Ajker Patrika

আপাতত টিকা পাবে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা

যশোর প্রতিনিধি
আপাতত টিকা পাবে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা

যশোরে আরও ২৩ হাজার ৪০০ ডোজ ফাইজারের টিকা এসেছে। শিক্ষার্থীদের টিকা দান কর্মসূচি সফল করতে এসব টিকা পাঠানো হয়েছে। এদিকে শুরুতে শুধুমাত্র এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ অন্য শ্রেণির ব্যাপারেও চলছে কাজ। 

যশোরে এক লাখ পাঁচ হাজার ৬৪৯ শিক্ষার্থীকে পর্যায়ক্রমে করোনা টিকার আওতায় আনা হবে। আজ প্রথম দিন ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। রোববার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে যশোরের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিভাগ।

সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন জানান, যশোরে প্রথম ধাপে ১৮ হাজার ৭২০ ডোজ ফাইজারের টিকা এসেছিল। এ নিয়ে দুই দফায় ৩৯ হাজার ১২০ ডোজ টিকা সরবরাহ করা হয়েছে জেলাটিতে। তার মধ্যে ১৫ হাজার ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সে লক্ষ্যে নতুন করে ফাইজারের ২৩ হাজার ৪০০ টিকা পাঠানো হয়েছে। 

সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বলেন, পিটিআই কেন্দ্রে ৬টি বুথ স্থাপন করে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে। সে লক্ষ্যে ১৩ জন ভ্যাকসিনেটর ও স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রয়েছেন। শিক্ষা বিভাগের পাঠানো তালিকার ভিত্তিতে আপাতত দুটি বুথে টিকা দান কর্মসূচি চলবে। সে হিসাবে অতিরিক্ত একজন করে মোট ৫ জন ভ্যাকসিনেটরকে রাখা হবে কেন্দ্রে। পরে চাহিদা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে বুথ সংখ্যা বাড়ানো হবে। 

যশোর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একে এম গোলাম আযম জানিয়েছেন, আপাতত এইচএসসি শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন কার্ডের দুটি ফটোকপি এবং স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে পাঠানো একটি ফরম পূরণ করলেই মিলবে টিকা। 

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একে এম গোলাম আযম জানান, যারা এ মুহূর্তে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে শিক্ষা মহাপরিচালকের দপ্তর থেকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিভাগে তালিকা পাঠানো হচ্ছে। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিভাগ মোবাইলে খুদে বার্তার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে টিকার বিষয়ে পরিপূর্ণ তথ্য জানাবে। এরই মধ্যে সে কার্যক্রমও শুরু করা হয়েছে বলে জানান তিনি। 

শিক্ষা কর্মকর্তা একে এম গোলাম আযম আরও জানান, মাধ্যমিকের বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনতে স্ব স্ব বিদ্যাপীঠের প্রধানকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেগুলো সম্পন্ন হলে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী সকল শিক্ষার্থীই টিকার আওতায় আসবে। সে লক্ষ্যে স্বাস্থ্য বিভাগের ফরম পর্যায়ক্রমে সব কলেজ এবং পরবর্তীতে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঠানো হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত