Ajker Patrika

খুলনায় ৪ পুলিশের নামে আদালতে মামলা, পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ

খুলনা প্রতিনিধি
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০: ০৩
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খুলনায় নারীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে চার পুলিশের নামে মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যজিস্ট্রেট ১ নম্বর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন পূর্ব বানিয়াখামার এলাকার বাসিন্দ আসমা বেগম। আদালতের বিচারক মামলা গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়ে ২৪ মার্চ রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

আসামিরা হলেন–খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রিজন সেলের এসআই বিভূতি ভূষন ভৌমিক, কনস্টেবল হিরো আহমেদ, কনস্টেবল সাহাব্বার (উভয় এসএএফ শাখা কেএমপি) ও কনস্টেবল সজল।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বাদীর ভাগনি জামাই হাসানুজ্জামান আকাশ গত ১৩ ডিসেম্বর রাত পৌনে ৮টার দিকে নগরীর মিয়াপাড়া বন্ধনের মোড়ে সন্ত্রাসীর গুলিতে আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পরের দিন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কোনো মামলা না থাকার পরও হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা এসআই বিভূতি ভূষণ আহত আকাশকে প্রিজন সেলে হস্তান্তর করেন।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, ১৫ ডিসেম্বর অস্ত্রোপচারের জন্য সকাল ১০টার দিকে অপারেশন থিয়েটারে নিলে সেখানকার চিকিৎসকেরা জানায়, রোগীর অবস্থা খুবই সংকটপূর্ণ। তাকে জরুরি ভিত্তিতে ঢাকায় নিতে হবে। তখন বাদী এসআই বিভূতি ভূষণকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনাদের বারবার বলা সত্ত্বেও আকাশকে প্রিজন সেলে আটকে রেখে মৃত্যুর কাছাকাছি নিয়ে গেছেন, কোনো চিকিৎসা দেন নাই।

এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে এসআই বিভূতি ভূষণ ও এক কনস্টেবল বাদী আসমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও ধমক দিতে থাকেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পরিবারের অন্য সদস্যরা উত্তেজিত হতে নিষেধ করলে কনস্টেবল হিরো আহম্মেদ এবং সাহাব্বার তাদের গলা ধাক্কা দিয়ে অপারেশন থিয়েটারের সামনে থেকে সরিয়ে দেন।

এ অবস্থায় বাদী এসআই বিভূতি ভূষণকে বলেন, আমার জামাইকে কি মেরে ফেলবেন। না পারলে আমাদের কাছে দেন আমরা চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। এ কথা শোনা মাত্র এসআই উত্তেজিত হয়ে তাকে চড় মারতে থাকে এবং পুলিশ সদস্য সজল তার শ্লীলতাহানি করে। এ ঘটনা পর বাদী চিৎকার করলে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে তার মাথার ডান পাশ কেটে যায়। পরবর্তীতে মাথায় তিনটি সেলাই দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে আইনজীবী বিএম ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ১ এর বিচারক মো. ফরিদুজ্জামান মামলাটি গ্রহণ করেছেন। তিনি ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্তের জন্য খুলনা পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ২৪ মার্চ তদন্ত রিপোর্ট আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুমিল্লা-৬: ইয়াসিনকে প্রার্থী করার দাবিতে নির্যাতিত বিএনপি পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লা-৬ আসনে হাজি ইয়াসিনকে প্রার্থী ঘোষণার দাবিতে বিএনপির কারা নির্যাতিত পরিবারের সদস্যদের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুমিল্লা-৬ আসনে হাজি ইয়াসিনকে প্রার্থী ঘোষণার দাবিতে বিএনপির কারা নির্যাতিত পরিবারের সদস্যদের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনে হাজি আমিন উর রশিদ ইয়াসিনকে চূড়ান্তভাবে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় নগরীর টাউন হল মাঠের বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মঞ্চে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন গত ১৭ বছরে রাজনৈতিক মামলা ও নির্যাতনের শিকার হওয়া বিএনপির নেতা-কর্মীদের পরিবারের সদস্যরা।

লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব চৌধুরীর স্ত্রী নাসরিন খানম। তিনি বলেন, এক যুগের বেশি সময় ধরে কুমিল্লা-৬ আসনে বিএনপিকে সমর্থন করার কারণে বহু পরিবারের স্বামী, বাবা, ভাই ও সন্তানেরা মামলা, হামলা, কারাবরণ ও হত্যার শিকার হয়েছেন। সেই কঠিন সময়ে এসব পরিবারের পাশে থেকে আইনি সহায়তা, আটক নেতা-কর্মী ও তাঁদের পরিবারের ভরণপোষণ, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা, নিহতদের পরিবারের পুনর্বাসনসহ সকল মানবিক সহায়তা দিয়েছেন আমিন উর রশিদ ইয়াসিন।

লিখিত বক্তব্যে নাসরিন খানম দাবি করেন, এই সময়ে কুমিল্লা-৬ আসনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে শত শত মামলা হয়েছে এবং হাজার হাজার নেতা-কর্মী কারাবরণ করেছেন। নিরাপত্তার কারণে নেতা-কর্মীরা নিজ বাড়িতে রাত কাটাতে পারেননি, এমনকি স্বজনদের জানাজা ও সামাজিক অনুষ্ঠানেও অংশ নিতে পারেননি। সেই দুঃসময়ে পরিবারগুলোর অন্যতম ভরসা ছিলেন আমিন উর রশিদ ইয়াসিন।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করেন, ৩ নভেম্বর বিএনপির মহাসচিব ঘোষিত সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় কুমিল্লা-৬ আসনে আমিন উর রশিদ ইয়াসিনের নামের পরিবর্তে মনিরুল হক চৌধুরীর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বক্তারা মনিরুল হক চৌধুরীকে এই অঞ্চলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটারদের কাছে ‘কম পরিচিত’ বলে উল্লেখ করেন। তাঁদের দাবি, গত ১৭ বছরের রাজনৈতিক সংকট ও নির্যাতনের সময়ে মনিরুল হক চৌধুরী এলাকায় নেতা-কর্মীদের পাশে ছিলেন না।

বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই আসনে দলের ত্যাগী, জনপ্রিয় ও কর্মীবান্ধব নেতাকে মনোনয়ন না দিলে বিজয় অর্জন কঠিন হয়ে পড়বে।

সংবাদ সম্মেলনে মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফখরুল ইসলাম মিঠুর স্ত্রী আনা আজিজা আবেগঘন বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামীর নামে ৩২টি মামলা ছিল। প্রতিটি মামলার আইনি সহায়তা, জেলখানায় পিসির খরচ, চিকিৎসা, জামিন, পরিবারের দেখাশোনাসহ সকল কিছুর দায়িত্ব নিয়েছিলেন হাজি ইয়াসিন। বিগত ১৭ বছর তিনি আমার মতো শত শত নির্যাতিত নেতা-কর্মীর অভিভাবক হয়ে বটবৃক্ষের মতো ছায়া দিয়েছিলেন। আমরা তারেক রহমানের প্রতি অনুরোধ জানাই, আমাদের বটবৃক্ষকে যেন উপড়ে না ফেলা হয়।’

এ সময় গত ১৭ বছরে রাজনৈতিক মামলাসহ বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হওয়া বিএনপির নেতা-কর্মীদের পরিবারের তিন শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য দেন মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেনের স্ত্রী আবিদা সুলতানা প্রমী, বিএনপি নেতা ইকরাম হোসেনের স্ত্রী নাসিমা বেগম, মনির হোসেনের স্ত্রী লাকি আক্তারসহ অন্যরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেহেন্দীগঞ্জে জামায়াত নেতার বাড়িতে দুর্বৃত্তের আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ

মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি 
গতকাল দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আব্দুর রহমান ফারুকের ঘরে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
গতকাল দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আব্দুর রহমান ফারুকের ঘরে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর এক নেতার বাড়িতে আগুন দিয়ে দুর্বৃত্তরা দুটি ঘর পুড়িয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার কাজিরহাট থানার ভাসানচর ইউনিয়নের আকন কান্দি গ্রামের আকন বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তরা আকন কান্দির আব্দুর রহমান ফারুকের কাছারি ও লাকরির ঘর পুড়িয়ে দেয় এবং তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।

আব্দুর রহমান ফারুক ভাসানচর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমির। রাজনৈতিক বিরোধের জেরে দুর্বৃত্তরা আতঙ্ক সৃষ্টি করতে ঘর পুড়িয়ে ককটেল নিক্ষেপ করেছে বলে দাবি করেন আব্দুর রহমান ফারুক। কাজিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ঘর পুড়ে যাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করলেও ককটেল বিস্ফোরণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানান।

আব্দুর রহমান ফারুক বলেন, শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে কে বা কারা বাড়ির সামনে একটি লাকড়ির ঘরে আগুন দেয়। ওই সময় পরপর তিনটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দে তাঁর ও বাড়ির লোকজনের ঘুম ভাঙলে আগুন দেখতে পান। পরে মসজিদের মাইকে লোকজন ডেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুনে লাকড়ির ঘর ও কাছারিঘর পুড়ে গেছে।

আব্দুর রহমান আরও বলেন, শুক্রবার রাতে দুর্বৃত্তরা বরিশাল-৪ আসনের জামায়াত ইসলামী মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুল জব্বারের বিলবোর্ড ও ফেস্টুন পুড়িয়ে দিয়েছিল। গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে দুর্বৃত্তরা ককটেল বিস্ফোরণ ও ঘর পুড়িয়েছে।

এ ব্যাপারে কাজিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, আগুনে জামায়াত নেতার লাকড়ির ঘর ও কাছারিঘর আংশিক পুড়ে গেছে। এই ঘটনায় তদন্ত চলছে। নাশকতার প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নোয়াখালীতে ৬ হাজার ইয়াবাসহ ২ মাদক কারবারি আটক

নোয়াখালী প্রতিনিধি
আটক দুই মাদক কারবারি। ছবি: আজকের পত্রিকা
আটক দুই মাদক কারবারি। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালী সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে ৬ হাজার ইয়াবা বড়িসহ দুই মাদক কারবারিকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। আটক ব্যক্তিরা হলেন সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চরলক্ষ্মী গ্রামের মাঈন উদ্দিন (২৭) ও চর মজিদ গ্রামের নুপুর ওরফে ইরাক (৩০)। রোববার ভোরে সোনাপুর-কবিরহাট সড়কের মোমিনের দোকান এলাকা থেকে তাঁদেরকে আটক করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ইয়াবা ছাড়াও একটি পিকআপ ভ্যান এবং একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলার শীর্ষ মাদক কারবারি আবুল কালাম আজাদ ওরফে কালা আজাদ দীর্ঘদিন ধরে সুবর্ণচর এলাকার চরবাটা আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় একটি মাদক সিন্ডিকেট পরিচালনা করে আসছেন। তাঁর বিরুদ্ধে নোয়াখালী ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় ১৯টি মাদকের মামলা রয়েছে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর আসে যে কবিরহাট-সোনাপুর সড়ক দিয়ে মাদক পাচার হতে পারে। এই তথ্যের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে অশ্বদিয়া এলাকায় একটি চেকপোস্ট বসানো হয়। এ সময় রেজিস্ট্রেশন নম্বর সংবলিত পিকআপ ভ্যানটি সংকেত অমান্য করে পালানোর চেষ্টা করলে এলাকাবাসীর সহায়তায় সেটিকে আটক করা হয়। পরে তল্লাশি চালিয়ে গাড়িটি থেকে ৬ হাজার ইয়াবা বড়ি জব্দ করা হয়।

জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুব্রত সরকার শুভ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাঁদের সুধারাম মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘১৩ তারিখে ঢাকা যাব’ ফেসবুকে লেখা আওয়ামী লীগ নেতাসহ ফরিদপুরে গ্রেপ্তার ৩

ফরিদপুর প্রতিনিধি
গ্রেপ্তার করা তিনজন। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার করা তিনজন। ছবি: সংগৃহীত

১৩ নভেম্বর কার্যক্রম নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের ডাকা কর্মসূচি ঘিরে ফেসবুকে পোস্ট করার পর ফরিদপুরে এক আওয়ামী লীগ নেতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে পুলিশ বলছে, ফেসবুক পোস্টের কারণে নয়, বিস্ফোরক মামলায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে মতিন মোল্লা ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামের তৈয়বুর রহমানের ছেলে এবং পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। এ ছাড়া অন্য দুজনের মধ্যে রয়েছেন পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ মোল্লা (৬৭) ও গোপালপুর ইউনিয়ন মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি ও চরচান্দ্রা গ্রামের কাজী রুবেল (৩৫)। তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আজ রোববার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ জালাল আলম। তিনি বলেন, মূলত ফেসবুক পোস্টের কারণে নয়, থানায় দায়ের করা বিস্ফোরক আইনে হওয়া একটি পুরোনো মামলায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) মতিন মোল্লা তাঁর ফেসবুক আইডিতে ১৬ জন ব্যক্তির মাঝে নিজে দাঁড়ানো অবস্থায় একটি ছবি পোস্ট করেন। তাতে লেখেন, ‘১৩ তারিখে আমরা সবাই ঢাকা যাব। দলের দুর্দিনে আমরা দলের পাশেই আছি।’ তবে ছবিটি কোথায় এবং কবে তোলা, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এরপরই শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাতে নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এ ছাড়া একই রাতে অন্য দুজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদেরকে গত ১৮ জানুয়ারি দায়ের করা বিস্ফোরক আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

ওসি জানান, মামলাটি দায়ের করেন আলফাডাঙ্গা পৌর সদরের বুড়াইচ এলাকার ইদ্রিস সরদারের ছেলে বিএনপির সমর্থক লাভলু সরদার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত