কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের ১৩ শিক্ষকের নামে মামলা করেছেন সবুজ নামে এক যুবক। ১১ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়া মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষসহ ১৩ জন শিক্ষকসহ মোট ২১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাত আরও ৫ থেকে ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার বাদী সবুজ কুষ্টিয়া শহরের কুঠিপাড়া এলাকার জান মোহাম্মদ জানু শেখের ছেলে।
তবে এই মামলাকে ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করেছেন কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এরই প্রতিবাদে ও নিঃশর্তে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আজ রোববার বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন তাঁরা। সকাল ১০টায় কলেজের বিজ্ঞান ভবন থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। একপর্যায়ে রাস্তা অবরোধ করেন বিক্ষোভ দেখান শিক্ষার্থীরা।
কলেজ প্রশাসন বলছে কে বা কারা এই জঘন্য ষড়যন্ত্রে জড়িত তাদের খোঁজা হচ্ছে। সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেলে কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ‘শিক্ষক রাজনীতির হীন চক্রান্তে একটি কুচক্রী মহল পুলিশের সঙ্গে যোগসাজশে মামলাবাজির ব্যবসা করতেই এই মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করেছে। এতে আমাদের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমকে ব্যাহত করা হচ্ছে। তারা কলেজ ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করে শিক্ষার পরিবেশ ধ্বংসের কাজে লিপ্ত রয়েছে।’
এ মামলাকে ষড়যন্ত্র ও হয়রানিমূলক উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, অবিলম্বে ১৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে করা মামলা নিঃশর্ত প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় এ ঘটনার প্রতিবাদ এবং দাবি আদায়ের জন্য লাগাতার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনসহ কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট শহরের কোর্টপাড়া এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শরীরের ৩০টি স্থানে ক্ষত হয় সবুজ রহমানের (৪০)। এ ঘটনায় তিনি কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।
কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া জেরিন বলেন, ‘কোথাকার কোন হোটেল বয় এই মামলার বাদী। যার সাথে আমাদের বা আমাদের স্যারদের কোনো পরিচয় বা চেনা-জানা নাই। অথচ তাকে কী করে স্যাররা হত্যার হুকুম দিল? মামলার এজাহার দেখলেই বোঝা যায় যে এটা একটা হাস্যকর মামলা। উদ্দেশ্যমূলকভাবে স্যারদের সম্মানহানি ও হয়রানির জন্যই এই মামলা করানো হয়েছে।’
কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোল্লা মো. রুহুল আমীন বলেন, ‘মামলাটির মোটিভ থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে এখানে একটি মহলের প্রত্যক্ষ ইন্ধন রয়েছে। একটি কুচক্রী মহলের হীন স্বার্থে এই নিন্দনীয় কাজটি সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার কাণ্ডজ্ঞানহীন, অদূরদর্শিতার কারণে হয়েছে।’ কলেজের ভাবমূর্তি ও শিক্ষা মনোরম পরিবেশ রক্ষা স্বার্থে এর একটা সুরাহার দাবি কলেজ কর্তৃপক্ষের। একই সঙ্গে এ জাতীয় নিন্দনীয় কাজে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন কলেজ অধ্যক্ষ।
মামলার বিষয়ে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘যে কেউ যে কারও বিরুদ্ধে কগনিজেবল অভিযোগ নিয়ে আসলে মামলা হতেই পারে। আমরা তদন্ত করে দেখব ঘটনার সত্যতা আছে কি না। সত্যতা না পাওয়া গেলে তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট হবে না।’
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের ১৩ শিক্ষকের নামে মামলা করেছেন সবুজ নামে এক যুবক। ১১ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়া মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষসহ ১৩ জন শিক্ষকসহ মোট ২১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাত আরও ৫ থেকে ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার বাদী সবুজ কুষ্টিয়া শহরের কুঠিপাড়া এলাকার জান মোহাম্মদ জানু শেখের ছেলে।
তবে এই মামলাকে ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করেছেন কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এরই প্রতিবাদে ও নিঃশর্তে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আজ রোববার বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন তাঁরা। সকাল ১০টায় কলেজের বিজ্ঞান ভবন থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। একপর্যায়ে রাস্তা অবরোধ করেন বিক্ষোভ দেখান শিক্ষার্থীরা।
কলেজ প্রশাসন বলছে কে বা কারা এই জঘন্য ষড়যন্ত্রে জড়িত তাদের খোঁজা হচ্ছে। সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেলে কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ‘শিক্ষক রাজনীতির হীন চক্রান্তে একটি কুচক্রী মহল পুলিশের সঙ্গে যোগসাজশে মামলাবাজির ব্যবসা করতেই এই মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করেছে। এতে আমাদের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমকে ব্যাহত করা হচ্ছে। তারা কলেজ ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করে শিক্ষার পরিবেশ ধ্বংসের কাজে লিপ্ত রয়েছে।’
এ মামলাকে ষড়যন্ত্র ও হয়রানিমূলক উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, অবিলম্বে ১৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে করা মামলা নিঃশর্ত প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় এ ঘটনার প্রতিবাদ এবং দাবি আদায়ের জন্য লাগাতার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনসহ কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট শহরের কোর্টপাড়া এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শরীরের ৩০টি স্থানে ক্ষত হয় সবুজ রহমানের (৪০)। এ ঘটনায় তিনি কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।
কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া জেরিন বলেন, ‘কোথাকার কোন হোটেল বয় এই মামলার বাদী। যার সাথে আমাদের বা আমাদের স্যারদের কোনো পরিচয় বা চেনা-জানা নাই। অথচ তাকে কী করে স্যাররা হত্যার হুকুম দিল? মামলার এজাহার দেখলেই বোঝা যায় যে এটা একটা হাস্যকর মামলা। উদ্দেশ্যমূলকভাবে স্যারদের সম্মানহানি ও হয়রানির জন্যই এই মামলা করানো হয়েছে।’
কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোল্লা মো. রুহুল আমীন বলেন, ‘মামলাটির মোটিভ থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে এখানে একটি মহলের প্রত্যক্ষ ইন্ধন রয়েছে। একটি কুচক্রী মহলের হীন স্বার্থে এই নিন্দনীয় কাজটি সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার কাণ্ডজ্ঞানহীন, অদূরদর্শিতার কারণে হয়েছে।’ কলেজের ভাবমূর্তি ও শিক্ষা মনোরম পরিবেশ রক্ষা স্বার্থে এর একটা সুরাহার দাবি কলেজ কর্তৃপক্ষের। একই সঙ্গে এ জাতীয় নিন্দনীয় কাজে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন কলেজ অধ্যক্ষ।
মামলার বিষয়ে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘যে কেউ যে কারও বিরুদ্ধে কগনিজেবল অভিযোগ নিয়ে আসলে মামলা হতেই পারে। আমরা তদন্ত করে দেখব ঘটনার সত্যতা আছে কি না। সত্যতা না পাওয়া গেলে তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট হবে না।’
পরিশোধন ক্ষমতা বাড়ানো ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১৫ বছর আগে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের (ইআরএল) ইউনিট-২ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু প্রকল্পটি দফায় দফায় সংশোধন করা হয়। এতে ব্যয় ১৩ হাজার কোটি থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ৪২ হাজার কোটি টাকায়।
৪ ঘণ্টা আগেনজরদারির অভাবে সুন্দরবনে আবারও বেড়েছে বনদস্যুদের তৎপরতা। বনের ২০টি পয়েন্টে বেপরোয়া ১০টি বাহিনী। জেলে ও বাওয়ালিদের জিম্মি করে এই বাহিনীর সদস্যরা লাখ লাখ টাকা আদায় করছে। মুক্তিপণ ছাড়া মিলছে না কারও মুক্তি। চলে নির্যাতনও। আতঙ্কিত বনজীবীদের অনেকেই ভয়ে পেশা বদলাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে জনবল ও অস্ত্র সংকটের
৪ ঘণ্টা আগেচলতি বছরের ১১ আগস্ট। যশোরের অভয়নগর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের সোনাচুনি বিলের মধ্যে একটি গাছের সঙ্গে গলায় কাপড় প্যাঁচানো অবস্থায় লিমন শেখ (২৫) নামের এক ভ্যানচালকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি উপজেলার বুইকারা গ্রামের কাসেম শেখের ছেলে। শারীরিক প্রতিবন্ধী হলেও তিনি ইঞ্জিনচালিত ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতেন।
৬ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। ৪৮টি পদ শূন্য থাকায় স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসকের ঢাকায় প্রেষণে থাকা এবং দুই মেডিকেল কর্মকর্তার দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিতি।
৬ ঘণ্টা আগে