খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিনিধি
বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ও দক্ষিণাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি)। প্রতিষ্ঠার পরই হয়ে ওঠে দক্ষিণবঙ্গের শিক্ষাবিস্তারের মূল কেন্দ্রবিন্দু। ২০২১ সালে এসেও যে ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা করা যায় তার একমাত্র উদাহরণ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের অন্য সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যেখানে দিনের পর দিন খুন-রাহাজানি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের খবর শোনা যায়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সেখানে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। প্রতিষ্ঠার ৩১ বছরেও ঘটেনি কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। খুন হতে হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থীকে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯১ সালে পথচলা শুরু হয় এ বিদ্যাপীঠের। ১৯৮৭ সালের ৪ জানুয়ারি গেজেটে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় সরকারি সিদ্ধান্ত প্রকাশিত হয়। ১৯৯১ সালের ২৫ নভেম্বর ৪টি ডিসিপ্লিনের (বিভাগ) ৮০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হয়। ১০৬ একরের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) বর্তমানে ৬টি স্কুল (অনুষদ) ও ২টি ইনস্টিটিউটের অধীনে প্রায় ৭ হাজার ছাত্রছাত্রী এবং পাঁচ শতাধিক শিক্ষক রয়েছেন। প্রতি বছর ২৯টি ডিসিপ্লিনের অধীনে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী ইমরান ইসলাম মামুন বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো নিরিবিলি ক্যাম্পাস বাংলাদেশের অন্য কোথাও আছে কিনা আমি জানি না। আমি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের দুই বছরে কখনো কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা বা সহিংসতার শিকার হইনি।
ইমরান ইসলাম মামুন আরও বলেন, এখানে শিক্ষার্থীরা রাজনীতিতে সক্রিয় না হলেও সব সময় রাজনীতি সচেতন। দাবি আদায় কিংবা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সবক্ষেত্রেই সবাই কথা বলে বজ্রকণ্ঠে। ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলন থেকে শুরু করে জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের আন্দোলনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ তার বাস্তব উদাহরণ।
খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কোন ভবনের গায়ে লেখা নেই রাজনৈতিক কোন স্লোগান। নেই কোন মিছিল মিটিং। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেখানে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভিত্তিতে হলে সিট পায় খুবির শিক্ষার্থীরা সেখানে হলে সিট পায় মেধার ভিত্তিতে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, যেখানে বাংলাদেশের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনীতি বিদ্যমান। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সেখানে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শুরু থেকেই কোন ধরনের লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি কখনো স্থান পায়নি। আর এটা সম্ভব হয়েছে আমাদের ছাত্রদের সহায়তায়।
রেজিস্ট্রার আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধারা অব্যাহত থাকলে একদিন বাংলাদেশের ইতিহাসে উদাহরণ হয়ে থাকবে। বর্তমান পরিস্থিতিতেও যে কীভাবে ক্যাম্পাসকে রাজনীতিমুক্ত রাখা যায় এদিক থেকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ও দক্ষিণাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি)। প্রতিষ্ঠার পরই হয়ে ওঠে দক্ষিণবঙ্গের শিক্ষাবিস্তারের মূল কেন্দ্রবিন্দু। ২০২১ সালে এসেও যে ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা করা যায় তার একমাত্র উদাহরণ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের অন্য সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যেখানে দিনের পর দিন খুন-রাহাজানি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের খবর শোনা যায়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সেখানে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। প্রতিষ্ঠার ৩১ বছরেও ঘটেনি কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। খুন হতে হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থীকে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯১ সালে পথচলা শুরু হয় এ বিদ্যাপীঠের। ১৯৮৭ সালের ৪ জানুয়ারি গেজেটে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় সরকারি সিদ্ধান্ত প্রকাশিত হয়। ১৯৯১ সালের ২৫ নভেম্বর ৪টি ডিসিপ্লিনের (বিভাগ) ৮০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হয়। ১০৬ একরের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) বর্তমানে ৬টি স্কুল (অনুষদ) ও ২টি ইনস্টিটিউটের অধীনে প্রায় ৭ হাজার ছাত্রছাত্রী এবং পাঁচ শতাধিক শিক্ষক রয়েছেন। প্রতি বছর ২৯টি ডিসিপ্লিনের অধীনে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী ইমরান ইসলাম মামুন বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো নিরিবিলি ক্যাম্পাস বাংলাদেশের অন্য কোথাও আছে কিনা আমি জানি না। আমি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের দুই বছরে কখনো কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা বা সহিংসতার শিকার হইনি।
ইমরান ইসলাম মামুন আরও বলেন, এখানে শিক্ষার্থীরা রাজনীতিতে সক্রিয় না হলেও সব সময় রাজনীতি সচেতন। দাবি আদায় কিংবা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সবক্ষেত্রেই সবাই কথা বলে বজ্রকণ্ঠে। ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলন থেকে শুরু করে জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের আন্দোলনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ তার বাস্তব উদাহরণ।
খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কোন ভবনের গায়ে লেখা নেই রাজনৈতিক কোন স্লোগান। নেই কোন মিছিল মিটিং। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেখানে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভিত্তিতে হলে সিট পায় খুবির শিক্ষার্থীরা সেখানে হলে সিট পায় মেধার ভিত্তিতে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, যেখানে বাংলাদেশের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনীতি বিদ্যমান। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সেখানে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শুরু থেকেই কোন ধরনের লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি কখনো স্থান পায়নি। আর এটা সম্ভব হয়েছে আমাদের ছাত্রদের সহায়তায়।
রেজিস্ট্রার আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধারা অব্যাহত থাকলে একদিন বাংলাদেশের ইতিহাসে উদাহরণ হয়ে থাকবে। বর্তমান পরিস্থিতিতেও যে কীভাবে ক্যাম্পাসকে রাজনীতিমুক্ত রাখা যায় এদিক থেকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
সাতক্ষীরার একমাত্র ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস প্রায় সাত বছর ধরে বন্ধ হয়ে আছে। এতে করে নষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করা শ্রমিকদের অনেকে এখন বেকার জীবন কাটাচ্ছেন। তবে কর্তৃপক্ষ দাবি, কারখানার বিশাল প্রাঙ্গণে বেসরকারি সহযোগিতায় একাধিক...
৩৬ মিনিট আগেসড়কের মধ্যে থেকে বিদ্যুতের খুঁটি অপসারণ না করেই প্রশস্ত করা হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়ক। সড়কটি ৬ দশমিক ২ মিটার থেকে উন্নীত করা হচ্ছে ১০ দশমিক ৩ মিটারে। এ অবস্থায় ৪৮১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়ক প্রশস্তকরণের সুফল নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনার ঝুঁকি বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
৪০ মিনিট আগেকর্মচারীরা বাতিলের দাবি জানালেও সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ সংশোধন করতে যাচ্ছে সরকার। এই অধ্যাদেশ সংশোধন করে যেসব ধারায় অপপ্রয়োগের সুযোগ রয়েছে, সেখানে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অধ্যাদেশ সংশোধন করে সেখানে কোন কোন বিষয় যুক্ত করা হবে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তা চূড়ান্ত করবে...
১ ঘণ্টা আগেউত্তরের সীমান্তঘেঁষা জেলা পঞ্চগড়ে নদী থেকে প্রতিদিন উত্তোলন করা হচ্ছে হাজার হাজার টন বালু। এই বালু এখন আর সীমাবদ্ধ নেই জেলার অভ্যন্তরে বা পাশের কোনো উপজেলায়। তা ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে; বিশেষত ঢাকা, গাজীপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, নাটোর, নওগাঁ, জয়পুরহাটের নির্মাণ প্রকল্পগুলোতে।
১ ঘণ্টা আগে