Ajker Patrika

দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলে এককাট্টা বিএনপির পাঁচ নেতা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলামের দলীয় মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা শহরে বিএনপি নেতা রেজাউল করিম খান চুন্নুর স্টেশন রোডের কার্যালয়ে দলের পাঁচ মনোনয়নপ্রার্থী এই সংবাদ সম্মেলন করেন।

মনোয়ন বাতিল চাওয়া ওই পাঁচজন হলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হিলালী, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি রেজাউল করিম খান চুন্নু, রুহুল হোসাইন, শরীফুল ইসলাম ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল।

মাসুদ হিলালী লিখিত বক্তব্যে বলেন, এক ব্যক্তিকে খুশি করতেই এমন একজনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, যিনি ইতিপূর্বে কিশোরগঞ্জ পৌরসভায় দুবারের মনোনীত মেয়র প্রার্থী হয়েও পাস করতে পারেননি এবং যাঁর বিরুদ্ধে স্বৈরাচার সরকারের সঙ্গে আঁতাত থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা-মোকদ্দমাও হয়নি। যিনি বিগত ১৬ বছরে পুলিশের লাঠির আঘাত কিংবা একটি আঁচড়ও পাননি। যাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে অঢেল অভিযোগ।

সংবাদ সম্মেলনে রেজাউল করিম খান চুন্নু বলেন, কিশোরগঞ্জ জেলায় সবার মুখে একটি কথাই রয়েছে যে, একজন চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি রুহুল হোসাইন বলেন, ৫ আগস্টের পর মাজহারুল ইসলাম ফুটপাতের হকার থেকে শুরু করে বালুমহাল, জলমহালসহ যত ধরনের অফিস-আদালত আছে, সৈয়দ নজরুল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সবখান থেকেই চাঁদা নিয়েছেন।

খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল বলেন, ‘যাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, উনার নিজের কেন্দ্রেও উনি সাত ভোট কম পেয়েছিলেন। উনি দলের মধ্যেও প্রশ্নবিদ্ধ। উনি ২০০৮ সালের নির্বাচনে নৌকা মার্কার ব্যাচ পরে দলের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছিলেন। উনার পৌরসভাতেই বিচরণ নাই। উনাকে ইউনিয়নের মানুষ চেনে কি না, তাতেও সন্দেহ আছে।’

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘সবকিছু নিখুঁতভাবে যাচাইয়ের পর আমাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর উপজেলার বিএনপির সব নেতা-কর্মী আমার সঙ্গে আছেন। হাজার হাজার কর্মী আমার পক্ষে, ধানের শীষের পক্ষে মাঠে কাজ করছেন। আজ সোমবার হাজার হাজার নেতা-কর্মী আমার পক্ষে মিছিল করেছেন। অথচ দলের নির্দেশনা লঙ্ঘন করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হচ্ছে। দল মনোনয়ন তো সবাইকে দিতে পারবে না। তাঁরা এখন মনঃক্ষুণ্ন। আমি আশা করছি, দলের নির্দেশে তাঁরাও আমার পক্ষে কাজ করবেন।’

জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম বলেন, ‘মনোনয়ন দেওয়ার মালিক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও স্থায়ী কমিটি। আমার তো ক্ষমতা নাই মনোনয়ন দেওয়ার। সারা দেশে উনি ৬-৭টা জরিপ করেছেন। যাঁর অবস্থান ভালো, উনি তাঁকেই মনোনয়ন দিয়েছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে: তিন দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...