Ajker Patrika

আওয়ামী লীগের ৫ লাখ নেতা-কর্মীকে খুন করা হয়নি, আলহামদুলিল্লাহ: ডা. শফিকুর রহমান

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯: ৪৭
কুষ্টিয়ায় সুধী সমাবেশে ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুষ্টিয়ায় সুধী সমাবেশে ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছিলেন তাঁরা যদি ক্ষমতা থেকে বিদায় নেন তাহলে দুই দিনের মাথায় তাঁদের দলের ৫ লাখ নেতা-কর্মীকে আমরা খুন করে ফেলব। আলহামদুলিল্লাহ, বাংলাদেশে এমন কিছু হয়নি। আমরা চাই না আমাদের প্রতিপক্ষ হলেও আমরা কারও ওপর অবিচার করি।’

গতকাল শুক্রবার রাতে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটরিয়ামে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন।

আমিরে জামায়াত বলেন, ‘আমরা এও বলেছি, হাজার হাজার মামলা আমরা করব না। আমরা অতি গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে মামলা করব। কিন্তু একজন নিরপরাধ মানুষকেও আমরা মামলার আসামি করব না। কারণ আল্লাহর আদালতে আমাদের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। বিবেকের কাঠগড়ায় আমরা পরাজিত হয়েছি।’

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘চাঁদাবাজি আমাদের কাজ না, ঘুষ বাণিজ্য আমাদের কাজ না, মামলা বাণিজ্য আমাদের কাজ না। অতীতের সরকার করেছে বলে মানুষ তাদের ওপর ক্ষেপে গিয়ে আজকে এ পরিণতি হয়েছে। সেই কাজ যারা করবে ভবিষ্যতে তাদেরও একই রাস্তা ধরতে হবে।’

জামায়াতে এই নেতা আরও বলেন, ‘যে পুলিশ আমাদের এত কষ্ট দিয়েছে, সে পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য আমরা নির্দেশ দিয়েছি। সামাজিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হলে পুলিশের প্রয়োজন আছে। থানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বসার মতো চেয়ার টেবিল পর্যন্ত নেই। আমাদের শাখাগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছিলাম, আমাদের ফান্ড থেকে চেয়ার টেবিল কিনে থানায় পৌঁছে দিয়ে আসো কাজ শুরু হোক। তাদের আশ্বস্ত করেছিলাম যে, আপনারা কাজ করেন থানার ভেতরে, আমরা বাইরে পাহারা দেব।’

কুষ্টিয়া জেলা শাখার আয়োজনে দুর্নীতি ও শোষণমুক্ত বৈষম্যহীন দেশ গড়ার লক্ষ্যে আয়োজিত সুধী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাশেম। বক্তব্য দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোসেন, শামিম সাঈদীসহ সুধীজনেরা। এ সময় জেলা, উপজেলা, শহর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড জামায়াতের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কাটা গলা নিয়ে রিকশা চালিয়ে ৩ কিলোমিটার, হাসপাতালে মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রিকশাচালক ফজলুর রহমানের (৩৫) গলা কেটে দেওয়া হয়েছিল। তারপরও রিকশা চালিয়ে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে তিনি বাজারে আসেন। এরপর হাসপাতালে পাঠানো হলে তিনি মারা যান। শনিবার রাতে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজলুর রহমানের বাড়ি তানোর উপজেলার অমৃতপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম ইবরাহিম আলী। ফজলুর রহমানের ব্যাটারিচালিত রিকশাটি ছিনিয়ে নিতে ছুরি দিয়ে তাঁর গলা কেটে দেওয়া হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। তবে মৃত্যুর আগে তিনি কিছু বলে যেতে পারেননি।

মোহনপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোদাচ্ছের হোসেন খান জানান, শনিবার সন্ধ্যার পর শিয়ালকোলা এলাকায় রিকশাচালক ফজলুর রহমানের গলায় ছুরিকাঘাত করা হয়। এরপর তিনি নিজেই রিকশা চালিয়ে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরের কেশরহাট বাজারে আসেন। সেখান থেকে স্থানীয় লোকজন তাঁকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠান। এরপর রাত ১০টার দিকে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

এসআই মোদাচ্ছের হোসেন খান জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে মরদেহের ময়নাতদন্ত হচ্ছে। এরপর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। স্বজনেরা থানায় আসার পর এ ব্যাপারে হত্যা মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুমিল্লা-৬: ইয়াসিনকে প্রার্থী করার দাবিতে নির্যাতিত বিএনপি পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লা-৬ আসনে হাজি ইয়াসিনকে প্রার্থী ঘোষণার দাবিতে বিএনপির কারা নির্যাতিত পরিবারের সদস্যদের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুমিল্লা-৬ আসনে হাজি ইয়াসিনকে প্রার্থী ঘোষণার দাবিতে বিএনপির কারা নির্যাতিত পরিবারের সদস্যদের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনে হাজি আমিন উর রশিদ ইয়াসিনকে চূড়ান্তভাবে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় নগরীর টাউন হল মাঠের বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মঞ্চে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন গত ১৭ বছরে রাজনৈতিক মামলা ও নির্যাতনের শিকার হওয়া বিএনপির নেতা-কর্মীদের পরিবারের সদস্যরা।

লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব চৌধুরীর স্ত্রী নাসরিন খানম। তিনি বলেন, এক যুগের বেশি সময় ধরে কুমিল্লা-৬ আসনে বিএনপিকে সমর্থন করার কারণে বহু পরিবারের স্বামী, বাবা, ভাই ও সন্তানেরা মামলা, হামলা, কারাবরণ ও হত্যার শিকার হয়েছেন। সেই কঠিন সময়ে এসব পরিবারের পাশে থেকে আইনি সহায়তা, আটক নেতা-কর্মী ও তাঁদের পরিবারের ভরণপোষণ, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা, নিহতদের পরিবারের পুনর্বাসনসহ সকল মানবিক সহায়তা দিয়েছেন আমিন উর রশিদ ইয়াসিন।

লিখিত বক্তব্যে নাসরিন খানম দাবি করেন, এই সময়ে কুমিল্লা-৬ আসনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে শত শত মামলা হয়েছে এবং হাজার হাজার নেতা-কর্মী কারাবরণ করেছেন। নিরাপত্তার কারণে নেতা-কর্মীরা নিজ বাড়িতে রাত কাটাতে পারেননি, এমনকি স্বজনদের জানাজা ও সামাজিক অনুষ্ঠানেও অংশ নিতে পারেননি। সেই দুঃসময়ে পরিবারগুলোর অন্যতম ভরসা ছিলেন আমিন উর রশিদ ইয়াসিন।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করেন, ৩ নভেম্বর বিএনপির মহাসচিব ঘোষিত সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় কুমিল্লা-৬ আসনে আমিন উর রশিদ ইয়াসিনের নামের পরিবর্তে মনিরুল হক চৌধুরীর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বক্তারা মনিরুল হক চৌধুরীকে এই অঞ্চলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটারদের কাছে ‘কম পরিচিত’ বলে উল্লেখ করেন। তাঁদের দাবি, গত ১৭ বছরের রাজনৈতিক সংকট ও নির্যাতনের সময়ে মনিরুল হক চৌধুরী এলাকায় নেতা-কর্মীদের পাশে ছিলেন না।

বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই আসনে দলের ত্যাগী, জনপ্রিয় ও কর্মীবান্ধব নেতাকে মনোনয়ন না দিলে বিজয় অর্জন কঠিন হয়ে পড়বে।

সংবাদ সম্মেলনে মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফখরুল ইসলাম মিঠুর স্ত্রী আনা আজিজা আবেগঘন বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামীর নামে ৩২টি মামলা ছিল। প্রতিটি মামলার আইনি সহায়তা, জেলখানায় পিসির খরচ, চিকিৎসা, জামিন, পরিবারের দেখাশোনাসহ সকল কিছুর দায়িত্ব নিয়েছিলেন হাজি ইয়াসিন। বিগত ১৭ বছর তিনি আমার মতো শত শত নির্যাতিত নেতা-কর্মীর অভিভাবক হয়ে বটবৃক্ষের মতো ছায়া দিয়েছিলেন। আমরা তারেক রহমানের প্রতি অনুরোধ জানাই, আমাদের বটবৃক্ষকে যেন উপড়ে না ফেলা হয়।’

এ সময় গত ১৭ বছরে রাজনৈতিক মামলাসহ বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হওয়া বিএনপির নেতা-কর্মীদের পরিবারের তিন শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য দেন মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেনের স্ত্রী আবিদা সুলতানা প্রমী, বিএনপি নেতা ইকরাম হোসেনের স্ত্রী নাসিমা বেগম, মনির হোসেনের স্ত্রী লাকি আক্তারসহ অন্যরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেহেন্দীগঞ্জে জামায়াত নেতার বাড়িতে দুর্বৃত্তের আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ

মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি 
গতকাল দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আব্দুর রহমান ফারুকের ঘরে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
গতকাল দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আব্দুর রহমান ফারুকের ঘরে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর এক নেতার বাড়িতে আগুন দিয়ে দুর্বৃত্তরা দুটি ঘর পুড়িয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার কাজিরহাট থানার ভাসানচর ইউনিয়নের আকন কান্দি গ্রামের আকন বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তরা আকন কান্দির আব্দুর রহমান ফারুকের কাছারি ও লাকরির ঘর পুড়িয়ে দেয় এবং তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।

আব্দুর রহমান ফারুক ভাসানচর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমির। রাজনৈতিক বিরোধের জেরে দুর্বৃত্তরা আতঙ্ক সৃষ্টি করতে ঘর পুড়িয়ে ককটেল নিক্ষেপ করেছে বলে দাবি করেন আব্দুর রহমান ফারুক। কাজিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ঘর পুড়ে যাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করলেও ককটেল বিস্ফোরণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানান।

আব্দুর রহমান ফারুক বলেন, শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে কে বা কারা বাড়ির সামনে একটি লাকড়ির ঘরে আগুন দেয়। ওই সময় পরপর তিনটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দে তাঁর ও বাড়ির লোকজনের ঘুম ভাঙলে আগুন দেখতে পান। পরে মসজিদের মাইকে লোকজন ডেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুনে লাকড়ির ঘর ও কাছারিঘর পুড়ে গেছে।

আব্দুর রহমান আরও বলেন, শুক্রবার রাতে দুর্বৃত্তরা বরিশাল-৪ আসনের জামায়াত ইসলামী মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুল জব্বারের বিলবোর্ড ও ফেস্টুন পুড়িয়ে দিয়েছিল। গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে দুর্বৃত্তরা ককটেল বিস্ফোরণ ও ঘর পুড়িয়েছে।

এ ব্যাপারে কাজিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, আগুনে জামায়াত নেতার লাকড়ির ঘর ও কাছারিঘর আংশিক পুড়ে গেছে। এই ঘটনায় তদন্ত চলছে। নাশকতার প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নোয়াখালীতে ৬ হাজার ইয়াবাসহ ২ মাদক কারবারি আটক

নোয়াখালী প্রতিনিধি
আটক দুই মাদক কারবারি। ছবি: আজকের পত্রিকা
আটক দুই মাদক কারবারি। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালী সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে ৬ হাজার ইয়াবা বড়িসহ দুই মাদক কারবারিকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। আটক ব্যক্তিরা হলেন সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চরলক্ষ্মী গ্রামের মাঈন উদ্দিন (২৭) ও চর মজিদ গ্রামের নুপুর ওরফে ইরাক (৩০)। রোববার ভোরে সোনাপুর-কবিরহাট সড়কের মোমিনের দোকান এলাকা থেকে তাঁদেরকে আটক করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ইয়াবা ছাড়াও একটি পিকআপ ভ্যান এবং একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলার শীর্ষ মাদক কারবারি আবুল কালাম আজাদ ওরফে কালা আজাদ দীর্ঘদিন ধরে সুবর্ণচর এলাকার চরবাটা আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় একটি মাদক সিন্ডিকেট পরিচালনা করে আসছেন। তাঁর বিরুদ্ধে নোয়াখালী ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় ১৯টি মাদকের মামলা রয়েছে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর আসে যে কবিরহাট-সোনাপুর সড়ক দিয়ে মাদক পাচার হতে পারে। এই তথ্যের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে অশ্বদিয়া এলাকায় একটি চেকপোস্ট বসানো হয়। এ সময় রেজিস্ট্রেশন নম্বর সংবলিত পিকআপ ভ্যানটি সংকেত অমান্য করে পালানোর চেষ্টা করলে এলাকাবাসীর সহায়তায় সেটিকে আটক করা হয়। পরে তল্লাশি চালিয়ে গাড়িটি থেকে ৬ হাজার ইয়াবা বড়ি জব্দ করা হয়।

জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুব্রত সরকার শুভ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাঁদের সুধারাম মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত