Ajker Patrika

এবার খুলনার জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি শিক্ষার্থীদের

খুলনা প্রতিনিধি
খুলনার জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠক করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক পার্টি ও আগুয়ান-৭১-এর নেতারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
খুলনার জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠক করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক পার্টি ও আগুয়ান-৭১-এর নেতারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

খুলনার পুলিশ কমিশনারের অপসারণ দাবির পর এবার জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। মাসব্যাপী জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদ্‌যাপনের অনুমতিকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিরোধের পর এ দাবি জানানো হয়।

এ ব্যাপারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের পক্ষে মো. ওয়াহিদুজ্জামান। লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে খুলনার শিববাড়ি মোড়ে মাসব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে অনুমতি চাওয়া হলে ওই অনুষ্ঠানমালাকে ‘মেলা’ হিসেবে উল্লেখ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

আজ রোববার দুপুরে এ নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক পার্টি ও আগুয়ান-৭১-এর নেতাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে জেলা প্রশাসক ছাত্রনেতা ওয়াহিদুজ্জামানের মোবাইল কেড়ে নেন—এমন অভিযোগও আনেন ওয়াহিদুজ্জামান।

এ ঘটনার পর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বের হয়ে ওয়াহিদুজ্জামান বেলা ৩টার দিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানেও জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনা হয়।

খবর পেয়ে সেখানে যান বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক মো. হুসাইন শওকত। ছাত্রনেতারা তাঁর কাছেও সার্বিক বিষয় বর্ণনা করে ডিসি অফিসের সিসি ফুটেজ দাবি করেন।

জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান উদ্‌যাপনে জাতীয়ভাবে যে আয়োজন আছে, তার বাইরে মেলা করতে গেলে আইনশৃঙ্খলা কমিটির অনুমোদন লাগবে। এ জন্য ২ জুলাই খুলনার আইনশৃঙ্খলা কমিটির যে মিটিং রয়েছে, সেখানে আলোচনার পরই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে। তবে ১ জুলাই বিভিন্ন মসজিদে এমনকি জিয়া হল চত্বরেও দোয়া হতে পারে। কিন্তু সেখানে স্টল দিয়ে, বিভিন্ন রাইড সামগ্রী বসিয়ে মেলার আদলে জুলাই উদ্‌যাপন করা হলে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত লাগবে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত মঙ্গলবার মামলার আসামি এক এসআইকে ধরে পুলিশের কাছে দেওয়ার পর রাতে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ নিয়ে বুধ ও বৃহস্পতিবার খুলনা মহানগর পুলিশ (কেএমপি) সদর দপ্তর ঘেরাও করে ছাত্র-জনতা। পরদিন চুয়াডাঙ্গা থেকে ওই এসআইকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হলেও শনিবার দুপুর থেকে আবার ব্লকেড কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। সেই সঙ্গে কেএমপি কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারের অপসারণ দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চিৎকার শুনে ছুটে আসা স্থানীয়রা ধর্ষণের শিকার নারীকেই মারধর করে

বিমানবন্দরের প্রকল্পে ‘অসম’ চুক্তি, স্বার্থের সংঘাতে জড়িয়েছেন ঢাকায় ইউএই রাষ্ট্রদূত

মন্ত্রীর আত্মীয়তাই ‘যোগ্যতা’

আদানিকে আরও ৩৮৪ মিলিয়ন ডলার দিল বাংলাদেশ, মোট পরিশোধ ১.৫ বিলিয়ন

অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে দুই বন্ধুর ধর্ষণ

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত