Ajker Patrika

চোরাই স্বর্ণ চুরির সন্দেহে সুমনকে অপহরণের পর হত্যা

যশোর প্রতিনিধি
চোরাই স্বর্ণ চুরির সন্দেহে সুমনকে অপহরণের পর হত্যা

ওমর ফারুক সুমনকে (২৬) চোরাই স্বর্ণ চুরির সন্দেহে অপহরণের পর হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। হত্যাকাণ্ডের ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার তিনজনের কাছ থেকে এমন তথ্য পায় যশোর ডিবি পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার শাঁখারীবাজার এলাকা থেকে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার আলী কুমড়া গ্রামের ডালিম কুমার দাস (৩৩), দেবীদ্বার উপজেলার রসুলপুর গ্রামের অঞ্জন নিয়োগী (৪৯) এবং পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মোহাম্মদ রিয়াজ (৩৮)।

এর আগে গত ১১ নভেম্বর যশোরের বেনাপোলে অপহরণের শিকার হন ওমর ফারুক সুমন। পরে ১৬ নভেম্বর মাগুরার রামনগর থেকে নিখোঁজ তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সুমন শার্শা উপজেলার টেংরালি গ্রামের ওসমান গনির ছেলে।

আজ শুক্রবার দুপুরে যশোর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপন কুমার সরকার বলেন, সুমনকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। তাতে যশোর পুলিশ সুপারের নির্দেশে মাঠে নামে ডিবি পুলিশ। ডিবির একটি দল ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ও আসামিদের মোবাইল ফোনের তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার শাঁখারীবাজার এলাকা থেকে তিনজনকে হত্যায় ব্যবহৃত মাইক্রোবাসসহ গ্রেপ্তার করে।

ডিবি পুলিশের ওসি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, স্বর্ণ চোরাকারবারিদের ২৫টি স্বর্ণের বার (ওজন প্রায় তিন কেজি) খোয়া যায়। চোরাকারবারি চক্রের কামাল গ্রুপ সুমনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটকে রেখে মারধর করে। তবু স্বর্ণ না পেয়ে সুমনকে হত্যা করে লাশ মাগুরার রামনগর এলাকায় ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়কের পাশে ঝোপে ফেলে দেয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত