ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
শুকনো মৌসুমে ড্রামের সাঁকোয় পারাপার হতেন দুই তীরের বাসিন্দারা। চলতি বর্ষার শুরুতে নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় স্রোতে ভেসে গেছে ড্রামের ওপর বাঁশের তৈরি সাঁকো। কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার পূর্ব ধনিরাম হতে মেকলির চর যেতে নীলকমল নদীর জাভেদের ঘাটে পারাপারে হাজারো এলাকাবাসীর ভরসা এখন নৌকা। তাও আবার দড়ি টেনে।
জানা গেছে, ভারত থেকে বয়ে আসা নীল কোমল নদী উপজেলা সদর হয়ে সাপের মতো এঁকেবেঁকে উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা পেরিয়ে পূর্ব ধনিরাম এলাকায় ধরলা নদীতে মিলিত হয়েছে। এতে পূর্ব ধনিরাম গ্ৰাম দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। বড়ভিটা বাজার থেকে চরমেকলি যেতে পূর্ব ধনিরামের হাজীরবাজার এলাকায় পড়ে এ নীলকোমল নদী। শুকনো মৌসুমে ক্ষীণকায় থাকে। তখন যাতায়াতের জন্য দুই তীরের বাসিন্দারা বাড়ি বাড়ি চাঁদা তুলে বাঁশ সংগ্রহ করে ড্রামের ওপর বাঁশের মাচার সাঁকো তৈরি করে সহজ যাতায়াত করেন। কিন্তু বর্ষা এলে বিপদ বাড়ে, উপায় আর থাকে না। স্রোতে ভেসে যায় সবকিছু। বাধ্য হয়ে দড়ি টেনে নৌকায় পারাপার হন স্থানীয়রা। অনেকে আবার দড়ি টেনে সঠিক গন্তব্যে যেতে পারেন না। নদীতীরের একজন ঠিকা ব্যক্তি জাভেদ আলীর সাহায্য নিয়ে পারাপার হতে হয়। এর জন্য ওই ব্যক্তিকে বছরে দুবার ধান ওঠার মৌসুমে হালখাতায় ধান অথবা টাকা দিতে হয়।
নীলকোমল নদীর পশ্চিম প্রান্তে চরমেকলি, বাঘখাওয়ারচর, পূর্ব ধনিরাম আবাসন। এর পশ্চিমে ধরলা নদী। নীলকোমল ও ধরলাবেষ্টিত এসব গ্ৰামে ৫ হাজার মানুষের বসবাস। এখানে রয়েছে পূর্ব ধনিরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ইবতেদায়ি মাদ্রাসা। পূর্ব প্রান্তে বড়ভিটা, বড়লই ঘোগারকুটি, এখানে রয়েছে বড়ভিটা মহাবিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সসহ হাটবাজার। উভয় প্রান্তের হাজার হাজার মানুষের দৈনন্দিন হাটবাজার, শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষি, ব্যবসা বাণিজ্য ও যাতায়াত এ নৌকা দিয়েই। এতে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এ ছাড়া চরের বাসিন্দাদের কেউ অসুস্থ হলেও যোগাযোগব্যবস্থা খারাপ থাকায় অনেক সময় প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে।
স্থানীয় আনোয়ার হোসেন (৫৩) নামের এক পথচারী বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এ নদীর ওপর সেতু বানিয়ে দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়ে আসছেন স্থানীয়রা। নির্বাচন এলেই স্থানীয় নেতারা সেতুটি তৈরির প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু নির্বাচনের পর নির্বাচন আসে সেতু হয় না।
পূর্ব ধনিরাম গ্ৰামের সামশুল মিয়া (৭২) বলেন, ‘নৌকা না থাকলে দীর্ঘ পথ ঘুরে আমাদের এলাকায় যেতে হয়। এতে সময় নষ্ট হয়। বর্ষার সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সন্তানদের নিয়ে পারাপার হতে হয়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবি, আমাদের একটি সেতু নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য।’
নৌকার মাঝি জাভেদ আলী বলেন, ‘এ ঘাট দিয়ে রাত ১২টা পর্যন্ত লোকজন চলাচল করে। অনেকে নিজ দায়িত্বে চলাচল করে। ভারী জিনিসপত্র থাকলে আমি পার করে দিই। তবে বন্যার সময় বড় বিপত্তি ঘটে।’
বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিন্টু বলেন, ‘এই স্থানে একটি সেতুর জন্য উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে আবেদন করেছি। সেতু বাস্তবায়ন হলে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক ভালো হবে। স্থানীয় লোকজনের কষ্ট লাঘব হবে।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী আসিফ ইকবাল রাজিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই স্থানের ঘাটটি আমাদের গেজেটভুক্ত নয়। সামনের উপজেলা পরিষদ সভায় বিষয়টি উপস্থাপনের মাধ্যমে অনুমোদনের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।’
শুকনো মৌসুমে ড্রামের সাঁকোয় পারাপার হতেন দুই তীরের বাসিন্দারা। চলতি বর্ষার শুরুতে নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় স্রোতে ভেসে গেছে ড্রামের ওপর বাঁশের তৈরি সাঁকো। কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার পূর্ব ধনিরাম হতে মেকলির চর যেতে নীলকমল নদীর জাভেদের ঘাটে পারাপারে হাজারো এলাকাবাসীর ভরসা এখন নৌকা। তাও আবার দড়ি টেনে।
জানা গেছে, ভারত থেকে বয়ে আসা নীল কোমল নদী উপজেলা সদর হয়ে সাপের মতো এঁকেবেঁকে উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা পেরিয়ে পূর্ব ধনিরাম এলাকায় ধরলা নদীতে মিলিত হয়েছে। এতে পূর্ব ধনিরাম গ্ৰাম দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। বড়ভিটা বাজার থেকে চরমেকলি যেতে পূর্ব ধনিরামের হাজীরবাজার এলাকায় পড়ে এ নীলকোমল নদী। শুকনো মৌসুমে ক্ষীণকায় থাকে। তখন যাতায়াতের জন্য দুই তীরের বাসিন্দারা বাড়ি বাড়ি চাঁদা তুলে বাঁশ সংগ্রহ করে ড্রামের ওপর বাঁশের মাচার সাঁকো তৈরি করে সহজ যাতায়াত করেন। কিন্তু বর্ষা এলে বিপদ বাড়ে, উপায় আর থাকে না। স্রোতে ভেসে যায় সবকিছু। বাধ্য হয়ে দড়ি টেনে নৌকায় পারাপার হন স্থানীয়রা। অনেকে আবার দড়ি টেনে সঠিক গন্তব্যে যেতে পারেন না। নদীতীরের একজন ঠিকা ব্যক্তি জাভেদ আলীর সাহায্য নিয়ে পারাপার হতে হয়। এর জন্য ওই ব্যক্তিকে বছরে দুবার ধান ওঠার মৌসুমে হালখাতায় ধান অথবা টাকা দিতে হয়।
নীলকোমল নদীর পশ্চিম প্রান্তে চরমেকলি, বাঘখাওয়ারচর, পূর্ব ধনিরাম আবাসন। এর পশ্চিমে ধরলা নদী। নীলকোমল ও ধরলাবেষ্টিত এসব গ্ৰামে ৫ হাজার মানুষের বসবাস। এখানে রয়েছে পূর্ব ধনিরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ইবতেদায়ি মাদ্রাসা। পূর্ব প্রান্তে বড়ভিটা, বড়লই ঘোগারকুটি, এখানে রয়েছে বড়ভিটা মহাবিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সসহ হাটবাজার। উভয় প্রান্তের হাজার হাজার মানুষের দৈনন্দিন হাটবাজার, শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষি, ব্যবসা বাণিজ্য ও যাতায়াত এ নৌকা দিয়েই। এতে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এ ছাড়া চরের বাসিন্দাদের কেউ অসুস্থ হলেও যোগাযোগব্যবস্থা খারাপ থাকায় অনেক সময় প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে।
স্থানীয় আনোয়ার হোসেন (৫৩) নামের এক পথচারী বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এ নদীর ওপর সেতু বানিয়ে দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়ে আসছেন স্থানীয়রা। নির্বাচন এলেই স্থানীয় নেতারা সেতুটি তৈরির প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু নির্বাচনের পর নির্বাচন আসে সেতু হয় না।
পূর্ব ধনিরাম গ্ৰামের সামশুল মিয়া (৭২) বলেন, ‘নৌকা না থাকলে দীর্ঘ পথ ঘুরে আমাদের এলাকায় যেতে হয়। এতে সময় নষ্ট হয়। বর্ষার সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সন্তানদের নিয়ে পারাপার হতে হয়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবি, আমাদের একটি সেতু নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য।’
নৌকার মাঝি জাভেদ আলী বলেন, ‘এ ঘাট দিয়ে রাত ১২টা পর্যন্ত লোকজন চলাচল করে। অনেকে নিজ দায়িত্বে চলাচল করে। ভারী জিনিসপত্র থাকলে আমি পার করে দিই। তবে বন্যার সময় বড় বিপত্তি ঘটে।’
বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিন্টু বলেন, ‘এই স্থানে একটি সেতুর জন্য উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে আবেদন করেছি। সেতু বাস্তবায়ন হলে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক ভালো হবে। স্থানীয় লোকজনের কষ্ট লাঘব হবে।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী আসিফ ইকবাল রাজিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই স্থানের ঘাটটি আমাদের গেজেটভুক্ত নয়। সামনের উপজেলা পরিষদ সভায় বিষয়টি উপস্থাপনের মাধ্যমে অনুমোদনের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।’
প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠেই ছিদ্দিক ছুটে যান খেয়াঘাটে। পদ্মার পানি, স্রোত এবং বাতাসের গতিবিধি দেখেই তিনি দিনের কাজের হিসাব কষেন। কখনো শান্ত নদী তাকে স্বস্তি দেয়, আবার কখনো উত্তাল ঢেউ নিয়ে আসে দুশ্চিন্তা। যখন পদ্মায় পানি থাকে না, তখন সংসার চালাতে তাকে দিনমজুরের কাজ করতে হয়।
১ ঘণ্টা আগেবাগেরহাটের চারটি আসন পুনর্বহালের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে হরতাল। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে সড়কে আগুন জ্বালিয়ে, বেঞ্চ পেতে, গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ করেছেন হরতাল সমর্থনকারীরা। সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির দাবি, জেলার বিভিন্ন সড়কের অন্তত ১৩৪টি স্থানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অবস্থান নিয়েছেন...
১ ঘণ্টা আগেসুনামগঞ্জে রোপা আমন ধান লাগানোর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর আমনের বীজতলা প্রস্তুত এবং রোপণে কৃষকদের তেমন কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি। নেই কোন রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ। মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টি বা বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় ভালো ফলনের আশা করছেন স্থানীয় কৃষক এবং কৃষি অধিদপ্তর।
২ ঘণ্টা আগেস্থানীয়রা জানান, বাড়ির পাশে বিক্রির জন্য গ্যাস সিলিন্ডারগুলো রাখা ছিল। এগুলো মূলত গৃহস্থালি ও থ্রি-হুইলার চালকদের কাছে বিক্রি করা হতো। বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে হঠাৎ করেই একটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয় এবং দ্রুত আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
৩ ঘণ্টা আগে