্সপ্রেসওয়ের ছোটখাটো বিভাগগুলো তারা দেখে। তাই বিষয়টি আমরা তাদের জানিয়েছি। এর মধ্যে বৃষ্টির কারণে কিছু জায়গায় কাজ করতে সমস্যা হচ্ছিল। তবে বিকল্পভাবে চেষ্টা চলছে।’
মাসুদ মাহমুদ সুমন আরও বলেন, ‘বেশির ভাগ জায়গায় ওভারপাস ব্রিজগুলোর নিচ দিয়ে বৈদ্যুতিক তার টানা হয়েছিল; যার ফলে অনেক সময় তার চুরির ঘটনা ঘটছে। আমরা আগেই এই সমস্যা চিহ্নিত করেছি। এখন চেষ্টা করছি তারগুলো ওপর দিয়ে নেওয়ার; যাতে কেউ কেটে নিতে না পারে। দূরত্ব ও নিরাপত্তা বিবেচনায় এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করছি।’
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে ও সার্ভিস লেনে চার মাস ধরে নিভে আছে সব সড়কবাতি। ফলে রাত নামলেই সড়কজুড়ে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের আশঙ্কাও। তার কেটে চুরির কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
গত বুধবার রাত ৮টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, এক্সপ্রেসওয়ের কেরানীগঞ্জের ধলেশ্বরী সেতুর টোল প্লাজা থেকে শুরু করে সিরাজদিখানের কেয়াইন ইউনিয়নের কুচিয়ামোড়া ফ্লাইওভার ও দক্ষিণ প্রান্ত হয়ে নিমতলা পর্যন্ত কোথাও সড়কবাতি জ্বলছে না। প্রায় চার মাস ধরে মূল সড়ক ও সার্ভিস লেন সম্পূর্ণ অন্ধকারে রয়েছে। এতে রাতে ওই পথে যানবাহন চালানো ও চলাচল করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
কুচিয়ামোড়া এলাকার দোকানদার দেলোয়ার হোসেন বলেন, আগে বাতিগুলো নিয়মিত জ্বলত। কিন্তু প্রায় চার মাস হলো সব বন্ধ। এখন রাত হলেই পুরো এক্সপ্রেসওয়ে অন্ধকারে ঢেকে যায়। এতে দুর্ঘটনা যেমন বাড়ছে, তেমনি ছিনতাইও হচ্ছে প্রায়ই।
বড় শিকারপুর গ্রামের বাসিন্দা ইকবাল মোল্লা বলেন, মূল লেন থেকে সার্ভিস লেন, সব জায়গা অন্ধকারে থাকে। এই সুযোগে রাতের বেলায় ছিনতাইকারীরা সক্রিয় হয়ে পড়ে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহলও চোখে পড়ে না, তাই চালক ও যাত্রীরা আতঙ্কে থাকে।
অটোরিকশাচালক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘রাতে যাত্রী নিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচল করা এখন ভয়ংকর। কোথায় গর্ত বা গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে বোঝা যায় না। কয়েক দিন আগে আমার এক সহকর্মীর অটোরিকশা ট্রাকের ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে গেছে।’
পিকআপ ভ্যানচালক আল-আমিন বলেন, ‘রাতে ঢাকা থেকে মাছ নিয়ে মুন্সিগঞ্জ আসি। আলো না থাকায় রাস্তা দেখা যায় না। দুর্ঘটনার ভয় লেগেই থাকে। অনেক সময় রাস্তার পাশে সন্দেহজনক লোক দাঁড়িয়ে থাকেন, থামলেই ছিনতাইয়ের শিকার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।’
মোটরসাইকেলের চালক হৃদয় আহমেদ বলেন, ‘কয়েক দিন আগে রাতে আমার মোটরসাইকেলের হেডলাইট হঠাৎ নষ্ট হয়ে যায়। তখন আমি কুচিয়ামোড়া ফ্লাইওভারের নিচে থেমে মেরামত করছিলাম। ঠিক সে সময় পেছন থেকে একটি বাস দ্রুতগতিতে এসে প্রায় ধাক্কা দিচ্ছিল। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছি। যদি সড়কবাতি জ্বলত, তাহলে এমন বিপদের মুখে পড়তে হতো না।’
মুন্সিগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা এরই মধ্যে টোল প্লাজার অপারেটর কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনের (কেইসি) সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এক্সপ্রেসওয়ের ছোটখাটো বিভাগগুলো তারা দেখে। তাই বিষয়টি আমরা তাদের জানিয়েছি। এর মধ্যে বৃষ্টির কারণে কিছু জায়গায় কাজ করতে সমস্যা হচ্ছিল। তবে বিকল্পভাবে চেষ্টা চলছে।’
মাসুদ মাহমুদ সুমন আরও বলেন, ‘বেশির ভাগ জায়গায় ওভারপাস ব্রিজগুলোর নিচ দিয়ে বৈদ্যুতিক তার টানা হয়েছিল; যার ফলে অনেক সময় তার চুরির ঘটনা ঘটছে। আমরা আগেই এই সমস্যা চিহ্নিত করেছি। এখন চেষ্টা করছি তারগুলো ওপর দিয়ে নেওয়ার; যাতে কেউ কেটে নিতে না পারে। দূরত্ব ও নিরাপত্তা বিবেচনায় এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করছি।’
শিল্পপতি হিসেবে পরিচিত শওকত হাসান মিঞা ইসলামপুর উপজেলার পাথর্শী ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি ২০১৫ সালে ‘নতুন ধারার রাজনীতি’ স্লোগানে ‘বাংলাদেশ জাতীয় বঙ্গলীগ’ নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। যদিও নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দলটি এখনো নিবন্ধিত নয়।
১ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) ১৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৪ জন করে শিক্ষক ও কর্মকর্তা রয়েছেন। বিগত ভিসির মদদপুষ্ট হয়ে ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা কিংবা আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীর প্রভাবে জালিয়াতি করে নিয়োগ নেওয়া এসব ব্যক্তিদের...
২ ঘণ্টা আগেঅতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আসামি শামীম আশরাফকে আদালতে নেওয়ার সময় তাঁর হাতে ফিলিস্তিনের পতাকা দেখা যাওয়ার ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচিত হলে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। অভ্যন্তরীণ কারণে এবং দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগে কোতোয়ালি মডেল থানায় কর্মরত পাঁচ পুলিশ সদস্যকে
২ ঘণ্টা আগেঅভিযোগে বলা হয়েছে, পরিষদ কর্মকর্তারা পরিবহন খরচ বাবদ প্রত্যেক জেলের কাছ থেকে ৫০ টাকা আদায় করেছেন। এতে প্রায় ৮ হাজার ৮৫০ টাকা আদায় করা হয়। এ ছাড়া নিয়মানুযায়ী ২৫ কেজি চাল দেওয়ার কথা থাকলেও প্রত্যেক জেলেকে ২০ কেজি চাল দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
২ ঘণ্টা আগে