Ajker Patrika

মানিকগঞ্জ-১: আওয়ামী লীগ বিভক্ত, ছাড় পেয়েও চ্যালেঞ্জের মুখে জাপা 

ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জ-১: আওয়ামী লীগ বিভক্ত, ছাড় পেয়েও চ্যালেঞ্জের মুখে জাপা 

মানিকগঞ্জে সংসদীয় তিনটি আসনের মধ্যে মানিকগঞ্জ-১ (ঘিওর, দৌলতপুর ও শিবালয়) জাতীয় পার্টিকে (জাপা) ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়া দলের এক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মাঠে রয়েছেন শক্তিশালী অবস্থানে। ফলে সমঝোতায় পাওয়া জাপার প্রার্থী বড় চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছেন। 

অন্যদিকে, এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী প্রত্যাহার হওয়ায় দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশার পাশাপাশি দেখা দিয়েছে বিভক্তি। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দলীয় প্রার্থী প্রত্যাহার হওয়ায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জাপার প্রার্থীর জন্য কাজ করবেন। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্তও হয়েছে। 

তবে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের কেউ কেউ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে সরাসরি কাজ করছেন। তাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। 

মানিকগঞ্জ-১ আসনে মোট ভোটর সংখ্যা ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৯১৬। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দূর্জয়। এবার এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম। ১৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার করে জাপার সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. জহিরুল আলম রুবেলকে প্রার্থিতা ছেড়ে দেন। দ্বৈত প্রার্থী হিসেবে জহিরুল আলম মানিকগঞ্জ-৩ আসনের জাপার প্রার্থী হিসেবেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

জাপার প্রার্থীর বাড়ি নির্বাচনী এলাকার বাইরে মানিকগঞ্জ জেলা সদরে। তাই মানিকগঞ্জ-১ আসনে জাপার প্রার্থীর ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগের যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। ফলে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে ভোটের লড়াইয়ে বেশ বেগ পেতে হবে তাঁকে। 

এ বিষয়ে জাপা প্রার্থী জহিরুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ আসনটি আমার জন্য নতুন হওয়ায় সেখানে কাজ না করায় কিছুটা কঠিন চ্যালেঞ্জ হবে। তবে উত্তরণ হতে পারব। কারণ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। মাঠে দলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণ আছেন।’ 

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন মাহমুদ মানিকগঞ্জ-১ আসনে নির্বাচনী মাঠে ঈগল প্রতীক নিয়ে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। ২০১৪ সাল থেকে তিনি এই আসনে দলীয় মনোনয়ন চেয়ে আসছেন। ভোটারদের কাছে তিনি বেশ জনপ্রিয়। আওয়ামী লীগের তৃণমূলে নেতা-কর্মীদের অনেকে তাঁর সঙ্গে প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। 

এ বিষয়ে সালাউদ্দিন মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ নেই। দলের অনেক নেতা-কর্মী আমার সঙ্গে গণসংযোগে অংশ নিচ্ছেন। ভোটারদেরও সরব সমর্থন ও ভালোবাসা পাচ্ছি। আমি শেখ হাসিনার প্রার্থী। আমি সাধারণ জনগণের প্রার্থী। সারা জীবন নেত্রীর আদেশ পালন করে আসছি। তার আদেশেই প্রার্থী হয়েছি।’ 

তবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েও ছেড়ে দেওয়া প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি। যেহেতু দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা দলীয় প্রার্থী প্রত্যাহার করে জাপাকে আসনটি ছেড়ে দিয়েছেন, তাই দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাপা প্রার্থীর জন্য কাজ করার নির্দেশনা রয়েছে।’ 

ঘিওর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদুর রহমান আলাই এবং দৌলতপুর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আবদুল কুদ্দুস জানান, জোটের (জাপা) প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দলের নির্দেশনার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। 

এ আসনটির জন্য আরও দুই প্রার্থী ভোটের মাঠে লড়বেন। তারা হলেন—নোঙর প্রতীকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) মোনায়েম খান ও মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী মো. শাহজাহান খান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পদ্মা সেতুর সামনে এক্সপ্রেসওয়েতে চিনির ট্রাকে অগ্নিসংযোগ, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগের মিছিল

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
পদ্মা সেতুর সামনে এক্সপ্রেসওয়ের নাওডোবা এলাকায় ট্রাকে আগুন দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
পদ্মা সেতুর সামনে এক্সপ্রেসওয়ের নাওডোবা এলাকায় ট্রাকে আগুন দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবা এলাকায় একটি চিনির ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করেছে দুষ্কৃতকারীরা। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে পদ্মা সেতুর সামনে এক্সপ্রেসওয়ের নাওডোবা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এর আগে ওই এলাকায় মিছিল বের করে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের অনলাইনে ঘোষিত ১৩ নভেম্বরের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার ভোরে জাজিরা উপজেলার নাওডোবা এলাকায় মিছিল করেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় তাঁরা লাঠিসোঁটা নিয়ে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। এর কিছুক্ষণ পর ওই এলাকা দিয়ে ঢাকা থেকে ভাঙ্গার দিকে যাওয়া একটি চিনির ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করে দুষ্কৃতকারীরা। এতে আধা ঘণ্টার বেশি সময়ের জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। তবে তার আগেই সড়ক থেকে সটকে পড়ে দুষ্কৃতকারীরা।

পদ্মা সেতুর সামনে এক্সপ্রেসওয়ের নাওডোবা এলাকায় ট্রাকে আগুন দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
পদ্মা সেতুর সামনে এক্সপ্রেসওয়ের নাওডোবা এলাকায় ট্রাকে আগুন দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

এদিকে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাদের মিছিলের ৩৯ সেকেন্ডের ভিডিও ফেসবুকে ছাত্রলীগের ভেরিফায়েড পেজে আপলোড করা হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, শতাধিক লোক হাতে লাঠিসোঁটা নিয়ে ভাঙ্গা-ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ের নাওডোবা এলাকায় মিছিল করছে। মিছিলের সম্মুখভাগে থাকা এক ব্যক্তির দুই হাতে ককটেল দেখা যায়। এ সময় তারা নানা স্লোগান দিতে থাকে।

বিষয়টি নিয়ে জেলার পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘একটি ট্রাকে দুষ্কৃতকারীরা অগ্নিসংযোগ করেছে বলে জানতে পেরেছি। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে। তা ছাড়া মিছিলের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। সব ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ মাঠে আছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নাটোরের সিংড়ায় আ.লীগের মশাল মিছিল, গ্রেপ্তার ৯

নাটোর প্রতিনিধি 
আওয়ামী লীগের মশাল মিছিল। ছবি: সংগৃহীত
আওয়ামী লীগের মশাল মিছিল। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা লকডাউনের সমর্থনে গভীর রাতে নাটোরের সিংড়ায় মশাল মিছিল করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে সিংড়ার নাটোর-বগুড়া মহাসড়কে এই মিছিল করেন আওয়ামী লীগ কর্মীরা। পরে মিছিলের ভিডিও ফেসবুকে বিভিন্ন আইডিতে পোস্ট করেন তাঁরা।

মিছিলে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের মুক্তির দাবি জানিয়ে স্লোগান দেন নেতা-কর্মীরা।

নাটোর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম জানান, জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে নাশকতা পরিকল্পনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আওয়ামী লীগের ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ সতর্ক রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফেসবুকে সরব আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতারা

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১১: ৪৯
ইসলামপুরের আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতারা ফেসবুকে সরব রয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত
ইসলামপুরের আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতারা ফেসবুকে সরব রয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের অনলাইনে ঘোষিত ১৩ নভেম্বরের কর্মসূচি ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সরব রয়েছেন জামালপুরের ইসলামপুরের আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতারা।

নেতা-কর্মীদের অনেকেই নিজ নিজ ফেসবুক আইডি থেকে বিভিন্ন মন্তব্য পোস্ট করেছেন।

ফেসবুক ঘেঁটে দেখা গেছে, ‘জয় বাংলা ১৩ নভেম্বর’ লিখে ফেসবুকে একটি রঙিন স্টিকার পোস্ট করেছেন ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আবিদা সুলতানা যুঁথী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায়।

গত ৩১ জানুয়ারি গভীর রাতে উপজেলা আওয়ামী যুব মহিলা লীগ নেত্রী আবিদা সুলতানা যুঁথীর বাবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল্লাহ আল সাজুকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এর পর থেকে যুঁথীকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।

অপর দিকে শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনা এবং সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবিসংবলিত ফেসবুকে রঙিন স্টিকার পোস্ট করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শ্রমবিষয়ক সম্পাদক এস এম জাহাঙ্গীর আলম। এতে তিনি লেখেন, ‘শেখ হাসিনার কিছু হলে, জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’, ‘চল চল ঢাকা চল, লকডাউন সফল করো’, ‘১৩ নভেম্বর ঢাকা লকডাউন সফল হোক’। জানা গেছে, জাহাঙ্গীর ইসলামপুর পৌর শহরের দরিয়াবাদ এলাকার বাসিন্দা। গত ১৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে দক্ষিণ কমলাপুরের একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করে পুলিশ। পরদিন ১৪ ডিসেম্বর মতিঝিল থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। দীর্ঘদিন করাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেলেও জাহাঙ্গীরকে জনসম্মুখে দেখা যায়নি।

আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য মঞ্জুরুল মোর্শেদ হ্যাপি এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পদকমণ্ডলীর সদস্য জিয়াউল হক জুয়েলের ফেসবুকে মন্তব্য পাওয়া গেছে।

ইসলামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. ইমরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা ফেসবুকে কী ধরনের পোস্ট করেছে, তা দেখিনি। তবে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হবে।’

ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) আ স ম আতিকুর রহমান বলেন, এজাহারভুক্ত পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত। এ ছাড়া ফেসবুকে উসকানিমূলক পোস্টদাতাদের বিষয়েও কাজ চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাদারীপুরে গভীর রাতে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের বিক্ষোভ

মাদারীপুর প্রতিনিধি
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গাব্রিজ এলাকায় বিক্ষোভ করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গাব্রিজ এলাকায় বিক্ষোভ করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

মাদারীপুরে টায়ার জ্বালিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। বুধবার (১২ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গাব্রিজ এলাকায় এই বিক্ষোভ করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৩ নভেম্বর ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ। এর অংশ হিসেবে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মীরা মহাসড়কে অবস্থান নেন। পরে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে স্লোগান দিতে থাকেন। এতে কিছু সময় মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আদিল হোসেন বলেন, ‘কিছু যুবক হঠাৎ মহাসড়কে নেমে টায়ার জ্বালিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। তবে এর আগেই তারা পালিয়ে যায়। পরে টহল আরও বাড়ানো হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত