Ajker Patrika

খুলনার ৬টি আসন: জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার

  • আগে থেকে তৎপর জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা।
  • খুলনা-১ আসন ছাড়া বাকিগুলোতে প্রচারে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
  • দুই আসনে আলোচনায় জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব।
  • দৃশ্যমান তৎপরতা নেই জাতীয় নাগরিক পার্টির।
শেখ আবু হাসান, খুলনা
আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৭: ৩৪
মিয়া গোলাম পরওয়ার, আজিজুল বারী হেলাল, নজরুল ইসলাম মঞ্জু, রকিবুল ইসলাম বকুল, আলী আসগর লবি, ইউনুস আহমাদ, শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল ও মাহফুজুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
মিয়া গোলাম পরওয়ার, আজিজুল বারী হেলাল, নজরুল ইসলাম মঞ্জু, রকিবুল ইসলাম বকুল, আলী আসগর লবি, ইউনুস আহমাদ, শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল ও মাহফুজুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে খুলনায় দীর্ঘদিন থেকে তৎপর জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। জেলার ছয়টি আসনেই নিজ নিজ দলের সম্ভাব্য প্রার্থীর হয়ে প্রচার চালাচ্ছেন তাঁরা। বিএনপির পক্ষ থেকে ৩ নভেম্বর সারা দেশে ২৩৭টি আসনে দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এতে খুলনা-১ আসনটি ফাঁকা রেখে জেলার বাকি পাঁচটি আসনে নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরপর থেকে তাঁরাও ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচারে জমে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ।

খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনটি দীর্ঘদিন থেকে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। স্বাধীনতার পর থেকে অধিকাংশ সময় এটি দলটির দখলে ছিল। এবার এখানে বিএনপির তিনজন মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা হলেন, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদল নেতা জিয়াউর রহমান পাপুল ও সাবেক ছাত্রনেতা পার্থ দেব মণ্ডল। নেতা-কর্মীদের নিয়ে মাঠে সরব জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী দলের বটিয়াঘাটা উপজেলা আমির শেখ আবু ইউসুফ। ইসলামী আন্দোলনের মনোনয়ন পেতে পারেন মাওলানা আবু সাঈদ। বাম গণতান্ত্রিক জোটের পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন দাকোপ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কিশোর কুমার রায়।

নগরীর সদর, সোনাডাঙ্গা, হরিণটানা ও লবণচরা থানা নিয়ে গঠিত খুলনা-২ আসন। এটিকে জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এবার এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। নগর বিএনপির সাবেক এ সভাপতি ২০০৮ সালেও আসনটি থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী সিটি করপোরেশনের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল। তিনি দলটির কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও মহানগর সেক্রেটারি। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন আমান উল্লাহ। গণসংহতি আন্দোলনের সম্ভাব্য প্রার্থী খুলনা জেলা আহ্বায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল।

সিটি করপোরেশনের ১ থেকে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড এবং যোগীপোল ও আড়ংঘাটা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত খুলনা-৩ আসন। এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল। দীর্ঘদিন থেকে তিনি এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী নগর আমির মাহফুজুর রহমানও নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন দলের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আবদুল আউয়াল।

রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়া নিয়ে খুলনা-৪ আসন। এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী খুলনা জেলা নায়েবে আমির কবিরুল ইসলাম। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন দলের মহাসচিব ইউনুস আহমাদ। তিনজনই নিয়মিত এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।

ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলা নিয়ে গঠিত খুলনা-৫ আসন। ২০০১ সালে এখানে চারদলীয় জোট থেকে বিজয়ী হন জামায়াতের বর্তমান সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। এবারও দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী আসগর লবি। তিনিও এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচনে জিততে আসনটিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোট একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। ফলে বিএনপি, জামায়াতের দুই দলই তাদের ভোট টানতে মরিয়া।

খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মনিরুল হাসান বাপ্পি। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ। ইসলামী আন্দোলন থেকে আলোচনায় আছেন জেলা সেক্রেটারি আসাদুল্লাহ আল গালিব।

জেলায় এনসিপির নির্বাচনী কার্যক্রম এখনো দৃশ্যমান নয়। তবে দলটির নেতারা বলছেন, শিগগির খুলনার ছয়টি আসনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাবান্ধা আইসিপিতে বিজিবির বাড়তি নজরদারি

পঞ্চগড় প্রতিনিধি 
পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বিজিবি সূত্র জানায়, সীমান্ত এলাকায় নিজস্ব গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ব্যাটালিয়ন সদর ও বিওপির নিয়মিত টহলের পাশাপাশি বিশেষ টহল দল মোতায়েন করে সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বিশেষ টহলের অংশ হিসেবে সীমান্ত এলাকায় চলাচলকারী যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।

এ ছাড়া ব্যাটালিয়নের অধীন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে (আইসিপি) নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। আইসিপি দিয়ে যাতায়াতকারী যানবাহন ও যাত্রীদের নিবিড়ভাবে তল্লাশি করা হচ্ছে। পাশাপাশি কে-৯ ইউনিটের (ডগ স্কোয়াড) মাধ্যমে বিশেষ তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ কায়েস বলেন, ‘আমাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা দিয়ে কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে পার্শ্ববর্তী দেশে পালাতে না পারে, সে বিষয়ে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি সীমান্ত নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভূঞাপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, পাঁচজনকে জরিমানা

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি 
ভূঞাপুরের যমুনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান। ছবি: আজকের পত্রিকা
ভূঞাপুরের যমুনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান। ছবি: আজকের পত্রিকা

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।

বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী দায়ের করা পাঁচটি পৃথক মামলায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে ৫০ হাজার টাকা করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সিরাজগঞ্জের অছির আলীর ছেলে ইজতেহার (৫০), নড়াইলের দাউদ মোল্লার ছেলে নুর মোহাম্মদ (৩৬), বরগুনার নাসির খানের ছেলে হাসান (২৪), ভূঞাপুরের মোকতেল হোসেনের ছেলে করিম (৩৫) ও সানু মিয়ার ছেলে জহুরুল (৩০)।

এ সময় ভূঞাপুর থানা-পুলিশ, নৌ পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব হাসান বলেন, যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে পাঁচজনকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন রোধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদারের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি  
গতকাল বিকেলে ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদার। ছবি: সংগৃহীত
গতকাল বিকেলে ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদার। ছবি: সংগৃহীত

জামালপুরের বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগ দিয়েছেন। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি বরিশালে গিয়ে ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে দেখা করে দলটিতে যোগ দেন।

এ সময় উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন ফরিদ, সাধুরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া মনু গাজীসহ শতাধিক বিএনপির সাবেক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

আব্দুর রউফ তালুকদার বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। তাঁর বাড়ি বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মধ্যবাজার এলাকায়। তিনি চার মেয়াদে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। ১৭ বছর ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদে। স্থানীয় রাজনীতিতে ব্যাপক জনপ্রিয় থাকায় এলাকাবাসী দলমত-নির্বিশেষে অভিভাবক মেনে প্রবীণ এই সমাজসেবককে ‘বটগাছ’ উপাধিতে ভূষিত করেন। সবার মুখে মুখে বলতে শোনা যায়, আব্দুর রউফ তালুকদার মানেই এখানকার মানুষের অভিভাবক।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-১ (বকশীগঞ্জ-দেওয়ানগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণাও দিয়েছিলেন আব্দুর রউফ তালুকদার।

ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে তাঁর যোগদানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে স্থানীয় রাজনীতিতে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আব্দুর রউফ তালুকদার বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক আইজিপি আবদুল কাইয়ুমের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। আব্দুর রউফ ও তাঁর সমর্থকেরা আবদুল কাইয়ুমকে জামালপুর-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু আসনটিতে কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাতকে দলীয় প্রার্থী করা হয়েছে।

পরে গত ১৯ নভেম্বর জামালপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন আব্দুর রউফ তালুকদার। এরপর থেকে তাঁর সমর্থকেরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন। এর মধ্যে হঠাৎ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগদান করেন আব্দুর রউফ তালুকদার।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বকশীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মাওনালা আবদুল মজিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বটগাছ উপাধিতে ভূষিত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদার ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন।’

এ বিষয়ে আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তাঁর মোবাইলে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও ফোনটি বন্ধ থাকায় মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ৩৬
শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও সেটির মালিক। ছবি: র‍্যাব
শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও সেটির মালিক। ছবি: র‍্যাব

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করা হয়েছে। ওই মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে আব্দুল হান্নান নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে র‍্যাব।

আজ রোববার সকালে তাঁকে আটক করে পল্টন থানায় হস্তান্তর করেছে র‍্যাব-২।

র‍্যাব সদরদপ্তরের মুখপাত্র উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ওসমান হাদির ওপর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করা হয়েছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে মোটরসাইকেলটির মালিক আব্দুল হান্নানকে আটক করা হয়েছে। পরে তাঁকে পল্টন থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

হত্যার ঘটনায় হান্নান জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানায় র‍্যাব।

র‍্যাব আরও জানায়, মোটরসাইকেলটির নম্বর ৫৪-৬৩৭৫। আটক হান্নানের বাড়ি রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জ। তাঁর বাবার নাম মো. আবুল কাশেম।

গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে করা গুলিতে গুরুতর আহত হন রিকশায় থাকা ওসমান হাদি। তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এর মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী হাদির ওপর হামলাকারীকে ধরিয়ে দিতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত