রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

শুধু ধান-গম নয় ফল চাষ করে সফল হয়েছেন কৃষক এরশাদুল ইসলাম। এখন এলাকায় পরিচিতি পেয়েছেন ফল চাষের জাদুকর হিসেবে। সংসারের অভাব দূর করে ছোট ভাইবোনদের লেখাপড়ার খরচ চালান তিনি।
জানা যায়, কুড়িগ্রামের রৌমারীর দাঁতভাঙা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকা ধর্মপুর গ্রামের আজগর আলীর ছেলে এরশাদুল। তিনি তাঁর বাবার তিন একর জমিতে বরই, তিন একর জমিতে কলা, এক একর জমিতে লিচু, এক একর জমিতে মাল্টা ফলের বাগান করে উপজেলায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বরই বাগানে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন রঙের কাঁচা-পাকা বরই। কলা বাগানে বেরিয়েছে কলার ছড়ি। লিচু বাগানে শোভা পাচ্ছে সদ্য ফুঁটা মুকুল। সবুজের সমারোহ মাল্টা বাগান। এ সময় কথা হয় ফল চাষি এরশাদুলে সঙ্গে। তিনি জানান, প্রান্তিক কৃষক পরিবারে তাঁর জন্ম। ৫ ভাই বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। বড় ভাই ও ছোট তিন ভাইবোন সবাই লেখাপড়া করেন। তিনিও ২০০৩ সালে এসএসসি পাস করেছেন। সংসারের অভাবের কারণে ২০০৪ সালে ঢাকার একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতে যান।
চাকরির টাকায় সংসারের অভাব না মিটায় চিন্তায় পরে যান তিনি। অনেক চিন্তা ভাবনা করে ফিরে আসেন নিজ গ্রামে। পরে কৃষি কর্মকর্তা ও তাঁর বাবার সঙ্গে পরামর্শ করে ধান, গম চাষের পাশাপাশি ফল চাষের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ২০০৪ সালে প্রথমে এক একর জমিতে ২০০ আপেল কুলের চারা লাগান। এতে তাঁর খরচ হয় ৭০ হাজার টাকা। এক বছর পর তাঁর আয় হয় প্রায় এক লাখ টাকা। পরে তিনি আরও ২ একর জমিতে বরই বাগান করেন। বরই বাগানের সফলতার পরে ১ একর জমিতে কলা চাষ করেন। কলা চাষেও সফলতা পেয়ে ৩ একর জমিতে বাগান বৃদ্ধি করেন। কলা চাষের পর মন দেন লিচু চাষের দিকে। লিচু চাষে সফলতার পর এখন তিনি ১ একর জমিতে মাল্টা চাষ করছেন।
বর্তমানে তাঁর ৩ একর জমিতে তিন জাতের বরই, ৩ একর জমিতে দুই জাতের কলা, ১ জমিতে দুই জাতের লিচু, ১ একর জমিতে মাল্টা ও ৩০ শতক জমিতে সুপারি বাগান রয়েছে। এসব বাগানে প্রতি বছর তাঁর ব্যয় হয় প্রায় ৪ লাখ টাকা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আয় আসে প্রায় ৮ লাখ টাকা।
চাষি এরশাদুল আরও জানান, বাগানের ফাঁক-ফোকরে পেঁপে, গাজর, শিম, বেগুন, লাউ, ঢ্যাঁড়স, মুলা, পুঁইশাকসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করেও বাড়তি আয় আসে। বাগানের সার্বক্ষণিক পরিচর্যার জন্য ৫ জন লোক কাজ করেন। এরশাদুলের সঙ্গে তাঁর বাবাও বাগান দেখাশোনা করেন। এরশাদুল তাঁর বাগানের আয় থেকে সংসারের খরচের পাশাপাশি ছোট এক ভাইকে কম্পিউটারে মাস্টার্স, আরেক ভাইকে ইংরেজিতে অনার্স, ছোট বোন ও তাঁর স্ত্রীকে ডিগ্রিতে লেখাপড়ার খরচের জোগান দিচ্ছেন। এসব ব্যয় করেও তাঁর প্রতিবছর টাকা জমা থাকছে। তাঁর এই ফল চাষ ও ফলবাগান দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে আশপাশের কয়েক গ্রামের অনেক মানুষ ফল চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
এরশাদুলের বাগানে বরই কিনতে আসা খুচরা বিক্রেতা উপজেলার নতুনবন্দর গ্রামের সাইদ আলী বলেন, আগে আমরা জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাঘারচর থেকে বরই কিনে এনে রৌমারী বাজারে বিক্রি করতাম। তাতে আমাদের যাতায়াত খরচ বেশি লাগায় লাভ কম হতো। এখন এরশাদের বাগান থেকে পাইকারি কিনে রৌমারীর বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করি। আমাদের দূরের কোথাও থেকে ফল কিনে আনতে হয় না। এখান থেকে ফল কিনলে যাতায়াত খরচ কম পড়ে, লাভ বেশি হয়।
রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, আমি এরশাদুলের বরই, কলা ও লিচু বাগান সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। তাঁর ফল চাষের সফলতা দেখে আমি মুগ্ধ। তাঁকে আমার দপ্তর থেকে একটি মাল্টা চাষের প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, মাল্টা চাষেও সফলতা অর্জন করবেন তিনি।

শুধু ধান-গম নয় ফল চাষ করে সফল হয়েছেন কৃষক এরশাদুল ইসলাম। এখন এলাকায় পরিচিতি পেয়েছেন ফল চাষের জাদুকর হিসেবে। সংসারের অভাব দূর করে ছোট ভাইবোনদের লেখাপড়ার খরচ চালান তিনি।
জানা যায়, কুড়িগ্রামের রৌমারীর দাঁতভাঙা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকা ধর্মপুর গ্রামের আজগর আলীর ছেলে এরশাদুল। তিনি তাঁর বাবার তিন একর জমিতে বরই, তিন একর জমিতে কলা, এক একর জমিতে লিচু, এক একর জমিতে মাল্টা ফলের বাগান করে উপজেলায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বরই বাগানে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন রঙের কাঁচা-পাকা বরই। কলা বাগানে বেরিয়েছে কলার ছড়ি। লিচু বাগানে শোভা পাচ্ছে সদ্য ফুঁটা মুকুল। সবুজের সমারোহ মাল্টা বাগান। এ সময় কথা হয় ফল চাষি এরশাদুলে সঙ্গে। তিনি জানান, প্রান্তিক কৃষক পরিবারে তাঁর জন্ম। ৫ ভাই বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। বড় ভাই ও ছোট তিন ভাইবোন সবাই লেখাপড়া করেন। তিনিও ২০০৩ সালে এসএসসি পাস করেছেন। সংসারের অভাবের কারণে ২০০৪ সালে ঢাকার একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতে যান।
চাকরির টাকায় সংসারের অভাব না মিটায় চিন্তায় পরে যান তিনি। অনেক চিন্তা ভাবনা করে ফিরে আসেন নিজ গ্রামে। পরে কৃষি কর্মকর্তা ও তাঁর বাবার সঙ্গে পরামর্শ করে ধান, গম চাষের পাশাপাশি ফল চাষের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ২০০৪ সালে প্রথমে এক একর জমিতে ২০০ আপেল কুলের চারা লাগান। এতে তাঁর খরচ হয় ৭০ হাজার টাকা। এক বছর পর তাঁর আয় হয় প্রায় এক লাখ টাকা। পরে তিনি আরও ২ একর জমিতে বরই বাগান করেন। বরই বাগানের সফলতার পরে ১ একর জমিতে কলা চাষ করেন। কলা চাষেও সফলতা পেয়ে ৩ একর জমিতে বাগান বৃদ্ধি করেন। কলা চাষের পর মন দেন লিচু চাষের দিকে। লিচু চাষে সফলতার পর এখন তিনি ১ একর জমিতে মাল্টা চাষ করছেন।
বর্তমানে তাঁর ৩ একর জমিতে তিন জাতের বরই, ৩ একর জমিতে দুই জাতের কলা, ১ জমিতে দুই জাতের লিচু, ১ একর জমিতে মাল্টা ও ৩০ শতক জমিতে সুপারি বাগান রয়েছে। এসব বাগানে প্রতি বছর তাঁর ব্যয় হয় প্রায় ৪ লাখ টাকা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আয় আসে প্রায় ৮ লাখ টাকা।
চাষি এরশাদুল আরও জানান, বাগানের ফাঁক-ফোকরে পেঁপে, গাজর, শিম, বেগুন, লাউ, ঢ্যাঁড়স, মুলা, পুঁইশাকসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করেও বাড়তি আয় আসে। বাগানের সার্বক্ষণিক পরিচর্যার জন্য ৫ জন লোক কাজ করেন। এরশাদুলের সঙ্গে তাঁর বাবাও বাগান দেখাশোনা করেন। এরশাদুল তাঁর বাগানের আয় থেকে সংসারের খরচের পাশাপাশি ছোট এক ভাইকে কম্পিউটারে মাস্টার্স, আরেক ভাইকে ইংরেজিতে অনার্স, ছোট বোন ও তাঁর স্ত্রীকে ডিগ্রিতে লেখাপড়ার খরচের জোগান দিচ্ছেন। এসব ব্যয় করেও তাঁর প্রতিবছর টাকা জমা থাকছে। তাঁর এই ফল চাষ ও ফলবাগান দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে আশপাশের কয়েক গ্রামের অনেক মানুষ ফল চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
এরশাদুলের বাগানে বরই কিনতে আসা খুচরা বিক্রেতা উপজেলার নতুনবন্দর গ্রামের সাইদ আলী বলেন, আগে আমরা জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাঘারচর থেকে বরই কিনে এনে রৌমারী বাজারে বিক্রি করতাম। তাতে আমাদের যাতায়াত খরচ বেশি লাগায় লাভ কম হতো। এখন এরশাদের বাগান থেকে পাইকারি কিনে রৌমারীর বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করি। আমাদের দূরের কোথাও থেকে ফল কিনে আনতে হয় না। এখান থেকে ফল কিনলে যাতায়াত খরচ কম পড়ে, লাভ বেশি হয়।
রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, আমি এরশাদুলের বরই, কলা ও লিচু বাগান সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। তাঁর ফল চাষের সফলতা দেখে আমি মুগ্ধ। তাঁকে আমার দপ্তর থেকে একটি মাল্টা চাষের প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, মাল্টা চাষেও সফলতা অর্জন করবেন তিনি।
রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

শুধু ধান-গম নয় ফল চাষ করে সফল হয়েছেন কৃষক এরশাদুল ইসলাম। এখন এলাকায় পরিচিতি পেয়েছেন ফল চাষের জাদুকর হিসেবে। সংসারের অভাব দূর করে ছোট ভাইবোনদের লেখাপড়ার খরচ চালান তিনি।
জানা যায়, কুড়িগ্রামের রৌমারীর দাঁতভাঙা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকা ধর্মপুর গ্রামের আজগর আলীর ছেলে এরশাদুল। তিনি তাঁর বাবার তিন একর জমিতে বরই, তিন একর জমিতে কলা, এক একর জমিতে লিচু, এক একর জমিতে মাল্টা ফলের বাগান করে উপজেলায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বরই বাগানে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন রঙের কাঁচা-পাকা বরই। কলা বাগানে বেরিয়েছে কলার ছড়ি। লিচু বাগানে শোভা পাচ্ছে সদ্য ফুঁটা মুকুল। সবুজের সমারোহ মাল্টা বাগান। এ সময় কথা হয় ফল চাষি এরশাদুলে সঙ্গে। তিনি জানান, প্রান্তিক কৃষক পরিবারে তাঁর জন্ম। ৫ ভাই বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। বড় ভাই ও ছোট তিন ভাইবোন সবাই লেখাপড়া করেন। তিনিও ২০০৩ সালে এসএসসি পাস করেছেন। সংসারের অভাবের কারণে ২০০৪ সালে ঢাকার একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতে যান।
চাকরির টাকায় সংসারের অভাব না মিটায় চিন্তায় পরে যান তিনি। অনেক চিন্তা ভাবনা করে ফিরে আসেন নিজ গ্রামে। পরে কৃষি কর্মকর্তা ও তাঁর বাবার সঙ্গে পরামর্শ করে ধান, গম চাষের পাশাপাশি ফল চাষের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ২০০৪ সালে প্রথমে এক একর জমিতে ২০০ আপেল কুলের চারা লাগান। এতে তাঁর খরচ হয় ৭০ হাজার টাকা। এক বছর পর তাঁর আয় হয় প্রায় এক লাখ টাকা। পরে তিনি আরও ২ একর জমিতে বরই বাগান করেন। বরই বাগানের সফলতার পরে ১ একর জমিতে কলা চাষ করেন। কলা চাষেও সফলতা পেয়ে ৩ একর জমিতে বাগান বৃদ্ধি করেন। কলা চাষের পর মন দেন লিচু চাষের দিকে। লিচু চাষে সফলতার পর এখন তিনি ১ একর জমিতে মাল্টা চাষ করছেন।
বর্তমানে তাঁর ৩ একর জমিতে তিন জাতের বরই, ৩ একর জমিতে দুই জাতের কলা, ১ জমিতে দুই জাতের লিচু, ১ একর জমিতে মাল্টা ও ৩০ শতক জমিতে সুপারি বাগান রয়েছে। এসব বাগানে প্রতি বছর তাঁর ব্যয় হয় প্রায় ৪ লাখ টাকা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আয় আসে প্রায় ৮ লাখ টাকা।
চাষি এরশাদুল আরও জানান, বাগানের ফাঁক-ফোকরে পেঁপে, গাজর, শিম, বেগুন, লাউ, ঢ্যাঁড়স, মুলা, পুঁইশাকসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করেও বাড়তি আয় আসে। বাগানের সার্বক্ষণিক পরিচর্যার জন্য ৫ জন লোক কাজ করেন। এরশাদুলের সঙ্গে তাঁর বাবাও বাগান দেখাশোনা করেন। এরশাদুল তাঁর বাগানের আয় থেকে সংসারের খরচের পাশাপাশি ছোট এক ভাইকে কম্পিউটারে মাস্টার্স, আরেক ভাইকে ইংরেজিতে অনার্স, ছোট বোন ও তাঁর স্ত্রীকে ডিগ্রিতে লেখাপড়ার খরচের জোগান দিচ্ছেন। এসব ব্যয় করেও তাঁর প্রতিবছর টাকা জমা থাকছে। তাঁর এই ফল চাষ ও ফলবাগান দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে আশপাশের কয়েক গ্রামের অনেক মানুষ ফল চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
এরশাদুলের বাগানে বরই কিনতে আসা খুচরা বিক্রেতা উপজেলার নতুনবন্দর গ্রামের সাইদ আলী বলেন, আগে আমরা জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাঘারচর থেকে বরই কিনে এনে রৌমারী বাজারে বিক্রি করতাম। তাতে আমাদের যাতায়াত খরচ বেশি লাগায় লাভ কম হতো। এখন এরশাদের বাগান থেকে পাইকারি কিনে রৌমারীর বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করি। আমাদের দূরের কোথাও থেকে ফল কিনে আনতে হয় না। এখান থেকে ফল কিনলে যাতায়াত খরচ কম পড়ে, লাভ বেশি হয়।
রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, আমি এরশাদুলের বরই, কলা ও লিচু বাগান সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। তাঁর ফল চাষের সফলতা দেখে আমি মুগ্ধ। তাঁকে আমার দপ্তর থেকে একটি মাল্টা চাষের প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, মাল্টা চাষেও সফলতা অর্জন করবেন তিনি।

শুধু ধান-গম নয় ফল চাষ করে সফল হয়েছেন কৃষক এরশাদুল ইসলাম। এখন এলাকায় পরিচিতি পেয়েছেন ফল চাষের জাদুকর হিসেবে। সংসারের অভাব দূর করে ছোট ভাইবোনদের লেখাপড়ার খরচ চালান তিনি।
জানা যায়, কুড়িগ্রামের রৌমারীর দাঁতভাঙা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকা ধর্মপুর গ্রামের আজগর আলীর ছেলে এরশাদুল। তিনি তাঁর বাবার তিন একর জমিতে বরই, তিন একর জমিতে কলা, এক একর জমিতে লিচু, এক একর জমিতে মাল্টা ফলের বাগান করে উপজেলায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বরই বাগানে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন রঙের কাঁচা-পাকা বরই। কলা বাগানে বেরিয়েছে কলার ছড়ি। লিচু বাগানে শোভা পাচ্ছে সদ্য ফুঁটা মুকুল। সবুজের সমারোহ মাল্টা বাগান। এ সময় কথা হয় ফল চাষি এরশাদুলে সঙ্গে। তিনি জানান, প্রান্তিক কৃষক পরিবারে তাঁর জন্ম। ৫ ভাই বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। বড় ভাই ও ছোট তিন ভাইবোন সবাই লেখাপড়া করেন। তিনিও ২০০৩ সালে এসএসসি পাস করেছেন। সংসারের অভাবের কারণে ২০০৪ সালে ঢাকার একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতে যান।
চাকরির টাকায় সংসারের অভাব না মিটায় চিন্তায় পরে যান তিনি। অনেক চিন্তা ভাবনা করে ফিরে আসেন নিজ গ্রামে। পরে কৃষি কর্মকর্তা ও তাঁর বাবার সঙ্গে পরামর্শ করে ধান, গম চাষের পাশাপাশি ফল চাষের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ২০০৪ সালে প্রথমে এক একর জমিতে ২০০ আপেল কুলের চারা লাগান। এতে তাঁর খরচ হয় ৭০ হাজার টাকা। এক বছর পর তাঁর আয় হয় প্রায় এক লাখ টাকা। পরে তিনি আরও ২ একর জমিতে বরই বাগান করেন। বরই বাগানের সফলতার পরে ১ একর জমিতে কলা চাষ করেন। কলা চাষেও সফলতা পেয়ে ৩ একর জমিতে বাগান বৃদ্ধি করেন। কলা চাষের পর মন দেন লিচু চাষের দিকে। লিচু চাষে সফলতার পর এখন তিনি ১ একর জমিতে মাল্টা চাষ করছেন।
বর্তমানে তাঁর ৩ একর জমিতে তিন জাতের বরই, ৩ একর জমিতে দুই জাতের কলা, ১ জমিতে দুই জাতের লিচু, ১ একর জমিতে মাল্টা ও ৩০ শতক জমিতে সুপারি বাগান রয়েছে। এসব বাগানে প্রতি বছর তাঁর ব্যয় হয় প্রায় ৪ লাখ টাকা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আয় আসে প্রায় ৮ লাখ টাকা।
চাষি এরশাদুল আরও জানান, বাগানের ফাঁক-ফোকরে পেঁপে, গাজর, শিম, বেগুন, লাউ, ঢ্যাঁড়স, মুলা, পুঁইশাকসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করেও বাড়তি আয় আসে। বাগানের সার্বক্ষণিক পরিচর্যার জন্য ৫ জন লোক কাজ করেন। এরশাদুলের সঙ্গে তাঁর বাবাও বাগান দেখাশোনা করেন। এরশাদুল তাঁর বাগানের আয় থেকে সংসারের খরচের পাশাপাশি ছোট এক ভাইকে কম্পিউটারে মাস্টার্স, আরেক ভাইকে ইংরেজিতে অনার্স, ছোট বোন ও তাঁর স্ত্রীকে ডিগ্রিতে লেখাপড়ার খরচের জোগান দিচ্ছেন। এসব ব্যয় করেও তাঁর প্রতিবছর টাকা জমা থাকছে। তাঁর এই ফল চাষ ও ফলবাগান দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে আশপাশের কয়েক গ্রামের অনেক মানুষ ফল চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
এরশাদুলের বাগানে বরই কিনতে আসা খুচরা বিক্রেতা উপজেলার নতুনবন্দর গ্রামের সাইদ আলী বলেন, আগে আমরা জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাঘারচর থেকে বরই কিনে এনে রৌমারী বাজারে বিক্রি করতাম। তাতে আমাদের যাতায়াত খরচ বেশি লাগায় লাভ কম হতো। এখন এরশাদের বাগান থেকে পাইকারি কিনে রৌমারীর বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করি। আমাদের দূরের কোথাও থেকে ফল কিনে আনতে হয় না। এখান থেকে ফল কিনলে যাতায়াত খরচ কম পড়ে, লাভ বেশি হয়।
রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, আমি এরশাদুলের বরই, কলা ও লিচু বাগান সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। তাঁর ফল চাষের সফলতা দেখে আমি মুগ্ধ। তাঁকে আমার দপ্তর থেকে একটি মাল্টা চাষের প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, মাল্টা চাষেও সফলতা অর্জন করবেন তিনি।

চাকরি ফেরতের দাবিতে শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে বরিশালের অপসো স্যালাইন ফার্মা লিমিটেডে শুরু হওয়া অচলাবস্থা কাটেনি। আন্দোলনকারী শ্রমিকদের দেওয়া ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম আজ মঙ্গলবার বিকেলে শেষ হয়। সমস্যা সমাধানে এ সময়ের মধ্যে মালিকপক্ষ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তবে আগামীকাল বুধবার বরিশাল শ্রম অধিদপ্তর মালিক ও
৪১ মিনিট আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, শেখ হাসিনার ভূমিমন্ত্রীর ৩৬০টি বাড়ি কানাডায়। একটা মানুষের শরীরে হাড় হইল ২০৬টা। মরার পর হাড়গুলো আলাদা করে যদি একটা বাড়িতে একটা কবর হিসাবে রাখে, তাও ১০০টা বাড়ি পড়ে থাকবে। এ রকম করেই জনগণের টাকার লুটপাট করেছে।
৪২ মিনিট আগে
শেরপুরের শ্রীবরদীতে অবৈধভাবে মজুতকৃত ১০৬ বস্তা ডিএপি ও এমওপি সার জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাতে উপজেলার রাণীশংকৈল ইউনিয়নের ভায়াডাঙ্গা বানিয়াপাড়া গ্রামে মোশারফ হোসেন বাবু নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে সারগুলো জব্দ করা হয়।
৪৪ মিনিট আগে
বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রভাবশালী নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়েছে রাজশাহীর ভেঙে ফেলা বাড়ির ধ্বংসস্তূপেই। মঙ্গলবার বিকেলে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির উদ্যোগে রাজশাহী নগরের মিয়াপাড়ায় তাঁর পৈতৃক বাড়িতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

চাকরি ফেরতের দাবিতে শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে বরিশালের অপসো স্যালাইন ফার্মা লিমিটেডে শুরু হওয়া অচলাবস্থা কাটেনি। আন্দোলনকারী শ্রমিকদের দেওয়া ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম আজ মঙ্গলবার বিকেলে শেষ হয়। সমস্যা সমাধানে এ সময়ের মধ্যে মালিকপক্ষ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তবে আগামীকাল বুধবার বরিশাল শ্রম অধিদপ্তর মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা ডেকেছে।
৫৭০ জন শ্রমিক চাকরিচ্যুত করায় গত ২৯ অক্টোবর থেকে শ্রমিকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। তাঁরা চাকরি ফেরত চান। নগরের বগুড়া সড়কে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে শ্রমিকেরা শনিবার থেকে অবস্থান নেন। বাম গণতান্ত্রিক জোট ও মহানগর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন সেখানে গিয়ে শ্রমিকদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
আজ বিকেলে শ্রমিকেরা বগুড়া সড়ক থেকে মিছিল নিয়ে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে অপসোনিন গ্রুপের প্রধান কারখানার সামনে যান। সেখানে অন্য কারখানার শ্রমিকদের নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
অপসো স্যালাইন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিব মিয়া জানান, কাল বুধবার শ্রম অধিদপ্তরের সভায় সমঝোতা না হলে সব কারখানায় কর্মবিরতি ও মহাসড়ক অবরোধের মতো কঠিন কর্মসূচিতে যাবেন।
বাসদ নেত্রী ডা. মনিষা চক্রবর্তী বলেন, আগামীকাল শ্রমিক প্রতিনিধি ও মালিক প্রতিনিধিদের বরিশাল শ্রম অধিদপ্তরের কার্যালয়ে সভা ডাকা হয়েছে। সভায় সমঝোতা না হলে শ্রমিকেরা কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন।
ট্রেড ইউনিয়ন নেতা তুষার বলেন, ‘আমাদের মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে মালিকের লোকজন। এ জন্য সতর্ক থাকতে হবে। বুধবার শ্রম অধিদপ্তরে ৫৭০ জন শ্রমিকের ভাগ্য নির্ধারণ হতে পারে।’ তিনি শ্রম অধিদপ্তরের উপপরিচালক মনিরুজ্জামানকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘আমরা চাই না মহাসড়ক অচল করে মানুষকে দুর্ভোগে ফেলতে।’
অপসো স্যালাইন কারখানায় কর্মরত স্টুরিপ্যাক (সিরিঞ্জ ও স্যালাইন সেট প্রস্তুতকারক) শাখার ৫৭০ জন শ্রমিককে গত বুধবার চাকরিচ্যুতির চিঠি দেয় কর্তৃপক্ষ।

চাকরি ফেরতের দাবিতে শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে বরিশালের অপসো স্যালাইন ফার্মা লিমিটেডে শুরু হওয়া অচলাবস্থা কাটেনি। আন্দোলনকারী শ্রমিকদের দেওয়া ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম আজ মঙ্গলবার বিকেলে শেষ হয়। সমস্যা সমাধানে এ সময়ের মধ্যে মালিকপক্ষ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তবে আগামীকাল বুধবার বরিশাল শ্রম অধিদপ্তর মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা ডেকেছে।
৫৭০ জন শ্রমিক চাকরিচ্যুত করায় গত ২৯ অক্টোবর থেকে শ্রমিকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। তাঁরা চাকরি ফেরত চান। নগরের বগুড়া সড়কে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে শ্রমিকেরা শনিবার থেকে অবস্থান নেন। বাম গণতান্ত্রিক জোট ও মহানগর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন সেখানে গিয়ে শ্রমিকদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
আজ বিকেলে শ্রমিকেরা বগুড়া সড়ক থেকে মিছিল নিয়ে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে অপসোনিন গ্রুপের প্রধান কারখানার সামনে যান। সেখানে অন্য কারখানার শ্রমিকদের নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
অপসো স্যালাইন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিব মিয়া জানান, কাল বুধবার শ্রম অধিদপ্তরের সভায় সমঝোতা না হলে সব কারখানায় কর্মবিরতি ও মহাসড়ক অবরোধের মতো কঠিন কর্মসূচিতে যাবেন।
বাসদ নেত্রী ডা. মনিষা চক্রবর্তী বলেন, আগামীকাল শ্রমিক প্রতিনিধি ও মালিক প্রতিনিধিদের বরিশাল শ্রম অধিদপ্তরের কার্যালয়ে সভা ডাকা হয়েছে। সভায় সমঝোতা না হলে শ্রমিকেরা কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন।
ট্রেড ইউনিয়ন নেতা তুষার বলেন, ‘আমাদের মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে মালিকের লোকজন। এ জন্য সতর্ক থাকতে হবে। বুধবার শ্রম অধিদপ্তরে ৫৭০ জন শ্রমিকের ভাগ্য নির্ধারণ হতে পারে।’ তিনি শ্রম অধিদপ্তরের উপপরিচালক মনিরুজ্জামানকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘আমরা চাই না মহাসড়ক অচল করে মানুষকে দুর্ভোগে ফেলতে।’
অপসো স্যালাইন কারখানায় কর্মরত স্টুরিপ্যাক (সিরিঞ্জ ও স্যালাইন সেট প্রস্তুতকারক) শাখার ৫৭০ জন শ্রমিককে গত বুধবার চাকরিচ্যুতির চিঠি দেয় কর্তৃপক্ষ।

শুধু ধান-গম নয় ফল চাষ করে সফল হয়েছেন কৃষক এরশাদুল ইসলাম। এখন এলাকায় পরিচিতি পেয়েছেন ফল চাষের জাদুকর হিসেবে। সংসারের অভাব দূর করে ছোট ভাইবোনদের লেখাপড়ার
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, শেখ হাসিনার ভূমিমন্ত্রীর ৩৬০টি বাড়ি কানাডায়। একটা মানুষের শরীরে হাড় হইল ২০৬টা। মরার পর হাড়গুলো আলাদা করে যদি একটা বাড়িতে একটা কবর হিসাবে রাখে, তাও ১০০টা বাড়ি পড়ে থাকবে। এ রকম করেই জনগণের টাকার লুটপাট করেছে।
৪২ মিনিট আগে
শেরপুরের শ্রীবরদীতে অবৈধভাবে মজুতকৃত ১০৬ বস্তা ডিএপি ও এমওপি সার জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাতে উপজেলার রাণীশংকৈল ইউনিয়নের ভায়াডাঙ্গা বানিয়াপাড়া গ্রামে মোশারফ হোসেন বাবু নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে সারগুলো জব্দ করা হয়।
৪৪ মিনিট আগে
বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রভাবশালী নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়েছে রাজশাহীর ভেঙে ফেলা বাড়ির ধ্বংসস্তূপেই। মঙ্গলবার বিকেলে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির উদ্যোগে রাজশাহী নগরের মিয়াপাড়ায় তাঁর পৈতৃক বাড়িতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর দুর্নীতির কথা বলতে গিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ‘শেখ হাসিনার ভূমিমন্ত্রীর ৩৬০টা বাড়ি কানাডায়। একটা মানুষের শরীরের হাড় হইল ২০৬টা। মরার পর হাড়গুলো আলাদা করে যদি একটা বাড়িতে একটা কবর হিসাবে রাখে, তাও ১০০টা বাড়ি পড়ে থাকবে। এ রকম করেই জনগণের টাকার লুটপাট করেছে।’
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় এক রাজনৈতিক সভায় এনসিপি নেতা এসব কথা বলেন।
সভায় জুলাই সনদ নিয়ে সারজিস বলেন, ‘প্রায় ৩০-৪০ বছর আগে একবার গণভোট হয়েছিল। আবার সামনে গণভোট হবে। যে নিয়ম-কানুনগুলোর কারণে শেখ হাসিনা ধীরে ধীরে একজন স্বৈরাচার হয়ে উঠেছে, সেই নিয়ম-কানুনগুলোর পরিবর্তন দরকার আছে না নাই? এই জুলাই সনদ হলো সেই সনদ, যেখানে লেখা আছে—কোন পরিবর্তনগুলো হলে জনগণের সঙ্গে সরকারের ক্ষমতার একটি ভারসাম্য তৈরি হবে। কোন পরিবর্তনগুলো হলে আগামীতে কোনো সরকার আর স্বৈরাচারের সরকার হয়ে উঠতে পারবে না। কোন পরিবর্তনগুলো হলে আগামীর নেতার পা খালি আকাশে বেরাবেনি, মাটিতেও পড়বে। আমরা যে দলেরই হই না কেন, এই বাংলাদেশের জনগণের আগে, দেশের আগে কিংবা নিজের জীবনের নাগরিক সুবিধার আগে, কিংবা এগুলোর ঊর্ধ্বে কখনো দল হতে পারে না। দেশের চেয়ে কখনো দল বড় হতে পারে না।’
সভায় দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে এনসিপি নেতা বলেন, এই দেশে ১৮-২০ কোটি মানুষের অধিকারের চেয়ে কখনো একটা দল বড় হতে পারে না। তাই অনুরোধ, আমরা যে দলেরই হই না কেন, গণভোটের দিন ওই জুলাই সনদে আমরা যেন জুলাই সনদের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিই।
সভায় স্থানীয় এনসিপি নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা উপস্থিত ছিলেন।

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর দুর্নীতির কথা বলতে গিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ‘শেখ হাসিনার ভূমিমন্ত্রীর ৩৬০টা বাড়ি কানাডায়। একটা মানুষের শরীরের হাড় হইল ২০৬টা। মরার পর হাড়গুলো আলাদা করে যদি একটা বাড়িতে একটা কবর হিসাবে রাখে, তাও ১০০টা বাড়ি পড়ে থাকবে। এ রকম করেই জনগণের টাকার লুটপাট করেছে।’
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় এক রাজনৈতিক সভায় এনসিপি নেতা এসব কথা বলেন।
সভায় জুলাই সনদ নিয়ে সারজিস বলেন, ‘প্রায় ৩০-৪০ বছর আগে একবার গণভোট হয়েছিল। আবার সামনে গণভোট হবে। যে নিয়ম-কানুনগুলোর কারণে শেখ হাসিনা ধীরে ধীরে একজন স্বৈরাচার হয়ে উঠেছে, সেই নিয়ম-কানুনগুলোর পরিবর্তন দরকার আছে না নাই? এই জুলাই সনদ হলো সেই সনদ, যেখানে লেখা আছে—কোন পরিবর্তনগুলো হলে জনগণের সঙ্গে সরকারের ক্ষমতার একটি ভারসাম্য তৈরি হবে। কোন পরিবর্তনগুলো হলে আগামীতে কোনো সরকার আর স্বৈরাচারের সরকার হয়ে উঠতে পারবে না। কোন পরিবর্তনগুলো হলে আগামীর নেতার পা খালি আকাশে বেরাবেনি, মাটিতেও পড়বে। আমরা যে দলেরই হই না কেন, এই বাংলাদেশের জনগণের আগে, দেশের আগে কিংবা নিজের জীবনের নাগরিক সুবিধার আগে, কিংবা এগুলোর ঊর্ধ্বে কখনো দল হতে পারে না। দেশের চেয়ে কখনো দল বড় হতে পারে না।’
সভায় দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে এনসিপি নেতা বলেন, এই দেশে ১৮-২০ কোটি মানুষের অধিকারের চেয়ে কখনো একটা দল বড় হতে পারে না। তাই অনুরোধ, আমরা যে দলেরই হই না কেন, গণভোটের দিন ওই জুলাই সনদে আমরা যেন জুলাই সনদের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিই।
সভায় স্থানীয় এনসিপি নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা উপস্থিত ছিলেন।

শুধু ধান-গম নয় ফল চাষ করে সফল হয়েছেন কৃষক এরশাদুল ইসলাম। এখন এলাকায় পরিচিতি পেয়েছেন ফল চাষের জাদুকর হিসেবে। সংসারের অভাব দূর করে ছোট ভাইবোনদের লেখাপড়ার
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২
চাকরি ফেরতের দাবিতে শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে বরিশালের অপসো স্যালাইন ফার্মা লিমিটেডে শুরু হওয়া অচলাবস্থা কাটেনি। আন্দোলনকারী শ্রমিকদের দেওয়া ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম আজ মঙ্গলবার বিকেলে শেষ হয়। সমস্যা সমাধানে এ সময়ের মধ্যে মালিকপক্ষ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তবে আগামীকাল বুধবার বরিশাল শ্রম অধিদপ্তর মালিক ও
৪১ মিনিট আগে
শেরপুরের শ্রীবরদীতে অবৈধভাবে মজুতকৃত ১০৬ বস্তা ডিএপি ও এমওপি সার জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাতে উপজেলার রাণীশংকৈল ইউনিয়নের ভায়াডাঙ্গা বানিয়াপাড়া গ্রামে মোশারফ হোসেন বাবু নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে সারগুলো জব্দ করা হয়।
৪৪ মিনিট আগে
বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রভাবশালী নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়েছে রাজশাহীর ভেঙে ফেলা বাড়ির ধ্বংসস্তূপেই। মঙ্গলবার বিকেলে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির উদ্যোগে রাজশাহী নগরের মিয়াপাড়ায় তাঁর পৈতৃক বাড়িতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেশ্রীবরদী (শেরপুর) প্রতিনিধি

শেরপুরের শ্রীবরদীতে অবৈধভাবে মজুতকৃত ১০৬ বস্তা ডিএপি ও এমওপি সার জব্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাতে উপজেলার রাণীশংকৈল ইউনিয়নের ভায়াডাঙ্গা বানিয়াপাড়া গ্রামে মোশারফ হোসেন বাবু নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে সারগুলো জব্দ করা হয়।
শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনীষা আহমেদ সারগুলো জব্দ করেন। এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাহমুদুল হাসান আকন্দ, রাণীশিমুল ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সুজাসহ স্থানীয় এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনীষা আহমেদ বলেন, অবৈধভাবে মজুতকৃত ১০৬ বস্তা সার জব্দ করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জিম্মায় রাখা হয়েছে। পরবর্তীকালে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেরপুরের শ্রীবরদীতে অবৈধভাবে মজুতকৃত ১০৬ বস্তা ডিএপি ও এমওপি সার জব্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাতে উপজেলার রাণীশংকৈল ইউনিয়নের ভায়াডাঙ্গা বানিয়াপাড়া গ্রামে মোশারফ হোসেন বাবু নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে সারগুলো জব্দ করা হয়।
শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনীষা আহমেদ সারগুলো জব্দ করেন। এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাহমুদুল হাসান আকন্দ, রাণীশিমুল ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সুজাসহ স্থানীয় এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনীষা আহমেদ বলেন, অবৈধভাবে মজুতকৃত ১০৬ বস্তা সার জব্দ করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জিম্মায় রাখা হয়েছে। পরবর্তীকালে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শুধু ধান-গম নয় ফল চাষ করে সফল হয়েছেন কৃষক এরশাদুল ইসলাম। এখন এলাকায় পরিচিতি পেয়েছেন ফল চাষের জাদুকর হিসেবে। সংসারের অভাব দূর করে ছোট ভাইবোনদের লেখাপড়ার
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২
চাকরি ফেরতের দাবিতে শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে বরিশালের অপসো স্যালাইন ফার্মা লিমিটেডে শুরু হওয়া অচলাবস্থা কাটেনি। আন্দোলনকারী শ্রমিকদের দেওয়া ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম আজ মঙ্গলবার বিকেলে শেষ হয়। সমস্যা সমাধানে এ সময়ের মধ্যে মালিকপক্ষ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তবে আগামীকাল বুধবার বরিশাল শ্রম অধিদপ্তর মালিক ও
৪১ মিনিট আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, শেখ হাসিনার ভূমিমন্ত্রীর ৩৬০টি বাড়ি কানাডায়। একটা মানুষের শরীরে হাড় হইল ২০৬টা। মরার পর হাড়গুলো আলাদা করে যদি একটা বাড়িতে একটা কবর হিসাবে রাখে, তাও ১০০টা বাড়ি পড়ে থাকবে। এ রকম করেই জনগণের টাকার লুটপাট করেছে।
৪২ মিনিট আগে
বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রভাবশালী নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়েছে রাজশাহীর ভেঙে ফেলা বাড়ির ধ্বংসস্তূপেই। মঙ্গলবার বিকেলে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির উদ্যোগে রাজশাহী নগরের মিয়াপাড়ায় তাঁর পৈতৃক বাড়িতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রভাবশালী নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়েছে রাজশাহীর ভেঙে ফেলা বাড়ির ধ্বংসস্তূপেই। মঙ্গলবার বিকেলে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির উদ্যোগে রাজশাহী নগরের মিয়াপাড়ায় তাঁর পৈতৃক বাড়িতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটি ২০০৯ সাল থেকে নিয়মিতভাবে এই চলচ্চিত্রকারের জন্মবার্ষিকী পালন করে আসছে। এবারের অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত ও গণসংগীত পরিবেশন করা হয়। পরে প্রদীপ প্রজ্বালন, ঋত্বিক ঘটকের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা এবং তাঁর কালজয়ী ছবি ‘মেঘে ঢাকা তারা’ নিয়ে নির্মিত জীবনীচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এর আগে এই চলচ্চিত্রকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি আহসান কবির লিটন বলেন, ঋত্বিক ঘটকের রাজশাহীতে কাটানো দিনগুলো তাঁর সৃজনী জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। পদ্মা নদী, শহরের পরিবেশ এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তাঁর ভাবনা ও চলচ্চিত্রে বারবার প্রতিফলিত হয়েছে।’
মিয়াপাড়ার এ বাড়িতেই ঋত্বিক ঘটকের শৈশব ও কৈশোর কেটেছে। তিনি রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল ও রাজশাহী কলেজে অধ্যয়ন করেন। এখান থেকেই সাহিত্য, নাটক ও চলচ্চিত্রের প্রতি তাঁর গভীর আগ্রহের সূচনা হয়। দেশভাগের পর ১৯৪৭ সালে তাঁর পরিবার ভারতে পাড়ি জমায়।
নিজের নির্মাণ করা চলচ্চিত্রে দেশভাগের বেদনা, মানবিক দৃঢ়তা ও সমাজবাস্তবতাকে কাব্যিক গভীরতায় তুলে ধরেছেন ঋত্বিক ঘটক। তাঁর বিখ্যাত ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘কোমল গান্ধার’, ‘সুবর্ণরেখা’ ও ‘তিতাস একটি নদীর নাম’। শক্তিশালী গল্প ও আবেগঘন উপস্থাপনার জন্য তাঁর চলচ্চিত্র আজও দর্শক ও নির্মাতাদের অনুপ্রেরণার উৎস।
রাজশাহীর বাড়িটির ৩৪ শতাংশ জমি ১৯৮৯ সালে তৎকালীন এরশাদ সরকার রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজকে ইজারা দেয়। এরপর জায়গাটির উত্তরে গড়ে তোলা হয়েছে হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের আধুনিক ভবন। এ ভবনের দক্ষিণ অংশে ঋত্বিক ঘটকের স্মৃতিবিজড়িত পুরোনো বাড়ির ঘরগুলো দাঁড়িয়ে ছিল। বাড়িটি অপসারণ করে সেখানে অন্য স্থাপনা করার চেষ্টা অনেক আগে থেকেই করছিল হোমিও কলেজ কর্তৃপক্ষ।
তবে সাংস্কৃতিক কর্মীদের বাধার মুখে বারবার তা বন্ধ হয়েছে। দাবির মুখে বাড়িটি সংরক্ষণেরও উদ্যোগ নিয়েছিল জেলা প্রশাসন। এর মধ্যেই গত বছর অস্থিতিশীল পরিবেশের মধ্যে ৬ ও ৭ আগস্ট গোপনে বাড়িটি ভেঙে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয়। এখন সেখানে ভাঙা বাড়ির ইটগুলো স্তূপাকারে রয়েছে। ঋত্বিকের আর তেমন কোনো স্মৃতিচিহ্ন নেই।

বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রভাবশালী নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়েছে রাজশাহীর ভেঙে ফেলা বাড়ির ধ্বংসস্তূপেই। মঙ্গলবার বিকেলে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির উদ্যোগে রাজশাহী নগরের মিয়াপাড়ায় তাঁর পৈতৃক বাড়িতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটি ২০০৯ সাল থেকে নিয়মিতভাবে এই চলচ্চিত্রকারের জন্মবার্ষিকী পালন করে আসছে। এবারের অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত ও গণসংগীত পরিবেশন করা হয়। পরে প্রদীপ প্রজ্বালন, ঋত্বিক ঘটকের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা এবং তাঁর কালজয়ী ছবি ‘মেঘে ঢাকা তারা’ নিয়ে নির্মিত জীবনীচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এর আগে এই চলচ্চিত্রকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি আহসান কবির লিটন বলেন, ঋত্বিক ঘটকের রাজশাহীতে কাটানো দিনগুলো তাঁর সৃজনী জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। পদ্মা নদী, শহরের পরিবেশ এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তাঁর ভাবনা ও চলচ্চিত্রে বারবার প্রতিফলিত হয়েছে।’
মিয়াপাড়ার এ বাড়িতেই ঋত্বিক ঘটকের শৈশব ও কৈশোর কেটেছে। তিনি রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল ও রাজশাহী কলেজে অধ্যয়ন করেন। এখান থেকেই সাহিত্য, নাটক ও চলচ্চিত্রের প্রতি তাঁর গভীর আগ্রহের সূচনা হয়। দেশভাগের পর ১৯৪৭ সালে তাঁর পরিবার ভারতে পাড়ি জমায়।
নিজের নির্মাণ করা চলচ্চিত্রে দেশভাগের বেদনা, মানবিক দৃঢ়তা ও সমাজবাস্তবতাকে কাব্যিক গভীরতায় তুলে ধরেছেন ঋত্বিক ঘটক। তাঁর বিখ্যাত ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘কোমল গান্ধার’, ‘সুবর্ণরেখা’ ও ‘তিতাস একটি নদীর নাম’। শক্তিশালী গল্প ও আবেগঘন উপস্থাপনার জন্য তাঁর চলচ্চিত্র আজও দর্শক ও নির্মাতাদের অনুপ্রেরণার উৎস।
রাজশাহীর বাড়িটির ৩৪ শতাংশ জমি ১৯৮৯ সালে তৎকালীন এরশাদ সরকার রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজকে ইজারা দেয়। এরপর জায়গাটির উত্তরে গড়ে তোলা হয়েছে হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের আধুনিক ভবন। এ ভবনের দক্ষিণ অংশে ঋত্বিক ঘটকের স্মৃতিবিজড়িত পুরোনো বাড়ির ঘরগুলো দাঁড়িয়ে ছিল। বাড়িটি অপসারণ করে সেখানে অন্য স্থাপনা করার চেষ্টা অনেক আগে থেকেই করছিল হোমিও কলেজ কর্তৃপক্ষ।
তবে সাংস্কৃতিক কর্মীদের বাধার মুখে বারবার তা বন্ধ হয়েছে। দাবির মুখে বাড়িটি সংরক্ষণেরও উদ্যোগ নিয়েছিল জেলা প্রশাসন। এর মধ্যেই গত বছর অস্থিতিশীল পরিবেশের মধ্যে ৬ ও ৭ আগস্ট গোপনে বাড়িটি ভেঙে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয়। এখন সেখানে ভাঙা বাড়ির ইটগুলো স্তূপাকারে রয়েছে। ঋত্বিকের আর তেমন কোনো স্মৃতিচিহ্ন নেই।

শুধু ধান-গম নয় ফল চাষ করে সফল হয়েছেন কৃষক এরশাদুল ইসলাম। এখন এলাকায় পরিচিতি পেয়েছেন ফল চাষের জাদুকর হিসেবে। সংসারের অভাব দূর করে ছোট ভাইবোনদের লেখাপড়ার
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২
চাকরি ফেরতের দাবিতে শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে বরিশালের অপসো স্যালাইন ফার্মা লিমিটেডে শুরু হওয়া অচলাবস্থা কাটেনি। আন্দোলনকারী শ্রমিকদের দেওয়া ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম আজ মঙ্গলবার বিকেলে শেষ হয়। সমস্যা সমাধানে এ সময়ের মধ্যে মালিকপক্ষ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তবে আগামীকাল বুধবার বরিশাল শ্রম অধিদপ্তর মালিক ও
৪১ মিনিট আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, শেখ হাসিনার ভূমিমন্ত্রীর ৩৬০টি বাড়ি কানাডায়। একটা মানুষের শরীরে হাড় হইল ২০৬টা। মরার পর হাড়গুলো আলাদা করে যদি একটা বাড়িতে একটা কবর হিসাবে রাখে, তাও ১০০টা বাড়ি পড়ে থাকবে। এ রকম করেই জনগণের টাকার লুটপাট করেছে।
৪২ মিনিট আগে
শেরপুরের শ্রীবরদীতে অবৈধভাবে মজুতকৃত ১০৬ বস্তা ডিএপি ও এমওপি সার জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাতে উপজেলার রাণীশংকৈল ইউনিয়নের ভায়াডাঙ্গা বানিয়াপাড়া গ্রামে মোশারফ হোসেন বাবু নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে সারগুলো জব্দ করা হয়।
৪৪ মিনিট আগে